নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার কাশি হয়েছে? কোন সমস্যা নেই। ঔষধের দোকানে সারি সারি করে সাজানো আছে কাশির সিরাপ। তবে ক্রেতা হিসেবে যদি কিছু পরিচিত মুখ; মূলত তরুণদের বার বার দেখেন, ভেবে অবাক হতেই পারেন যে এদের এত ঘনঘন কাশি হয় কেন? তার চেয়েও বড় কথা, দুই চামচ করে প্রতিদিন খেলে এত তাড়াতাড়ি তো বোতল শেষ হবার কথা না! তাহলে এরা এত কিনছে কেন এগুলো? কারো একটা লাগে, কারো আবার একাধিক। মূলত ডেক্সপোটেন, সুডোকফ এবং তুশকার জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ, এটা যতটা না ঔষধ, তার চেয়ে বেশি নেশাদ্রব্য। আগে ফার্মেসিতে ফেনসিডিল পাওয়া যেত। প্রজন্মের সর্বনাশ রচিত হওয়া শুরু করলে তা বন্ধ করা হয়। তাহলে ডেক্সপোটেন বা সমগোত্রীয় গুলো কেন নিষিদ্ধ করা হবে না? এর চেয়ে সহজ এবং সুলভ নেশা আর নেই। মাত্র সত্তুর টাকায় ভরপুর নেশা! অভিভাবকেরা কেউই তেমন গুরুত্ব দেন না এসব। এই বড়জোর, "কাশির ঔষধ খেয়ে ঘুমাচ্ছিস, না? বেয়াদব!" এই জাতীয় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন তারা। অথচ এই ঔষধ গুলো যে কী ভয়ানক প্রভাব ফেলে, তার সম্পর্কে যদি জানতেন!
এগুলো সবচেয়ে বেশি এফেক্ট ফেলে ব্রেইনে। ধীরে, খুব ধীরে। স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়, বুদ্ধিমতা এবং রিফ্লেক্স কমে যায়। এর পরে শেষ হয় যৌন ক্ষমতা। একসময় তা শূন্যের কোঠায় চলে আসে। কিছুই থাকে না অবশিষ্ট। প্রাণশক্তি হ্রাস পায়। নষ্ট হয়ে যায় কিডনি এবং লিভার। এই তো কিছুদিন আগে একজন বিখ্যাত ছড়াকার মারা যান। পত্রিকায় লেখা হয়েছিলো, “হার্ট এ্যাটাক” করে মারা গেছেন। আসল ঘটনা কী জানেন? তিনি ডুবে থাকতেন সিরাপের নেশায়। এই সিরাপই তাকে কেড়ে নিয়েছে অল্প বয়সেই। যারা এসব নিয়মিত নিয়ে থাকে তারা ভাবে যে এতে তেমন ক্ষতি হয় না, এই একটু রিলাক্স করা যায় আর কী! ভাবাটাই স্বাভাবিক। কারণ এসব সিরাপের ভয়াবহতা নিয়ে তেমন লেখা হয় না কোথাও। এই লেখাটি লিখতে গিয়ে আমি গুগলিং করে কয়েকটা একই রকম লেখা ছাড়া তেমন কিছু পাই নি। কেন ডেক্সপোটেন নিয়ে লেখা নেই? ফেন্সিডিলের মত একই রকম ক্ষতি হওয়া স্বত্তেও কেন প্রশাসনের কোন বিকার নেই? অভিভাবকেরা কেন সচেতন না? আপনারা কি চান আপনাদের সন্তান ত্রিশ না পেরুতেই বৃদ্ধ, সন্তান জন্ম দিতে অপারগ এবং মানসিক ভাবে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাক? নিশ্চয়ই না। তবে কেন সচেতন হচ্ছেন না? কবে সচেতনতা সৃষ্টি হবে? সর্বনাশ হবার পরে? সর্বনাশ হচ্ছে খুব ধীরে। তাই হয়তো আমাদের সচেতনতা নেই। আমরা অপেক্ষা করে আছি ধ্বংসের দিনের জন্যে।
হয়তো বা অভিভাবকেদের জানা নেই কীভাবে বোঝা যাবে তার সন্তানেরা এই মরণ নেশায় আক্রান্ত। তাই কিছু লক্ষণ বলে দিই, যেগুলো দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
১/ যদি হঠাৎ করেই মানসিক উৎফুল্লতা প্রকাশ পায়। বেশি আনন্দে থাকে বা বেশি কথা বলে।
২/ সেই অবস্থায় কোন কিছু পড়তে দিলে ঝাপসা দেখবে, বা পড়তে পারবে না।
৩/ এর পরে সে একটা ঘুম দেবে। টানা দুই দিনের ঘুম।
৪/ অমনোযোগীতা প্রকাশ পাবে। ধরুন, একটা কিছু বললেন সে খেয়ালই করলো না।
৫/ সূক্ষ্ণ কাজ করতে পারবে না। যেমন জুতোর ফিতে বাঁধা বা সেলাই করা।
৬/ এই সময়ে প্রচুর সিগারেট এবং চা খাবে। অতিরিক্ত মিষ্টি দেয়া চা।
৭/ নেশার সময়টাতে ঘন্টার পর ঘন্টা হেডফোনে করে গান শুনবে। কোন কিছুতেই খেয়াল হবে না।
৮/ নেশা পরবর্তী সময়ে মেজাজ খিটখিটে হবে।
৯/ শব্দ বা কোলাহলে অস্বস্তি বোধ করবে।
১০/ মাথা নিচু করে হাঁটবে।
এই লক্ষণগুলো দেখলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে সে সিরাপ খাচ্ছে। ব্যাপারটাকে মোটেও হালকা ভাবে নেবেন না। ফেন্সিডিল আর ডেক্সপোটেনের গন্তব্য কিন্তু একই। আমি দেখেছি আমার শহরের মাঠগুলোয় এখন আর প্রাণবন্ত তরুণেরা দাপিয়ে বেড়ায় না। একটা মোবাইল নিয়ে দল বেঁধে ঝিমুতে থাকে। তারা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে সিরাপের প্রকোপে। আমরা একটা ভয়াবহ ঝিম ধরা প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি যাদের স্বপ্ন নেই, আকাঙ্খা নেই, শক্তি নেই, ক্ষমতা নেই, সৃজনী নেই, শুধু আছে ঝিমুনির নেশা। এই ঝিমুনি থেকে কখনই জেগে উঠতে পারবে না তারা, যদি আমরা সতর্ক না হই। যদি এর অবাধ বিপনন বন্ধ করা না হয়।
যেকোন মাদক দ্রব্যে আসক্তি একটি রোগ। এবং এর চিকিৎসাও সম্ভব। তবে এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর। আসক্ত ব্যক্তিকে শুধু যে ঔষধ দেয়া হবে তা নয়। তার দরকার পরিবারের সান্নিধ্য, সাহস এবং উৎসাহ। একটা জীবন গড়ে তোলা অনেক কষ্টের, কিন্তু ধ্বংস করা খুব সহজ। ডেক্সপোটেন এবং স্বগোত্রীয় মাদকে আক্রান্ত ব্যক্তি বায়োলজিকালি চেঞ্জড হয়ে থাকে। ধ্বংস হয় তার মনন, নষ্ট হয় চেতনা, কমে যায় আত্মবিশ্বাস। সে আর আগের সেই আদুরে, নম্র খোকা খুকিটি থাকে না। ড্রাগসের রাসায়নিক প্রভাবে বদলে গিয়ে অন্য মানুষ হয়ে যায়। কীভাবে আবার আগের মানুষটিকে ফিরে পাবেন? আবারও বিশেষ গুরুত্বের সাথে বলছি, চিকিৎসা প্রক্রিয়া অতি ধীর। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। বুকে জ্বালা হলে এন্টাসিড লিকুইড খেলেই কমে যায়। মাদকের চিকিৎসা এমন নয়। আর সবচেয়ে আশঙ্কার ব্যাপার হলো, কিছুদিন সুস্থ থাকলেও বার বার সেই পুরোনো ডাক ফিরে আসার আশঙ্কা থাকে।
ফিরে আসার রেখচিত্রটি এরকম,
১। চিকিৎসা শুরু করে দিন কালবিলম্ব না করেই। অন্তত দুই বছর চিকিৎসার অধীনে থাকতে হবে। সেই সাথে পারিবারিক সাপোর্টের কথা তো উল্লেখ করাই হয়েছে।
২। এতেও যদি কাজ না হয়, রিহ্যাবে দিয়ে দিন। রিহ্যাবের জীবন ক্লান্তিকর। কিন্তু এ ছাড়া উপায় নেই। অন্তত ৩ থেকে ৬ মাস রাখা উচিত রিহ্যাবে। এই সময় সে অনেক কান্নাকাটি করবে, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করবে। জানি, আপনারও কষ্ট হবে। তবে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে হবে এটা। তার কোন অনুরোধ, কান্নায় কান দিবেন না। আপনার সন্তান এখন রিহ্যাবের হাতে। আপনি ব্যর্থ হয়েছেন তাকে মাদক থেকে বিরত থাকতে। তাই এবার সে দায়িত্ব ওদের কাছেই ছেড়ে দিন। শক্ত হোন। খারাপ লাগলে কাঁদুন। কিন্তু প্রতিজ্ঞায় অটল থাকতে হবে আপনাকে।
তবে রিহ্যাব সেন্টারগুলোর সবগুলো কিন্তু ভালো না। চিকিৎসার নামে অনেকেই ক্ষতি করছে আক্রান্তের। এখানে কিছু ভালো রিহ্যাব সেন্টারের নাম উল্লেখ করা হলো,
লাইফ এ্যান্ড লাইট হসপিটাল (গ্রিন রোড), ফেরা (উত্তরা), মুক্তি (গুলশান)।
আমার কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে জানবেন দয়া করে।
৩। সাইকোলজ্যিকাল কাউন্সেলিং একটি চমৎকার প্রক্রিয়া। কখনো সে একা কখনও ফ্যামিলি, অথবা কখনও অন্যান্য আসক্তদের সাথে গ্রুপ কাউন্সেলিং করাতে হবে।
৪। সে ফিরে আসলে তাকে খেলাধূলা এবং অন্যান্য সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত রাখুন।
৫।একা একা কোথাও যেতে দেবেন না অন্তত তিন মাস।
৬। মোবাইলের সিম পাল্টে দিন যেন পুরোনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে।
৭। ফোর ডি মেথড শিখিয়ে দিন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। যদি খুব ইচ্ছে হয় মাদক নিতে, তাহলে এই চারটি ডি এর শরণাপন্ন হতে হবে। এটি ঘরে বসেই যেকোন অবস্থায় করা জয়ায়।
প্রথম ডি ‘ডিলে’- মাদক নেবার ইচ্ছেটি পিছিয়ে দিতে হবে। নিজেকে অটোসাজেশন দিতে হবে, আমি এখন মাদক নিবো না। কিছুতেই না। ধীরে ধীরে ঝোঁকটা কেটে যাবে।
দ্বিতীয় ডি ‘ডাইভার্ট’- মনকে অন্যদিকে বিক্ষিপ্ত করতে হবে। যেমন, গান শোনা, ব্যায়াম করা বা ফোনে প্রিয়জনের সাথে কথা বলা, ইত্যাদি।
তৃতীয় ডি “ডিপ ব্রেথ”- বুক ভরে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এ প্রক্রিয়া মিনিট পাঁচেকের জন্যে অব্যাহত রাখুন।
চতুর্থ ডি ‘ড্রিংক কোল্ড ওয়াটার”- বরফ শীতল পানি খান। এক বোতল কমপক্ষে।
তারপর? দীর্ঘ পথচলার শেষ কিন্তু এখনো হয় নি। দুই বছর ট্রিটমেন্টে থাকার সময় যদি আক্রান্ত ব্যক্তি সিরাপ না নেয়, এবং ঔষুধ ছাড়ার পরে আরো এক বছর যদি মাদকমুক্ত থাকতে পারে, তবে ধরে নিতে পারেন যে সে নতুন জীবনে ফিরে আসার জন্যে প্রস্তুত। এই দীর্ঘ সময়ে আপনি অনেক কিছু শিখবেন, তাকেও অনেক কিছু শেখাবেন। ফলে কী করতে হবে না হবে তা আপনি এতদিনে জেনে গিয়েছেন। সে অনুযায়ী কাজ করুন। ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সফল হবেন ইনশাল্লাহ!
