নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
তোমাদের ঘরে ফিরতে হবে। এখন তোমাদের ঘরে ফিরতেই হবে। জানি তোমাদের খুব রাগ হচ্ছে আমার কথা শুনে। তোমাদের সহপাঠীদের আঘাত করা হয়েছে। তোমাদের ৯ দফা দাবীর বাস্তবায়নে কোন প্রতিশ্রূতি আসে নি। কিন্তু তারপরেও তোমাদের ঘরে ফিরতে হবে। কেন, জানো? তোমরা যে দাবীগুলো দিয়েছো, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু করে দেখিয়েছো এই কদিনে। তোমাদের এই অসাধারণ কাজগুলি দাবীগুলিকে ছাপিয়ে গেছে। আজ আমি যখন বাসায় ফিরছিলাম হেঁটে, ফুটপাথ ধরে হেঁটেছি (যতটুকু পারা গেছে আর কী, ফুটপাথের অবস্থা তো জানোই)। পরে যখন রিকশায় উঠলাম, রিকশাটা একবার রাস্তার কিছুটা মাঝদিকে চলে গিয়েছিলো। তখন পাশ থেকে একটা মোটরসাইকেল যাবার সময় বললো, “কী ব্যাপার, বামে চাপাও”। রাতের বেলায় তোমরা যখন রাস্তায় থাকো না, তখনও গাড়িগুলো সারি বেঁধে চলে। এ রকম অসম্ভব ব্যাপার কেউ কল্পনা করতে পেরেছিলো কখনও? আজ খবরে দেখলাম পুলিশের বড় কর্তা ট্রাফিক বিভাগে কর্মরতদের বলেছেন, ভালোভাবে সব গাড়ি চেকিং করতে, তোমরা বুঝতে পারছো কোনখানে নাড়া দিয়েছো?
আমি জানি না সরকার তোমাদের সবগুলো দাবী পূরণ করবে কি না। হয়তো সবগুলিই পূরণ করবে, হয়তো আশ্বাস দেবে, হয়তো আশ্বাসও দেবে না। কিন্তু বিশ্বাস করো, এই দাবী মেনে নেয়া না নেয়া দিয়ে তেমন কিছুই এসে যায় না। কারণ এখন থেকে,
যে রিকশাওলাটি গতির নেশায় রাস্তার মাঝপথ দিয়ে ছুটছে, তাকে রিকশায় বসা মানুষটি যদি কড়া করে ধমকে দিয়ে লাইনে আনবে।
যে বাইকার ফুটপাথে বাইক উঠিয়ে দিতো সে এই কাজটি করার আগে আরেকবার ভাববে।
কেউ যদি ফুটপাথে বাইক উঠিয়ে দেয় তাকে অন্যরা বাধা দিবে।
যে বাস ড্রাইভারটি ওভারটেকের নেশায় রেস করছে তাকে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবে।
আমরা এখন থেকে শর্টকাটে রাস্তা পার না হয়ে ওভারব্রিজ ব্যবহার করবো।
আমি ওপরের কথাগুলি পালন করে চলবো, প্রতিজ্ঞা করছি। আমি অন্যদের এগুলো মেনে চলতে বাধ্য করবো। আমার ছোট্ট বাচ্চা দুটি, যারা এখনও সিস্টেমের গলতি সম্পর্কে জানে না, তারা জানবে ওটাই সিস্টেম। আমি জানাবো। আমার স্ত্রী জানাবে। আমার ঘনিষ্ঠজনদের প্রত্যেককে এগুলো মেনে চলতে বাধ্য করবো। কথা দিচ্ছি। শুধু তাই না, তারা যেন অন্যদের এগুলি পালন করতে বাধ্য করে তা নিশ্চিত করবো।
দেখলে তো, একজনের সাথে কতজন কানেক্টেড হয়ে গেলো?
আমার প্রিয় অনুজেরা,
সিস্টেম একদিনে পরিবর্তন হয় না। জাপানের মানুষ আজ সারা বিশ্বে উদাহরণ। ভদ্রতার জন্যে, আন্তরিকতার জন্যে, নিয়ম শৃঙ্খলার জন্যে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে কি ওরা এমন ছিলো? ছিলো না। ওরা পার্ল হারবারে হামলা করেছে, চাইনিজদের ওপর নির্যাতন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিলো ওদেরকে বদলে দেবার এক ক্রান্তিলগ্ন। আমরা আমাদের বহুল আকাঙ্খিত সেই ক্রান্তিলগ্ন খুঁজে পেয়েছি তোমাদের মাধ্যমে। তোমাদের প্রতি আর দশবছর পর বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে, লিখে রাখো। তোমরা এই চার-পাঁচদিনে যা করেছো তা বাংলাদেশের জন্মের পর কেউ করতে পারে নি। করা যাবে বলে বিশ্বাসও করে নি। এখন এই বিশ্বাসটা এসেছে। আমি স্বপ্নবাজ মানুষ না। দেশকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে, রাজনীতিবিদদের গালাগালি করে সময় কাটাই। এখন থেকে আমি অবসর সময়ে আমার বন্ধু, সতীর্থ, সহকর্মীদের সাথে তোমাদের রচিত গৌরবগাঁথার গল্পটাই করবো। এটা যে শুধু গল্পতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা তো আগেই উল্লেখ করেছি।
আমি যতদূর জানি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক কিছু সংস্কারের প্রস্তাব গেছে। আমাদের দেশে আইন থাকলেও তা বাস্তবায়ন করার মানুষগুলো ঠিক আমলে নেয় না, আমরাও নিজেদের দিকটাই বেশি ভাবি। তারপরেও আমাদের আশা করার সাহস তোমরা দিয়েছো। এতদিনের জং ধরা সিস্টেম পরিবর্তন করার সোনার কাঠি তোমাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ধরে রাখবো কথা দিচ্ছি।
এখন ফিরে যাই রাস্তায় থাকা না থাকার প্রসঙ্গে। কাল তোমরা মিরপুর ১৩তে মার খেয়েছো। আর আজ ধানমন্ডিতে তো প্রলয় ঘটে গেলো! গুজব ছড়িয়েছে যে ৪টি লাশ পড়েছে, রেপ হয়েছে, চোখ উপড়ে নেয়া হয়েছে, এগুলো পরে মিথ্যাও প্রমানিত হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। কাল কিন্তু আজকের গুজব সত্যিও হয়ে যেতে পারে। ছাত্রলীগ তোমাদের পিটিয়েছে, কিন্তু লাশ ফেলতে পারে নি, এতে অনেকেই খুব দুঃখ পেয়েছে। হ্যাঁ, আমি তাদের নাম নিবো। তারা বিএনপি, জামাত।
তোমরা কাল কেন রাস্তায় নামবে? গুণ্ডাদের সাথে লড়াই করার জন্যে? আজ লীগ মাঠে ছিলো, কাল দল থাকবে, শিবির থাকবে। তোমাদের একটা লাশ পড়লে তারা যে কী আনন্দিত হবে, বুঝতে পারছো? বিএনপির নেতা আমীর খসরুর ফাঁস হওয়া ফোনকথন শোনো নি? শুনে নিও।
তোমরা আজ প্রেস কনফারেন্সে বললে “জোহরের নামাজের পর একদল লোক এসে আমাদের জানায়, জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করছে। সে কথা শুনে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে যায়। তবে আমরা অবস্থান ছাড়িনি। বিচ্ছিন্নভাবে কে কারা হয়তো আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে গেছে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে”।
তোমাদের এই ন্যুব্জ মুখ, আর দেখতে চাই না। পপুলারে, ল্যাব এইডে তোমাদের মধ্যে অনেকেই মারাত্মক আহত হয়ে ভর্তি হয়েছো। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এত সিরিয়াস ইনজুরি হয়? কেবল এক পক্ষ আহত হয়?
তোমাদের প্রতি তো অনেক কমিটমেন্ট দিলাম, তোমরা এখন কমিটমেন্ট দাও, যখন বড় হবে, যৌবনে পদার্পণ করবে, তখন তোমাদের প্রতি আজ যা হলো, সেটা অন্যদের প্রতি করবে না। ডিল? দেখো তবে দশ বছর পর কী হয়!
যারা আমার লেখা পড়ছেন, যারা আমার মত অভিভাবক, তাদের লাইক কমেন্ট শেয়ার করে পাশে থাকার দরকার নাই। কমিটমেন্ট দেন। প্রতিজ্ঞা করেন,
১। ফুট ওভারব্রিজ ছাড়া রাস্তা পার হবেন না
২। রিকশাকে লাইনে রাখতে বাধ্য করবেন
৩। বাসচালককে ঠিকমত গাড়ি চালাতে বাধ্য করবেন
৪। সংরক্ষিত আসনে যাদের বসার কথা তাদেরকেই বসতে দিবেন
৫। ফুটপাথে বাইক ওঠাবেন না, আর কেউ ওঠালে তাকে নামায় দিবেন
৬। গতিসীমা বজায় রেখে গাড়ি চালাবেন
৭। ইউটার্ন নিবেন, ঘুরে যেতে হলেও। রং ওয়ে দিয়ে যাবেন না।
যদি প্রতিজ্ঞা করার হ্যাডম থাকে, তাহলে ভালো। নাহলে তাদেরকে বাড়িতে বসিয়ে খোপের মধ্যে বন্দী করে রেখে সোনালী যোগবোধক চিহ্ন প্রসব করতে সাহায্য করুন, আর কবর খুড়ুন ভবিষ্যতের।
ভালো থেকো প্রিয় অনুজেরা, ধন্যবাদা আমাদের পথ দেখানোর জন্যে।
ইতি
তোমাদের গুণমুগ্ধ
হাসান মাহবুব
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছেলেমেয়েগুলো মানুষের মনে দাগ কেটেছে
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪
অন্তরন্তর বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন হাসান ভাই। আসলেই বাচ্চাদের এখন ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত। আমার ভাতিজা মতিঝিল আইডিএল স্কুলে পড়ে। সে প্রথম ৪ দিন ছিল আন্দোলনে। আমি এখান থেকে ওকে সাহস যুগিয়েছি এবং গত শুক্রবার থেকে আমি না করেছি আর যেতে। সেও আর যায়নি। কিন্তু যে ছেলেগুলু আজ আহত হয়েছে তাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। আর যারা এই ছেলেদের উস্কানি দিয়ে আজ আহত হবার কাজটি সহজ করে দিয়েছে তাদের জন্য শুধু ঘৃণা। যারা এই বাচ্চাদের ঘাড়ে চরে সরকার পরিবর্তন করতে চাচ্ছে তারা নরকের কীট এবং এদের মেরুদণ্ড নাই। বাচ্চাদেরকে আমিও বলি ঘরে ফিরে যেতে। আল্লাহ্ আমাদের সকলের সহায় হউন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও আমার কাজিনকে মানা করে দিয়েছি ভাই। বাচ্চাদের ওপর এই বর্বরতার বিচার হবে একদিন।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
বিষাদ সময় বলেছেন: একেবারে ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে...............
