নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

★ বড়দিন ★

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৪

আজ শুভ বড়দিন। আজ থেকে দুই সহস্রাধিক বছর আগে জেরুজালেমের কাছাকাছি বেথলেহেম নগরীর এক গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট।৩৩ বছরের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তিনি মানুষকে শুনিয়েছেন শান্তির বাণী, ভালোবাসার কথা।হিংসা-দ্বেষ, পাপ-
পংকিলতা থেকে মানুষকে মুক্ত করাও
ছিল তার প্রবর্তিত ধর্মের অন্যতম মূল কথা। তার শান্তির বাণী শাশ্বত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য।
মুসলমানদের কাছেও যিশুখ্রিস্ট গভীর শ্রদ্ধার পাত্র এবং অন্যতম নবীও- যিনি হজরত ঈসা (আ.) নামে পরিচিত। মতবাদ প্রচারের সময় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার
হয়েছিলেন যিশু। কিন্তু কোনো নির্যাতন-নিপীড়নই তাকে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত
করতে পারেনি। মানুষকে জয় করার
হাতিয়ার ছিল তার সংযম ও সহিষ্ণুতা।বর্তমান যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সংঘাতময় এ পৃথিবীতে যিশুর বাণী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।যিশু বিশ্বাস করতেন ঈশ্বরের শক্তিতে। বাইবেলে বর্ণিত আছে-
‘আমি সব মন্দ আত্মাকে তাড়াই ঈশ্বরের
শক্তিতে এবং তোমরা যা আমার কাছ থেকে শোনো তা আমার নয় বরং সেসব কথা পিতার,যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।বর্তমান বিশ্বের হিংসা ও পারস্পরিক অশ্রদ্ধাবোধ প্রকৃত অর্থে আত্মারই সংকট। মন্দ আত্মা মানুষকে তাড়িয়ে ফিরছে নেতিবা চকতার দিকে। মানুষের মধ্যে যিশু প্রস্তাবিত পরিশুদ্ধ আত্মার প্রতিস্থাপন ছাড়া এ সংকট থেকে মুক্তির উপায় নেই। যিশু সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ দেয়ার কথাও শুনিয়েছেন। আধুনিক গণতন্ত্রের মর্মকথাও তা-ই। সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শুধু খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জীবন ও দর্শনেই যিশুর প্রভাব পড়েনি,পুরো মানবসভ্যতাই কিছু না কিছু মাত্রায় প্রভাবিত হয়েছে তার আদর্শ, নীতি ও বিশ্বাস দ্বারা।বিশ্বে এখন সাতশ’ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। বাংলাদেশে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ এ ধর্মাবলম্বী।এ কারণেই বড়দিনের উৎসব এত সর্বজনীন। প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের খ্রিস্ট বিশ্বাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও ধর্মীয় অনুভূতির পরম মমতায় আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব পালন করে থাকে।দিনটি উপলক্ষে যিশুখ্রিস্টের জন্মের কাহিনী পাঠ ও ধ্যান করা হয়। সেই কাহিনী অবলম্বনে গির্জাঘরে,
এমনকি প্রত্যেক বাড়িতে গোশালা নির্মাণ
করে ফুলপাতা দিয়ে সাজানো হয়।এরসঙ্গে গান-বাজনা, নাম-সংকীর্তন,ভোজন, আনন্দ-উল্লাস ইত্যাদি চলে। এসব বাহ্যিক উৎসব-আয়োজনের ঊর্ধ্বে খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা তাদের হৃদয়-মনও অন্তরাত্মাকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে প্রয়াসী হন। তাদের এই আনন্দ-উৎসব যাতে নিছক আচারিক বা অনুষ্ঠানসর্বস্ব না হয় সেজন্য বড়দিনের পূর্ববর্তী চার সপ্তাহব্যাপী আগমনকাল হিসেবে পালনের ব্যবস্থা করেন। এ সময়ে খ্রিস্টভক্তরা ধ্যান-অনুধ্যান,মন পরীক্ষা, ব্যক্তিগত পাপ
স্বীকার, সমবেত পুনর্মিলন বা ক্ষমা-অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্পর্কের উন্নয়ন ও নবায়ন করতে সচেষ্ট হন।বড়দিনের উৎসবে মুসলমান
সম্প্রদায়ও যোগ দিয়ে থাকে এবং আনন্দ ভাগকরে নেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির
এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত।বাংলাদেশে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ইসলামসহ অন্য
ধর্মানুসারীদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দূরের কথা, সামান্য ধর্মীয় সংঘাতও লক্ষ্য করা যায় না।আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অংশ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক
দুর্যোগের সময়ও মুসলমান-খ্রিস্টান-হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় অংশ নিয়েছেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরাও একাকার হয়ে আছেন এ দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের সঙ্গে।
বড়দিন! উপলক্ষে আমরা বাংলাদেশে অবস্থানরত খ্রিস্টানসহ পৃথিবীর সব সমাজের সব খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে জানাই শুভেচ্ছা। বড়দিনের উৎসব সর্বজনীনতা লাভ করুক। এ ধর্মীয় উৎসবে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সংহতি গড়ে উঠবে এবং তা বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৪

খেলাঘর বলেছেন:


বড়দিনের শুভেচ্ছা।

যীশু রোমান ও ইহুদী রাজার সময়ে মানুষের অধিকারের কথা বলেছিেলেন।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৮

পলাশ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ @খেলাঘর।
যীশুর ধর্মে অনেকটাই নিরপেক্ষতা অর্জিত হয়েছিল (মানে গোঁড়ামি কম ছিল)।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শুভ বড়দিন ভ্রাতা :)

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

সরদার হারুন বলেছেন: আজ পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখা যায় নবীদের বানী নিভৃতে কাঁদে ।
তাঁরা বলে গেছেন শান্তির কথা আমরা করি অশান্তি ।অপরকে হত্যা করা, পরের ধন লুন্ঠন করতে বারণ করেছেন । আমরা তাই করি ।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: বড় দিনের শুভেচ্ছা ।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

পলাশ তালুকদার বলেছেন: নিজের খারাপ স্বার্থসিদ্ধির জন্য অবশ্যই আপনাকে সমাজে সাধু সেজে শান্তি কায়েমের চেষ্টা করতে হবে।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

সুমন কর বলেছেন: বড় দিনের শুভেচ্ছা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.