নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামীন ব্যাংক এখন ৪ বা ৫ হাজার টাকা ঋন দেয় না তারা ৫ লক্ষ টাকা ও ঋণ দেয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৩

গ্রামীন ব্যাংক এখন ৪ বা ৫ হাজার টাকা ঋন
দেয় না তারা ৫ লক্ষ টাকা ও ঋণ দেয়।

এইবার আসি কোন শ্রেনী মানুষের জন্য এই
ঋন?
ধরি এক কৃষকের ২০,০০০ টাকা ঋন প্রয়োজন
ফসল লাগাবে বলে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহে তাকে ৫০০ টাকা কিস্তি দিতে হবে। কিন্তু তারা ফসল আসবে ৩ মাস পর!
তাই কৃষকদের এই ঋন কোন কাজে আসে না।

এইবার প্রশ্ন তাহলে কার জন্য এই ঋন?
যাদের আয় দৈনিক হিসাবে যেমন : সিএনজি
চালক ( যারা সবচেয়ে বিপদে আছে এখন) ,
ব্যাটারী চালিত গাড়ি, সুদের ব্যবসা করে বা
ঋনের টাকায় আমিষের অভাব মিটায়!

সুদ কত?
আপাতত দৃষ্টিতে দেখা যায় ১০ শতাংশ। যেহেতু তারা সপ্তাহে ও ১১ মাসে নেয় এই টাকা সেহেতু হিসাব করলে তা ৩০ শতাংশের কম হবে না।ব্যাংক হইতে ঋন নিলে তা দেওয়া লাগতো ১ বছর পর এইখানে সপ্তাহে
প্রতি সপ্তাহের টাকা যদি গ্রহক ব্যবসা করতো আরো আয় করতো।যেমন ২০ হাজারের সপ্তাহে ৫০০ টাকা করে মাসে
২০০০ টাকা কিস্তির টাকা যদি ব্যবসায় ১১ মাস খাটানো যেত নিশ্চই লাভ করতেন।

এইবার আসি জামানত ছাড়া কিভাবে এতো ঋণ দেয়?
তাদের প্রথম হাতিয়ার হল সামাজিক ভয়।
যাদের কিস্তি দেয় তাদের মাঝে এক একটি গ্রুপ করে দেয় প্রতিটি গ্রুপের ১ জন্য ব্যাক্তিও যদি কিস্তি দিতে না পারে বাকি লোক গুলো কে বসিয়ে রাখে।এইবার তারাই আদায় করে দিবে এইবার তারা ব্যর্থ হলে ত ঘরের হাস, মুরগি, গরু, ছাগল ও টিনের চাল আছেই। সামাজিক ভাবে অপমানিত হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দেয়।আর শুধু মহিলাদের দেওয়া হয় তাই তাদের ধরা সহজ।কিস্তির সাথে কিছু টাকা জমা রাখা হয় যা স্বল্প লাভ দেয় এবং কি প্রতিটি মহল্লায় কিস্তির টাকা নেওয়ার জন্য ঘর ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা ও গ্রাহক হইতে নেওয়া হয়।ব্যবসা আমার লাভ আমার আর দোকান ভাড়া
ও গ্রাহক হইতে নিব লাভ ছাড়া ও।কিছু লোক আছে বিপদে পড়ে টাকা ঋন নেয়
যারা একটি ঋন হইতে বাচতে আরেকটি ঋন নেয় এইভাবে ঋনের ভার বড় হয় যার মাসুল শেষ আশ্রয় বাড়ি বিক্রি আর যাদের তা না থাকে শরীরে কিডনি ত আছেই।

ব্যাংক ছোট ঋন দেয় না এবং চাইলে ও পায় না তাই এই ধরনের এনজিও গুলোর ব্যবসা রমারম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: কাজের পোস্ট

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আসল পাগল বলেছেন: আবু ইসহাকের একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল । শুধু গ্রামীন ব্যাংক নয়, এ ধরনের সকল এন জি ও পালন করছে জোকের ভূমিকা ।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাওতাবাজদের 'সামাজিক পুজি'কে 'সামাজিক ভয়' টার্ম দিয়ে প্রকাশ ভাল লাগল

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

পলাশ তালুকদার বলেছেন: আপনাদের ৩ জনকেই আলাদা আলাদা করে ধন্যবাদ @ (শান্ত ,পাগল & সারথি)

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

সাদিকনাফ বলেছেন: কি আশ্চর্য!!! এই ধরনের কোন এন জি ও বা ক্ষুদ্র ঋণ দান সমিতি ও কি কারো হাতে পায়ে ধরে ঋণ নিতে বলছে কখনো? টাকা দেয়ার সময় তাঁরা কি কিছু গোপন করেছে? চুক্তিপত্র কি ইংরেজি বা হিব্রু ভাষায় লিখা ছিলো?
আবেগ দিয়ে সব চললেও টাকা- পয়সার হিসাব চলে না। তারা এখানে ব্যবসা করতে এসেছে। টাকা দিতে যখন পারবানা তখন নিয়েছিলে কেনো? এতই যখন তাদের প্রতি দরদ তবে যান ফ্রিতে দিয়ে আসুন। এই ব্যবসার কন্সেপ্ট হচ্ছে আমার টাকা তোমার বুদ্ধি এবং শ্রম। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগে শ্রম বেশী দেয়া লাগে, এটাও কি বুজিয়ে বলে দিতে হবে?
ব্যাঙ্ক যে বলে ১৫% হারে সুদ! সেটা কি আসলেই ১৫% নাকি ক্ষেত্র ভেদে ১০০/২০০/৩০০% ও হয়।
ব্যাংক আলারা কি করে টাকা দিতে না পারলে মডগেজ করে রাখা পুরা বাড়ি সম্পত্তি যে নিলামে তুলে সেই কথা কে বলবে?
ক্ষুদ্র বিনিয়োগে ঝুকি কম এজন্য অনেক সময় জামানত ছাড়াই পরিচিত হিসেবে দিয়ে দেয়া হয়। আর যদি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে (বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে) একটু কঠোর না হলে সবাই এসে শুধু বলবে ভাই আমার ব্যবসা লস করেছে, আমার ধান পানিতে নিয়ে গেছে, আমার গরু মরে গেছে, আমার ছাগল চুরি হয়ে গেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। যস্মিন দেশে যদাচার কিংবা যেমন ওল তেমন বাঘা তেতুল।
তাই বলতে চাই এই সব মরমী লেখার আগে সবদিক চিন্তা করাই ভালো।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

পলাশ তালুকদার বলেছেন: যস্মিন দেশে যদাচার কিংবা
যেমন ওল তেমন বাঘা তেতুল।
@ সাদিকনাফ
(বুঝে বলেছেন তো!)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.