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: তবুও সময় বিষাদের।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাচ্চাদের আরো আগেই ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত ছিলো। ঘুনে ধরা রাষ্ট্র কোনো আন্দোলনকেই ভালো চোখে দেখে না। সে যত ভালো আন্দোলনই হোক না কেন।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকে না থাকলেই হতো। এর আগের কদিন থাকা দরকার ছিলো। নাহলে আমরা জানতাম কীভাবে যে এসব করা যায়?
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এই কিশোর-কিশোরীরা এখনো শিখছে; এরা জাতির "রো ম্যাটেরিয়াল"। ওদের প্রতিবাদের ভাষায়, আচরণে এখনো পরিপক্বতা আসেনি এজন্য এরা জানে না কঠিন সত্য কথাটি বলতে হয় বড়দের মত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে, সুন্দর ভাষায়। এজন্য বড়রা ভদ্র পোষাক পরে মনে মনে যে খারাপ গালিগুলো দেয় তাই তারা অনভিজ্ঞতার কারণে প্লেকার্ডে লেখছে।
তাদের এমন নোংরামি প্লেকার্ড প্রদর্শনী বড়দের জন্য লজ্জা ও ঘৃণার হতে পারে; তবে তাদেরকে রাস্তায় নামানোর দায়ভার বড়দের, এটি অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই। এরা ডিজিটাল জামানার কিশোর-কিশোরী।
এর দায়ভার ১৯৭১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত যারা এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন বা আছেন। যারা দেশের গণ পরিবহন ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলাবিধির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ আন্দোলন কোন দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি দেশের ঘুমিয়ে পড়া আইন ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে; এদেশে একজন পরিবহন চাঁদাবাজ, পরিবহন মাফিয়াও মিনিস্টার হয়!!
দেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিআরটিসি, বিআরটিএ হলো সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ ডিপার্টমেন্ট। এজন্য লাইসেন্স ছাড়া চালক হয়, ফিটনেস ছাড়া বাস হয়, টাকা দিলেই লাইসেন্স মেলে। ভিআইপি ও সরকারে উচ্চ পর্যায়ের লোকদের লাইসেন্স লাগে না। এরা উল্টো পথে গাড়ি চালাতে পারে।
আমাদের দেশে আইনের কোন অভাব নেই; হাতির আকৃতির পরিবহণ আইনও আছে; তবে এগুলো কাগজ সর্বস্ব। এ আইন শুধু নিরীহ পাবলিককে ঘায়েল করতে ব্যবহার করা হয়, তবে যাদের ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা, টাকার কুমির আইন তাদের বেলায় ভোঁতা।
আর এসবের ফলাফল হলো কিশোর-কিশোরীদের এ আন্দোলন। এদের অশ্লীল গালি ও প্লেকার্ড লেখার দায়ভারও বড়দের। বড়রা নিজেদের দায়িত্বটি ঠিকমত পালন করলে এদেরকে রাস্তায় নামতে হতো না; এ আন্দোলন দেশকে সঠিক পথে আনার একটি শুরু মাত্র।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: তারা তো এখন আর রাস্তায় নাই। তাদের দেয়া শিক্ষাগুলা মনে রাইখেন। তাহলে ১০ বছর পর চেঞ্জ হবে দেশ।
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
সোহানী বলেছেন: হাঁ ওদের ফিরে যাওয়া উচিত। লাঠি, হাতুড়ি, গুলির সামনে আমি আমার বাচ্চাকে দিতে পারি না। পৃথিবীর সব কিছুর উর্ধে আমার বাচ্চারা..............।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। এই বাচ্চারা একদিন বড় হবে। তারা পচে যাওয়া সিস্টেমের অংশ হবে না আমি এই স্বপ্ন দেখি।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: এখন যে অবস্থা তাতে বাচ্চাদের দু-ধারী হায়েনাদের বিষাক্ত থাবায় চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তাই আপনার কথাতে সুর দিয়েই আরো বলতে হয় 'ফিরে যাও। যা দেখিয়েছ তা হজম করার জন্য প্রশাসন ও ক্ষমতাসীনদের বহুদিন লাগবে। ঠিক তাদের অহমে কুঠারাঘাত করেছ। এরপরও যদি এত এত নৈরাজ্যের ব্যাপারে হুঁশ ফিরে আসে জেগেও ঘুমে থাকা দৈত্যদের। ফিরে যাও বাচ্চারা'।
এভাবেই হয়ত একদিন আমরা সত্যিকারের ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ দেখব যেখানে মানুষ দল-মত নির্বিশেষে ভালো কাজের জন্য নিজেদের সঁপে দিবে যেমনটা এই অান্দোলনে শুভবোধের মানুষের সমর্থন যুগেছে।
আর যারা বলছে এই অান্দোলন থেকে কিছুই পাওয়ার নেই, কোনো পরিবর্তন হওয়ার নয়, যে লাউ সেই কদু, বাচ্চাদের রাস্তায় নামাই ভুল হয়েছে, এইসকল না-মানুষদের জন্য থাকল শুধুই করুণা।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি প্রচুর হ্যাঁ-মানুষ দেখতে চাই, যারা এই আন্দোলনকে বুকে ধারণ করবে। আপনাকে তাদের মধ্যে দেখে ভালো লাগলো।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: হ্যা, সত্য সুন্দর পরাজিত হলে হোক অনুজেরা এবার বাড়িতে ফেরো I দানবের রক্ত পিপাসা থেকে সবার আগে আমাদের এই অনুজদের বাঁচাতেই হবে I শাজাহান খান ক্ষমতা আলো করেই থাকুক I সমাজের অক্ষমতা ক্ষমা করে অনুজেরা তোমরা এবার বাড়ি ফেরো I
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই বর্বরতার বিচার একদিন প্রকৃতি করবে। কার্মা ইজ আ বিচ।
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একই আহবান কেউ কেউ করাতে ভুল বুঝছে কেউ কেউ...
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুল বোঝার অনেক সুযোগ আছে। ভুল থেকে বেঁচে থাকতে হবে আমাদের।
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ!
এভাবে চললেই দেশটাকে অন্য রুপে পাবো। কেউ নিয়ম অমান্য করার আগে অন্তত এই আন্দোলনের কথা একবার ভাববে
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চলো এগুই।
১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের মানুষ কোন কিছু যাচাই-বাছাইয়ের চেয়ে গুজবে কান দেয় বেশি ৷
বহু বড় পদের লোকও কান কথায় বিশ্বাস করে, যাচাই-বাছাইয়ের ধার ধারে না ৷
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ
১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
হাঙ্গামা বলেছেন: ভালো লেখা লিখছেন।
আমি নিজে ও কালকে রিকশা দিয়ে বাসায় যাবার সময় রিকশা ওয়ালাকে বামে চেপে যেতে বলছি।
এখন রিকশাওয়ালারা ও সতর্ক হয়ে গেছে। কারন লাইন ধরে না গেলে সামনের কোন ষ্টুডেন্ট চেকপোষ্টে হয়তো তাদের ধমক খেতে হবে।
এই রিকশাওয়ালা আর ড্রাইভাররা ৭ দিন আগে ও সব কিছু থোড়াই কেয়ার করত। পুলিশকে পাত্তাই দিত না।
অথচ ছাত্রদের চাইতে পুলিশকে বেশি ভয় পাওয়ার কথা ছিলো।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: চলুন বদলাই!
১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫০
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫১
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: গরু ছাগল চিনলেই নাকি লাইসেন্স দেয়া উচিৎ
অশিক্ষিত হলেও নাকি লাইসেন্স দেয়া যায়
- বলেছিলেন বেহায়া জুতা শাজাহান
যার ফল আমরা ভোগ করছি...
১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ছেলেদের রাস্তায় না নামিয়ে আমাদের নামা উচিত ছিল। আমরা তা করিনি। এর মাশুল আমাদের দিতে হবে। ছাত্রদের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বাসায় তাদের ভাষাজ্ঞান নিয়ে অভিভাবকদের বোঝাতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে পিতা মাতা নিজেরাই অশ্লীল বাক্যের শিকার হবে।
এখন এই আন্দোলনের বাই প্রোডাক্ট রাস্তায়। তার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে জনগন আরো ভুগবে। একটি অপরিণত জাতির ভুল থেকে বিভিন্ন দেশের শক্তি এদিক ওদিক ছুটে গেছে। কিছু চক্রান্ত চলছে। এই প্লটগুলো রচনা করার সুযোগ এই দেশের বোকাটে মানসিকতা। এর থেকে শিক্ষা না নিলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার! পথ হারাবে বাংলাদেশ!!
শেষকথা একটাই, ছাত্রদের পড়াশোনা করতে হবে। জাতি তবেই এগিয়ে যাবে। ওরাই এদেশের কাণ্ডারি!
১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
সনেট কবি বলেছেন: স্বজাতি নিয়ে আমাদের ব্যাপক ভাবতে হবে।
২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন হৃদয় ছোঁয়া আহবান!
