নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচন্ড শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। উঠে দেখি বাবা মাকে মারছেন। মেঝেতে ভাঙ্গা গ্লাসের টুকরা পড়ে আছে। মায়ের পা থেকে রক্ত ঝরচ্ছে, মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদচ্ছে। আমি দৌড়ে বড় চাচাকে ডাকতে যাচ্ছিলাম এমন সময় বাবা চেঁচিয়ে বললেন- কই যাস?
-বড় চাচার কাছে !
-এই ভরদুপুরে তাকে ডাকার দরকার কি? চিলেকোঠা থেকে মোতালেব সাহেবকে ডেকে নিয়ে আয়। সে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।
আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠছি আর সূরা একলাস পড়ছি, এ বছর আমি যখন ক্লাস ফাইভে উঠলাম বড় চাচা আমাকে এই সূরা শিখিয়েছেন, বলেছেন- যদি কোন বিপদে আসে এই সূরাটা যেন পড়ি। আমার সামনে এখন মহাবিপদ! মোতালেব আংকেলকে ডাকতে হবে। তিনি কেমন যেন! ডাকতে গেলেই কাছে টেনে নিয়ে কোলে বসায়, আমার বুকে হাত দেয়, চুলের বেণী খুলে দেয়। একদিন সন্ধ্যায় মা বলল- খুকি যাতো মোতালেব সাহেবকে বেগুণী ভাজা গুলো দিয়ে আয়। গিয়ে দেখি মোতালেব আংকেল নগ্ন হয়ে কি যেন করছে! আমাকে দেখে সরল ভঙ্গিতে বলল- ইরা, টেবিলের উপর থেকে তেলের বোতলটা নিয়ে কাছে আয়তো, আমার এখানে একটু মালিশ করে দে। আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম- মা এখনই যেতে বলেছে আমার হোমওয়ার্ক করা হয়নি। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন- যা ভাগ, বদ মেয়ে কোথাকার! আমি কোনোমতে দৌড়ে পালালাম।
৬০ বছর বয়সী মোতালেব আংকেল বড় চাচার বন্ধু। চাচী মারা যাবার কিছুদিন পর বড় চাচা বাবাকে বললেন- মোতালেবের কেউ নেই রে…বেচারার না হল ঘর, না হল সংসার। চিলেকোঠার ঘরটা পরিষ্কার করে দে, মোতালেব এসে আমাদের সাথেই থাকুক। বিকেলে আমি, বাবা, মীরা আপা লেগে গেলাম ঘর পরিষ্কার করতে। পরদিন পুরনো একটি টাঙ্ক হাতে মোতালেব আংকেল হাজির হলেন। কালো, বেটে, টাকলা এই মানুষটি দেখে মীরা আপা চুপিচুপি আমাকে বলল- ইরা লোকটির চোখ দেখ! একটি চোখ কেমন সাদা! মনে হয় নষ্ট। আমি লোকটি চোখের দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলাম! মনে হল চোখটি এখনি খোসে পরবে।
বড় চাচার গোলাপ গাছে দুটি কলি এসেছে। আমি প্রতিদিন সকালে ছাদে যাই গাছগুলো দেখতে। মীরা আপা আমাকে বলেছে কাল একটি গোলাপ চুরি করবে, তার প্রিয় একজন মানুষকে দিবে। তবে এ কথা কাউকে বলা যাবে না। এক বোনের গোপন কথা অন্য বোন কাউকে বলে দিলে তখন তারা আর বোন থাকে না। একথা মীরা আপা বলেছে। মীরা আপা এত সুন্দর করে কথা বলে! কথা বলার সময় চোখ ঘুড়িয়ে হাত নাড়িয়ে কথা বলে। কিন্তু মাঝে মাঝে কি যে হয়? সারাদিন দরজা বন্ধ করে থাকে।
প্রতি শুক্রবারে আমি আর মীরা আপা শাড়ি পড়ি, চোখে কাজল দেই, পায়ে আলতা লাগাই, মোড়ের বাচ্চুর দোকান থেকে আচার কিনে আনি। ছাদে দাঁড়িয়ে আচার খেতে খেতে মীরা আপা গুন গুন করে উঠে। তার মিষ্টি কন্ঠে সুবাস ছড়ায়। তখন আমার কি যে ভাল লাগে মনে হয় আপাকে অনেকক্ষন জড়িয়ে ধরে থাকি।
রাশেদ ভাই আমার বড় খালার ছেলে। খালা মারা যাবার পর খালুর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে রাশেদ ভাই ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে থাকেন। প্রতিদিন বিকেলে আমাকে পড়াতে আসেন। মীরা আপা কেন জানি রাশেদ ভাইকে খুবই অপছন্দ করেন। তিনি রাশেদ ভাইয়ের নাম রেখেছ “অক্টোপাস” রাশেদ ভাইয়ের চুলগুলো নাকি অক্টোপাসের মত।
সেদিনকার কথা, রাশেদ ভাই আমাকে পড়াচ্ছিলেন কোথাথেকে মীরা আপা কাঁচি হাতে এসে বললেন- অক্টোপাস ভাইয়া এখন আমি আপনার চুল কেটে দিব! আপনার কি কোন সমস্যা আছে?