ডেক্সপোটেন জাতীয় ড্রাগস নিয়ে সবচেয়ে কম আলোচনা করা হয়। ড্রাগস জগতের সুপারস্টার হলো গাঁজা, মদ, ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ইত্যাদি। এগুলোর ক্ষতি ডেক্সপোটেনের চেয়ে দ্রুত দেখা যায় বলে নীরব ঘাতক ডেক্সপোটেনের প্রতি মনোযোগ অনেক কম। কিন্তু এ থেকে মুক্তি পাওয়া অন্য ড্রাগসের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কারণ হলো, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ইত্যাদি যোগাড় করাটা কষ্টকর। অনেক হ্যাপা পেরিয়ে তবেই পাওয়া যায়। এটি একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এবং দামী। কিন্তু ডেক্সপোটেন জাতীয় ড্রাগস? যেকোন ফার্মেসিতে গিয়ে চাইলেই পাবেন। এত সহজে আমরা প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছি অতল গহবরে! এতই সহজ নষ্ট হয়ে যাওয়া টা! দীর্ঘ দিন রিহ্যাবে থেকে, পরিবারের অশান্তির কারণ হয়ে, নিজের জীবন থেকে অমূল্য সময় এবং প্রাণশক্তি খরচ করে যদি একটি বার, একটি বার সে ভুল করে ফার্মেসি থেকে সত্তর টাকা খরচ করে কিনে ফেলে, তাহলে এতদিনের কষ্ট, ত্যাগ, বিসর্জন, সব বিফলে যাবে। আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে সবকিছু। এর জন্যে কাকে দায়ী করবেন? অভিভাবককে? আসক্তকে? না। এর জন্যে দায়ী অনেক উঁচু ডালে বসে থাকা কর্তৃপক্ষ, যারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে নি। যারা নেশাদ্রব্যকে জায়েজ করেছেন।
কেন এইসব নেশাদ্রব্য ফার্মেসিতে এত সুলভে পাওয়া যাবে? এটা রীতিমত একটা অর্গানাইজড ক্রাইম। সরকারের প্রতি আকূল আবেদন, হয় এটি নিষিদ্ধ করুন, নয় তো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা ব্যতীত বিক্রয় বন্ধ করার নির্দেশ দিন। এমনিতেই নানা সমস্যায় আমাদের তরুণ প্রজন্ম আক্রান্ত। অভিভাবকদের আতঙ্কে থাকতে হয় সন্তান জঙ্গিপনার দিকে ঝুঁকছে কি না, স্মার্টফোনের কল্যাণে পর্ন আসক্ত হয়ে যাচ্ছে কি না, ইত্যাদি। তার সাথে যদি এই অতি সুলভ এবং ভয়ঙ্কর ড্রাগস যুক্ত হয়, সর্বনাশের আর কী বাকি থাকে! একটা কোলাহল হোক, জাগরণ হোক, আওয়াজ তুলুন এইসব সিরাপ নিষিদ্ধের জন্যে, অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রয়ের বিরুদ্ধে।
অনেকেই বলতে পারেন, এটা একটা ঔষধ মাত্র। পরিমানের চেয়ে বেশি পান করাটা মানুষের দোষ মেডিসিনের না। তাদের ভাষ্যমতে, তাহলে সব ওষুধই নিষিদ্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সাইক্রিয়াটিস্ট মাহমুদ মেশকাতের বক্তব্য শুনুন, জানতে পারবেন এই মাদকের অবাধ প্রাপ্যতার পেছনের বিশাল কাহিনী।
"দেশে অনেক প্রয়োজনীয় ঔষধের অনুমোদন নেই। অথচ এই অপ্রয়োজনীয় বাজে ড্রাগটি সরকার নিষিদ্ধ করে না। ADHD মানে Attention Deficit hyperkinetic disorder এর মত সমস্যার ঔষধ সরকার অনুমোদন দেয়না। কারণ এগুলোর কিছুটা abuse potential আছে। আর Dexpoten এর মত বাজে ড্রাগ চলছে দেদারছে যা তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে আর যার abuse potential ফেনসিডিল এর চেয়েও বেশি। Dexpoten তৈরি করে ESKAYEF কোম্পানি যা ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক ফার্মা কোম্পানিই বিভিন্ন নামে এই মাদকটি তৈরি করছে। এটা এখন আর কাশির ঔষধ হিসেবে কেউ খায়না। এটার ৯৫ ভাগ ব্যবহার এখন মাদক হিসেবে। অনেক ভাল ঔষধ বাজারে আছে যেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই বললেই চলে। আমি একটি নাম করা কোম্পানির হেড অফ সেলসকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ADHD এর ঔষধ launch করার জন্য। তিনি জানালেন ড্রাগ অথরিটির অনুমোদন নেই কারণ অল্প পরিমাণ abuse potential আছে। আমি একজন ট্রেইনি সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে বলছি ADHD এর ড্রাগগুলোর abuse potential ধ্বংসাত্মক dexpoten এর তুলনায় নস্যি।"
বিষয়টি জরুরী। জানুন, লিখুন, ছড়িয়ে দিন। জীবনের মঙ্গলময় বাহু স্পর্শ করুন। আপনার সন্তান বুঝে পাক মনোযোগ, ফিরে পাক সৃজনেচ্ছা।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: রুখে দাঁড়ান!
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইসব ব্যাপারে দেশাশুনা করা দ্বায়িত্বশীল যেকোন সরকারের কাজ। সরকারকে নিজ উদ্যোগেই এগুলোর খবরাখবর নিলে ভাল হতো। যাক, সচেতন নাগরিক হিসেবে ব্যাপারটা সরকারের নজরে আসামাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
পোস্ট স্টিকি হোক!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ গেমু। শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
সেলিম৮৩ বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম সেই দিনের।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার সচেতনমূলক পোস্ট রুখে দাঁড়াতে হবে ।
পোস্ট স্টিকি হোক ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম। সবাই সচেতন হোক।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
জেন রসি বলেছেন: এসব খেলে রিলাক্স ফিল করা যায় এটা একটা ভ্রান্ত ধারনা। বাট যারা খায় তারা আসলে এই ভ্রান্ত ধারনা দিয়ে নিজেদের সম্মোহিত করে ফেলে। কনসাসলি খেলে একবার খেয়ে আর খাওয়ার কথা না। আমাদের দেশের অনেক প্রতিভাবান মানুষও বিভিন্ন রকম ড্রাগে আসক্ত হয়ে অকালেই প্রান হারাচ্ছেন।এসব ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া খুব প্রয়োজন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রসি। এই আন্দোলনে খুব সামান্য অবদান রাখতে পারলেও খুশি হব।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সুমন কর বলেছেন: ড্রাগস জগতের সুপারস্টার হলো গাঁজা, মদ, ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ইত্যাদি। এগুলোর ক্ষতি ডেক্সপোটেনের চেয়ে দ্রুত দেখা যায় বলে নীরব ঘাতক ডেক্সপোটেনের প্রতি মনোযোগ অনেক কম। কিন্তু এ থেকে মুক্তি পাওয়া অন্য ড্রাগসের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কারণ হলো, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ইত্যাদি যোগাড় করাটা কষ্টকর। অনেক হ্যাপা পেরিয়ে তবেই পাওয়া যায়। এটি একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এবং দামী। কিন্তু ডেক্সপোটেন জাতীয় ড্রাগস? --
তথ্য, কারণ এবং উপদেশ মিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট হয়েছে।
+।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন। একজনেরও যদি কাজে লাগে তাহলে এই পোস্ট লেখা সার্থক।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে পোষ্টটা । +++++
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি। নীল রঙ সুন্দর।
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমরা একটা ভয়াবহ ঝিম ধরা প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি যাদের স্বপ্ন নেই, আকাঙ্খা নেই, শক্তি নেই, ক্ষমতা নেই, সৃজনী নেই, শুধু আছে ঝিমুনির নেশা।
এই প্রজন্মের আরেক নাম 'খামোখা প্রজন্ম'। আমি এরকম নেশায় চুর অনেককে দেখেছি, যারা এই দুনিয়ায় কেন এসেছে অনেক ভেবেও বুঝতে পারিনি। অনেক অভিভাবককে দেখেছি তাদের নেশাগ্রস্থ সন্তানের নেশা ছাড়ানোর জন্য এমন কোন চেষ্টা নাই যা তারা করেননি। কিন্তু ব্যর্থতার হার ১০০%। দুর্ভাগ্য এই দেশ ও জাতির।
ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি একজন সচেতন অভিভাবক। আপনার জন্যে শুভেচ্ছা রইলো হেনা ভাই।
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
রুবিনা পাহলান বলেছেন: ভবিষ্যত প্রজন্ম----মানে ঝিমুনি প্রজন্ম।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমনটা যাতে না হয় সেজন্যে আমাদের সবাইকেই কাজ করতে হবে।
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
খোলা মনের কথা বলেছেন: সাধারন বাজার বা মফস্বলের ফার্মেসীগুলোতে প্রিসক্রিপশন ছাড়াই মেডিসিন দেওয়া হয় এ সুযোগটি বন্ধ করা উচিৎ। অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার থেকে বিকল্প কোন পথ নেই। আমি মনে করি অভিভাবকদের সচেতনার অভাবে বেশির ভাগ মানুষ এমন ভুল পথে পা বাড়ায়। দিন দিন পরিবার থেকে দুরে সরে যাচ্ছে সমাজ যেটা আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। আমাদের জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত সবাই মিলে একটি সুস্থ মাদকাসক্ত পরিছন্ন সমাজের জন্য এগিয়ে আসা জরুরি।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় আলোচনা করার জন্য।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধু মফস্বল নয়, রাজধানীতেও সমানে বিক্রি হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
কানিজ রিনা বলেছেন: জনাব হাসান মাহবুব, খুব ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
এই ব্লগে বা ফেচবুকে আরও অন্যয়ান্য ব্লগে মাহবুব
হোসেন নামের একজন ব্লগার আছে। অতি ধূর্ত নানান
নামে নিজেকে আড়াল করে, সব রকম ব্লগে বা
ফেচবুকে তার এক ছত্তর আধিপত্য এই মাহবুব হোসেন
ভিষন মাদকাশক্ত মদ ইয়াবা মেয়ে মানুষ। ফেচবুকে
তার রুপক নাম ব্যবহার করে কয়েক জন বন্ধুবান্ধব
মিলে অতি ধূর্ততার সাথে পর্নগ্রাফি দিয়ে ফেচবুকের
নোংরা খোদ্দের যোগার করা তার ব্যবসা।
এই মাহাবুব হোসেনের দুইটা ছেলে মেয়ে আছে অতি
সুশিক্ষিত,বাবার অপকর্মে ছেলে মেয়ে দুটি আজ
মাথা নীচু করে থাকে। তার সাথে নারী কর্মীও যোগ
আছে। এবং তার এক চাচাত বোন তাকে সহায়তা করে
দীর্ঘ পরকীয়ার পর এই বোনকে বিবাহ্ করেছে। এই
বোন বিবাহীত ছিল।
তাই ছেলিম ৮৩ মন্তব্যে আমি খুব খুশি।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কমেন্টের এই অবস্থা কেন? ডেক্সপোটেন খাইসেন?