জানিনা তাদের ক’জন এই ব্লগ পড়ে। আর তাদরে গরম রক্তের উত্তেজনায় তা কতটুকু সাড়া দেবে
তবে আবেগের সাথে বুদ্ধির সমন্বয়েই যুদ্ধে জয় এনে দেয়।
জয়তও হয়েছে অনেক আগেই- যখন মন্ত্রীর গাড়ী ঘেুরতে বাধ্য হয়েছে। বিচারপতি নগ্ন হয়েছে। আইনের লোক আইন মানেনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আম জনতা খুশি মনে বাহবা দিয়েছে। মায়েরা খাবার মুখে তুলে খািইয়ে দিয়েছে।
হামা, ভােই আপনার মাধ্যমে একটা প্রস্তাব রাখতে চাই।
এখন এ অবস্থায় এভাবে হুট করে ফিরে গেলে ছাত্র এবং সাধারন জনতা সকলেই পরিবহন মাফিয়াদের কাছে আরও বশি ভুক্তভুগি হবে। তারা উপহাস করবে। ছাত্রদের হাফ ভাড়াতো কখনোই তারা মানতে চায় না। তার উপর পরিবহন মালিক মাফিয়া গং তাদের জেদ দেখিয়ে দেশকেই অচল করে রাখছে দীর্ঘদিন।
তাই মধ্যম এবং উত্তম পন্থার সমাধান হলো ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক। যেখানে ছাত্র প্রতিনিধি, পরিবহন প্রতিনিধি এবং সরকার থাকবে। জটিল কোন আলোচনা নয়, চুক্তি নয়। সরকার যে দাবী গুলো মেনেছে বলে বলছেন তাই সকলের উপস্থিতিতে সম্মতিতে যৌথ ঘোষনার মাধমে লাইভ প্রচার।
তাহলে সকলেরই উইন উইন সিচুয়েশনে থাকবে। এবং ছাত্র ও আমজনতার ভবিষ্যত ভোগান্তি কম হবে। আর পরিবহন মাফিয়ারা্ও যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেনা।
নইলে লিখে রাখেন -তাদের উদ্ধত্য অন্য সকলবারের চেয়ে এবার সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
কারণ তাদের জেদের কাছে সরকার নতজানু হচ্ছে।
ভেবে দেখুন। সম্ভব হলে উচ্চ পর্যায়ে ধারনাটুকু পৌছে দিন।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
++++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা বাসের মধ্যে স্টাফ থাকে কয়জন আর যাত্রী থাকে কয়জন? বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করলে কয়জন প্রতিবাদ করে? সবাই বসে বসে মোবাইল গুতাতে ব্যস্ত থাকে। গন্তব্যে পৌঁছুতে পারলেই হলো। আমার লেখায় বলেছি তারা বেপরোয়া গাড়ি চালালে সবাই মিলে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। এটা একটা ধীর সিস্টেম। পরিবর্তন হলে এভাবেই হবে।
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে গেলে এই স্কুলের বাচ্চারা আরো ওদের কব্জায় চলে যাবে। তবে হ্যাঁ, আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক একটা সমাপ্তি দরকার ছাত্রদের তরফ থেকে। সেখানে তারা তাদের দাবীর ব্যাপারে অবস্থান জানাবে, তাদের রক্ষা করতে প্রশাসনের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করবে। আর সবার প্রতি আহবান থাকবে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করার।
২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আমাদের ছেলেমেয়েরা আন্দোলনে যে শিক্ষা দিয়েছে, সেই শিক্ষায়ই আপনার প্রতিজ্ঞার সাতটি লাইন। আমরা মনে রাখার চেষ্টা করবো, চেষ্টা করবো মেনে চলার।
দুর্ভাগ্য, আমাদের সরকার প্রধান বর্তমানে পরিবহন মাফিয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করুন।
২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৩
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আজকে যে হামলাটা হল এর ব্যপারে কি বলবেন আপনি? এখনো কি দাবী আদায় করা ছাড়া আমাদের উঠে যাওয়া উচিৎ?
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন মাঠে থাকলে শুধু মারামারিই হবে। স্কুলের ছাত্ররা পেশাদার গুন্ডাদের সাথে পারবে? স্কুলের ছাত্ররা তাদের কাজটা করেছে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা দেখতে চাই না। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বিবৃতি দিয়ে দাবী আদায়ের পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে পারে, সেই সাথে তাদেরকে রক্ষা করতে প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারে। মাঠে থাকতে চাইলে ভার্সিটির ছেলেরা থাকতে পারে, আজকে যেমন ছিলো। তাতে অন্তত শক্তির ভারসাম্য থাকে।
২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রতিজ্ঞা করলাম।
দারুণ লিখাটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। +
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
২৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
এস.এম এরফান বলেছেন: ঘরে ফিরে যাও; সহমত।
২৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি সাধারনত চেষ্টা করি আইন মেনে চলার। আশপাশের লোককেও উৎসাহিত করার চেস্টা করি। ওদের জোয়ার দেখে মনে বড় আশা জেগেছে, এই বাংলাদেশ বৃথা হতে পারে না!!
২৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: আসলেই এখন ফিরে যাওয়া দরকার। বাচ্চারা যা দেখাবার দেখিয়ে দিয়েছে।
২৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: স্কুলের বাচ্চাদের যৌক্তিক দাবী পূরনের অঙ্গীকর এবং বাস্তবায়ন না করে যে এইভাবে নিশৃংষ আক্রমন করা হতে পারে তা পুরোপুরি অকল্পনীয়। দেশটাতো আর মিয়ানমার বা ফিলিস্তিন হয়ে যায়নি। তবে রাজপথে আর বাচ্চা ও মেয়েদের কোন মূল্যেই দেখতে চাই না।
আজকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে ভিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।এই ছাত্ররা অন্যের ইচ্ছায় আন্দোলনে যায় না বা বন্ধও করে না।তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যে কোন ডিসিশনের পাশে আছি এবং থাকব।
২৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ খোলা চিঠি।
আমার মনে হয় এই প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশ।
আমাদেরও দেখার মতো স্বপ্ন আছে।
সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এ প্রজন্ম।
তাদের জন্য শুভ কামনা।
২৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এখন ফিরে যাওয়া দরকার। তবে সেই সাথে আয়নায় নিজের চেহারা দেখার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে মহামান্য নেতা/নেত্রীদের | আর গা থেকে খুলে ফেলতে হবে গন্ডার নামক প্রাণীটির চর্ম |
৩০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: আন্দোলনের জয় অনেক আগেই হয়েছে।
আপনার সাথে আমিও বলতে চাই, বাচ্চারা ফিরে যাক।
৩১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমিতো অন্যান্নদের মত বিএনপির আমিরখসরু সাহেব বা নাওশবাকে দোষ দেই নি,
আমিরখসরু সাহেব দলের পক্ষে যে সুযোগ নেয়ার কথা সেটাই করছে। বিরোধীদলে থাকলে আওয়ামীলীগও করতো।
আর নওশবা টাকার বিনিময়ে সিনেমায় অভিনয় করে, এই নাটকেও টাকার বিনিময়ে অভিনয় করেছে।
পুরো সেটআপ করেছে জামাত-শিবির, বিএনপির এত রিসোর্স এত ব্রেন এত সাইবারটিম নেই।
একটু মাথা খাটান, স্কুল-কলেজের ছাত্ররা ৭ দিন জাবত আন্দোলন করছে কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্ররা কোথায়?
ঢাকা নারায়নগঞ্জে শত শত মাদ্রাসা। লাঠিহাতে সাদা শার্টে বলিষ্ঠ দামড়াপোলা গুলো কারা? নিউমার্কেটের সব কলেজড্রেস সাদা শার্টগুলো কোথায় গেছে বুঝতে পারছেন।
'ছাত্রছাত্রীদের আটকে রেখে ধর্ষন' ব্যাপারটি যদি প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা হ্যান্ডেল করতো তাহলে এভাবে হওয়ার কথা না।
প্ল্যান, হ্যান্ডেল সেটআপ করেছে জামাত শিবির।
প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা হ্যান্ডেল করলে ছাত্রছাত্রীরা দলবেধে নিখোজদের অভিভাবকদের নিয়ে ধানমন্ডি থানায় জিডি/এজাহার দায়ের করে পুলিশ-সাংবাদিক নিয়ে আওয়ামীলীগ অফিসে যেত। পুলিশ নিয়ে তল্লাসি করতো। তল্লাসিতে বাধা দিলে আদালতে হাজির হয়ে ডাইরেক্ট মামলা করতো। সেখানেই অবস্থান ধর্মঘট করতো। আইন মেনে চলতো।
প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা আইন মেনে চলছিল, সবাইকে লাইনে নিয়ে আইন শিক্ষা দিচ্ছিল। তারা আইনের বাইরে গিয়ে লাঠিশোটা, ব্যাকপ্যাকে ইটপাটকেল নিয়ে বদরের যুদ্ধের মত হামলা করার কথা না। লাঠি হাতে নেয়ার কথা না। যেভাবে বিপদজনক ধাওয়া এবং পালটা ধাওয়া হচ্ছিল, ২০০৬ এর ১৮ই অক্টোবরের স্টাইল। বড় অঘটন ঘটতে পারতো। আল্লাই বাচাইছে।
কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা এসবে ইনভলভ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
সকাল সাতটা থেকে বিপুল ছাত্রছাত্রীদের ধানমন্ডি ও সিটি কলেজ এলাকায় আনা হতে থাকে। কারা কিভাবে একটি স্পটে এত স্টুডেন্ট আনলো তদন্ত হওয়া দরকার। নাকি সাথে মাদ্রাসার সাদা শার্টের পোলাপান, শিবির তো লিডিং পজিসনে। কে বলবে?
প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা তো বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করছিল। কারা এত ছাত্র একযাগায় জড় করলো কারা, কি কারনে? গতকাল সাইন্সল্যাব ও ২নং রোড সাদা হয়ে গেছিল বিপুল সাদা ইউনিফর্মধারিদের ভিড়ে।
আজও কোটাবাজ নামধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে আরো শক্তিশালি হয়ে জিগাতলার দিকে,
কেন সব সাদা শার্টধারি জিগাতলার দিকে কেন? সেখানে লোকজনের ভিড় বেশী। একটা কিছু ঘটলেই তো লাভ।
চক্রান্ত এখনো থেমে নেই। সাবধান হওয়া দরকার।
৩২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: সহমত। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক সুন্দরের লক্ষ্যে সত্যের ভিত্তির উপর। ধন্যবাদ।
৩৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: স্টিকি করার জন্য মডারেটরকে ধন্যবাদ।
৩৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন । সহমত কথামালার সাথে । কামনা করি যানবাহন ও ট্রাফিক আইনের সঠিক ব্যবহার হোক । আইন অমান্যকারীদেরকে বিচারের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারীদের শিথিলতা কিংবা আইন অমান্যকারীদেরকে ধরা ও ধরা পড়ার পরে আইনের ফাক ফোকর গলিয়ে পার পাওয়ার লক্ষ্যে বিবিধ প্রকারে সহায়তাকারীদের জন্য দ্বিগুন শাস্তির বিধান রাখা হলে ভাল হয় ।
৩৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাচ্চাদের রাজপথে দেখতে কারোরই ভাল লাগার কথা নয়। বড়রা হয়তো জেলে আছে। যে হারে গ্রেফতার হচ্ছে মানুষ তাতে তাদের বাচ্চা কাচ্চারা ডেসপারেট হলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। নিরাপদ সড়ক বড় ছোট সবার দাবী। সেটা সফলতা লাভ করুক। বাচ্চারা ঘরে ফিরুক। আর ছাত্রলীগ/হাতুড়িলীগের বাস্টার্ডরা সাবধান হয়ে যাক। তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে শীঘ্রই। অবস্থা তেমনই মনে হচ্ছে ।
৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১০
ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাসান মাহমুদ ভাই,
এতো বড় একটা লেখা অথচ একবারও মহান মন্ত্রী শাহজাহান খানের নিন্দা জানাতে পরালেন না কঠিন ভাবে ! আস্তে করেও পারলেন না বলতে যে ছোট কোমলমতি ছেলে মেয়েদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর আক্রমণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানই যে দায়ী ? এই অনৈতিক কাজ কারবারের খানিকটা দায়িত্ব নিয়ে তার এখন একটু রিটায়ার করা দরকার (বিচার টিচার না)আশ্চর্য! এইগুলোর কারনেইতো ছেলে মেয়ের ঘরে না ফিরে রাস্তায় আন্দোলনে থাকা !