রাশেদ ভাই বোকার মত বলল- না কোন সমস্যা নেই। তবে এর জন্য তোমাকে কোন টাকা দিতে পারব না। আমার কাছে কোন টাকা নেই।
মীরা আপা রেগে গিয়ে বললেন-আপনি জানেন এই চুলের জন্য আপনাকে পাগলের মত দেখায়? আপনি এখনই আমার সামনে থেকে যান সেলুন থেকে চুল কাটিয়ে আসুন।
-বললামতো আমার কাছে টাকা নেই। তাছাড়া ওর সামনে পরীক্ষা। আমি এখন যেতে পারবো না।
-রাশেদ ভাই আপনি যদি এখনই চুল কেটে না আসেন তাহলে আপনার খবর আছে! বলেই আপা কেঁদে ফেললেন।
রাশেদ ভাই মন খারাপ করে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। আমি আপার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
আপা চোখ মুছে আমাকে বললেন-ইরা, সিঙ্গারা খাবি?
-আপা তুমি কাঁদলে কেন?
-কই? কখন?
-আমি দেখলাম একটু আগে!
-জানিস না আমি অভিনয় শিখছি! কয়দিন পর আমার বিয়ে হবে সবাইকে কেঁদে দেখাতে হবে না?
-আপা আমি তোমাকে বুঝি না ! তুমি রাশেদ ভাইয়ের সাথে কেন এমন করো?
-তোকে বুঝতে হবে না। তুই মন দিয়ে পড়। বাবা সিঙ্গারা এনেছে আমি বড় চাচাকে দিয়ে আসি।
চিলেকোঠার দরজার সামনে অনেকক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি। কড়া নাড়তেই মোতালেব আংকেল বেরিয়ে এলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন -কি হয়েছে রে? যৌবনের আগুনে পানি ঢালতে হবে নাকি? ভেতরে আয় আমি তোকে একটি জিনিস দেখাই।
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, মায়ের পা কেটে গেছে, বাবা আপনাকে ডাকছে!
একথা শুনে তিনি অনেক মজা পেলেন হাসতে হাসতে বললেন-শুনলাম তোর বোনকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? কার সাথে পালিয়েছে? তোর বোন নাকি বেশ্যা পাড়ায় নাম লিখিয়েছে। ঠিক হয়েছে, মাগীর খুব দেমাগ ছিল। আমাকে বলে কানা বুড়া!
হঠাৎ এ কথায় আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমার তো মনেই ছিল না গতকাল কলেজে যাবার পর থেকে মীরা আপা এখন অবধি বাসায় ফেরেনি!
(চলবে)
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: জ্বি স্যার। আপনি আমাকে মনে রেখেছেন?
আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: অনেকক্ষণ বানান ঠিক করে দিন।
পরের পর্বের আশায় রইলাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১০
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ওক্কে।
শুভকামনা।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: জি আমি ভালো আছি।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আলহামদুলিলাহ।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ওক্কে।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
সংকীর্ণ হৃদয় বলেছেন: সুন্দর গল্প। চলুক.....
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
পরের পর্বের নিমন্ত্রণ।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
পড়েছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: শুভেচ্ছা।
কোন পোস্টটি আপনার বেশি ভালো লাগলো?
