নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাদী কান্দে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

আমি আর আমার দাদী এক ঘরে শুই। দাদীর বয়স সত্তর। দাদী আমাকে খুব একটু আদর করে না। সে অনেকটা বিড়ালের মত স্বভাবের। আরামপ্রিয় আর স্বার্থপর। বিড়ালের মতই চুকচুক করে দুধ খায়। সত্তর বছর বয়সে অনেকেই বেশ শক্তপোক্ত থাকে, কিন্তু আমার দাদী সেরকম না। জন্মের পর থেকেই তাকে আমি বুড়ি থুত্থুরি দেখে আসছি। আমার দাদী ছোটখাটো দেখতে অশক্ত একজন মহিলা। কথা বলেন খুনখুনে স্বরে। মাঝেমধ্যে তাকে দেখতে আমার ডাইনির মত লাগে। তার প্রতি আমার কখনই তেমন একটা শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা তৈরি হয় না। সে আমার মায়ের নামে কুটনামি করে বাবার কাছে। ফলে মাকে অনেক তিরস্কার সহ্য করতে হয়।

সেইদিন দাদী গোসল করে ঘরে আসলো। আমার সামনে অবলীলায় শরীরের ঊর্ধাঙ্গ অনাবৃত করে জামা কাপড় বদলাতে লাগলো। তের বছর বয়সের বালকের কামনা ভয়ংকর হয়। কিন্তু দাদীকে দেখে আমার বিবমিষা লাগলো। ঐ ঝুলে থাকা স্তনের মত কুৎসিত আর কী হতে পারে! আমি বিবমিষায় জর্জরিত হয়ে চোখ ফিরিয়ে নেই।

সেদিন এই ডাইনি আবার আমার মাকে ধমক খাইয়েছে বাবার কাছে। কারণ খুব সামান্য। সে দুধ চেয়েছিলো। কিন্তু আমার মা সেমাই রান্না করে দুধ আগেই শেষ করে ফেলেছিলো। ছোট ভাইটা জেদ ধরেছিলো সকালে সেমাই ছাড়া নাস্তা করবে না। তাই বাধ্য হয়ে দাদীর ভাগের দুধটাকে দিয়ে সেমাই তৈরি করে ফেলেছিলো। ঐদিন সকালেই আবার গোয়ালার এসে দুধ দিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে আসে নি। তাতেই এই বিপত্তি। আমার বাবা বিশালদেহী জাঁদরেল লোক। তার ধমক শুনলে সোমত্ত পুরুষও পিছু হটবে। আর আমার মা তো দুর্বল এক নারী!

আমার দাদা ভালো মানুষ ছিলো। মারা গেছে বছর পাঁচেক হলো। দাদা আমাকে কিনে দিতেন চকলেট আর সুপার বিস্কুট। সুপার বিস্কুটের স্বাদ ভুলতে পারি না। দাদীর কারণে দাদার সাথেও আমার বাবা অনেক কলহ করেছেন। দাদা আর বাবা দুজনেই রাগী মানুষ। তাদের ঝগড়া একটা দেখার মত বিষয় ছিলো। তবে একটা সময় দাদা হাল ছেড়ে দিয়ে গম্ভীর মুখে পায়চারি করতে শুরু করতেন। তাকে দেখে আমার মায়া লাগতো। দাদীকে দেখে কখনও লাগে নি।

অথচ এই মাঝরাত্তিরে দাদীর ডুকরে ডুকরে কান্না শুনে কেমন যেন অসহায় লাগছে। জীবন সায়াহ্নে থাকা মানুষের কী নিয়ে দুঃখ হয়? মরে যাবে বলে? কাছের মানুষ চলে গেছে বলে? যৌবন হারিয়ে ফেলেছে বলে? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পাওয়ার মত বড় আমি কখনও হতে পারবো কি না জানি না। দাদীকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে না। তার সাথে প্রশ্ন করার মত সম্পর্ক নেই। দাদী কাঁদছে হুহু করে। ডিমলাইটের নীল আলোয় পরিবেশটা কেমন যেন ভৌতিক লাগছে। পরিবেশটা অশুভ। মনে হচ্ছে তার কান্না শুনে আজরাইল চলে আসবে। আমার ভয় করছে।