ছেলে মেয়েরা অবশ্যই বাড়িতে ফিরে যাক কিন্তু জোরের সাথে এই বরর্তাগুলোর বিচার দাবিকরাটা এই লেখার সাথে পুরোই প্রাসঙ্গিক হতো I আপনার কথা মত সবাই বাড়ি ফিরে যাক আর দশ বছর পরে বাংলাদেশ এমেরিকা হয়ে যাবে ! ধন্য আশা কুহকিনী। এরশাদের কথা মনে আছেতো ? সরকারি গাড়ির তেল খরচ বাঁচাতে প্রতি বৃহস্পতিবারে সাইকেলে করে তার অফিস যাবার মতো মহান কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা সংহত করেছিলেন I তার সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাবার ফটোতে সয়লাব হয়েছিল তখনকার সংবাদপত্র ! তারপর অসহনীয় দশ বছর ! আপনি নব্বুইয়ের আন্দোলন দেখেছিলেন ? অনেক অশ্রু ঝরিয়ে সেই আন্দোলন করতে হয়েছিল I কিন্তু সেই বিশ্ব বেহায়া আজ দেশের বিরোধী দলের নেতা ! মাদার অফ হিউমেনিটির ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পাপেট I দশ বছর কেন দুশো বছরেও কিছু হবে না যদি মাদার অফ হিউমেনিটি প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকেন এই মাফিয়াদের নিয়ে I সিস্টেম একদিনে পরিবর্তন হয়না ! মাফিয়া একজন মন্ত্রীকে সরাবার জন্যও সিস্টেমের দোহাই ! কামাল কিয়া হামা ভাই ! "সাব্বাস ভাই। সাব্বাস দেই, সাব্বাস তোর শমসেরে" (তীক্ষ্ণ লেখনীকে) I ভাগ্যিস জহির রায়হান ছিলেন আর একটা "আরেক ফাল্গুন" লেখা হয়েছিল, একটা "জীবন থেকে নেয়া " সিনেমা বানানো হয়েছিল ! তাতে জাতি উদ্দীপ হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো একটা জীবনদায়িনী যুদ্ধে নিজের প্রাণ হারাবার আশংকা নিয়েও I আপনার মতো বিখ্যাত ব্লগাররা যদি তখন থাকতো এরকম ঘুম পাড়ানী লেখার ডালি সাজিয়ে, তাহলে বাহান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক দিব্বি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারতেন বেঘোরে মারা যেতেন না ! কেন যে আপনি প্রাণ দায়িনী সেদিন থাকলেন না ! রক্ষা কর খোদা আমাদের ব্লগারদের জ্ঞানগম্যি লেখনি থেকে !
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার বক্তব্য শেষ? এবার এই লিংকে যায়া দেইখা আসেন মাফিয়া মন্ত্রীকে নিয়া কী বলছি। সাথে আমার ফেসবুকেও একটু যাইয়েন। তারপরও আমাকে বায়াসড মনে হইলে বইলেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Paranoid/30248593
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10156363461505900&set=a.43334605899.51157.720055899&type=3
ঐ সময় আমার মাথায় বাচ্চাদের নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছুই মাথায় ছিলো না। বাচ্চাদের মাঠে নামায়া সরকার পতন করার এত ইচ্ছা? নিজেরা মাঠে নামেন না কেন?
৩৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৭
এটম২০০০ বলেছেন: Chatro League,
Have a look at the “children in movement for stopping murders by the drivers” on Bangladeshi road.
Do not try to commit any hard to them as per advise of your leader. It is a caution for you.
REMEMBER: They are the dearest sons and daughters of Bangladesh Military officials, Bangladesh Police officials, RAB personnel, Intelligence Department personnel, SSF officials, Bureaucrats and so on.
Do something to them, and you will face the consequences.
Not only you, but also the person behind your strength will be eliminated.
৩৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২০
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ছেলে মেয়েরা অবশ্যই বাড়িতে ফিরে যাক কিন্তু জোরের সাথে এই বরর্তাগুলোর বিচার দাবিকরাটা এই লেখার সাথে পুরোই প্রাসঙ্গিক হতো
৩৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
হামা ভাই,
একজন বাবা ও একজন নাগরিক হিসাবে আপনার লিখা কথা গুলোয় পূর্ন সমর্থন করি। আপনি হয়ত মনখুন্ন হবে তার পরেও বলি একজন অভিভাবক হিসাবে আপনার পোষ্টের অপেক্ষা সোহানী আপুর প্লিজ তোমরা এবার ফিরে যাও... পোষ্ট টা আমার মনে বেশি দাগ কেটেছে।
কিন্তু হেলমেট বাহিনীর নামানোর প্রয়োজন হলো কেন তা যদি আপনার পোষ্টে কিছু লিখতেন বিএনপি নেতা আমির খসরুর ফোনের অডিও নিয়ে কিছু লিখার পূর্বে তবে আপনার পোষ্ট টা আর একটু গ্রহোনযোগ্যতা পেত।
⭕ ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারের পদত্যাগ দাবী করে নাই!
⭕ আমরা স্বর্ন তামা হওয়া নিয়ে কথা বলে নাই!
⭕ ১লক্ষ ৪০ টন কয়লা গায়েবের হিসাব চায় নাই!
⭕ বাস ভাড়া কমানোর দাবি জানাইনি!
⭕ শুরুর ১৫ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু পরায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বানানোর খরচ নিয়ে প্রশ্ন করে নাই!
⭕ বাংলাদেশ থেকে ৭৬ লক্ষ কোটি টাকা কোথায় পাচার হয়েছে সেই প্রশ্ন করে নাই!
⭕ সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ঘাটে পানি জমে যায় কেন সেই প্রশ্ন করিনি!
⭕ ছেলে গুলো ৫৭ ধারা ভংগ করে কোন কথা বলেনি , ডিরেক্ট কাহারো বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলিনি!
⭕ ছাত্র-ছাত্রীরা দাবীতে ক্ষমতাসীনদের জন্য অবমাননাকর কিছু ছিল না!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই পোস্টটি লেখার পূর্বেই আমি হেলমেট বাহিনী নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে। সেটার ধারাবাহিকতায় এটা লেখা। কিয়ৎক্ষণ পরেই। আমার মূল চিন্তা ছিলো বাচ্চাদের নিরাপত্তা। ওদের আন্দোলনের মহিমা যে শুধুমাত্র ৯ দফা দাবী দিয়ে প্রকাশিত হয় না সেটা ওদেরও বুঝতে হবে, আমাদেরও মনে রাখতে হবে। আমার লেখার মূল কথা ছিলো এই- একটা ধীরস্থির কিন্তু স্থায়ী চেঞ্জ আনা সবাই মিলে। আর এখানে কি লীগের কথা কোথাও লেখা নাই? ভালো করে পড়েন।
আমীর খসরুর কথা বলে আপনার অনুভূতি আঘাত করে থাকলে দুঃখিত।
৪০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪২
এটম২০০০ বলেছেন:
DEFINITELY THE Bangladesh Military officials, Bangladesh Police officials, RAB personnel, Intelligence Department personnel, SSF officials, Bureaucrats ARE WORRIED FOR THEIR CHILDREN ENGAGED IN JUST MOVEMENT. But they cannot say anything because they cannot breach discipline. But if any of their dear children are lost ....... they would see. .
৪১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রেখে ছাত্রলীগের গুন্ডা দিয়ে এই আন্দোলন দমন হয়তো রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে, কিন্তু নৈতিকতার মাপকাঠিতে এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না | গুন্ডা বাহিনীর লাগাম টেনে ধরা দরকার এখনই | আর দরকার ষণ্ডা শাহজাহানকে সরিয়ে দেয়া |
মন্ত্রীকে বহিস্কার করলে পরবর্তীতে অন্য মন্ত্রীরা অন্ততো তার দায়িত্ব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সচেতন হবেন, দাঁত বের করে হাসবেন না | এইটুকু আশা আমরা অন্তত করতে পারি | আর তাকে যদি তার পদে বহাল রাখার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয় তবে জনগণ এই সমস্যা সমাধানে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তুলবে | এতে কারো বিস্মিত হওয়ার বা ষড়যন্ত্র খোঁজার সুযোগ নেই |
৪২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩০
অনল চৌধুরী বলেছেন: শিক্ষিত-অশিক্ষিত,গ্রাম্য-শহুরে-যাই হোক,বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষের মানসিকতা এক।
২০১৩ তে বগুড়ার গ্রামের লোকরা নিজামীকে চাদে দেখার কথা শুনে থানা অাক্রমণ করে অার ২০১৮ তে ছাত্র মারা যাওয়া অার ছাত্রী নির্যাতনের কথা শুনে ছাত্ররা দলের কার্যালয় অাক্রমণ করে!!!
কেউ কিছু যাচাই করারও প্রয়োজন মনে করে না।
ছাত্রলীগ তোমাদের পিটিয়েছে-এটা কি ন্যায় না অন্যায়? এর বিচার করবে কে?
৪৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪
অক্পটে বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়লাম। কারা খুশী হয়েছে সেটা বলেছেন। কিন্তু মাফিয়া গড ফাদারের ব্যপারে কিছু বলেন নাই। বিএনপি আর শিবিরের ময়লা গুলো ঘেটে ঘেটে শুকেছেন। সরকারের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যখনই কোনো দাবি ওঠে, তখনই সে আন্দোলনকে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন বলা হয়। স্কুলের যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে তাদের রাজনৈতিক লেবেল লাগানো সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি চিকনে তাই করেছেন। কোন বাবা মা চাইবে যেখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা রামদা, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সেখানে তাদের সোনামণিদের দেখতে? সবাই চাইবে ওরা ঘরে ফিরে যাক। তবে ওরা দেখল নব্য রাজাকার আর আওয়ামী জঙ্গীদের। ওরা চিনে নিল কারা ওদের রক্ত ঝরালো।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: যেটা ফ্যাক্ট সেটাই বলেছি। রাজনৈতিক লেভেল লাগে নাই? আমি লীগের কথা বলি নাই?
একটা স্ক্রিনশট দিলাম। দেইখা বুঝার চেষ্টা করেন, তারপর কথা কন।
৪৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২০
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আন্দোলন যেহেতু শিশু কিশোর পর্যায়ে নেই; বড়দের পর্যায়ে চলে গেছে। রাজনীতি ঢুকে গেছে আন্দোলনে। সেহেতু ঘরে ফিরে যাওয়াই উত্তম।
৪৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
বিজন রয় বলেছেন: ফলাফল অরেক দূর, তবুও আশা বেঁচে থাকে।
+++
৪৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩
ক্স বলেছেন: একেবারে চিরতরে ক্লাসে ফিরে যাওয়া ঠিক হবেনা। এক মাস পর পর তাদের প্রতিনিধিরা রাস্তায় বেরিয়ে দেখবে সবকিছু ঠিক চলছে কিনা। পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করছে কিনা, উল্টো পথে ভিয়াইপি গাড়ি চলছে কিনা - ইত্যাদি। নইলে কি হবে?
