নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইস আমি তো ভুলতে পারিনি

পিকেকে টিটু

পিকেকে টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিম

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৭

নিম বহুবর্ষী গাছ। এর পাতা, ডাল, ফল, ছাল, রস সবই কাজে লাগে। এসব উপাদান ওষুধের কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহার হয়। এমনকি এ গাছের হাওয়ায় বহু রোগ থেকেও মুক্তি মেলে। হয়তো এসব কারণে জাতিসংঘ নিমগাছকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি চর্মরোগ সারাতে নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে শরীর ভালো করে মুছে নিন। দ্রুত ফল পেতে এ সিদ্ধ পানির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দিনে দু-তিনবার খেতে পারেন।

বুকে কফ জমে ব্যথা করছে? তাহলে নিম পাতার রস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন তিন-চার কাপ খেয়ে দেখুন, ব্যথা কমে যাবে।

পোকামাকড় কামড়ালে কিংবা হুল ফুটিয়ে দিলে নিমগাছের পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী নিমপাতা। সকালে ৮-১০টি পাতা চার-পাঁচটি গোলমরিচসহ চিবিয়ে খেতে পারেন। রক্তের শর্করা কমে যাবে।

কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রসের বেশ নামডাক রয়েছে।

হজমের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে নিমগাছের দু-তিন টুকরো ছাল রাতে আধা গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সাত দিন এ পানি খেয়ে যান, সমস্যা দূর হবে।

নিমগাছ থেকে প্রসাধনীও তৈরি হয়। এর তেল, সাবান, শ্যাম্পু, লোশন, ক্রিম, ট্যালকম পাউডার, টুথপেস্ট প্রভৃতি বেশ প্রচলিত পণ্য।

কাটা বা পোড়ার ফলে ঘা হলে কিংবা গ্যাংরিন হলে নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন।

নিমের পাতা বেটে আলতো করে মাথায় ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাত্র দু-তিন দিনে মাথার উকুন দূর হয়ে যাবে। সঙ্গে খুশকিও থাকবে না।

ঘর ও কাপড়চোপড়ের পোকামাকড় দূর করতে নিমপাতা বিছিয়ে রাখতে পারেন।

নিমগাছ থেকে তৈরি কাঠ খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণে ধরে না, পোকা বাসা বাঁধে না, এমনকি উইপোকায়ও ধরে না। এসব কারণে নিম কাঠের তৈরি আসবাব দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।



হিমালয়া হার্বাল হেলথকেয়ার অবলম্বনে

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

স্বপনচারিণী বলেছেন: দারুন এক পোষ্ট দিলেন। যতই তিতা হোক না কেন এর গুনের শেষ নেই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.