দাদী এখন প্রতিরাতেই কাঁদে। প্রতি রাতেই তার কান্না আগের চেয়ে দীর্ঘ আর প্রলম্বিত হয়। সে কি মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করে? ও দাদী, তুমি কি ভয় পাও? ভয়ের কী আছে? আমি আছি না? কান্না পাইলে আমারে ডাকো না কেন? ভয় পাইলে আমারে বলো না কেন? আমার মায়া লাগে। আমি দাদীর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি “ও দাদী, কান্দো কেন?”। দাদী আমার প্রশ্নের উত্তর দেয় না। একমনে কেঁদে যায়। তার এই বিজাতীয় বিষাদ অরণ্যে আমার প্রবেশাধিকার নেই।

প্রতিরাতে এই কান্নার শব্দ শুনতে আমার আর ভালো লাগে না। জিজ্ঞেস করলেও কোন উত্তর দেয় না। সারাদিন তো ভালোই থাকে। রাত হলে কী এমন হয়? আমার সকালে ইশকুল। ঘুমাতে হবে না? ও দাদী, একটু থামো না? এত কান্নার কী আছে? মাথায় তেল দিয়ে দিবো? তাহলে মাথা ঠান্ডা হবে। সুনিদ্রা হবে। দাদী ঘুমায় না। দাদী কান্দে।

এক রাতে দাদী আর কান্দে না। আমার কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তার নিঃশ্বাসের শব্দটা ঠিক স্বস্তিকর না। ঘরঘর শব্দ হয়। অসুস্থতা আর বয়স কি সবকিছুকে অসুন্দর করে দেয়? হঠাৎ একটা ঝাঁঝালো গন্ধ পাই। প্রস্রাবের। এই কিছুদিন আগে আমিও বিছানায় প্রস্রাব করেছি। এখন দাদী করছে। দাদী আসলে শেষের দিকে এগুচ্ছে, নাকি শুরুর দিকে? আমার গন্তব্যও কি এরকম চক্রাকার? দুইজনের দুই বিন্দু কি একসাথে মিলে যাবে?

পরের দিন।

দাদী আবার কাঁদছে। আমিও কাঁদছি। দুজন দুজনের মত করে কাঁদছে। পুরো বাড়ি নিজঝুম। আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত কান্নাঘরে কেউ আসে না ভাগীদার হতে। শুধু বাতাসের হাহাকার আসে জানালা থেকে। আর কোত্থেকে যেন উড়ে আসে একটা চামচিকা। সে ঘরের ভেতর চক্রাকারে উড়তে থাকে, আর মাঝেমধ্যে কাছে এসে ডানা ঝাঁপটিয়ে যায় একান্ত স্বজনের মত।


মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: দাদী কাঁদে কারন তিনি বুঝে গেছেন পৃথিবীতে তার আর থাকা হবে না। অচেনা অন্য ভুবনে চলে যেতে হবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী। কিন্তু নাতি কান্দে কেন?

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম.. জীবনরে চক্র বটে
ইচ্ছা বা অনচ্ছিায় বিবর্তিত হতেই হয় অন্তহীন লুপে

+++

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভাই। শুভকামনা রইলো।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: পারিবারিক ঝামেলা খুব জটিল।
দাদী নাতির গল্প ভালো লেগেছে এবং সুন্দর করে চক্রাকারের বিষয় উল্লেখ করেছেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ঢুকিচেপা। আপনার নিকটা মজার।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কবি সেলিম আনোয়ার। শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



যা বলতে চেয়েছেন, তা পরিস্কার হয়নি, কিংবা আমি বুঝিনি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মত দুঁদে ব্যক্তির এ গল্প না বোঝার কী হলো?

গল্পের প্রথমে বালকটি তার বৃদ্ধা দাদীর প্রতি খুবই বিরক্ত থাকে। তবে একসাথে থাকতে থাকতে সবকিছুর ওপরই মায়া জন্মায়। একসময় সে অনুভব করে তাকেও একদিন একই পরিণতি বরণ করে নিতে হবে। এজন্যে দুজন একসাথে কাঁদে। আর চামচিকাটি এসে চক্রাকারে ঘোরে জীবনের চক্রের প্রতীক হিসেবে।

এখন কি বুঝেছেন?

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: অনেকদিন পর মনোযোগ দিয়ে একটা লেখা পড়লাম...

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মনোযোগের জন্যে ধন্যবাদ শাওন।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

কল্পদ্রুম বলেছেন: সংসারে শিশু ও বৃদ্ধের অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি।
যাদের শুধুমাত্র উপস্থিতিটুকুও বিরক্তিকর ছিলো। একসময় তাদের প্রতিও মায়া জন্মায়। তাদের অনুপস্থিতিকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়।
গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে। বুঝি আর না বুঝি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি যথাযথ অনুভব করেছেন কল্পদ্রুম। শুভেচ্ছা রইলো।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এবার বুঝেছি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, আপনাকে বোঝাতে পারলাম!