- পরিস্থিতির চাপে পড়ে সরকার মৌখিকভাবে দাবি দাওয়া মেনে নিয়েছে, কোটা আন্দোলনেও তাই হয়েছিল।
- যখন দেখবে ট্রাফিক সার্জেন্টদের পেটে লাথি পড়ায় ছাত্রলীগের কালেকশন (!) কমে গেছে, তখন চোখ ইশারায় দড়ি ঢিল দিতে বলে দেবে।
- তখন ছাত্ররা আর রাস্তায় নামতে পারবেনা, ছাত্রলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মত রাত জেগে রাস্তা পাহারা দেবে।
- তখন এইসব ছাত্র ছত্রীরা ও তাদের কর্মকান্ড স্রেফ আমাদের হাসিঠাট্টার বিষয়ে পরিণত হবে।
এই ব্যাপারগুলো নিশ্চিত হয়ে তারপরে আন্দোলনে খ্যান্ত দেয়া উচিত।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথমটা ভালো বলেছেন। আর আমাদের নিজেদেরও তাদের রেখে যাওয়া কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই আন্দোলন অন্যান্য আন্দোলনের মত ক্ষণস্থায়ী প্রভাব না রেখে একটা আমূল পরিবর্তন আনবে এটাই আমার চাওয়া।
৪৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০২
রাফা বলেছেন: আগষ্ট মাসে এট রক্ত ঝড়েছে যে একটুতেই শংকিত হয়ে পরি।ওদের'কে এখনও পাপ শ্পর্শ করে নাই।নিষ্পাপ শিশুদের রক্তে রাজপথ রন্জিত হোক তাকোনভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমার মনে এখন আর বিন্দুমাত্র শংকা নেই।বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে যে জেনারেশটি দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে তাদের কাছে নতুন করে কিছু পাওয়ার আশা আমি অন্তত করিনা।
যে জেনারশনকে নিয়ে আমি কোন আলোকিত বাংলাদেশের কথা চিন্তাও করিনি ,এরা যে ঝাকুনিটা দিয়েছে তা যাদের বোঝা উচিত তারা বুঝলেই হবে।প্রধানমন্ত্রির আহবানের সাথে কন্ঠ মেলাতে পারতাম যদি ওদের ঘরে ফেরার কথার সাথে আরো একটু সংযুক্ত করে ছাত্রলীগকে ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সংযত থাকার পরামর্শ দিতেন।
চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এমন কোন স্তর নেই যেখানে আইন-ভাঙ্গার প্রবনতা পরিলক্ষিত হয় নাই।এই অবস্থায় কিভাবে চলছে একটা দেশ ! বিশাল বানিজ্যের অংশিদার সবাই।তোফায়েল/আমু/ডিএসপি/এসপি মিলিটারি/পুলিশ /সচিব/বিচারক সবাই এই চক্রের সদস্য।অপরাধিরা অপরাধ করবেই কিন্তু এর প্রতিকার যাদের করার কথা তারা যদি একই পথের পথিক হয় তাহলে কোথায় যাবে বাংলাদেশ ?যেখানে যাওয়ার কথা সে দিকেই'তো ধাবিত হোচ্ছে।আমি ২০ বছর পরের বাংলাদেশটা চাইতে পারি।হয়তো পাবো কিংবা পাবোনা।তবে আজকের কিশোর কিশোরিদের প্রতি কৃতগ্ন আমি হয়েই গেছি।তাদেরকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ,হাসান মাহবুব ব্রাদার।
৪৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছাত্ররা আমাদের সিস্টেমে বিরাট ঝাঁকুনি দিয়ে গেছে।
৪৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
সন্তানদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত।
৫০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: দুই দিন পরে এদেশের মানুষ সব বেমালুম ভুলে যাবে তখন আবার যেই সেই। রাস্তায় ঘাটে ঘাটে চাঁদা তোলে কিছু লোক তারা কারা? পুরো সিস্টেমের সাথে চাঁদাবাজ আর ভয়ংকর জুলুমবাজ ওতপ্রতভাবে জড়িত। পরিবহন সেবা খাতকে রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করতে হলে বাস মালিক সমিতি/পরিবহন শ্রমিক সমিতি নামক এসব রক্তচোষা, জুলুমকারী প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করে পুরো সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৫১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ছোটরা দেখিয়ে দিল অসম্ভব বলে কিছু নেই।
৫২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
৫৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: Click This Link
৫৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: একটি সিটিং সার্ভিস কাহিনী
♣♣♣♣♣♣
একদিন একটি টাটা বাস বাংলাদেশে এলো।তাহার মালিক তাকে রাস্তায় নামালো। ড্রাইভার ছিলো কচি এক পোলা। বয়স বলে লজ্জা দিতো না কেউ।
ছেলেটি(ড্রাইভার)ছিলো রক্ত তাজা আর গরম। বাস চালতো সিটিতে, (ঢাকা)। ধুন ত্রি মুভি দেখে সেও রাস্তায় নামতো।
একদিন ড্রাইবার ছেলেটি ভাবলো, আরে বাসের মালিক তো সব টাকা (সিটের ভাড়া) নেয়। আমিও কিছু এক্সট্রা কামাই করবো। ওহ ড্রাইভার এর নাম বলি নাই।
নাম কালা চান।
তো কালাচাঁন সাহেব বেশি যাত্রি তোলে, আর রাস্তায় রেইস করে। কার আগে সামনের যাত্রি গুলো তার বাসে তুলবে ।। চিন্তা একটাই টাকা চাই।
কালা চান এই বাসে ওই বাসে ধাক্কা খায়। বাসের রং গেলো শশুর বাড়ি। একদিন বাস করলো এক্সিডেন্ট।
বাসের অবস্থা হল কটকটি।
তার পরেও কালা চান আর বাসের মালিক আশা ছাড়লো না। বাসে দিলো নতুন রং।
বাসের আকিকা না দিয়েই বাসের দিলো নতুন এক নাম। #সিটিং_সার্ভিস।
আর আবার শহরে চলতে শুরু করলো সিটিং সার্ভিস।
নতুন নাম। নতুন রং, নতুন ডিজাইন,
শুধু হেডলাইট নাই। সেখানে তালি জুরা দেয়া
লুকিং গ্লাস নাই। নাই বললে ভুল হবে, রাগ করে বাপের বাড়ি গেছে লুকিং গ্লাস। আসবে, বলেছে সামনের পুজোর ছুটিতে চলে আসবে।
আর আসেনি।
এখন কালা চান বাস চালায়। সিটিং সার্ভিস।যাত্রি থাকে
৩৮জন বসে ৩২জন দাড়িয়ে ১০জন ঝুলে ৫জন ছাদে।
কালা চানের অনেক গর্ব। গর্বে গর্বে সে মহান উস্তাদ ড্রাইভার।
তার বাসে মানুষ উঠে আর সে সবাইকে জায়গা দেয় কাউকে নিরাশ করে না।
কারন সে অনেক জন দরদী।
তার বাসের নাম সিটিং সার্ভিস।
তাই???
http://www.somewhereinblog.net/blog/riyad1666/30249528একটি সিটিং সার্ভিস কাহিনী
♣♣♣♣♣♣
একদিন একটি টাটা বাস বাংলাদেশে এলো।তাহার মালিক তাকে রাস্তায় নামালো। ড্রাইভার ছিলো কচি এক পোলা। বয়স বলে লজ্জা দিতো না কেউ।
ছেলেটি(ড্রাইভার)ছিলো রক্ত তাজা আর গরম। বাস চালতো সিটিতে, (ঢাকা)। ধুন ত্রি মুভি দেখে সেও রাস্তায় নামতো।
একদিন ড্রাইবার ছেলেটি ভাবলো, আরে বাসের মালিক তো সব টাকা (সিটের ভাড়া) নেয়। আমিও কিছু এক্সট্রা কামাই করবো। ওহ ড্রাইভার এর নাম বলি নাই।
নাম কালা চান।
তো কালাচাঁন সাহেব বেশি যাত্রি তোলে, আর রাস্তায় রেইস করে। কার আগে সামনের যাত্রি গুলো তার বাসে তুলবে ।। চিন্তা একটাই টাকা চাই।
কালা চান এই বাসে ওই বাসে ধাক্কা খায়। বাসের রং গেলো শশুর বাড়ি। একদিন বাস করলো এক্সিডেন্ট।
বাসের অবস্থা হল কটকটি।
তার পরেও কালা চান আর বাসের মালিক আশা ছাড়লো না। বাসে দিলো নতুন রং।
বাসের আকিকা না দিয়েই বাসের দিলো নতুন এক নাম। #সিটিং_সার্ভিস।
আর আবার শহরে চলতে শুরু করলো সিটিং সার্ভিস।
নতুন নাম। নতুন রং, নতুন ডিজাইন,
শুধু হেডলাইট নাই। সেখানে তালি জুরা দেয়া
লুকিং গ্লাস নাই। নাই বললে ভুল হবে, রাগ করে বাপের বাড়ি গেছে লুকিং গ্লাস। আসবে, বলেছে সামনের পুজোর ছুটিতে চলে আসবে।
আর আসেনি।
এখন কালা চান বাস চালায়। সিটিং সার্ভিস।যাত্রি থাকে
৩৮জন বসে ৩২জন দাড়িয়ে ১০জন ঝুলে ৫জন ছাদে।
কালা চানের অনেক গর্ব। গর্বে গর্বে সে মহান উস্তাদ ড্রাইভার।
তার বাসে মানুষ উঠে আর সে সবাইকে জায়গা দেয় কাউকে নিরাশ করে না।
কারন সে অনেক জন দরদী।
তার বাসের নাম সিটিং সার্ভিস।
তাই???
