নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এস এম নিয়াজ মাওলা সামু এবং চতুর্মাত্রিকের একজন গুণী ব্লগার। সম্পরতি তার একটি বই বের হয়েছে গ্রীক মিথোলজি- আদি থেকে অন্ত নামে। এই বই নিয়ে ইমরান আসিফ ওরফে ব্লগার দি ফ্লাইং ডাচম্যান গুরুতর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি প্লেইজারিজম বা লেখা কপি করার। ইমরান তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে অভিযোগটি জানায়।
তার অভিযোগ সম্পর্কে নিয়াজকে জানানো হলে তার উত্তরটা ছিলো এই-
নিয়াজ স্বীকার করে নেন যে তিনি এই লেখাটিকে সহায়িকা হিসেবে নিয়েছেন, এবং সূত্রও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এতেই কি ব্যাপারটা চুকেবুকে যায়? নিয়াজ, আপনি একজন লেখক, পুরস্কার পাওয়া ব্লগার। আপনার লেখা বইয়ে যদি লেখার রেফারেন্সের সাথে হুবহু শব্দ এবং বাক্যগঠন মিলে যায়, তাহলে আপনি শুধুমাত্র সূত্র উল্লেখ করে দায়মুক্তি পাবেন না। আপনি এবং ইমরান, দুইজনই আমার ঘনিষ্ঠ। আপনাদের সাথে ব্লগে খুব ভালো সময় কেটেছে। আপনাদের দুজনেই আমার প্রতি আন্তরিক ছিলেন। তাই আমি ইমরানের অভিযোগ এবং আপনার খন্ডন দুটোকেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেই, এবং আপনার বই এবং ইমরানের ব্লগ দুটোই খতিয়ে দেখি। দেখার পর আমার কিছু প্রশ্ন জাগে। আপনি এর জবাব দেবেন কি, নিয়াজ?
প্রথমেই ইমরানের পোস্টের লিংক দিয়ে নেই।
অ্যাসক্লেপিয়সঃ গ্রিক গড অফ মেডিকেশন অ্যান্ড হিলিং
এবার নিয়াজের বইয়ের স্ন্যাপশট দেখে দেখে নিন এই লিংক থেকে
এবার একটু গভীরভাবে দেখা যাক। স্ক্রিনশট দেখে মিলিয়ে নিন।
প্রথমে দেখুন ইমরানের পোস্ট-
এবার নিয়াজের বই
ইমরানের পোস্ট-
নিয়াজের বই
ইমরানের পোস্ট-
নিয়াজের বই
ইমরানের পোস্ট-
নিয়াজের বই-
ইমরানের পোস্ট-
নিয়াজের বই-
ইমরানের পোস্ট-
নিয়াজের বই-
ইমরানের পোস্ট-
নিয়াজের বই
নিয়াজ, একে তো বর্ণনার ক্রম হুবহু মিলে গেছে, সেই সাথে শব্দ, এমন কী বাক্যেরও হুবহু মিল যখন দেখি, তখন ব্যাপারটায় ভুল বোঝাবুঝির অবসান তো ঘটেই না, বরং আরো বেশি ঘোঁট পাকিয়ে ওঠে।
৬৫০ পৃষ্ঠার বইয়ে এটা খুব সামান্য হয়তো বা, তবে কেউ যখন নিজের লেখাকে হুবহু একইরকমভাবে বইয়ে ছাপা হতে দেখে, অনুভূতিটা খুব ভালো হবার কথা না তখন।
আপনার মত একজন বলিষ্ঠ এবং পরিশ্রমী লেখক ও ব্লগারের কাছ থেকে এমন খেয়ালীপনা আশা করি না। এই পোস্টটা দেবার মূল উদ্দেশ্য এটাই, যেন সবাই নিজের গবেষণাকর্মের ব্যাপারে যথাযথ নিয়ম মেনে চলেন। যাতে ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতি তৈরিই না হয়।
আমি সবার মতামত চাইছি। যে স্ক্রিনশটগুলো দিয়েছি, সেগুলোর জন্যে কি অভিযোগ করা চলে, না কি চলে না?
ভুলটা কি আমার, ইমরানের, না কি নিয়াজের?
