নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইস আমি তো ভুলতে পারিনি

পিকেকে টিটু

পিকেকে টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে মানুষের এখন বড় অভাব...

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপরে তার কোনো আস্থা নেই। কিন্তু সেই মানুষগুলোর ওপর তার আস্থা আছে, যাদের মধ্যে অন্তত তিনটি গুণ আছে। যারা সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারে, মহান অনুভব যাদের চিত্তে সবসময় থাকে এবং জগৎ ও জীবনের স্বার্থে যারা সঠিক কর্ম সম্পাদন করতে পারে। এ তিনটি গুণ সম্বলিত মানুষ সমাজের জন্যে সম্পদ, দেশের জন্যে সম্পদ। অন্যথায় সে মানুষ নিজের জন্যে বোঝা, সমাজের জন্যে হুমকি, দেশের জন্যে ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ শেষ কথাটি হচ্ছে মানুষ চাই। নিজে মানুষ হলে সমাজটা মানুষ হয়, দেশও মানুষ হয়। দিনবদল হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক বছর পেরিয়ে গেল। স্বাধীনতা আমাদের কাছে অনেক বড় স্বপ্নের দ্যোতক ছিলো, সূচক ছিলো। সময় যত গড়িয়েছে, স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেই ত্রিশের দশকে যখন বাংলাদেশ ভাগ হয় নি তখনই নজরুল বলে গেছেন- আমাদের বাংলাদেশ, রাজরানি এখন ভিখারিনি, কাঁদিছে বনে লুটিয়ে কেশ। কেন এ অবস্থা? বিভিন্ন সময় গবেষকরা নানান তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন এর কারণ হিসেবে। অথচ সহজ সত্যটি হলো আমাদের যাবতীয় সংকটের মূলে রয়েছে মানুষের মনুষ্যত্বহীনতা।

বাংলাদেশ গড়বার জন্যে মানুষ চাই, সে-ই মানুষ- যে মানুষের মন আছে, যে মনে নেতিবাচক চিন্তা নেই, আছে কল্যাণ ভাবনা, আছে সৃষ্টিশীল প্রণোদনা, আছে চেতনা। জাগতিক হতাশা-ব্যর্থতা এবং বিপন্ন বিষণ্নতায়ও যে মানুষ নিজের মধ্যে স্থিতধী, সে মানুষ আমাদের জন্যে সম্পদ।

ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র বলতেন, ‘তোমরা যেমন মাছের চাষ কর, তেমনি তোমরা মানুষের চাষ কর।’ আসুন এই চাষ-বাসে একটু সার দেই- আমাদের ফলগুলো যেন বেশ জীবন্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের মানুষগুলো যেন মনুষ্যত্বের ঠিকানা খুঁজে পায়।হতাশাগ্রস্ত, বিভ্রান্ত, নেতিবাচক চিন্তায় বিপন্ন এবং ধ্বংসাত্মক ভাবনায় প্রায় বিধ্বস্ত- এমন মানুষগুলোকে আবার আশাবাদের ঠিকানা চিনিয়ে দেবে সে-ই মানুষ…যে মানুষের এখন বড় অভাব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.