http://www.somewhereinblog.net/blog/riyad1666/30249528
৫৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
সাদাফ কামরুল হাসান বলেছেন: আজ আমরা এই সকল ছাত্র/ছাত্রীদের থেকে শেখা উচিত যে, আমরা চাইলেই দেশের উন্নতি এবং দুর্নীতি থেকে মানুষ সভ্যতায় কি করে ফিরে আসতে হয়।
৫৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিএনপি, ছাত্রদল ও জামাত শিবিরের নাশকতার সম্ভাবনা না থাকলে ছেলে মেয়েদের আরও কিছুদিন রাস্তায় থাকা উচিৎ ছিল। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের ভূমিকাও বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর হবার সম্ভাবনা আছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করলে বাচ্চাদের এখন ঘরে ফিরে যাওয়াই মঙ্গলজনক হবে। তবে পরিবহন সেক্টরের পাহাড় সমান নৈরাজ্য কাগজে ছাপানো কিছু নতুন পুরাতন আইনের দ্বারা দূর করা কখনোই সম্ভব নয়। এই সেক্টরে ঘুষ ও চাঁদাবাজির লোভ কোন সংস্কারকেই বাস্তবায়িত হতে দিবে না। আমি মনে করি, বাচ্চারাও সেটা বোঝে।
৫৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
Sujon Mahmud বলেছেন: আন্দলোনে অংশ না নিতে পেরে নিজেকে হতভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
৫৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
পাজী-পোলা বলেছেন: আমরা জনগণ কতাটা সচেতন? আমরা কি বাসে ওঠার আগে ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাই? ভার্সিটির ছেলেরা নেমেছে বলেই আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করছে সরকার। আপনার কি মনে হয় বি এন পি/জামাতের ঐ মেরুদন্ড এখোনো আছে যে তারা সরকার পতনের আন্দোলন করবে? এখন নামলে আপামর জনতার নামা উচিৎ নইতো ওদের ঘরে ফিরে যেতেই হবে।
৫৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
হামা ভাই,
আমি নিশ্চিত আপনি রাজনৈতিক ক্যাচাল করার জন্য এই পোষ্ট লিখেন নাই; রাজনৈতিক ক্যচাল করার ইচ্ছে বা রুচি গত ৯ বছরে হয় নাই আজকেও হচ্ছে না। আপনার ব্লগিং এর বয়স ৯ বছর ৮ মাস; আমার ৮ বছর ৮ মাস (প্রথম নিকে ১ বছর ৪ মাস ও এই নিকে ৭ বছর ৪ মাস। নিজ নামে ব্লগিং করার ইচ্ছে থেকে দ্বিতীয় নিক খোলা ও এর পরের দিন থেকে নন-স্টপ এই নিকে ব্লগিং করা)। আপনি ও আমি দুইজনই খুব ভালো করে চিনি ও জানি সামু ব্লগের কোন ব্লগার রাজনৈতিক দলের কাছে নিজের ঘিলু বন্ধক রেখে ব্লগিং করে আর কে নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শের দলের কাছে মাথা নত না করিয়া ব্লগিং করে।
বাংলাদেশে রাজনিতী করার জন্য কোন রাজনৈতিক দলটির লাশের বেশি প্রয়োজন সেটা আমরা ১/১১ সরকারের সৌজন্য খুব ভালো করেই জেনেছি। ইউটিউবে সেই ভিডিও গুলো এখনও খুজিয়া পাওয়া যায়। ৪ মাস পরে সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। এই মুহুর্তে একটা লাশ ২০১৪ এর মতো নির্বাচন করার জন্য কোন রাজনৈতিক দলের জন্য কতটা প্রয়োজন আর সে জন্য কোন রাজনৈতিক দল কতটা মরিয়া সেটা ঢাকার রাজপথে হেলমেট বাহিনীর কার্যকলাপ দেখি দেশের মানুষ বুঝিতে পারে। যাই হউক লাশের রাজনিতী নিয়ে আর কিছু লিখিতে চাই না। তবে আজকে দৈনিক প্রথম আলোর উপদেষ্টা সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক কামাল আহমেদ লেখা গুজব, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং হেলমেটবাহিনী নিবন্ধ থেকে কোট করলাম আপনার জন্য
"এ ধরনের জনমুখী আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সমর্থন না দিতে পারে, তাহলে সেই দলের আর রাজনীতি করার প্রয়োজন কী? জনগোষ্ঠীর যেকোনো অংশের যৌক্তিক আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে না পারলে তাদের বরং অবসরে যাওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময়ে এ রকম বিভিন্ন শ্রেণি-গোষ্ঠীর আন্দোলনে কী ভূমিকা নিয়েছিল, তা সবাই ভুলে গেছে বলে কি তাঁদের ধারণা? আর, ওই সব আন্দোলন যে তাঁদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কাজে লাগেনি, তা-ও নয়। বরং বলা চলে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সামরিক শাসক জিয়ার আমলে যে অরাজনৈতিক নাগরিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেটিকে গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ লাভবান হয়েছে। দিনাজপুরে পুলিশের দ্বারা ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা, শামসুন্নাহার হলে পুলিশি অভিযান, এনজিও জোটের শাপলা চত্বরের সমাবেশকেন্দ্রিক ট্রাম্প কার্ডের ঘোষণা কিংবা ব্রিটিশ কোম্পানিকে ফুলবাড়ী কয়লাখনির লাইসেন্স দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন—এগুলোর কোনটিতে আওয়ামী লীগ যোগ দেয়নি? যদি সেকালে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি তখনকার শাসকদের জানা থাকত, তাহলে আমরা যে আরও কত নেতার কত ধরনের টেলিফোনের রেকর্ডিং শুনতাম, কে জানে।
তবে, হ্যাঁ, যদি কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা কেউ করে, তবে অবশ্যই সেই ষড়যন্ত্রের বিচার হওয়া উচিত। ফাঁস হওয়া কোনো টেলিফোনে এ রকম কোনো ষড়যন্ত্রের কিছু কি পাওয়া গেছে? সহিংসতার ঘটনা যেগুলো ঘটেছে সেগুলোতে বরং ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের অংশগ্রহণের আলামত মিলছে। হঠাৎ করে হেলমেটধারী যুবকেরা হাজির হচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করছেন। এগুলো ঘটছে পুলিশের উপস্থিতিতেই। কোথাও কোথাও শুরু করছেন হেলমেটধারীরা আর শেষ করছে পুলিশ। এসব হামলাকারীকে বিএনপি-জামায়াত হিসেবে অভিহিত করা সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে যে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। "
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এতগুলা আন্দোলন হলো, বিএনপি একটাকেতেও জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে নি কেন? কেউ কোনো দাবী নিয়ে আন্দোলন করলে তারা বলে, "খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই"। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়াটা কি দেশের জনসাধারণের মূল ইস্যু? বিএনপি চেষ্টা করে সরকারকে জনগণ যখন চিপায় ফেলে, সেটা থেকে সুবিধা আদায় করতে। গাজীপুরে কিছুদিন আগেই যে বিএনপি নেতার সন্ত্রাসের মদদ দেয়ার ফোনালাপ পাওয়া গেলো, সেখানে তো স্পষ্ট নির্দেশনাই ছিলো। এজন্যে আমীর খসরুর ফোনালাপ মোটেও কানে মধুবর্ষণ করে নি। এই অস্থির সময়ে এটাই স্বাভাবিক।
আমি আমার লেখায় একটা সন্দেহের কথা বলেছি। তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। নেয়ার উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু যখন লেখাটা লিখি, তখন পর্যন্ত ছাত্রলীগই তাণ্ডব চালাচ্ছিলো সেটাও লিখেছি (এবং আজও চালাচ্ছে)।
আজ একটা ভিডিও দেখলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন ব্যাগ থেকে চাপাতি বের করছে। এটা আগে দেখি নাই। শুনলাম একজনের ব্যাগে অনেকগুলো আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। তাই কেউ যে একদমই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে না এটা ভাবা ভুল।
৬০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন অনুজদেরকে, অগ্রজদেরকেও কিছু কথা বলেছেন। আশাকরি, উভয়পক্ষ আপনার এ কথাগুলো আমলে নেবে।
আমীর খসরু সাহেব যেটা করেছেন (অবশ্যই ন্যাক্কারজনক এবং নিন্দনীয়), অপর দলটি আজ তাদের জায়গায় থাকলে এরকম আরো অনেক আমীর খসরু আরো ভয়ঙ্কর কিছু করতেন, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। এসব আমাদের অপরাজনীতির অপসংস্কৃতি।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এই চক্র থেকে মুক্তি কোথায়!
৬১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩
উপপাদ্য বলেছেন: দেশটাকে শেখ হাসিনার কাছে দিয়ে তোমরা ঘুমুতে যাও, তোমাদের অগ্রজদের মতো ঘুমিয়ে পড়ো।
গুম পাড়ানোর জন্য জাফর টেবলেট, তারানা টেবলেট, আনিস টেবলেট, র্যাব টেবলেট, হাতুরী টেবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের টেবলেটে বাজার সয়লাব।
তোমাকে ঘুমাতেই হবে।
না যদি ঘুমাও তবে হয়তো তোমাদের অনেককেই ঘুম পারিয়ে দেওয়া হবে।
তোমরা কি নিকট অতীতের ইতিহাস থেকে কিছুই শিখোনি।
দেখোনি তোমাদের পূর্ব পুরুষেরা কেমন করে ঘুমিয়ে পড়েছে।
আর যারা ঘুমাতে চায়নি তাদের কে আমরা কিভাবে ঘুম পারিয়ে দিয়েছি।
ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি ২৮ অক্টোবরে,
ঘুম পারিয়ে দিয়েছি ২৫ শে ফেব্রুয়ারীতে
ঘুম পারিয়ে দিয়েছি ২৮ শে ফেব্রুরারীতে
ঘুম পারিয়ে দিয়েছি ৫ই মে
-----------------------------------------------------------
আমি মাঝে মাঝে ভাবি শেখ হাসিনা মানুষটা বড়ই অসহায়, তার আসলে কিছুই করার নেই। যে যেভাবে পারছে সেভাবে ব্লাকমেইল করে চলছে তাকে। শুধু একটা ভয় দেখিয়ে " আপা আপনি যদি এটা না করেন, কিংবা আমি যদি না থাকি তাহলে বিএনপি-জামাত আরেকটা ১৫ অগাস্ট ঘটাবে"
আমার মনে হয় ইন্ডিয়া, শাজাহানের মতো মন্ত্রীরা ও অন্যান্য যারা আজকে হাতুরীলীগ ও ধর্ষন লীগ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তারা সবাই এই ব্লাকমেইল সকাল বিকাল করে চলেছেন।
বাচ্চাদের আসলেই ঘরে চলে যাওয়া উচিত, কারন যে দেশে মানুষ গুম-খুন করার পরেও কেউ টু শব্দটি করেনা, সেদেশে কিসের আন্দোলন। শুধু বলবো বাচ্চারা তোমরা বড় হও, বিদেশ যাও, তোমাদের মতো সোনার সন্তানরা যদি এই কাজটা আমেরিকা-ইউরোপে ঘটাতো আজ মাথা নত করে তাদের নেতা নেত্রীরা পদত্যাগ করে তুমাদের স্তুতি গাইতো।
এটা বাংলাদেশ, এখানে ঘরে ফেরার পরেও তোমাদের কে খুঁজে খুঁজে বের করে নির্যাতন করবে হাতুরীলীগ ও পুলিশ লীগ। তোমরা ফিরে গেলেই কি আর না গেলেই কি।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওরে সাহিত্যবাগীশ!