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




জীবনটা আসলেই এক চক্র কিন্তু আমরা এটা ভুলে থাকি ।
বর্তমান নিয়ে আমরা এতোটাই নিমগ্ন যে ভুলেই যাই এরকম একদিন আমাদের জন্যও আসবে ।
সেই বয়সে মানুষ কতো অসহায় !


২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পাঠ প্রতিক্রিয়া মিরোরডডল। ভালো থাকবেন।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২২

সোহানাজোহা বলেছেন: আমার দাদী খুব ভালো গল্প বলতে পারেন। নিজের জীবনের গল্প বলেন, নিজের দেখা গল্প বলেন। আপনি দাদীর কথা শুনলে কখন সকাল পেড়িয়ে দুপুর হবে দুপুর পেড়িয়ে বিকাল হবে বুঝতেই পারবেন না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার দাদীকে নিয়ে লিখে ফেলুন না একটা ব্লগ! আমাদেরও গল্প শুনতে ইচ্ছে করে।

শুভেচ্ছা।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩

সোহানাজোহা বলেছেন: দাদা দাদী এমনি গুরুজন, যাদের সান্নিধ্যে আসতে পারাও ভাগ্যের বিষয়। আপনি ভাগ্যবান মানুষ। আপনার গল্প বিরতিহীনভাবে পড়ার মতো গল্প।

আমি ঢাকা সহ বিভাগীয় শহরের অনেক মানুষ দেখেছি যারা দাদী দাদীর বাড়িতে যানতো নাই বরং তাদের বদনাম করেন, কারণ দাদা দাদী নাকি বাবার কাছে চলার জন্য টাকা চাইতেন! ভাবতে পারেন এটি আমাদের দেশের একটি কমন দৃশ্য!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার দাদী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছেলেমেয়ের সাথে থেকেছেন। সবাই সমাদরে রেখেছে।

হ্যাঁ, অনেক পরিবারেই এর অন্যথা দেখা যায়, যা দুঃখজনক।

শুভরাত্রি।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: গল্প লেখার হাত সবাইর থাকে না, আপনের আছে। ঈর্ষা করার মতন হাত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি অনেক পুরান ব্লগার। একসময় কত গল্প লিখেছি! কত আলোচনা হয়েছে! অনেকদিন গল্প লিখি না। লিখলেও ব্লগে দেই না। আপনার মন্তব্য পেয়ে সেই পুরোনো সময় ফিরে পেতে ইচ্ছে করছে।

ভালো থাকুন।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বুঝে দেয়ার পর ফকফকা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই নাকি? ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

শুভরাত্রি।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বী। কিন্তু নাতি কান্দে কেন?

নাতি কাঁদে কারন তারও একদিন দাদীর মতোন অবস্থা হবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক ধরেছেন!

শুভরাত্রি।

১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এবারের বইমেলায় কি আপনের নতুন কোন বই আসছে?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। উপন্যাস,বেড়ালতমা।

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৫

সোহানী বলেছেন: আপনার লিখা সবসময়ই ভালোলাগে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যও সবসময় ভালো লাগে।

১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: গল্পের তেরো বছর বয়সের একটা ছেলের জন্য দাদির বৃদ্ধা বয়সের অবস্থা দেখে নিজের পরিণতি অনুভব করার ব্যাপারটা কেমন যেন অস্বাভাবিক।ব্লগে আপনার লেখা অনেক স্বরণীয় গল্পের সাথে এটার তুলনা করে এ'গল্প নিয়ে কিছু বলাও কঠিন মনে হয় ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: তের বছরের ছেলে তো স্রেফ একটা গল্প বলার অজুহাত। মূল ভাবনা ছিলো মানুষের জীবন এবং মৃত্যুর চক্রকে উপস্থাপন করা।

ভালো থাকবেন।

১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: নাতি কান্দে- কারন- নতি দাদী না থাকলে মিস করবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী, ধন্যবাদ।

১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,




গল্পে ঘটনা প্রবাহের ছটফটানি নেই। তবে অনেক কিছুরই ছটফটানি আছে মনে হয় কারন একটি বিশেষ দিনে পোস্ট হয়েছে লেখাটি।
৫ নম্বর প্রতিমন্তব্যে যদিও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তবুও আমার কেন যেন মনে হলো, এর বাইরেও গভীর একটি ব্যাখ্যা রয়েছে! আপনার গল্প এতো সাধারণ হবে, মনে হয়না !