আলোচনা কাম্য।
২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: উনি ডাক্তার।
২| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসান ভাই, আপনি আমার খুব শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। পোস্টটি আপনার বলে কমেন্ট করার সাহস করলাম। যেহেতু অভিযোগকারী ব্লগার ও লেখক দু'জনই সামুর সিনিয়র ব্লগার এজন্য কপি-পেস্টের বিষয়টি সহজে ধরা পড়েছে। ৬৫০ পৃষ্ঠার বইয়ে হয়তো এগুলো তেমন চোখে পড়ার নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে সেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
আমি মনে করি, লেখক যদি বাক্যগুলো হুবহু না দিয়ে একটু ওলট-পালট করে দিতেন, সাথে নতুন নতুন শব্দ ও বাক্য সংযোজন করতেন তাহলে ভাল হত। এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত মতামত। আর রেফারেন্স হিসাবে লেখক অভিযোগকারীর নাম যেহেতু উল্লেখ করেছেন সেহেতু সমস্যা হতো না।
২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৩| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আসিফ ইমরানের ফেসবুকের যে লিঙ্ক দিয়েছেন সেটি কাজ করছে না।
যাইহোক, এইভাবে হুবহু বা আংশিক ভাবে মিলে যাওয়াকে আমি ইচ্ছাকৃত বলেই মনে করি।
আর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছিল দুইজন কবির নামে। যাক সেসব কথা। ব্লগের ব্লগারদের সবচেয়ে সুশীল বলে মনে করি। উনারা আজীবন লেখা চুরির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এখন উনারাই যদি এমন করেন- বিষয়টা লজ্জাজনক।
২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই লিংকে দেখেন তো- Click This Link
৪| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মূল লেখকের খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক।
২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।
৫| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমার মতামত: বিষয়টা দুঃখজনক। কারো লেখা কপি করে (সেটা যেভাবেই হোক) বই ছাপানো, নিন্দনীয় কাজ...
২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মতামতের জন্যে ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এভাবে কপি করাটা খারাপই লাগে। যদিও গুগলের কল্যাণে সব লেখাই রেজাল্ট হিসেবে আসে। যেহেতু, নিয়াজ সাহেব বই লিখেছেন(ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে সম্ভবত) সেহেতু এভাবে এত লম্বা কপি করা উচিত হয়নি। তাহলে এক সময় দেখা যাবে, যে কেউ পুরোনো পত্রিকা থেকে কপি পেস্ট করে ফিচার নিজের নামে চালিয়ে দিবে...
২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্যে।
৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ইতিবাচক মন সংকটকেও মোকাবেলা করার সাহস যোগাতে পারে। ভাবুন এরচেয়ে ভয়ংকর সংকটও হতে পারত।
আর প্রতিটি সংকট, বিপদ একটি শিক্ষা। এ অভিজ্ঞতা আপনার আগামীদিনে কাজে আসবে। এমনকি এ সংকটই আগামীতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে।
২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুই বুঝলাম না।
৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
খনাই বলেছেন: কোটেশন ছাড়া এই রকম মিল হওয়াটা অবশ্যই একটা বড় ধরণের অপরাধ | আপনার স্ক্যান গুলো দেখে মনেই হচ্ছে যে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা নকল (স্যরি আর কিছু ভাবতে পারছিনা এই মিল দেখে) | এটা ফুটনোটে বা অন্য কোনো খানে এক লাইনে সূত্র লিখে জানাবার বিষয় নয় | প্রকাশিত লেখার ক্ষেত্রে একটা ডেকোরাম আছে সেটা মেনে চলতেই হবে | তবে অবাক হলাম দেখে যে এই লেখককে লেখার শুরুতেই আপনি গুণী ব্লগার হিসেবে উল্লেখ করেছেন | গুনীদেরতো এতো বড় ভুল হবার কথা না !
২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সে ডয়েচ ভেল পুরস্কার পাওয়া ব্লগার। ভাবেন এখন!
৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাঙালি বাঘা বাঘা প্লেইজারিজম সফটওয়্যারকেও হার মানাইতেছে, এতো সামান্যই ! সূত্র উল্লেখ করিয়া প্যারাফ্রেজ তৈরী করিলে এই যন্ত্রনা আর হইত না !