১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
সোহানী বলেছেন: অামি সবসময় ব্লগে ফেবুতে এ ধরনের লিখা খুজেঁ বেড়াই কারন আমার মনে হচ্ছে নেশা নিয়ে কারো কোনই মাথা ব্যাথা নেই। খাচ্ছে - খাক্, ধ্বংস হচ্ছে - হোক, দেশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম হারাচ্ছে - হারাক.............. আমিতো ভালো আছি। ....কেমন যেন বিবেক বিবেচনাহীন বোধহীন স্বার্থপর জাতি হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। তাইতো জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে, ইয়াবা ডাইল ব্যবসা জমজমাট... তরুন প্রজন্ম কোথায় যেয়ে দাড়াচ্ছে, তাদের নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারন মগজের সব ভালো কিছু নিংড়ে নিচ্ছি স্বার্থপর আমরা।............ পার্থক্যটা অনেক বেশী চোখে পড়ে যখন দেশের বাইরে আসি। দেশ নিয়ে অনেক দু:খ আছে কিন্তু সমাধান নেই আমার কাছে। খুব কস্ট হয় যখন দেখি যাদের দিকে তাকিয়ে থাকি, যারা এগিয়ে আসবে কিন্তু তারা ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে সব কিছু বিকিয়ে দেয়।
সরি লম্বা কমেন্ট করলাম। একটার পর একটা দেশের নেগেটিভ নিউজ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। ভালো থাকেন......
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা এমন একটা ইস্যু, যা পজেটিভে রূপান্তর করার ক্ষমতা আমাদের আছে। আসুন যে যার জায়গা থেকে পারি রুখে দাঁড়াই।
১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আদর করে ডাকে ডেক্সপো! এটা ফ্যাশান হয়ে গেছে। এটাই প্রবলেম।
পোস্টটার দরকার ছিল
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশেষে একটা দরকারী পোস্ট দিতে পারলাম!
থিংকু রাখাল।
১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০
হাবিব বলেছেন: অসাধারণ কথা লিখেছেন ভাই।আমাদের ফার্মেসিতে যারা এগোল বিক্রি করছে তারাও কিন্ত জানে এই বেপারটা,। আসলে কি বলব,আপনার অসুখ হয়েছে এখন ফার্মেসিতে গিয়ে যদি বলেন ঔষধ দেন, তখন হাতুরে ডাক্তার না দিয়ে ত পারবে না।এটাইচাই যে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ঔষধ না দেয়।তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সবার উপলব্ধিতেই ইতিবাচক কিছু সম্ভব।
১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৮
নাফিজ মেহরাব বলেছেন: আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি,সবে সিগারেট ধরেছি। এক বড় ভাইয়ের সাথে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। একদিন উনার কাছে গিয়ে পড়াশোনা সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করলাম। উনি আমারে ফার্মেসি তে নিয়ে গিয়ে ডেক্সপোটিন কিনে দিল। বললো ঝটপট খায়া ফ্যাল। আমি কিছু বুঝতে না পেরে নাক বন্ধ করে খেয়ে নিলাম। তারপর আর কিচ্ছু মনে নাই। খালি মনে আছে আমার পাশে মা আর আব্বু বসে ছিল। দুইদিন পর আমি সেন্স ফিরে পাই। ডেক্সপোটিন যে কি ভয়াবহ জিনিস আমার চাইতে মনে হয় বেশী ক্মেউ জানে না। আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ কয়টা দিন কাটিয়েছি ঐ ডেক্সপোটিন খাওয়ার পর।
ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, দুই চামুচ দিয়ে শুরু করে তারা এমন অবস্থায় যায় যে দিনে ৪-৫টা খায় অবলীলায়। এটা এমনই ভয়ানক।
ভালো থাকুন।
১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: এটাও নিষিদ্ধ করে দেব ।
দেখি কি করা যায় ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালা হয়া যাও।
১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
যতটা না অভ্যেস তারথেকে বেশি হালফ্যাশান। ফলাফল বিপর্যয়। সিগারেটের বদ অভ্যাস থাকলেও কাশির সিরাপ আমি প্রচণ্ড কাশিতেও নিতে পারি না।
সেটা যাহোক সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়াই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেশা মাত্রই ফ্যাশানেবল। তবে সব নেশার বড় নেশা হলো বেঁচে থাকার নেশা। এই নেশা ছড়িয়ে যাক সবার মাঝে।
১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৪
জেন রসি বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করা উচিৎ। এসব নিয়ে অনেক বেশি আলোচনার প্রয়োজন আছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাক কর্তৃপক্ষ কী করে!
১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৬
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। বিশেষ করে অভিভাবকদের জন্য। ফোর ডি সম্পর্কে জানলাম। যদিও বর্তমানে আমাদের পরিবারে সিরাপ নেবার মত তেমন কেউ নেই তবুও সতর্ক থাকব আশপাশের মানুষদের জন্য। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সচেতনতার বিকল্প নেই। ধন্যবাদ অনু।
২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সময়োপযোগী দারুণ একটা পোস্ট, স্টিকি করা হোক।
কে দায়ীঃ
// এর জন্যে কাকে দায়ী করবেন? অভিভাবককে? আসক্তকে? না। এর জন্যে দায়ী অনেক উঁচু ডালে বসে থাকা কর্তৃপক্ষ, যারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে নি। যারা নেশাদ্রব্যকে জায়েজ করেছেন।//
সমাধানের বেশ কয়েকটা উপায় বাতলে দিয়েছেন।
তবে নেশা থেকে বের হওয়া সত্যি কঠিন।
চূড়ান্ত সর্বনাশ জেনেও অনেকে ফিরতে পারে না।
তাই সরকারের উচিত, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা, বিশেষ করে কাশির বিভিন্ন সিরাপ গুলো।
সুন্দর পোস্টের জন্য ++++।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ভাই।
২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার এই সচেতন পোষ্টে হাজার হাজার মানুষের হাহাকারের প্রতিধ্বনি পেলাম! কতজন যে এই নেশায় শেষ হয়ে যাচ্ছে তার শেষ নেই!
এর প্রতিকার চাই!
পোষ্টে অনেক ভাললাগা হামা ভাই!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো কাটুক দিন।
২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
ক্লে ডল বলেছেন: পোষ্টটা পড়ার পর একটা দীর্ঘশ্বাস এল। খুব কাছের একজন আত্নীয় মাদকাসক্ত, তাই এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানি। আরো উদ্বেগের বিষয় হল ও দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাবির ছাত্রাবস্থায় মাদকাসক্ত হয়েছে।
রিহ্যাবের কথা বললেন। ওকে প্রথম ৩মাস এবং পরে ৯ মাস রাখা হল। লক্ষাধিক টাকা খরচ হল। বের হয়ে কিছুদিন পর ত আগের মতই হয়ে গেল।
একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিবার জানে এর যন্ত্রণা কত!!! যা লিখে অথবা বলে শেষ করা যায় না!!
আর এই ডেক্সপোটেনের সম্পর্কে একেবারেই জানতাম না। কোথায় যাচ্ছি আমরা! আর কোথায় যাবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাই ভেবে শঙ্কিত!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাজারটা ডাক্তার, হসপিটাল এবং থেরাপি গুলে খাওয়ালেও লাভ হবে না যদি পরিবার সময় না দেয়। অনেক ধৈর্য ধরতে হবে, সময় দিতে হবে। আমিও দেখেছি নেশার কবলে পড়া মানুষ কত বেশি বদলে যায়, কীভাবে সব সুকুমার বৃত্তি হারিয়ে ফেলে। একটা বড় মুভমেন্ট দরকার।
২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: খুব সময় উপযোগী একটা পোষ্ট। সবাইকে সচেতন হতে হবে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশ্যই আমরা সচেতন হবো। একজন মাদকাসক্ত একা মরে না, আরো দশজন নিয়েই মরে।
২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আগে কাশি হলে তুশকা খেতাম । এখন কাশিও হয়না, তুশকাও খাইনা ।
জিনিসগুলো যে ক্ষতিকর বুঝতে পারলাম । উপকারী পোস্ট!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঔষধ হিসেবে খেলে সমস্যা নাই। নেশার জন্যে খাইলে সমস্যা।
ধন্যবাদ সাধু সাহেব।
২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
অনেক কিছুিই শেখার আছে। এত সুন্দর একটা পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিবাদন।(টুপিখোলা অভিবাদনের ইমো হবে)
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান। এইবার টুপিটা পৈড়া নেন!
২৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫
অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভার্সিটিতে একবার ফ্রেন্ড জোর করে আধা বোতল ডেক্সপো খাইয়ে দিছিলো। সেটাই ছিল জীবনের প্রথম এবং শেষ ডেক্সপোটেন খাওয়া। ফলাফল ছিলো ভয়াবহ। দুপুরবেলা খাইছিলাম ঠিক ভাত খাওয়ার পরে। এমন ঘুম পাইলো সারা দুপুর, বিকাল ঘুমালাম। বিকালের টিউশনিতে গেলাম সন্ধ্যার এক ঘন্টা পর টলতে টলতে। অনুভূতিটা আসলে বলে বুঝানো যাবে না। ফ্যানের সুইচটা অফ করা দরকার , মনের জোর দিয়ে অফ করতে হইছে কারন হাত সুইচবোর্ড পর্যন্ত নিতেই পারতেছিলাম না। টিউশনিতে গিয়ে কোনরকম ২০ মিনিট কাটিয়ে বের হয়ে এসেছি। আমি বলতেছি কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না টাইপ অনুভূতি।
নেশাখোরদের জন্য কোন মায়া মমতা নাই। নিজেও ধ্বংস হয়, সাথে আরো কয়েকজনের জীবনটা ধ্বংস করে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ভার্সিটিতে গাঞ্জাখোর, ডাইলখোর আর সিরাপখোর একটা বড় রকম প্রজন্ম বেড়ে উঠতেছে। কারো এখন আর এক বোতল ডেক্সপোতে কাজ হয়না। টাইগার আর ডেক্সপোর ককটেল মিশিয়ে খায়। খেয়ে সারাদিন ঘুমায় আর গান গায় নেশা কেটে গেলে তুমিও কেটে যাবে। ওইদিক ক্লাস, পরীক্ষা মিস। বাপের কষ্টের টাকা নষ্ট।খুবই ভয়াবহ অবস্থা।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডেক্সপোটেন সম্পর্কে অনেকেরই অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে দেখছি। এগুলো একসাথে প্রকাশিত করা খুব দরকার। অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্যে।
২৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
পথহারা মানব বলেছেন: ডেক্সপোটেনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারি একদিন এক বড় ভাইয়ের ফার্মেসীতে বসে যখন এক যুবক এসে চাইল ডেক্সপোটেন আছে আর তিনি বললেন না। কিছুক্ষন পর সিরাপটা তাকে দেখে আমি জানতে চাইলাম কেন উনি দিলেন না। তখন উনি এর ভয়াবহ রুপ তুলে ধরলেন...শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য। একদিন ইনজেকশন সিরিন্জের রুপটাও তুলে ধরেন না পাঠক অনেক উপকৃত হবে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার বড় ভাই খুব ভালো একটি কাজ করেছেন। তার জন্যে শুভেচ্ছা।
ডেক্সপোটেন সম্পর্কে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতার সুবাদে এর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতাম। ইনজেকশন সম্পর্কে জানলে লিখে ফেলবো।
ধন্যবাদ।
২৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
জাকুজাকু বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে আগে কখনো এভাবে ভাবিনী।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হোক। শুভেচ্ছা।
২৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন হাসান ভাই... বর্তমানে নেশাকরাটা আমাদের দেশের কিশোর থেকে শুরু করে বয়ঃবৃদ্ধের মাঝেও নিয়মিত একটি ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে... একটা সময় আমি ফেন্সির জায়গাতে সিডিল ও ফ্যানাড্রিল এর ব্যবহার দেখেছি, ভয়ানক... আমার জানা মতে যে কোন কাশির সিরাপ পুরোটা একসাথে কেউ সেবন করলে তার নেশা হয়ে যাবে...
কয়েক বছর আগ পর্যন্তও অনেকেই এই বিষয়টা জানতেন না... এখন বিষয়টা ফ্লাডেড, বড়টা ম্যানেজ করতে না পারলে ছোটটাতেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে... যাদের আর্থিক সমস্যা তাদের জন্য সিরাপগুলো অমৃতের মতো... বিষয়টা আসলেই ভয়ানক...
ড্রাগ এন্ড পর্ণ এডিক্ট প্রজন্ম তৈরিতে সফলতার সাথে সামনে এগিয়ে চলেছে যারা তারা কারা? আমরা জানি এবং আমাদের কিছুই করার নেই... কথাটা হতাশার কিন্তু সত্য...
তারপরেও আমাদের চেষ্টা করতে হবে এসবকে দমানোর, কেননা এইসব দমাতে পারলে আমরা নিজেরাই লাভবান হবো সাথে জাতি ও... আর না পারলে আমাদের সন্তানদের ভয়ানক এক রূপ দেখবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের, যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের হবে... আপনাকে এই সতর্কীকরণ পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা...
শুভকামনা...
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুস্থ মানুষ দুই চামচ সিরাপ খাইতেই মুখ ব্যাকা করে। আর আক্রান্তরা বোতলের পর বোতল সাবার করে। কীভাবে সম্ভব ভাবুন তো! হ্যাঁ, যাদের আর্থিক সমস্যা আছে তাদের জন্যে এটা ফেন্সিডিলের দারুণ বিকল্প। তাই বলে কিন্তু শুধু দরিদ্ররা এতে আক্রান্ত হচ্ছে না। সব শ্রেণীর মানুষকেই গ্রাস করে চলেছে এটা।
ভালো থাকবেন।
৩০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
প্রামানিক বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। কাসির ঔষধ এখন যুব সমাজে মাদক হিসাবে সচারচর ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে আনা দরকার। তা না হলে যুব সমাজকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভবোধ জন্ম নিক। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
৩১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
লাবিব ফয়সাল বলেছেন: অনেক বাস্তব কথা..,এর সহজলভ্যতা বন্ধ না করা গেলে অনেক বড় ক্ষতিকে এড়ানো যাবেনা কোনভাবেই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবা যায়! যেখান থেকে আমরা সুস্থ হবার জন্যে ঔষধ কিনি সেখানেই এর এত সহজপ্রাপ্যতা!
৩২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৫
কানিজ রিনা বলেছেন: ডেক্সপোটেন আমার মন্তব্যে বলেছেন খাইছেন নাকি
হয়ত খাওয়ার বেলায় আপনিও অভিজ্ঞ তাইতো সিরাপ
গুল দেখলাম আগে কখনও দেখিনি, আমি আমার
মন্তব্যে বলেছি আপনি খুব একটা ভাল পোষ্ট দিয়েছেন
অথচ আপনার উত্তরে সন্দেহ বাড়ল।
কারন আমি যার কাহিনী দিয়েছি তার নামের সাথে
আপনার নামের মিল তাইতো?
আপনি সমাজ সচেতন মুলক পোষ্ট দিয়েছেন তাতে
কোনও সন্দেহ নেই।
তবে আমি যে মাহবুব হোসেনের জীবন বৃত্তান্ত বলেছি
সে এক সময় আমার প্রেমিক স্বামী ছিল।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম। এখন দয়া করে এই পোস্টে আপনার ব্যক্তিগত প্রেম বিরহের মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। কেউ আগ্রহী না এই ব্যাপারে।
৩৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
পবন সরকার বলেছেন: প্রামানিক ভাইকে আপনার পোষ্টে পেয়ে খুব খুশি হলাম।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: তার সাথে তো আমার কোন বিরোধ নাই। একটা লেখা ভালো লাগা না লাগার কারণে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করাটা নেহায়েৎ চাইল্ডিশ ব্যাপার।
৩৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
নস্টালজিক বলেছেন: ব্রাভো হাসান।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ, আমি ডোয়াইন ব্রাভোর ভাই
৩৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
শায়মা বলেছেন: এই ডেক্সপোটেনের নাম আমি প্রথম শুনলাম।
আমার ঠান্ডা লাগলে আমি গরমপানি মধু, লেবু চা, দারুচিনি চা এইসব খাই।
তবে এর আসক্তির কথা শুনে তো মনে হচ্ছে দুই চামচ খেলেও চিরজীবন ঘুমাতাম।
এই পোস্ট সবার নজরে আনা উচিৎ ছিলো।
এত সুন্দর করে সবাই তো এসব ব্যাপারে লিখতে বা বুঝাতেও পারবেনা।
যাইহোক
যারা আমার মত জানেনা বা ভীষন মেডিসিন প্রিয় তারাও জেনে না জেনে বা বুঝেও আসক্ত হয়ে পড়তে পারে। আর আসক্তির পরে কি অবস্থা হয় যা যা দেখলাম সেসব দেখেই তো আক্কেল গুড়ুম হবার দশা।
কিছু কিছু মেডিসিন কিভাবে মানুষকে ধ্বংস করে তা মনে হয় আসলেই সবার জানা উচিৎ। কিন্তু আমরা জানিনা।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমনিতেই ভেজাল খাবার, দূষিত পরিবেশ আরো নানারকম প্রতিকুলতায় আমরা বেসামাল। তার ওপর যদি নেশাটাও মাদক স্পটে চুপিসারে, রিস্ক নিয়ে না গিয়ে স্রেফ ফার্মেসি থেকে নিয়ে এসে করা যায়, তাহলে কেমনে বাঁচবে মানুষ!
ধন্যবাদ শায়মান্টি।
৩৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
শায়মা বলেছেন: মাদকাসক্ত ডিটেক্টর লাগানো হোক সকল ফার্মাসিরর দরজায় দরজায়!!!!!
যেই ফার্মাসীতে ঢুকতে যাবে তারা অমনি .........
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: না, এই সিস্টেম করতে হবে যে, পুরো এক বোতল দেয়া যাবে না। কেউ কিনতে আসলে ৫ টাকা দিয়ে ২ চামচ খাইয়ে বিদায় করে দেয়া হবে।
৩৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: ইশশ, ফার্মেসীর মালিক বা কর্মচারী যার হাত দিয়েই এই বস্তু যাক না কেন,একবার কি ভেবে দ্যাখে না যে তারি সন্তান বা ছোট ভাই ও তো হয়তো অন্য কোন ফার্মেসী থেকে একইভাবে এই ভয়াল নেশার বস্তুটি কিনছে আর জীবন টাকে শেষ কোরছে??
