দাড় কাক নিজ চোখে হেরে গেলো; এইবার ক্ষমা করো না এনাক্ষী

১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

এনাক্ষী আমি হয়তো তোমাকে লিখে যাব প্রতিদিন। তোমার কাছে কিংবা দূরে যেইখানে থাকি। এনাক্ষী আমাকে ক্ষমা করো। তুমি আমাকে যা ভাব হয়তো আমি তা না। তোমার পাশে আমাকে আজ এতো তুচ্ছ দেখাচ্ছিল যে নিজেকে বট গাছের ছায়ায় জন্মানো আগাছা থেকে ক্ষুদ্র মনে হয়েছে। তোমার মনন, রুচি, কথা, এমনকি পরিধেয় পোশাকও এতো ভার বহন করে যে, আমি যখন ভাবি তখন নিজের কোন অস্থিত্ব খুজে পাই না। তোমার পাশে নিজেকে ভাবতে খুব লজ্জা লাগতেছিলো। নিজেকে এমন বেমানান আর ক্ষুদ্র আর কোন দিন মনে হয় নি। এতে তোমার বিন্দুমাত্র দোষ নেই। আমি নিজেকে নিজের আয়নায় মেনে নিতে পারছি না।

এই জীবনে আমার কিছু নেই যা নূন্যতম সময়ের জন্যও তোমার পাশে ভাবাতে পারে। আমি মনে হয় আর কোনদিন তোমার পাশে নিজেকে ভাবতে পারবো না।
বস্তুগত কিছু তো নাই আমার। যা একটা মন ছিলো আজ ভাবতে গিয়ে এইটাকে এতো কুৎসিত মনে হয়েছে যে বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেছি মুক্তি দিতে আমাকে। নিজেকে ভাবতে পারছি না তোমার কাছে একদিকে, অন্যদিকে এই মনে ঈর্ষা দানা বেধেছে। আর কত নীচে মানুষ নামলে এমন হতে পারে? আমাকে ক্ষমা করো এনাক্ষী। আমার আজ খুব হারাতে ইচ্ছে হচ্ছে। পরিবারের চিন্তা, সমাজের চাপ আমাকে এই স্বাধীনতা টুকু দিবে না মনে হয়। আমি ক্লেদযুক্ত হৃদয় বহন করবো আরও কিছু সময়। যদি সম্ভব হতো এই হৃদয় আমি উপড়ে ফেলতাম। যে হৃদয় এমন ঈর্ষান্বিত হয়, এমন লজ্জাহীন হয় তা নিয়ে কী করবো? ক্ষমা কী করবে? ক্ষমা করো না। এতটুকু দয়া আমাকে করো। এতটুকু দয়াও না পেলে নিজের চোখে নিজে আরো নিম্নতম স্তরে পড়ে যাব।
কিছু আর লিখতে পারছি না, এনাক্ষী। চোখ আর হাত সহায় হচ্ছে না।

০ টি +০/-০