কিশোরদের দিয়ে বিদ্রোহ করে তাদের লাশের ওপর ক্ষমতায় উঠতে চান? ওদের বয়স কত জানেন? ওদের যা করার তা ওরা করে নাই? বাচ্চারা যা কইরা দেখাইছে সেইটা নিজে সারাজীবন কইরা দেখাইতে পারবেন? বুকে হাত দিয়া প্রতিজ্ঞা করতে পারবেন?
আজকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলাতে হামলা হইছে। পুলিশ এবং ছাত্রলীগের মদদে। এখন কি অগ্রজরা থাইমা থাকবে? থাকবে না।
এইটাই কইছি। আপনি একটা অভিধান নিয়ে বইসা আরো কিছু শব্দ বানায় নিয়ে আসেন।
৬২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
উপপাদ্য বলেছেন: উপরের প্রত্যেকটা কথার সাথেই একমত। কারন -
ষাড়ের ভাষায় আমি একজন নির্বিবাদি মানুষ, ষাড়ের ভাষায় আমরা অত সাহস নেই, ষাড়ের ভাষায় আমারো ইচ্ছে করে তোমাদের সাথে দাঁড়াতে।
এনিওয়ে ভাই, আমরা হেরে গেছি বলেই কিশোরেরা জেগে উঠে। আসাদের নাম শুনেছেন সে অগ্রজ ছিলো না। ক্ষুদিরাম অগ্রজ ছিলোনা। ইসলামের ইতিহাসে মায়াজ-মুআজের নাম শুনেছেন ওরা কেউ অগ্রজ ছিলোনা। (আমি জানি ওদের সবাইকে আপনি জানেন)
আগুন কাউকে না কাউকে জ্বালাতে হয়।
সমস্যা হচ্ছে আমরা যারা অগ্রজ আমাদের বলস নাই। আমরা ওদের ভাষায় কোন চ্যাটের বাল, এবং আসলেই চ্যাটের বাল।
আমি ক্ষমতায় যেতে চাইনা। আমি নিরাপত্তা চাই, গনতন্ত্র চাই, ভোট দিয়ে সরকার বদলাতে ও আনতে চাই। প্রসাশনের জবাবদিহিতা চাই, সন্ত্রাসী-গডফাদারদের হাত থেকে দেশমুক্তি চাই। বিএনপি-আওয়ামীলীগের মধ্যে গনতন্ত্রের চর্চা চাই। পার্টি প্রধান বদলানোর ধারা-উপধারা চাই।
বুঝতে পারলাম না লাশের বিষয়টা আসলো কেনো। নিরাপদের সড়ক কিংবা নিরাপদ দেশের দাবি করলে লাশ বানানোর ঘোষনা আসে কেনো। তার মানে কি এটাই যে একদল জংগী ক্ষমতায় বসা, যেকোন কিছু তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই লাশ বানিয়ে দেয় তারা।
তাহলে কি বিষয়টা পরিষ্কার নয় যারা ক্ষমতায় বসা, যারা লাশ বানিয়ে দেয়ার কথা বলে তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা উচিত।
আপনার সাথে একমত হবো তখনই যখন এই কিশোরেরা আগুনটা আমাদের, আপনাদের সবার মধ্যে জ্বালিয়ে দিয়ে যাবে। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা কিন্তু এখনো ৫ দশক পিছিয়ে আছি। অগ্রজদের উচিত এই আন্দোলন চালিয়ে নেয়া। হাসিনা থাক কিংবা না থাক, দেশ ঠিক হোক। পুলিশ লাইসেন্ষ দেখা শুরু করুক, মন্ত্রী মিনিষ্টারদের গাড়ি আটকিয়ে ফাইন করুক, হেঁটে যেতে বাধ্য করুক। তবেই বুঝবো কথা রেখেছেন হাসিনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগুন তারা জ্বলাইছে, এবং নিজেরাও জ্বলছে। এখন বাকিটা আমাদের করতে হবে। ওরা সিস্টেমের গলতি দেখিয়ে দিয়েছে। এখন রক্ত ঝরালে আমাদের ঝরবে। ওদের না। ওরা ভবিষ্যতের জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করুক। আমরা বর্তমানটা সামাল দেই।
৬৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভন্ডরা শুরুথেকেই মিথ্যা মুখোশধারি।
মুক্তিযুদ্ধ কোটা বন্ধ করার কোটাআন্দলন কারিরা শুরুকরেছিল সবার হাতে মুজিবের ছবি। সেটা ভন্ডামি ছিল সবাই জানে।
কোটাবাজরা বা বর্তমান বড়দের সাদাশার্ট স্কুলড্রেস ব্যাকপ্যাক ধারণ করাও ভন্ডামি।
মুখোশধারি,ব্যান্ডেজধারি,ব্যাগবোঝাই ভুয়া আইডি লাইভে সেলিব্রিটিদের মিথ্যাচার।
ভন্ডামি মিথ্যার উপর ভর করে কখনও কেউ জয়লাভ করেনি, করবেও না।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী, আর স্কুলের বাচ্চাদের ওপর আক্রমণ করা হলো মহানুভবতা।
৬৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এরা তো আন্দোলন করতে আসে নি, তাই আন্দোলনের শর্ত পূরণের দায় তাদের ওপর চাপানো যায় না। কিন্তু এই শিশুরা যা করেছে প্রাপ্তবয়স্করাও এ সময়ে ভাবতে পারে নি। বিস্ময়কর!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: রূপকথা রচিত হলো, দানবেরা কেড়ে নিলো, এই তো!
৬৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০
লায়নহার্ট বলেছেন: {এই হাসান কালবৈশাখীর মতো লোকগুলোর জন্য অনেক ছাত্র ইউনিফর্ম পড়ে স্কুল কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছে! আজ রামপুরায় এক পথচারীকে কলেজ ছাত্র বলে মারধর করতে নিয়েছিলো ছাত্রলীগ, অন্যরা তা প্রতিহত করে। এসব কোনদিন মিডিয়ায় আসবে না}
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি একমত পোষণ করছি।
৬৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্কুল কলেজের বাচ্চাদের গায়ে কেউ হাত তুলেনি।
দুজনকে জিগাতলা অফিসে আটকে রেখেছে গুজব ছড়িয়ে তদেরকে উষ্কানি দিয়ে জিগাতলা নিয়ে মার খাওয়াতে চেয়েছিল বড়রা।
কিন্তু বাচ্চারা রাস্তার দায়িত্ব ছেড়ে যেতে চায় নি। যায় নি।
জিগাতলায় ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় যোগ দিয়েছিল বড়রা, অছাত্ররা। এলোপাথারি মাইর পদদলিত, যেনতেন ভাবে একটা লাশ দরকার ছিল । পায়নি।
হেল্মেটধারি পোষা কুকুরগুলো মালিকের বাসা রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: লজ্জা শরম থাকলে আর এখানে আইসেন না। এরপর অপমান করা হবে।
৬৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮
Mohammad Israfil বলেছেন: ফেরার পথে ছাত্রলীগের হামলা
৬৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যুগান্তরের হেড অফ আইটি তরিক রহমান একটা চমৎকার প্রতিবেদন লিখেছেন "ওবায়দুল কাদের আপনি চুমু খাবেন কেন? ইয়াবা বদির হাতের পুরি খান!" | মনে হচ্ছে তাকেও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মতোই অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে | সমাজের বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মানুষদের পোষা বাহিনী দিয়ে নিপীড়ন করে কি আজীবন ক্ষমতায় থাকা যাবে ?
৬৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি এশিয়ার অনেক দেশ ঘুরেছি , অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে চাই যে,
১। জাতীয় সড়ক নীতিমালা বাস্তবায়ন ( যাহা ১৯৬০ সাল থেকে বাস্তবায়ন অপেক্ষায় আছে) অত্যন্ত জরুরী
২। আইনের কঠোর প্রয়োগ, ( অর্ধ-শিক্ষিত ট্রাফিক পুলিস দিয়ে নয়)
৩। দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্হাপন এবং নিবিড় পর্যবক্ষেন ও তাৎক্ষনিক শাস্তির ব্যবস্থা
৪। সকল ড্রাইভার এর সামাজিক সচেতনা মূলক প্রশিক্ষণ ও রেটিং প্রদান। রেটিং শুন্য হলে লাইসেন্স বাতিল।
৫। মাদক মুক্ত এবং অভিজ্ঞ ড্রাইভার ব্যতীত বাস/ট্রাক রাস্তায় নামানো হলে , রুট পারমিট বাতিল ও বাস/ট্রাক বাজেয়াপ্ত।
৬। কোন সরকারী কর্মকর্তা / আইন প্রণেতা / সংসদ সদস্য বাস/ট্রাকের মালিক হতে পারবে না।
৭। জনসাধারনের ট্রাফিক আইন সর্ম্পকে সচেতনা ও যথাযথ ভাবে পালন করা।
বিষয় গুলির প্রতি দৃষ্টি রাখলে আমরা বুঝতে পারি , আমাদের সমস্যা কোথায়!!! মজার ব্যাপার হলো , গাঁয়ের অশিক্ষিত
লোক বিদেশ সফরে গিয়ে, শিখে ফেলে, সেদেশের ট্রাফিক আইন..........অথচ আমাদের সমস্যা কোথায়???
তাহলে কি বলতে হবে "সরিষার মধ্যে ভূত"
................................................................................................................................................................
৭০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩০
খাঁজা বাবা বলেছেন: ছোট ছেলে মেয়েরা যা করে দেখিয়েছে তা ছিল অসাধারন। এটা এদের কাছে কারো প্রত্যাশা ছিল না। তারা এমন কিছু করেছে যা তাদের করার কথা নয়। এটা বড়দের দায়িত্ব ছিল।
গত কয়েকদিনে তাদের যে রক্ত ঝরেছে, সেটাও কারো কাম্য নয়। এই পশুদের কাছে বাচ্ছা ছেলেমেয়ে গুলোর নিষ্পাপ মুখ কোন আবেদন তৈরি করতে পারে নি। তারা আগের মতই হিংস্র।
তবে মাঝ পথে চলে গেলে পশুগুলো আরো বেপরোয়া হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
৭১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: মাহাবুব ভাই
এই কথাটা আমিও বলেছি আমার ছোট ভাইদের । কিন্তু ওরা জীদ ধরে ছিল । তখন আমি ঠান্ডা মাথায় ওদের রুমে বসিয়ে বলে ছিলাম । ব্যাপার গুলো কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে । কি জন্য জানি না । তবে আমার কথা শুনে মনে হলো ওরা বুঝে পেরেছে । আর ওদের দিয়ে নিচের প্রতিজ্ঞা গুলো করিয়েছি ।
আমি নিজেও এ প্রতিজ্ঞা গুলো ক্লাস সিক্স থেকে মেনে চলি ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অভিবাদন!