মনে পরে,যখন ইভেন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এর ছাত্র,পাড়ার দোকানে দোকানীর বদলে তার ছেলেকে দেখে একটা সিগারেট কিনতে গেছিলাম।এর মদ্ধে দোকানদার মুরুব্বির আগমন এবং যথারীতি বকা সহ স্নেহের শাসন।বকাটা কিন্ত খারাপ লাগেনি কারন তাতে কেমন একটা দাবি বা অধিকার ছিল।পাড়ার ছেলে তো,ওনার ওতো একটা দায়িত্ত আছে।
ভাই,মূল সমস্যা হোল আমার মতে,সেই সামাজিক মুল্যবোধ ও উধাও অ্যান্ড সেই স্নেহমমোতার সামাজিক বাধোনটাও আজকে অনেক আলগা।
ভাই,ছোট মানুষ (নবীশ ব্লগার অরথে) হিসাবে বড় একটা দাবি জানাই।পোস্ট টা ইস্টিকি করা হোক।ধ্যনবাদ লেখক কে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্টটি দেবার পর সবার রেসপন্স পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, সবাই মিলে কিছু একটা করা সম্ভব।
দেখা যাক আপনার এবং আরো অনেকের দাবীর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কী করেন।
ভালো থাকুন।
৩৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
আহা রুবন বলেছেন: আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আমি ঘন ঘন গ্রামে যাই। দেখতে পাই বহু তরুণ-যুবক দোকানে বসে ঘন্টার পর ঘণ্টা সময় কাটায়। গাঁজা, ফেন্সিডিল খায় আবার কিছু নাকি বিভিন্ন সিরাপ, ঘুমের ওষুধ, এনার্জি ড্রিংক,সিভিট এইসব মিলিয়ে মিক্সার বানিয়ে নেশা করে। আমরা মাত্র দের দশক আগেও বল খেলে, গান শুনে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে সময় কাটাতাম। আজকাল সব দোকানে বসে ঝিমায়। আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লাগে, এক শ্রেণির কাঠমোল্লা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর বিরোধিতা করে অথচ এই যে যুব-সমাজ চোখের সামনে নষ্ট হচ্ছে তাতে এদের মাথা ব্যথা নেই। ভাবটা এমন নেশা করো তবু সংস্কৃতি চর্চা, গান-বাজনা কোরো না। উর্বর জমিতে চাষ না হলে আগাছা জন্মাবেই।
ছেলেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা পড়ালেখা করে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন একটা সমস্যাও তৈরি হয়েছে ইদানীং। অহরহ দেখা যায় পাত্র নন মেট্রিক, পাত্রী বিয়ে পাশ। কেননা শিক্ষিত ছেলের চেয়ে শিক্ষিত মেয়ের সংখ্যা বেশি হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সময় থাকতে সতর্ক না হলে আমরা সমস্যায় ঘোট পাকিয়ে মরব।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শহরে, গ্রামে, সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভয়াল নেশা অবাধ প্রাপ্যতার সুযোগে। আপনার পর্যবেক্ষণমূলক কমেন্ট ভালো লাগলো। মঙ্গল হোক সবার।
৩৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২
ধমনী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন। ঠান্ডা বা কাশির সব সিরাপই নেশাকারক। তবে ডেক্সপোটেন জাতীয় সিরাপ বেশি "কার্যকর"! এ বিষয়ে ফার্মেসির বিক্রেতাদের বেশি সচেতন হওয়া দরকার।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ধমনী। ভালো থাকবেন।
৪০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
আলোরিকা বলেছেন: কি সাংঘাতিক ! ---------আমদের দেশে সবাই ডাক্তার এটাও একটি বিরাট সমস্যা । আগাছার মত রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ফার্মেসি গুলোও সমস্যা । ফার্মেসির অশিক্ষিত লোকগুলোও ডাক্তারি করে সেটাও সমস্যা । কত দিক সামলাবেন ? যার মাথা তারই ব্যথা এভাবে আর কত ---------------
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেউ যখন কিছু করছে না, তাহলে আমাদেরই কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।
ধন্যবাদ আলোরিকা। আলো আসুক জীবনে।
৪১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
কানিজ রিনা বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত শত্রু মাহবুব হোসেন, কিভাবে নেশার
তরে পরিবার পরিজন ধ্বংশ করেছে তার উদাহরন
দেওয়া প্রয়োজন মনে করেছি। কারন পরিবারের কেউ
নেশার ঘোরে ধ্বংশ হয়েছে এমন এক্সাম্পল দেওয়ার
সাহসীকতা রাখার দরকার তাতে সচেতনতা বারবে বইকি
এটা ব্যক্তিগত নয়।
সেলিম ৮৩ মন্তব্যই??? এড়িয়ে যাবেন না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্লক করতে পারছি না। আপনার কমেন্ট এটাই লাস্ট। এরপরে উল্টাপাল্টা কিছু লিখলে কমেন্ট মুছে দিবো।
৪২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের পরিবারে কেউ পান সিগারেটও খায় না, তাই জানতাম না এসব। আসলেই অবস্থা ভয়াবহ। মাত্র ৭০ টাকায় নেশা, তাই ছেলেপেলে সহজেই ঢুকে পড়তে পারে এই জগতে।
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনোই ফার্মেসির লোকজনের কোন রকমের ঔষধ দেওয়া ঠিক না। পরিবারের সবাইকেই এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা সামান্য ভুল থেকেই মানুষ হারিয়ে ফেলতে পারে জীবনের কক্ষপথ। তাই নিশ্চিত না থেকে খেয়াল করুন নিবিড় ভাবে।
৪৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৬
মেহেদী রবিন বলেছেন: কৌতূহল, আসক্ত বেস্ট ফ্রেণ্ড , পড়াশুনার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ না থাকা, দায়িত্ব কর্তব্য বোধ সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং ফ্যাশনে গা ভাসানোর পরিণতি এসব।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সঠিক পর্যবেক্ষণ। ধন্যবাদ রবিন।
৪৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৮
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী লেখা। দেশে অনেক প্রয়োজনীয় ঔষধের অনুমোদন নেই। অথচ এই অপ্রয়োজনীয় বাজে ড্রাগটি সরকার নিষিদ্ধ করেনা। ADHD মানে Attention Deficit hyperkinetic disorder এর মত সমস্যার ঔষধ সরকার অনুমোদন দেয়না। কারণ এগুলোর কিছুটা abuse potential আছে। আর Dexpoten এর মত বাজে ড্রাগ চলছে দেদারছে যা তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে আর যার abuse potential ফেনসিডিল এর চেয়েও বেশি। Dexpoten তৈরি করে ESKAYEF কোম্পানি যা ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সকম গ্রুপের পত্রিকা প্রথম আলো এত মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন করে অথচ নিজেরাই ভয়াবহ মাদক তৈরি করে দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করছে। কি নির্মম পরিহাস এই ট্রান্সকম গ্রুপের। তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক ফার্মা কোম্পানিই বিভিন্ন নামে এই মাদকটি তৈরি করছে। এটা এখন আর কাশির ঔষধ হিসেবে কেউ খায়না। অনেক ভাল ঔষধ বাজারে আছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই বললেই চলে। এটার ৯৫ ভাগ ব্যবহার এখন মাদক হিসেবে। আমি একটি নাম করা কোম্পানির হেড অফ সেলসকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ADHD এর ঔষধ launch করার জন্য। তিনি জানালেন ড্রাগ অথরিটির অনুমোদন নেই কারণ অল্প পরিমাণ abuse potential আছে। আমি একজন ট্রেইনি সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে বলছি ADHD এর ড্রাগগুলোর abuse potential ধ্বংসাত্মক dexpoten এর তুলনায় নস্যি। আরো একবার ঘৃণা পোষণ করছি ট্রান্সকম গ্রুপের বিরুদ্ধে। আরেকটি তথ্য হল বছরে প্রায় একশত কোটি টাকা ব্যবসা হয় এই dexpoten থেকে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অত্যন্ত মুল্যবান একটি মন্তব্য। আলাদা করে পোস্ট দিতে পারেন। লড়াইটা অনেক কঠিন হবে। এর পেছনে এত টাকার ব্যপার আছে জানতামই না।
অনেক ধন্যবাদ।
৪৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫১
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর সচেতন মূলক একটি পোস্ট দিয়েছেন হাসান মাহাবুব ভাই । এখনও সময় আছে আমাদের এ বিষয়ে সমাজটাকে জাগিয়ে তোলার। কৃতপক্ষকে অনুরোধ করা হল পোস্টটি স্টিকি করা হউক ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সার্চম্যান। খুঁইজা খুঁইজা আমার ব্লগে আসার জন্যে থিংকু!
৪৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৯
ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: আর দেরি কেন আসুন তরুন সমাজকে বাঁচাতে এখনই সচেতন হই, পরিবার,আত্মীয়সজন ও সমাজের সকল মানুষকে জানাই।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আসুন, রুখে দাঁড়াই।
৪৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সকলের এগিয়ে আসা উচিত যুব সমাজকে বাঁচানো আমাদের সকলেরি দায়ত্ব । পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৪৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমাদের তরুন প্রজন্মকে মাদকের কুফল থেকে রক্ষার জন্য সচেতনতার প্রয়োজন আছে। হামা ভাই, পোস্টে যে মেডিসিনের কথা উল্লেখ্য করেছেন, সেটা কে অনেকেই শুধু কাশির সিরাপ হিসাবে জানে। ফলে এটাকে সহজে বিশ্বাসযোগ্য করাটা কিছুটা কঠিনই হবে। এই ব্যাপারে যদি বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ বা বক্তব্য আপনি পোস্টে সংযুক্ত করতে পারতেন, তাহলে বেশ ভালো হতো। আমাদের ব্লগেই তো অনেক ডাক্তার আছেন। তাদের কাছ থেকে এই পোস্টে বক্তব্য আশা করছি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ৪৪ নম্বর কমেন্টটা দেখো। ওটা কি রেফারেন্স হিসেবে এ্যাড করা যায়? উনি একজন সাইক্রিয়াটিস্ট।
৪৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, করা যায়। এই ব্যাপারে চিকিৎসক হিসেবে যথাযথভাবে উল্লেখ্য করে দিলেই হবে। আপনি নিজেও দেখেছেন যে ফেসবুকে পাবলিকের কি ধরনের রিএ্যাকশন হয়েছে। আশা করি, এই উত্তর তাদের কাজে আসবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা, আমি এ্যাড করে দিচ্ছি।
৫০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
৫১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট!! আমরা নিজেরাও অনেক সময় ডাক্তারী করি!! কাশি হলেই এই সেই সিরাপ এর দিকে ছুটি... ! আমি নিজেও তো কাশি হলে পিরিটন এর দিকে যাই...
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঔষধ হিসেবে খেতে কোন সমস্যা নাই। দুই চামচ খাইবেন। পুরা বোতল খাইলে তখন নেশা হবে।
শুভেচ্ছা।
৫২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ডেক্সপোটেন এর বিষয়টি জানা ছিল না । একেবারে আঁতকে উঠলাম। তাছাড়া ৪৪ নং মন্তব্য থেকে জানা যায় এর পেছনে বড় অংকের অর্থনৈতিক ব্যাপার আছে , সেক্ষেত্রে লড়াইটা একটু কঠিন হবে । তবুও মাইক্রো লেবেলে যদি সচেতনা তৈরী করা যায় তাহলে হয়তো একটা পজেটিভিটি আশা করা যায় ।
সর্বোপরি এরকম সচেতনতামূলক পোষ্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ফাতিমা। সত্যি এ এক অসম লড়াই। তবুও চেষ্টা করে দেখতে দোষ কী!