এমনটা কি হতে পারেনা, একটা দেশ জীবনের অনেকটা সময় পেড়িয়ে এসে এখন কাঁদতে শুরু করেছে যে কান্না শুনছেনা কেউ ? বুড়ি দাদীর মতোই সে কেঁদে যাচ্ছে প্রতি বচ্ছর? তার সাথে তাল মিলিয়ে সে দেশের মানুষের আশা ভরসাও কেঁদেই যায় আর সুদূর সকালের বারতা নিয়ে কেউ কেউ ডানা ঝাঁপটিয়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে সেই ক্রন্দনরত দেশটিকে ঘিরে ?

হতে পারে এমন ব্যাখ্যাও।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: জী এস ভাই, অনেকদিন পর আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আমার গল্পের চেয়ে আপনার অনুধাবনটা বেশি সুন্দর! আমি গল্পটি বইয়ে দিতে গেলে এ ধরণের ইঙ্গিত যোগ করতে পারি হয়তো।

ভালো থাকবেন।

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার দাদী যখন মারা যান তখন আমার বয়স পাঁচ বছর। খুব বেশি স্মৃতি নেই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার দাদী আমার মেয়েকে দেখে গেছেন।

২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫০

শায়মা বলেছেন: যার যত কাজ তার তত অবসর......
আর যার কাজ নেই তার অবসর তো নেই কিছুই নেই....

আর কাজ কমে গেলে একটু করে বিষণ্ণতা বাড়তেই থাকে। সারা জীবনের দুঃখ মনে হয়ে হয়ে...... তাই তার কান্না....... এমনই মনে হয় আমার।

শিশুৃ বৃদ্ধের মিল সবাই জানে। তবে ৭০ বছরে এত বৃদ্ধ হয়না মনে হয় মানুষ আজকাল আর ১৩ বছরের বালক কি আর আছে? সব ৩০ বছরের বুদ্ধি হয়ে গেছে আজকাল ....

তবুও গল্প পড়তে ভালো লাগছিলো......চোখের সামনে নাতি আর দাদীকে দেখতেই পেলাম......

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসুস্থতা যেকোন বয়সেই আসতে পারে। ৭০ বছর কম কী! কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় শতবর্ষী এক বিজ্ঞানী স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছিলেন। তার আর বেঁচে থাকতে ভালো লাগছিলো না। তার আর কিচ্ছু করার ছিলো না। এই সময়টার মুখোমুখি হওয়াটা কী ভয়ংকর!

২২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আজ আমার দাদীকে নিয়ে লিখব।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখেন। পড়বো।

২৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহারে শেষ বয়সে জীবনটা বুঝি এমনই হয়ে যায় মানুষের।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। খুবই কষ্টকর।

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

২৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: সুন্দর ঘটনা প্রবাহে জীবনচক্র চমতকার করে তুলে ধরেছেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জুলভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।

২৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

অন্তরন্তর বলেছেন: ধুর হাসান ভাই দিলেন তো খুব কষ্টের জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে কারণ আমার জন্য অপেক্ষা করছে সেই কষ্টকর সময়টা খুব কাছেই। সুফিবাদ নিয়ে যারা আছেন তারা খুব জীবনচক্রে বিশ্বাসী বলেই জানি, যদিও আমার এটার সম্পর্কে খুব কম জ্ঞান। যাইহোক গল্পের ছলে জীবনের একটি পরম সত্য তুলে ধরেছেন। যে দেশে থাকি সেখানে দেখি এমন হাজার হাজার নিঃসঙ্গ আর অসহায় মানুষ, এদের দেখলে কষ্ট হয়। পোস্টে ভাল লাগা। আপনারা ভাল আছেন সবাই?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা ভালো আছি অন্তর ভাই।

আপনি দীর্ঘকাল সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করুন। প্রার্থনা রইলো।

২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুল ফরিদপুর।

২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৫

মপোতোস বলেছেন: ছোট্ট কিন্তু অর্থবহ একটা গল্প। সুন্দর।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মপোতোস।

২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৩

তাশমিন নূর বলেছেন: আমার দাদীর কথা মনে পড়ছে এই গল্প পড়ে। দাদীকে নিয়ে লিখি নাই কখনো কিছু। নানান কারণে খুব বিরক্ত হয়েছিলাম দাদীর ওপরে, কিন্তু নিজেকে তাঁর জায়গায় কল্পনা করে অবহেলা করিনি কখনো। ভাগ্য ভালো, সেই বোধটা ছিল।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা তাশমিন। আপনার শুভবোধ সবসময় জিতে যাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.