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১২
অপ্সরা বলেছেন: গল্পটা দুঃখ কষ্ট বেদনার মনে হয় তবুও কানা বুড়া আর শয়তান ঐ বুড়াকে ঢিঢ করা মীরা আপার কথা পড়ে হাসছি।
অনেক মজার হয়েছে লেখাটা।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাংকু।
অনেক মজার হয়েছে লেখাটা শুনে আরাম পেলাম।
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
ইসিয়াক বলেছেন:
চমৎকার শুরু.... পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
ভালো থাকুন।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ইসিয়াক ভাই।
৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লাগছে।
রাশেদ কি চুল কেটেছিল?
-গিয়ে দেখি মোতালেব আংকেল নগ্ন হয়ে কি যেন করছে।- এই জায়গাটায় একটু খটকা লাগল। দিন দুপুরে অন্যের আশ্রিত একজন মানুষ খুব সহজভাবে নগ্ন হয়ে থাকবে সেটা মানতে কষ্ট হয়।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৩
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: রাশেদের চুল কাটানোর টাকা থাকে না।
একদিন সন্ধ্যায় মা বলল- খুকি যাতো মোতালেব সাহেবকে বেগুণী ভাজা গুলো দিয়ে আয়। গিয়ে দেখি মোতালেব আংকেল নগ্ন হয়ে কি যেন করছে ! —সময়টা ছিল সন্ধ্যা। তাছাড়া খারাপ মানুষকে স্থান বা সময় নিয়ে ভাবায় না সেটা দিন হোক আর সন্ধ্যা।
আপনার কমেন্টের প্রতি আমার ভালবাসা রইলো। আপনি যত্ন নিয়ে গল্পটি পড়েছেন।
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তপন ভাই যে কথাটা বললেন সেটা আমারও কথা। যেহেতু মোতালেব আঙ্কেল আশ্রিত। কাজেই তার বিশেষগুণে বাসার বড়রা খুশি হয়ে আশ্রয় দিয়েছেন সেরকম একজন মানুষ বাসায় ছোটদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেও জায়গা পাবেন বিষয়টি সাজানো নিয়ে আবারো ভাবুন। মোতালেবকে যদি ধুর্ত বদমাশ হিসেবে দেখান তাহলে তাকে সুযোগের অপেক্ষায় রাখুন কিন্তু তাতে আগে তার আচরণণে নিপাট ভদ্রলোক হিসেবে তুলে ধরলে আমার মনে হয় গল্প আরো আকর্ষণীয় হবে।
যাইহোক গল্প এগিয়ে চলুক আপন ছন্দে।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় হোসাইন ভাইকে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আপনাদের মন্তব্য এড়িয়ে যাবার মত নয় তবে মোতালেব আংকেলের চরিত্রের স্থায়ীত্ব কতটুকু সেটা গল্পের ধারাবাহিকতা বলে দিবে। এক্ষেত্রে আমার কাছে কিছু যুক্তি রয়েছে সেটি যদি ছন্দে উপযোগী না মনে হয় আমাকে জানাবেন আমি আবার ভাববো।
প্রথমত গল্পের শুরুতে দেখনো হয়েছে পরিবারের বন্ডিংটা খুব একটা শক্ত নয় যে ক্ষেত্রে পরিবারের ছোট সদস্যরা সঠিক দিক নির্দশনা হারায়।
মোতালেব আংকেলের সাথে দুইটা কনভারসেশনই উল্লেখ করা হয়েছে ইরা তাকে ভয় পায়, অনেক সময় বাচ্চারা ভয়ে পরিবারকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা জানাতে চায় না। তাছাড়া মোতালেব আংকেল বড় চাচার বন্ধু হিসাবে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করে তুলেছে। ইরার বাবা মোতালেব আংকেলকে ডাক্তার হিসাবে বড় চাচার চেয়ে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ইরা ভয়ে পরিবারকে কিছু জানাচ্ছে না যেখানে তার মা একজন অসহায় ভূমিকায় রয়েছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক ভাইকে। আপনার মন্তব্য গল্পের অনুপেরনার সহায়ক।
১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পবিত্র হোসাইন,
শুরুটা ভালো।
তবে পদাতিক চৌধুরি র মতো আমার ভাবনাতেও অমনটা মনে হয়েছিলো। শুরুতেই মোতালেবকে সরাসরি বদমাশ হিসেবে দেখানোটা ঠিক মেনে নেয়া যাচ্ছেনা। মীরার সম্পর্কেও অযাচিত ভাবে তার বলা কথাগুলি যথার্থ মনে হয়নি।
তবুও বলতেই হবে, গল্পটা এগিয়েছে তরতর করে। চলবে ..... চলুক !