২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাঙালি সবসময় একই নীতিতে চললে বাঙালিই থেকে যাবে, আর বাঙালি হতে পারবে না।
১০| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: আমরা এখনও প্লেইজারিজমের ব্যাপারটাতে অনেকেই পরিষ্কার না। অনেকেই এখনও মনে করে একটু আধটু কাট-পেস্ট করলে তেমন ক্ষতি-বৃদ্ধি নেই। কী ভয়ঙ্কর কথা!
এই ব্লগার ভদ্রলোকও হয়ত কুম্ভীলকবিদ্যার ব্যাপারটা নিয়ে অতটা চিন্তিত ছিল না। কিংবা ধরেরই নিয়েছে এইটুকুতে...। তাই তিনি প্রকৃত লেখককে পুরোপুরি এড়িয়ে যান নি। কী নিদারুন অজ্ঞতা!
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবাই ব্যাপারটি হালকাভাবে দেখতে চেয়েছিলো, কিন্তু এটা খুব ক্ষতিকর চর্চা। তাই কলম ধরলাম। ধন্যবাদ আখেনোটেন।
১১| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৯
সুমন কর বলেছেন: কপি করলে রেফারেন্স অবশ্যই দিতে হবে। যেহেতু উনি পুরনো তাই উনার কাছে এটা কাম্য নয়।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: উনি রেফারেন্স দিয়েছেন। কিন্তু রেফারেন্স দিলেই হুবহু তুলে দেয়া বাক্য নিজের হয়ে যায় না। অন্তত ইনভার্টেড কমার মধ্যে রাখতে হতো।
১২| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়াবহ চৌর্যবৃত্তি!!!!!
কপিরাইট আইনে মামলা করা যায় না!!!! তাহলে বাকী সকল চোরদের জণ্য শিক্ষনীয় হতো! যে না চুরি করে পার পাওয়া যায় না।
অট:
আপনিতো মহা ব্যস্ত জানি। তারপরও
মানবতার দাবী নিয়ে প্রিয় ব্লগারের দুয়ারে এলাম।
কালকে ইফতারির আগে পোষ্টটা করেছিলাম! দ্রত্ই প্রথম পেইজ পেরিয়ে যাওয়ায় মনে হয় কম নজর পেয়েছে!
অথৈর জন্য মানবিকতার দাবীতে যাদের কাছে অধিকার আছে মনে করছি-
তাদের নজরে আনতে তাদের বাড়ী বাড়ী ঘুরছি! আশা করি মনে কষ্ট বা বিরক্তি নেবেন না!
অথৈ আজ থৈ হারিয়ে মৃত্যুর পাঞ্জায়- ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু অথৈ বাঁচতে চায়!
২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভাই। যাচ্ছি লিংকে।
১৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬
কাইকর বলেছেন: খুব খারাপ জিনিস এগুলা।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই।
১৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক আছেন। ইমরান সাহেবের বক্তব্যও সঠিক। নিয়াজ সাহেবের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এবং তার বইটির পরবর্তী সংস্করণে এগুলো অবশ্যই বাদ দেওয়া উচিৎ (পরবর্তী সংস্করণ আদৌ যদি হয়)।
চৌর্যবৃত্তিকে আমি অন্তর থেকে ঘৃণা করি। ধন্যবাদ হা মা ভাই।
২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ হেনা ভাই। ভালো থাকবেন।
১৫| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিরাট ঝামেলার পোস্ট। মিটমাট করে দিন।
২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা।
১৬| ২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: ইতিহাস বিষয়ে লেখা এবং ধর্মীয় ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। তবে একজনের লেখা কপি না করেও লেখা যায়। তবে এই বিশেষ ক্ষেত্রে অন্যের লেখা কপি করে তার নাম উল্লেখ করার মানে হল নায়কের করুণা কত বড় তা দেখানো। প্রতিহিংসা আর শব্দ ঋণ এক কথা নয়।
২৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
গবেষণার কথা এসে যাওয়ায় প্রশ্ন, ডা: নিয়াজ সাহেবের বইটা কি থিসিস?
বুঝা যাচ্ছে, ডা: নিয়াজ সাহেব ইমরানের লেখা নকল করেছে; নিয়াজ সাহেব কি ডাক্তার, নাকি ডক্টরেট?