৫৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
জেন রসি বলেছেন: যত বেশী বিক্রয় হবে তত বেশী লাভ। তাই এক দিক দিয়ে যারা নেশায় আসক্ত হচ্ছে তারা কোম্পানির জন্য অনেকটা দুধ দেওয়া গাভীর মতই। মুনাফার লোভ এবং নৈতিক কিংবা সামাজিক দায়িত্ব দুটোর মধ্যে সম্পর্ক সাংঘর্ষিক। আর একটা কোম্পানির মার্কেটিং পলিসির সাথে অনেকেই অনেকভাবে যুক্ত থাকে। তাই আপনি যদি আন্দোলন করতে যান তবে স্বাভাবিক ভাবেই কিছু ডাক্তারদের বিরোধীতার মুখে পড়বেন। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভরাও আপনাকে তীব্র ভাবেই বাঁধা দেবে। আর কোম্পানির পলিসি মেকারদের কথা বাদই দিলাম। এসব লজিক্যাল কনসিকয়েন্স। যারা নেশায় আসক্ত না তাদের অনেকেরই এসব ব্যাপার নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এই বৈধ নেশার বিরুদ্ধে আন্দোলন কিংবা ইফেক্টিভ উপায়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হলে এই অংশটাকেই প্রভাবিত করতে হবে। এদের কাজ হবে কোম্পানির এই লাগামহীন বানিজ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে একটা ব্যালেন্সের মধ্যে নিয়ে আসা। চেক এ্যান্ড ব্যালান্সের কাজটা যদি আমরা ঠিক মত করতে না পারি কোম্পানি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাবেনা। আসল দুনিয়ার খবর আপনি আমার চাইতেও ভালো জানেন। EsKayef এর সাথে অনেক বিগ ফিস রিলেটেড। ব্যবসায়ি, ডাক্তার,ফার্মাসিস্ট..... সুতরাং এরা নিজেদের স্বার্থেই মানুষকে উল্টা যুক্তি দেবে। সেসব মোকাবেলার প্রস্তুতিও থাকতে হবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইতিমধ্যে আমি এ ধরণের অনেক বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছিও। সামুর অফিসিয়াল পেইজ থেকে এই পোস্ট শেয়ার দেয়া হয়েছিলো। সেখানে এমন অনেক কমেন্ট পেয়েছি। ৪৪ নম্বর কমেন্টে প্রজ্জলিত মেশকাত ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন। নেতা হওয়া বা আন্দোলনে যাওয়ার মত অত ডেডিকেশন এবং শ্রম দেয়ার মানসিকতা আমার নেই। আমি জাস্ট ট্রিগার অন করতে চাই। যেন যোগ্য কেউ মুভমেন্টটা শুরু করতে পারে। ড্রাগস খুব ভয়াবহ জিনিস। কিন্তু অনেকেই ডেক্সপোটেনকে ড্রাগসের 'মর্যাদা' দেয় না। আমি ডেক্সপোটেনের কারণে সৃষ্ট অশান্তি দেখেছি। তাই কিছু কথা না বলে পারলাম না।
৫৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সিরাপের ব্যপারটা জানতাম না। যেসব সিরাপের নাম বল্লেন অনেক পরিবারেই দেখি সেগুলা ফ্রিজে থাকবেই, বাচ্চা একটু হাচি দিলেই খাওয়ায় দেয় বাবা মা। সেটাও নিশ্চই ক্ষতিকর। তারা না জেনেই এমনটা করছে।
পোস্টে প্লাস।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তামান্না। সুন্দর হোক জীবন।
৫৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৬
মুহাম্মাদ শাথিল বলেছেন: নেশাজগতে সদ্য পদার্পণকারীদদের কাছে ডেক্সপোটেনের মাহাত্ম্য বলে বুঝানো যাবে না। অনেক সহপাঠীদের জীবনাচরণ থেকে দেখেছি কীভাবে তারা সবার চোখের সামনেই ধীরে ধীরে নেশার জগতেে পা বাড়াচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টাতে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। নিজে সচেতন হলাম, এখন দেখি কাউকে সচেতন করা যায় কি না!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সাধুবাদ জানাই।
শুভরাত।
৫৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন:
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই। ধন্যবাদ।
৫৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮
সুমন কর বলেছেন: যতটুকু মনে পড়ে, আপনি বলেছিলেন আপনার কোন পোস্ট আগে স্টিকি হয়নি। আজ হলো।
স্টিকি মুবারক.....
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন। আশা করি এটা শুধুমাত্র ব্লগীয় পরিসংখ্যানের সাফল্য সূচক হয়ে থাকবে না। ব্লগের বাইরেও একটু হলেও নাড়া দিতে পারবো।
৫৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: সর্ষের মধ্যেই ভূত।
সচেতনতামুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ভূতকে অবজ্ঞা করা ঠিক হবে না।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তথ্যবহুল এবং খুবই গুরুত্ত্বপুর্ণ পোষ্ট।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কুনোব্যাঙ।
আপনার পোস্টটি স্টিকি হওয়াতে অভিনন্দন। দরকার ছিলো এটার।
৬০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: মাদকাসক্তি একটি জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। আমি মাঝে মাঝেই ভাবি যারা এভাবে অন্যের জীবন শেয করে দেয় তারা কি কখনওই বোঝে না সন্তান হারানোর ব্যথা কতটা গভীর হয়!
ডেক্সপোটেন ট্রান্সকম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরী? প্রকরিতির প্রতিশোধ বড় নির্মম, সীমিন হোসেন কি উপলব্ধি করছেন!!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কারো যেন এমন সর্বনাশ না হয় এটাই কাম্য।
অনেক ধন্যবাদ।
৬১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: খুব ভাল একটা পোস্ট। ঔষধের দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব সিরাপ। দেখার কেউ নেই। কিন্ত আমি বলব ফার্মেসি তে তো কনডমও বিক্রি হয়! এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক'রা সেগুল কিনছে ও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে! এগুলো বন্ধ হওয়া উচিৎ। ধন্যবাদ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৬২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সচেতনতা মূলক এই পোস্ট অনেকের কাজে লাগবে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ড্যাম, ইনফরমেনশটুকু আগে পেলে তো অনেক পয়সা বেঁচে যেতো! দামের দিক থেকে ভালো
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি কি ফেন্সিখোর?
৬৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সামু কর্তৃপক্ষকে পোস্টটি স্টিকি করার জন্য ।
হামা ভাইকে ঈদ মোবারক।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মোবারক শামছুল ভাই।
৬৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
জে আর সিকদার বলেছেন: শুধু ডেক্সপোটেন নয় , চেতনা উদ্দিপনকারী এবং চেতনা নাশক সকল ঔষুধেরই অপব্যাবহার হচ্ছে আমাদের দেশে। এ জন্য দেশে ঔষুধ বিক্রয়ে আইন & আইনের প্রয়োগ করতে হবে। সচেতনতা কিছুটা ভূমিকা পালন করবে।
সকল নেশারই ফলাফল ভয়ানক ! সেটা হিরোইন/ ইয়াবা / ডেক্সপোটেন/ সিডেটিভ ড্রাগ/ স্মোকিং / যৌনতা /ফেসবুক
নেশা কে না বলুন, বোধ-বুদ্ধি জাগ্রত রাখুন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেশা কে না বলুন, বোধ-বুদ্ধি জাগ্রত রাখুন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩
দিনাজপুরিয়া বলেছেন: একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা। তবে হাসান ভাই আমিও তো মাথা নিচু করে হাটি তাহলে কি আমি এর অর্ন্তভুক্ত? ;-)
জিও ভাই জিও।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! অনেক দিন দিনাজপুরে যাওয়া হয় না। ভালো থাকুক স্মৃতির শহর।
৬৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭
শিফান আল ইমন বলেছেন: অভিভাবক রা ব্লগ খুব কম পড়ে আমার যা মনে হয় জিনিস টা কোন পত্রিকায় প্রকাশ করা গেলে ভাল হত।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
৬৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮
দিনাজপুরিয়া বলেছেন:
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৬৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এইঔষধের বিকল্প বের করা উচিৎ কিংবা ভালো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করাটা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। সচেতনতা মুলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সাদা ভাই।
৭০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পোষ্টে যা লিখলেনা
লাইন বাই খুটেখুটে;
খুব বুঝে গেছি ভায়া
তুমি বড় হিংসুটে।
আটপৌরে জীবনেতে
চাই থোরা চার্ম;
যদি পাই সুখ তাতে
অত কিবা হার্ম?
মরা দেহে ফিরে প্রাণ
ফুল অফ থ্রীলিং;
বোতলে বোতলে ভরা
আহা সেকি ফিলিং!!
ফিলিংসে কাটে দিন
সুখে যুব জনতা;
ক্ষতি কিবা অত বাপু
গেলে যৌন ক্ষমতা।
আজিবনি তুমি প্যাঁচ
বুঝে গেলে উলটা;
পজিটিভ ভাবলেই
ভেঙ্গে যেত ভুলটা।
জনসংখ্যা বিস্ফোরনে
জাতি ভারাক্রান্ত;
কত ইজি সমাধান !!
যদি লোকে মানতো।
নেশা ধ্যান,নেশা জ্ঞান
ফিলিংসে ব্যস্ত;
নেই ঝুট ঝামেলা
টেনশান শেষতো।
পোলাপান আজকাল
কত সাদাসিধা;
মাল পেলে খুশী তারা
নেই আর চাহিদা।
ডাল বা ফেন্সি চাই
সাথে দিয়ো বিড়ি;
ঘন ঘন চা-ও দিয়ো
দুধ চিনি ফ্রি।
বর্ডারে রেড হলে দিয়ো
ডেক্সপো বা তুসকা;
এটুকুন চাহিদাতে
পড়ে তোমা ফুসকা???