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মূলত ব্যাপারটা আমি বুঝতে পেরেছি। লেখার শুরুতে আমার ভাবনা ছিল গল্পটা ছোট আকারে সময় উপযোগী করে প্রকাশ করার ।পরবর্তীতে গল্পের প্লটটা এমন আকার ধারন করেছে যা দিয়ে মোটামুটি ৭০-৮০ পৃষ্ঠা লেখা সম্ভব যা আমি ২-৩ পর্বে শেষ করতে চেয়েছি এক্ষেত্রে গল্পের রুপ কিছুটা তার লাবণ্য হারিয়েছে। মনে হয়েছে গল্প দূত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি চরিত্রের পেছনে আরো সময় দিলে হয়তো গল্পটি আরো উপভোগ্য হতো। আমি চেষ্টার করবো পরের পর্বগুলোতে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ ভাই আপনার সাজেশনের জন্য।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ গল্প। অনেক সুন্দর লিখেছেন। গল্পের চমক ছিলে লাস্ট প্যারায়।
চরিত্রগুলো এবং আপনার লেখার স্টাইল, দুটোতেই হুমায়ূন আহমেদের জাদুকরী প্রভাব স্পষ্ট। এটা আমার ভালো লাগে।
ছোটোগল্প, নাকি বড়োগল্প/উপন্যাস?
শুভেচ্ছা রইল।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১১
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আপনি যেমন আমার লেখা পছন্দ করেন তেমনি আপনার লেখাও আমার অনেক ভালো লাগে।
ব্লগে আপনি একজন নির্জঞ্জাট মানুষ। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় আপনি চাইলে গল্পটাকে উপন্যাসে রুপ দিতে পারেন। তাহলে চরিত্রগুলো নিয়ে আরও কাজ করা যাবে। দারুণ মুন্সিয়ানা আপনার লেখায়। ওয়েটিং ফর নেক্সট পার্ট।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সত্যি আমি চাই উপন্যাস লিখতে কিন্তু আমার ধর্য্যশক্তি অনেক কম। হয়তো লিখবো কখনো।
আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। পরের পর্বের নিমন্ত্রণ।
১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন:
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে ভালো লেগেছে ।
মোলেষ্টারের চরিত্রে মোতালেব লোকটাকে খুন করতে ইচ্ছে করছে ।
সেক্সচুয়ালি ছোট বাচ্চা মেয়েদের এবিউজ করে, সোসাইটিতে এরকম লোকের অভাব নেই ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মোতালেব মতো মানুষ আমাদের সমাজে আনাচে-কানাচে রয়েছে।
কাকে কাকে খুন করবেন? সত্যি আমরা অসহায়।
সবচে আনন্দের ব্যাপার আপনার কাছে গল্প ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজ গল্পের শুরুটা ভালো হয়েছে। পরের পর্বগুলোতে মোতালেব আংকেল এর চরিত্রের কদর্য রূপটা আরও নগ্নভাবে উন্মোচিত হতে পারে বলে আশংকা করছি। "যৌবনের আগুনে পানি ঢালা" কথাটাকে আরেকটু মার্জিত রূপে প্রকাশ করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখতে পারেন।
"তবুও বলতেই হবে, গল্পটা এগিয়েছে তরতর করে। চলবে ..... চলুক !" আহমেদ জী এস এর এ কথাটির সাথে আমিও একমত।
পাঠকের মন্তব্যগুলো পড়ে বেশ বুঝা যায়, তারা যথেষ্ট মন দিয়েই আপনার এ গল্পটা পড়েছেন। এ সিরিজকে যদি মলাটবদ্ধ করতে চান, তবে তার আগে পাঠকের দেয়া সাজেশনগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখবেন বলে আশা করি।
পোস্টে একাদশতম প্লাস। + +
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি আবার ফিরে এসেছেন? কেমন আছেন আপনি?