নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার আমি ছাত্র

Palash Talukder

সময় এসেছে নতুন কিছু করার, সময় এখন বদলে যাওয়ার- পরিবর্তন

Palash Talukder › বিস্তারিত পোস্টঃ

হতাশ উত্তরের বিশাল জনপদ

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

বাংলদেশের অন্য সকল অঞ্চলের মত রংপুর অঞ্চলেরও রয়েছে অনেক ঐতিহ্য,আছে অহংকার করার মত অনেক জিনিস।অন্য সকল অঞ্চলের মানুষের মত,
স্বাধিনতা যুদ্ধের রক্তের নদীতে আমরাও রক্ত দিয়েছি সমান তালে।নেতৃত্ব দিয়েছি স্বাধীনতার।আজ বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়ছে,রেকর্ড করেছে জিডিপি, তহবিলের সংখ্যা বেড়েছে,মধ্যম আয়ের দেশ হিসেব স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ,বেড়েছে শিহ্মার হার।বিশ্বের কাছে সুনাম কুড়োচ্ছে বাংলাদেশ,ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে নেমেছে সরকার।তাও নাকি আবার সফল।
কিন্তু উত্তরের এই বিশাল জনসংখ্যার কোন উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে।বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র বিভাগ হল রংপুর।যেখানকার ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র।আর এই বিভাগেরই আরেক জেলা কুড়িগ্রাম,যা কিনা দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা।এখানকার ৬৩. ৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র।বসবাসরত ২০ লহ্ম মানুষের মধ্যে ১৩ লহ্ম মানুষ দরিদ্র,৯ লাখ মানুষ যারা কিনা অতিদরিদ্র!!
আমরা কেনো দরিদ্র? আমরা কি শুধু সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাই নাকি? আমরাও পরিশ্রম করি।তবে অন্য সকল অঞ্চলের মানুষ যখন উন্নত হবার জন্য পরিশ্রম করে,আমরা তখন বেচেঁ থাকার লড়াই করছি।
পোশাক কারখানা, যা বাংলাদের উন্নয়নের পিছনে রাখছে সবচেয়ে বেশি অবদান।সেই কারখানার সিংহভাগ শ্রমিক
অঞ্চলের।শুধু পোশাক নয় অন্য সকল হ্মেত্রেও রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের বিশেষ অবদান।
কিন্তু তার পরও এখানকার উন্নয়নের হার অত্যান্ত ধীর।
এই অঞ্চলের মানুষের এই করুন দশা থেকে মুক্ত করার মত কোন মানুষ নেই।নেই কোন উদ্যেগ।প্রতিবাদী তেমন কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নেই। শুধু আছে করুনা করার মত কিছু চরিত্র,যারা বণ্যার সময় ৫ কেজি চাল দিয়ে,হাতে ভিহ্মা দিয়ে পত্রিকার সংবাদ প্রচার করে বলে,এরাই গরিব।লাথি মারি আপনার ভিহ্মার,থুথু দেই এসব মানুষের মুখে।আমরা আপনাদের ভিহ্মা চাই না, আমরা নিজেদের মত বাচতে চাই।আমাদের হাতে ভিহ্মা না দিয়ে উন্নয়নের হাতিয়ার দিন।বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষকে ভিহ্মা না দিয়ে, সেখানে বাঁধ তৈরি করে দিন।
আমাদের কথা শোনার কোনো মানুষ নেই,নেই বড় কোন রাজনীতিবিদ,যারা আমাদের নিয়ে ভাববে। সকল মন্ত্রিগন তাদের নিজের এলাকার উন্নয়নে ব্যাস্ত।আমাদের দিকে নজর দেবার মত সময় তাদের নেই।
কুড়িগ্রাম থেকে রাজধানি ঢাকার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সড়ক পথই একমাত্র উপায়।কিন্ত এই রাস্তায় নামানো হয় বাংলাদেশের অন্য রোডের অচল হয়ে যাওয়া গাড়িগুলোই। ভাববেন দরিদ্র এলাকার দরিদ্র মানুষ,হয়তো ভাড়া দিতে পারে না,তাই হয়তো এরকম।কিন্তু না ভাড়ার কথা শুনলেও চমকে যাবেন।গত ২৯ সেপ্টেম্বর নাগেশ্বরী(কুড়িগ্রামের উপজেলা) থেকে ঢাকায় আসতে ৯৫০ টাকা গুনতে হয়েছে।সরকার এই এলাকায় ট্রেনের ব্যাবস্হা না করেই,হয়তো কোনো এলাকার পুরাতন রেল লাইন উচ্ছেদ করে নতুন লাইন বসাচ্ছেন কিংবা চালু করছেন রেলের উন্নত বগি।
এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিপেশার সাথে জড়িত।বাপ -দাদার রেখে যাওয়া কিছু জমির ফসল দিয়েই সারা বছর পার করতে হয়।কিন্তু সর্বনাশা বন্যার কবলে পরে হয়তোবা কোন কোন সময় নিঃস হয়ে পরে কৃষকরা।
শিহ্মার কথা না বললেই নয়, হাই স্কুল ও কলেজ গুলোতে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয় নিম্ন মেধা সম্পন্ন কিছু শিহ্মক।যারা নিজেকেই হয়তো ভালোভাবে জানেন না,তারাই আবার শিহ্মা দেন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী।এমনিতেই শিহ্মার এই হাল,তার ওপর যোগ হয়েছে প্রায় পনের হাজার অশিহ্মিত,দরিদ্র সিটমহল বাসি।জানা নেই,এদের কি হবে। এসব করনেই হয়তো যোগ্য নেতৃত্ব পাচ্ছে না এই এলাকর মানুষগুলো।গত ৩ জুলাই ২০১৫, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিহ্মক,শ্রদ্ধেয় তুহিন ওয়াদুদ স্যার, প্রথম আলো পত্রিকায়, "কাঁদতেও ভুলে গেছে কুড়িগ্রামের মানুষ" শীর্ষক একটি অনুচ্ছেদ লেখেন।যেখানে তিনি বলেন, "উত্তরাঞ্চলের জনগণকে
কাঁদতে হয় নিভৃতে। সে কান্নার শব্দ
কিংবা জল কোনোটাই সরকারের কাছে
পৌঁছায় না। তাই, কুড়িগ্রামের মানুষ হয়তো
কাঁদতেও ভুলে গেছে। একেই বলে অতি
শোকে পাথর। "
হয়তবা তাই।দারিদ্রতা নামের এই কলঙ্ক থেকে কবে এখানকার মানুষ মুক্তি পাবে তা জানা নেই।সরকারের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করছি, অবহেলিত এই জনপদকে আর অবহেলা করবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.