নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইস আমি তো ভুলতে পারিনি

পিকেকে টিটু

পিকেকে টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় নারায়ণগঞ্জের মানুষ।

০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭



বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা নোংরা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। একটি গুম হচ্ছে অথচ তার সমাধান না করে তা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। কোথায় যাচ্ছি আমরা?

আমরা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে এই অসহনীয় পরিস্থিতি যায় কিনা, সেটা নতুন করে ভাবা দরকার।

নারায়ণগঞ্জে একের পর এক হত্যা-গুম-অপহরণ হচ্ছে। দিনের বেলায় সাত সাতজন লোককে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। তাদের  আর খুঁজে পাওয়া গেলো না! খুঁজে পাওয়া গেলো  তাদের লাশ! কিন্তু সেই গুম আর অপহরণ নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভাষার যে খেলায় নামলেন, তাকে কী বলবেন! টেলিভিশনের পর্দায় যা দেখা গেলো আর শোনা গেলো তাতে চোখ আর কানকে বিশ্বাস করা কঠিন! মে দিবসে গাজীপুরের ভাওয়ালের বদরে আলম কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বললেন: ‘হত্যা-গুমের রাজনীতি যারা করেন, এটা তারাই ঘটিয়েছে!’ এরপর অবশ্য রাখঢাক না রেখে বিএনপি’র দিকে অভিযোগের আঙুলটা তুললেন প্রধানমন্ত্রী!

জবাব এলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শ্রমিক দলের জনসভা থেকে। যিনি দিলেন তিনিও তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দেশ চালিয়েছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বললেন; নারায়ণগঞ্জের এই সাতজন মানুষ অপহরণের দায় প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারবেন না। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। সঙ্গে আরও যা কিছু বললেন তার মর্মার্থ অপহরণের দায় আওয়ামী লীগের। কাজটা আওয়ামী লীগের লোকজনই করেছেন! লাশ-বীভৎস ছবির চেয়েও ভয়াবহ কথাবার্তাগুলো শুনতে হলো আমাদের।

একটি হত্যাকাণ্ড ঘটছে, সেটা নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে। এই রাজনীতি জাতির জন্য চরম হতাশার বলে মনে করি। সব কিছু নিয়েই রাজনীতির ফলাফল ভালো হয় না। রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।

হত্যা-গুম-খুন অপহরণের যখন  বিচার হবে না, তখন সেই ধরনের অপরাধ আরও বেড়ে যাবে এটা বুঝতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু দুভার্গ্য আমাদের মন্ত্রী, এমপি, প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলে কেউ তা বুঝতে চান না।

আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, একটি ঘটনা ঘটার পরপরই তা রাজনৈতিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পরিবর্তে একে অপরকে দায় দিয়ে কথা বলতে শুরু করে। এতে করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা আড়ালে থেকে যায়।

ত্বকীসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের মতো অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে  হয়ত ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া হবে এই সাত অপহরণ-হত্যাকাণ্ড।

নারায়ণগঞ্জবাসী জানেন না, এর শেষ কোথায়? তারা জানেন নারায়ণগঞ্জে থাকা যাবে না, ব্যবসা করা যাবে না। চলে যেতে হবে ঢাকায়। যাদের সামর্থ্য আছে তারা তাই করছেন। তারপরও তারা কিছু বিষয় জানতে চাইছেন

রহস্য কি উন্মোচন হবে?

এই প্রশ্নর সরাসরি উত্তর যাদের দেয়ার কথা, তারা দেবেন না। তারা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এমন সব কথা বলবেন তার থেকে উত্তর খুঁজে পাবেন না নারায়ণগঞ্জবাসী, দেশবাসী।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ পেতে চাইলে সরকার, বিরোধী দল উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে। জননিরাপত্তার প্রশ্নে জাতীয় সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।  



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ঐখানের সবাই এখন গুমাতংকে আছে।

২| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ২:২১

পংবাড়ী বলেছেন: মাফিয়াকে মাফিয়া মেরেছে, মানুষের ভালো হয়েছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.