হয়না হজম তা-ই
নিজে মাল খাওনা;
পোলাপানে সুখে থাক
তা-ও তুমি চাওনা।
জিলাপীর প্যাঁচ তুমি
পেটে বড় হিংসে;
আজ ঠিক বুঝা গেলো
তুমি কত মিনসে।
*********************
প্রজন্ম ধ্বসে যাক
কিবা এসে গেলো কার;
ক্ষমতাই মূল কথা
হোক দেশ ছাড়খার।
প্রজন্ম ড্রাগে বিজি
এই মহা মওকা;
ঘামাবেনা মাথা তারা
মারো ছয় চওকা।
বেচে দাও দেশটারে
মিটিয়ে মনের ঝাল;
লুটে নাও যত খুশি
গড়ো আরো রামপাল।
কথায় আছে গভীরতা
যদি বুঝে নাও;
যাচ্ছি কোথায় মোরা
গন্ধ কি পাও?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দুর্দান্ত।
৭১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটি লিখতে গিয়ে আমি গুগলিং করে কয়েকটা একই রকম লেখা ছাড়া তেমন কিছু পাই নি। কেন ডেক্সপোটেন নিয়ে লেখা নেই? ফেন্সিডিলের মত একই রকম ক্ষতি হওয়া স্বত্তেও কেন প্রশাসনের কোন বিকার নেই? কারন প্রশাসনের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে যে ভাই।। আর ডেড্সপোটেন যেভাবে ফার্মেসিতে যেভাবে সুন্দর করে সাজানো থাকে তাতে কোন অভিভাবক বা সাধারন কোন মানুষের বুঝাার উপায় যে এটিএকটি নেশাজাত দ্রব্য।
আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো, ঘুগপোযোগী ও। সময়পোগীএকটি পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এবং আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৭২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: খুব ভাল একটা পোস্ট। এই রকম পোস্ট আরও চাই। ঔষধের দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব সিরাপ। দেখার কেউ নেই। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিৎ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার।
৭৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
বৃতি বলেছেন: দেশে ব্যবহৃত যাবতীয় ওষুধকে "প্রেসক্রিপশন ড্রাগস" এবং "নন-প্রেসক্রিপশন ড্রাগস (ওভার-দ্য-কাউন্টার ড্রাগস)" এই দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার। বলা বাহুল্য, ডেক্সপোটেনজাতীয় ওষুধগুলো এভাবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করা যাবে। পশ্চিমে ওষুধসংক্রান্ত নীতিমালা বেশ কঠোর হচ্ছে দিনে দিনে। এ সম্পর্কে ডিটেইলস লিখার ইচ্ছে থাকলো। আপনার পোস্টটি সময়োপযোগী, বেশ ভালো লাগলো।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম বৃতি।
৭৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
হাসান মির্জা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৭৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: কাশি হলে আমি এগুলো খাইনা। কারন এগুলো খেয়ে একেকজন যেভাবে বেঘোর ঘুম ঘুমায়, তাতেই আমি বিরক্ত। দারুন লেখাটিকে নির্বাচিত করায় ব্লগ কর্তিপক্ষ কে ধন্যবাদ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৭৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
গোফরান চ.বি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫১
গোফরান চ.বি বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। এই পোস্ট এ আলোচনা করা দরকার আছে বলে মনে করি। সামু কর্তৃপক্ষ কে এই পোস্ট টি স্টিকিতে রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
লাইফ এ্যান্ড লাইট হসপিটাল (গ্রিন রোড), ফেরা (উত্তরা), মুক্তি (গুলশান)।
আমার কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে জানবেন দয়া করে।
৩। সাইকোলজ্যিকাল কাউন্সেলিং একটি চমৎকার প্রক্রিয়া। কখনো সে একা কখনও ফ্যামিলি, অথবা কখনও অন্যান্য আসক্তদের সাথে গ্রুপ কাউন্সেলিং করাতে হবে।
৪। সে ফিরে আসলে তাকে খেলাধূলা এবং অন্যান্য সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত রাখুন।
৫।একা একা কোথাও যেতে দেবেন না অন্তত তিন মাস।
৬। মোবাইলের সিম পাল্টে দিন যেন পুরোনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে।
৭। ফোর ডি মেথড শিখিয়ে দিন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। যদি খুব ইচ্ছে হয় মাদক নিতে, তাহলে এই চারটি ডি এর শরণাপন্ন হতে হবে। এটি ঘরে বসেই যেকোন অবস্থায় করা জয়ায়।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মদ খাইয়া মাতাল ও হইবার পারলাম না মাতলামিও করতে পারলাম না গেবন টা ১৬ আনাই মিছা হয়া গেলো হামা ভাই
বাংলাদেশ থেকে প্রথমে গেলাম ইতালিতে, যেখানে ১ বোতল ওয়াইনের দাম ১০ থেকে ২০ ইউরো সেন্ট আর এক বোতল পানির দাম ১ ইউরো। অর্থাৎ ১ টা পানির বোতলের দামে ৫ বোতল ওয়াইন। ইতালি থেকে আসলাম কানাডার ওন্টেরিও প্রভিন্সে। নির্দিষ্ট করে বললে বলা হয় কানাডার মদ তৈরির এলাকা নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায়। এই এলাকাকে বলা হয় কানাডার ফ্রুট বাস্কেট। লেক অন্টারিও ও লেক ইরির পাশে হওয়ার কারণে শীতকালে বাতাসের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। এই কারণে কানাডায় উৎপাদিত ফল-মুলের প্রায় ৮০% ই উৎপন্ন হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকা সন্নিহিত এলাকায়। এই এলাকায় ১৪৫ টা ওয়াইনারি (মদ তৈরির কারখানা) আছে। এখানেও মদ বিক্রি হয় পানির চেয়ে কম দামে। ১ বোতল বিয়ারের দাম মাত্র ৪৫ সেন্ট। মদ খাইয়া মাতাল ও হইবার পারলাম না মাতলামিও করতে পারলাম না গেবন টা ১৬ আনাই মিছা হয়া গেলো
তয় আমার মত হইলো যারা এই সকল খাইয়া অকালে মরতে চায় তাদের বাঁচাইয়া রাখার কোন যুক্তি দেখি না। এদের দ্বারা সমাজ, পরিবার বা রাষ্ট্র কারোই কোন উপকার আশা করা যায় না। এদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ১০০ একরের জায়গা নিয়া ৫০ একর গোরস্থান ও ৫০ একরের পানশালা তৈরি করে দেওয়া উচিত। পান শালায় ঢুকার একমুখো দরজা থাকবে। পানশালা থেকে বের হওয়ার পথটা হবে গোরস্থানে প্রবেশের দরজা।
পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: মরলে তো একা মরবে না, পরিবার শুদ্ধা মরবে। আমাদের আবার পারিবারিক বন্ধনটা বেশি জোরালো। তাই তাদেরকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
৭৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: অত্যন্ত সচেতনতামূলক পোস্ট। অনেক কিছুই জানলান। ধন্যবাদ আপনাকে!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
৮০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
গিলগামেশের দরবার বলেছেন: ওষুধের আসক্তি থেকে জাতিকে বাঁচাতে হবে। মেডিকেল শাস্ত্রে একটা কথা বলে। " মেডিসিন ইটসেলফ অ্যা পয়জন"। আসুন বিষমুক্ত থাকি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই আহবান ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।
৮১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
মাহফুজ বলেছেন: লক্ষনগুলো তো ইয়াবাশেবীদের সাথে হুবুহু মিলে যাচ্ছে। গভীর ঘুম, মেজাজ খিটখিটে, বেশী কথা, অমনোযোগী ইত্যাদি
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হতে পারে। এটাকে অবহেলা করা মোটেই উচিত হবে না।
৮২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সমাজ সচেতনতা মুলক পোস্টটির জন্য । কাশি নিরাময়ের জন্য বাজারে সহজে প্রাপ্তিযোগ্য এ ঔষধটির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধের জন্য সংষ্লিষ্ট সরকারী বেসরকারী সকল মহল সো্চ্চার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা রাখি ।
তবে এ বিষয়ে জেন রসির মন্তব্যের সাথে সহমত EsKayef এর সাথে অনেক বিগ ফিস রিলেটেড। ব্যবসায়ি, ডাক্তার,ফার্মাসিস্ট..... সুতরাং এরা নিজেদের স্বার্থেই মানুষকে উল্টা যুক্তি দেবে। সেসব মোকাবেলার প্রস্তুতিও থাকতে হবে
EsKayef যে বসে নেই তা গুগল সার্চ করে দেখা গেল , ইউটিউব খুলে এবং এ বিষয়ে কারো কোন প্রশ্র থাকলে তৎক্ষানাত ইতিবাচচ উত্তর দানের জন্য অনলাইনে একজন ডাক্তারকে ফিট করে রেখেছে । যেহেতু সেগুলি dexpoten এর পক্ষে যায় তাই সেগুলির কোন লিংক দেয়া হলনা । কিন্তু এই dexpoten এর কুফল বন্ধের জন্য আমাদেরকে আরো অনেক অনেক বেশী সোচ্চার হতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: টাকার কাছে ঈশ্বরও নতজানু। তবুও, নিজ অবস্থান থেকে যতদূর পারি করবো আমরা সবাই।
শুভেচ্ছা।
৮৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
রাশা নোয়েল বলেছেন: ডেক্সপোটেন চেনা জিনিস। এলাকার বড় ভাইদের দেখতাম- সন্ধ্যার পর মাঠের কোণায় বসে খাইত। এইটা আসলেই বন্ধ করা দরকার।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাশা।
৮৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এ.আর.বাহাদুর (বাহার) বলেছেন: যুব সমাজের সর্বনাশা ওষুধ নিয়ে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। মডারেশানকে ধন্যবাদ পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৮৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক।
৮৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৭
নিশি মানব বলেছেন: পিলে চমকায়া গেছিরে ভাই...
এই মেডিসিনটা আমার অলিতে গলিতে ভরা।
আমি অপশ্য খাইনা, কাজিনরা খায়। দুদিন পর পর খায়।
আরেকটা কথা, যে ঔষধের কথা বলছেন, ওইটার ট্রান্সকম গ্রুপের। আর ট্রান্সকম গ্রুপ প্রথম আলোর।
এ ব্যাপারে তারা নিরব কেন?
একটা কাজ করেন, প্রথম আলোর কোন সিনিয়র সাংবাদিকরে লিংক দেন, তারা নিউজ করুক।
দেখেন কি বলে......
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পিলে চমকে যাওয়ার মতই ব্যাপার। এই লেখাটা আসলেই কোন ভালো পত্রিকায় ছাপা হওয়া দরকার।
দেখি কী করা যায়।
৮৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা।
৮৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
পুলক ঢালী বলেছেন: হামা ভাই অনেকদিন থেকে পোস্টটা স্টিকি দেখতে পেয়েও পড়িনি। আজকে পড়ে হার্ট এট্যাক হওয়ার দশা, কি ভয়ানক ব্যাপার। এখন ভয় পাচ্ছি আপনাকে নিয়ে। কর্পোরেট অর্থের ক্ষমতা-------।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি ভয় পাচ্ছেন শুনে আমি সাহস পেলাম। লেখাটা তাহলে কিছু একটা দাঁড়িয়েছে!