৭২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: শুরুতেই ধন্যবাদ ভাই পোষ্টটির জন্য।
তবে একটু সংশোধনী দরকার।
ছাত্রদের ৯ দফা দাবীর ব্যাপারে স্বয়ং সরকার প্রধান বারবার বলেছেন- দাবী মেনে নিলাম, বাস্তবায়নে কাজ চলছে, তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও।
প্রধানমন্ত্রী, সরকারের প্রায় সকল প্রভাবশালী মন্ত্রী, প্রসাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রায় সবাই বারবার আশ্বস্ত করার পরেও আপনি বলছেন- কোন আশ্বাসও দেয়া হয় নাই।
আর কি আশ্বাস চান? দয়াকরে বিভ্রান্তি তৈরি করবেন না।
তবে মূল বিষয় এটাই যে- ছাত্ররা অনেক কিছুই করে দেখিয়েছে। কিভাবে করতে হয় তাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এখন বাকিটা করার দায়িত্ব বড়দের।
নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সবাইকে সচেতন করতে হবে এবং সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে দাবীসমূহ বাস্তবায়ন করার কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
যেহেতু এই আন্দোলনে এখন নষ্ট রাজনীতির ছায়া পড়েছে, একপক্ষ লাশের অপেক্ষায় আছে এবং অন্যপক্ষ তা বানচালের জন্য বল প্রয়োগ করার সিন্ধান্ত নিয়েছে তাই সাধারণ ছাত্রদের নিরাপত্তা চরম হুমকিতে আছে।
তাদেরকে অবশ্যই ক্লাসে ফিরে যেতে হবে।
এ ব্যাপারে আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
বাকিটা এখন বড়দের দায়িত্ব........
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব নিয়ে আসলে এই ৭ তারিখে আলোচনা অর্থহীন। আন্দোলন শেষ, ছাত্ররা পিটা খাইছে, ঘরে ফিরছে। এখন আর বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ নাই। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৭৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আজ যখন স্নেহের অনূজরা অগ্রজদের স্থান নিয়েছে। এই আন্দোলন ছিলো প্রতিটা মানুষের নিরাপত্তার আন্দোলন। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে সুশৃংখলভাবে মানুষের বিবেকে আঘাত হানতে হয়। যেদিন সকলের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভংগী গড়ে উঠবে সেদিন দেশ হবে বাসযোগ্য। ওরা ঠিক এই জায়গাটার পরিবর্তন চেয়েছে। এই ক্ষেত্রে ওরা যথেষ্ট সফল। ওরা সেকেলেদের মুখ বুঝে বসে থাকা যে সমাধান নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আশাকরি তারা এইভাবে বেড়ে উঠবে এবং ভবিষ্যত দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
৭৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪
শ্বেত ছায়া বলেছেন: গুটি কয়েক মাধ্যম ছাড়া সবাই বলছে সন্ত্রাসীরা ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা দিয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশ একযোগে হামলা চালাচ্ছে। তাহলে পুলিশ সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। কারা এই সন্ত্রাসী? জাতি বুঝুন। আবার প্রচার করা হচ্ছে ছাত্রদল হামলা দিয়েছে।প্রশ্ন হলো ছাত্রদলকে পুলিশ সহায়তা করা শুরু করে দিলো কবে?
৭৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
এ.এস বাশার বলেছেন: ভালো লিখেছেন....... যদি তারা মেনে চলেন... !!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: যদি 'আমরা' মেনে চলি।
৭৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
অক্পটে বলেছেন: পুরো জাতি পাথর চোখে যা দেখল তার সবই গুজব! নিস্পাপ ছাত্রলীগকে পেটালো কিশোরেরা।
পুরো জাতি পাথর চোখে যা দেখল তার সবই গুজব! নিস্পাপ ছাত্রলীগকে পেটালো কিশোরেরা।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্যে বিদেশেও পাঠানো হবে শুনেছি।
৭৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১০
সূচরিতা সেন বলেছেন: Cসহমত তাদের এখন ঘরে ফেরত যাওয়া উচিৎ।
৭৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
মুমিত প্রত্যয় বলেছেন: আমি একজন কলেজ ছাত্র। আমিও এই আন্দোলনে ছিলাম। ঝিগাতলায় ছিলাম না, কিন্তু আন্দোলনে ছিলাম। আমার খুব কাছের কয়েকজন বন্ধু ঝিগাতলায় থাকে। এর মধ্যে একজন এই ব্লগস্পটেরই ব্লগার, আলম দীপ্র। তাদের কিছু হয়নি, লাকিলি। তাদের থেকে ক্রমাগত খবর পেতে পেতে সেখানকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা টের পেয়েছি। আর শিউরে উঠেছি, ভয় পেয়েছি। এতোটাই হেল্পলেস আমরা!
একটা প্রশ্ন বারবার এসেছে মাথায়। ওরা ছাত্রদের এত ভয় পেল কেন? ভয় না পেলে এমন আক্রমণাত্মক হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে কী? আমরা তো কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামিনি। তাহলে ওরা এত ভয় পেল কেন?
ঘটনা ঘটবার পর আমরা, কাছের কিছু বন্ধুরা কথা বলে ঠিক করেছি আমরা রাস্তায় আর নামছি না। ভয় পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে আসলে, তাও বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বেশীরভাগ ছাত্ররাই ক্ষেপে ছিল খুব। তা স্বাভাবিক। তারা হাতের কাছে যা পায় তা নিয়েই নামার কথা বলছিল। আমরা বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে তাদের থামানোর চেষ্টা করেছি। বেশীরভাগই আমাদের কথায় প্রভাবিত হয়েছিল। আমরা ক্লাস বয়কট করার সিদ্ধান্তও নয়েছিলাম। কিন্তু এখন সবাই কলেজ যাচ্ছে।
আমি বলছিনা সবার কলেজ বয়কট করে বসে থাকা উচিৎ। কিন্তু ক্লাসে যেয়ে লাভ কী হবে? আমাদেরকে এভাবে আহত করা হলো। ভার্সিটি গুলোতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। পুলিশ রেইড দিয়ে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা ঠিকই কলেজে যাচ্ছি। ক্লাস করছি। লেকচার গিলছি। শিখছি কীভাবে এ প্লাস পেতে হবে। কীভাবে 'ভালো জায়গায়' চান্স পেতে হবে। আচ্ছা এ প্লাস নাহয় পেলাম, উত্তম জায়াগায় চান্সও পেলাম। কিন্তু তারপর? আসলে আমাদের কী এই আন্দোলনের উপরই শুধু ফোকাসড থাকা উচিৎ? ঝিগাতলায় খুন-রেপের গুজব বেড়িয়েছিল। সেদিন নাহয় হয়নি, কিন্তু খুন-রেপ কী হচ্ছেনা? আরো ভয়াবহভাবে, নির্মমভাবে? একটা কলেজ ছাত্রী, ধরুন সে আন্দোলনেও নামেনি, ধরে নিন এমন কোনো আন্দোলনই হয়নি, এমন মেয়ে কী রেপড হচ্ছেনা? এত এত রেপ হয় আমাদের দেশে, যেন কী সাধারণ ঘটনা। আমরা চা খেতে খেতে নির্লিপ্তিভাবে ধর্ষণের খবর পড়ি। অর্ধেক খবর পড়ে বোরিং ফিল করি, পাতা উলটে অন্য খবর পড়ি। কিন্তু ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, আরো প্রচুর ঘটনা ঘটে ঠিকই, কিন্তু আমরা টের পাই না। এত জোর দিয়ে কীভাবে বলছি? ঝিগাতলায় খুন-রেপ নাহয় গুজব, কিন্তু শতাধিক ছাত্রের আহত হওয়ার খবর কী গুজব ছিল? কিন্তু আইসিটি মন্ত্রী স্ট্যাটাস দিয়েছেন 'ঝিগাতলাসহ' ঢাকার কোথাও নাকি কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে ফোনে মেসেজ দেয়া হয়েছে এসব নাকি গুজব। টিভিতেও একই কথা বলা হয়েছে। খুব সম্ভবত প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার বাদে কেউই হয়তো এই হামলার খবর প্রকাশ করেনি। এমন দেশে যদি ছাত্রলীগের কেউ কোনো মেয়েকে রেপ করেও থাকে তা কী সাধারণ মানুষ জানতে পারবে? কেউ যদি খুন হয়? কেউ জানতে পারবে না। তাদের পরিবার ছাড়া। তারা বিচার দিবে কাকে? সরকার বলবে এসব গুজব।
এসব দেখেও আমাদের ভালো ছেলের মতো ক্লাসে যেতে হবে। এ প্লাস পেতে হবে, ভালো জায়গায় চান্স পেতে হবে। হতে হবে ডাক্তার নাহয় ইঞ্জিনিয়ার। ইনকাম করতে হবে, যাতে ভাতের অভাব নাহয়। কিন্তু এমন কাজ হতেই থাকবে। খুন হবে, রেপ হবে। আমরা এসব দেখব, আর ভাত হজম করব। হায়রে!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমরা আমাদের দেখিয়েছো যে সিস্টেম চেঞ্জ করা যায়, প্রতিবাদ করা যায়, প্রতিরোধ করা যায়। তবে মাঝেমধ্যে একটু পিছিয়ে আসা মানে পরাজয় না। এই আন্দোলনের মাহাত্ম্য অনেক। এটার পরিসর এতটাই বেশি, যে সবাই বুঝতেও পারছে না। এই আন্দোলন শেষ হয়েছে, কিন্তু হয় নি। আমি একটা ধীর কিন্তু স্থির পরিবর্তনের আভাস পাচ্ছি। যেটা হয় তো ৫ বছর পর বোঝা যাবে। যদি আমরা চাই। আর চাইলে যে সম্ভব, তোমরা তা দেখিয়েছো।
৭৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবার মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয় নি এজন্যে দুঃখিত। ভালো থাকবেন সবাই। পোস্টে যে প্রতিজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা মানবেন।
৮০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই কেমন আছেন? ছবিটিতে আমাদের কলেজের এক ভাইকে দেখা যাচ্ছে। আমি সরকারি বিজ্ঞান কলেজে পড়ি। আপনার পোষ্টটি স্টিকি করায় খুব ভালো লেগেছিলো। অনেক দিন পর ব্লগে এসে, বলে গেলাম, ভালো থাকবেন।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই না কি প্রান্ত? ভালো লাগলো জেনে।
শুভেচ্ছা রইলো।
৮১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৩
অন্তরন্তর বলেছেন: পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদ সুন্দর ও ভালভাবে কাটুক এই প্রত্যাশা রইল।
ঈদ মুবারক।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক অন্তর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
শরিফ নজমুল বলেছেন: চমতকার লিখেচেন।