৮৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আগে ফেন্সিডিল নামটাতেই আটকে ছিল মাদক হিসাবে ব্যবহৃত ঔষধ। এত ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার হওয়া সত্ত্বেও কোন লেখালেখি নেই কেন? এতে কি স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের পকেটের অবস্থা জড়িত।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হতে পারে।
৯০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
চানাচুর বলেছেন: খুবই ভালো এবং সময়োপযোগী লেখা। আপনার লেখাটা শেয়ার দিলাম ভাই
আমি মাঝেমাঝে মিষ্টির জন্য পাগল হয়ে যাই। এমনকি মিষ্টি না খেলে তখন আমি কোন কিছু করার এনার্জি পাইনা। মাঝে একজন আমাকে বলল যারা গাঁজা খায়, তাদের নাকি মিষ্টির প্রতি হঠাত হঠাত ভালবাসা জেগে ওঠে
যাই হোক, আপনার প্রতি অনুরোধ থাকলো গাঁজা বিষয়ে এমন একটা পোস্ট লেখার। কারণ আপনি যে কাশির সিরাপের কথা বলছেন, তার চেয়ে আমি আমার আশেপাশে অনেক ছেলেমেয়েকে, এমনকি ভাল ভাল চাকরি বাকরি করা লোকজনের ক্ষেত্রেও শুনেছি গাঁজায় আসক্তির কথা এটার কি কোনোই প্রভাব নেই শরীরে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশ্যই প্রভাব আছে। তবে গাঁজা নিয়ে প্রচুর লেখা আছে। ডেক্সপোটেন নিয়ে নাই। গাঁজা অবৈধ। কিন্তু ডেক্সপোটেন বৈধ। এসব দেখে না লিখে পারলাম না।
৯১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
মাকার মাহিতা বলেছেন: সচেতনতা মূলক পোষ্ট...! অনেক ভাল হয়েছে...!! ধন্যবাদ ব্রাদার...!!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মাহিতা।
৯২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন পোস্ট । এসব বিষয়ে সচেতনা খুব দরকার ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই।
৯৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সচেতনতা হবে ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়
৯৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
হেৃদওয়ানুল জান্নাহ বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ আপনায়, আপনি নিজে থেকে জেগে উঠেছেন। ডাকছেন সবাইকে সোচ্চার হওয়ার।
দ্যাখেন ভাই, ডেক্সপোটেন বা সুডোকফ অবশ্যই বিষাক্ত সাপের মতই। এসব ভয়ংকর দাঁতওয়ালা নেশাদ্রব্যের বিরুদ্ধে যথাসম্ভব আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, সমাজের প্রাণশক্তির ভিত্তি তরুণরা সৃষ্টিশীল, সৃজনশীল, গঠনমুলোক কাজে নিজেদের ব্যস্ত না রাখার কারনেই এসব সমস্যার উদ্ভব ।
আমরা হয়তো ডেক্সপোটেন বা এই জাতীয় আজে বাজে সিরাপকে আন্দোলনের মুখে নিষিদ্ধ করতে পারলাম।কিন্তু এই ধরনের নেশাদ্রব্যের বাদবাকি সমারহের সবতো বন্ধ করতে সক্ষম হবো না।তাই ছেলে পেলে এসব না পেয়ে অন্য কোনো নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে আর মুনাফাখোর রাঘব বোয়াল ব্যবসায়ীরা নতুন নামে নতুন মাত্রায় অন্য কোনো নেশা দ্রব্য বাজারে ছাড়বে।
দেখেন, আমাদের প্রতিকার না করে প্রতিরোধ করা উচিত। আমাদের জানা দরকার, অসীম সম্ভাবনা আর সাহসে উল্লসিত তাজা যৌবনের তরুণরা তাদের মেধা, মনন, মুল্যবোধ, প্রতিভা বা সৃজন শক্তিকে ভাল কিছু , সুন্দর কিছু, মহান কিছু করার পেছনে খরচ না করে কালো কুৎসিৎ ভয়ালো জীবন বেছে নিচ্ছে কেন? এর নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। আপনি যেমন বলেছেন, আজকালকার যুবকদের কোনো স্বপ্ন নেই, আকাংখা নেই, গন্তব্য নেই, লক্ষ্য নেই। জীবনে যখন ইতিবাচক কিছু করার নেই, তখন জীবনটা অটোমেটিক্যালি নেতিবাচক কিছুর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।এরপর সেটাই হয় নিয়তি। আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে এসবের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের মনোস্তাত্তিক বোধদয়ে জ্ঞানের আর মুল্যবোধের প্রদীপ জ্বালাতে না পারি, তাহলে ওরা পথ হারাবে বারবার।আমাদেরইতো ওরা ভাই বা বোন, ওদের অবশ্যই বলতে হবে, জানাতে হবে ভন্দ এই পৃথিবীতে আঘাতে আঘাতে কলিজা ফেটে যখন তোমার গাল বেয়ে ব্যথিত মনের জল পড়ে, তখন অসীম আকাশের পানে তাকিও; সাহসের রঙ খুঁজে পাবে বেঁচে থাকার, কিছু করার। দেশের দু:খ, পীড়ন, যাতনা আর বেদনায় যাদের প্রাণ দুমড়ে কাঁদে-তাদের বলবো বাঁশি বাজাও দামামার, প্রলয় আনো বারবার। কাপুক এই পৃথিবী।ধ্বংস হোক যত পাপ, তাপ আর অসুন্দরের রাজপ্রাসাদ। স্নেহ, মায়া-মমতার রঙ্গিন সৌরভ যারা জীবনে পাওনি কভু; আসো না এমন এক সমাজের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করি- যে সমাজের আর কোনো শিশু ভালবাসার সুগন্ধের অভাবে কাঁদবে না, ভয় পাবে না, বিব্রত হবে না। হাসবে আর হাসবে- মধুমাখা সুন্দর মুখে যেন ফুলের আভা ছড়িয়ে পড়ে তোমার, আমার, সবার।
সেই প্রফুল্ল ও উল্লসিত পৃথিবীর জন্য আমি আছি। তোমরা আছো কি......?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুলভ নেশাদ্রব্য অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এক নেশার বদলে আরেক নেশা আসবে এই বইলা পাশা কাটানি যাবে না। তবে সুষ্ঠু বিনোদন অবশ্যই বরাদ্দ রাখতে হবে, নিয়োজিত রাখতে হবে সৃষ্টিশীল কাজে।
ধন্যবাদ দীর্ঘ এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে।
৯৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: কোন লাভ নেই, মানুষ আমরা বড়ই খারাপ।
তবুও সংশোধনের চেষ্টা করতে দোষ নেই।
সেই সুবাদে আপনার এই পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চেষ্টা করতে দোষ কী!
ধন্যবাদ বিজন রয়।
৯৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
সজুসজীব বলেছেন:
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ?
৯৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
সজুসজীব বলেছেন:
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধৈন্যা।
৯৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
দেরীতে হলেও দেখলুম ।
অনেকে অনেক কথাই বলেছেন । তবে "ঔষধ" ঔষধই । এগুলো কেমিক্যাল সাবস্ট্যান্স । এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবেই । আপনার তুলে ধরা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলো হলো এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত । সবটাই ঠিক বলেছেন ।
৭৩ নং মন্তব্যে বৃতি যা বলেছেন তা উন্নত দেশে সম্ভব । আমাদের মতো গন্ডমূর্খদের দেশে সম্ভব নয় । যে কেউ, কাউল্লা , আবদুইল্লা নামের ক্লাস টু-থ্রি পাস লোকেরা যে কোনও জায়গাতে যে কোনও সময় একটা "ফার্মেসী" খুলে বসতে পারেন । আপনি সম্ভবত দেশের কোনও ফার্মেসীতেই একজন নিয়োগকৃত ফার্মাসিষ্ট খুঁজে পাবেন না । যাদের কাজ হলো, ঔষধের ব্যবহার নিয়ম থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সাবধানতা সহ যাবতীয় বিষয় ব্যবহারকারীকে বুঝিয়ে দেয়া । তাই নিয়মমতো একটা ফার্মেসী চালাতে একজন ফার্মাসিষ্ট লাগবেই নিদেন পক্ষে ডিপ্লোমাধারী হলেও । এমনটা আছে কি ? ফার্মাসী কাউন্সিলের অনুমতি ব্যতীত ফার্মেসীর লাইসেন্স মেলেনা । সেখানে কি হয় আর স্বাস্থ্য দপ্তরই বা কি করেন যে দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো ফার্মাসী গজিয়ে উঠছে , তা বোধহয় বলে দিতে হবেনা । তাছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাকীতেই তাদের পণ্য ফার্মেসীগুলোতে সরবরাহ করে থাকেন । সুতরাং ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ফার্মাসীগুলো বলতে গেলে বিনা লগ্নীতেই ব্যবসা করতে পারে ।
সহজ ও বিনা পরিশ্রমে মূনাফা লাভের এই ব্যাধি থেকে আমরা কখনই রেহাই পাবোনা ।
তবে আমরা সচেতন হতে পারি , সংযত হতে পারি ঔষধ ব্যবহারে যেমনটা আপনি লিখেছেন । এটা অনেক অভিভাবককে সচেতন হতে সাহায্য করবে ।
প্রতিদিনের জন্যে কার্যকরী একটি পোস্ট । সাধুবাদ জানাতেই হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। এসব কারণেই ঔষধ হয়ে ওঠে নেশা সামগ্রী।
ধন্যবাদ জী এস ভাই।
শুভরাত্রি।
৯৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: সচেতনতা মূলক পোষ্ট । ধন্যবাদ ভাই।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পার্থ।
১০০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০
কামরুল হুদা দুর্জয় বলেছেন: প্রত্যেক কিছুরই একটি ভালো এবং একটি খারাপ দিক রয়েছে । এবং মানুষ খারাপের মাঝেই তার সব আনন্দকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করে কারণ তার বিবেক তখন ঘুমিয়ে থাকে । এরপর মন্দ কাজ করতে করতে তাদের বিবেক কোমায় চলে যায় । তখনি ঘটে সব অঘটন । এই ঔষধের বেলায়ও তাই ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে যদিনা সরকার ব্যাবস্থাপত্রহীন ঔষধ ক্রয় বন্ধ বিষয়ক আইন করেন । তবে শুধু আইন করলেই হবেনা প্রত্যেকটা ফার্মেসিকে এই আইন মানতে বাধ্য করতে হবে । অবশেষে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
১০১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: মারাক্তক কাজের একটা পোস্ট ।জন সাধারণ সকলের উপকারে আসবে ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং স্বাগতম।
১০২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
একজন আরমান বলেছেন:
এটা খুবই কমন আর সহজলভ্য একটা সিরাপ। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব জানিনা। তবে বাবা মায়ের বেশি খেয়াল রাখা খুব দরকার আজকালকার যুগে। হোক সে ছেলে কিংবা মেয়ে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। আমরা দেখতে দেখতে এখন অভিভাবক হয়া গেছি। কী আচানক ব্যাফার!
১০৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: প্রত্যেকটা ফার্মেসিকে আইন মানতে বাধ্য করতে হবে । হবেও বা হয়তো!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই হোক। শুভেচ্ছা।
১০৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২২
কালীদাস বলেছেন: আচ্ছা, এটাও তাহলে তুশকা ক্যাটেগরির। ১২/১৪ বছর আগে তুশকার বিশেষ জনপ্রিয়তা লক্ষ্যণীয় ছিল একটা বিশেষ বয়সের লোকদের কাছে (আইমিন আমার তৎকালীন বয়সের লোকজনের কাছে)। এগুলো নিষিদ্ধ হয় না কেন?! ফেন্সির কি দোষ ছিল?
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এর সাথে অনেক কিছু জড়িত। অনেক টাকা, অনেক ক্ষমতা। একপেশে লড়াই
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
মার্কো পোলো বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়া এগুলো দেওয়া ঠিক নয়।