নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৭ বছরের তোহা, যার খাদ্যনালী কেটে হত্যা করে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবীর

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০২



হাসিখুশি, উচ্ছ্বল এই ছেলেটির নাম তরিকুল ইসলাম তোহা। ডাক নাম প্রিন্স। বয়স মাত্র সতেরো। খুব সাধারণ একটা অপারেশনের জন্যে তাকে খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পিত্তথলির অপারেশন ছিলো সেটা। কিন্তু অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার তার খাদ্যনালী কেটে ফেলে। ফলে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করে মৃত্যুবরণ করতে হয় তাকে। তোহা আমার সহকর্মী এবং ছোট ভাই মোহাম্মদ রাসেল সনেটের ভাগ্নে ছিলো। তার জবানীতে পড়ুন, কীভাবে একটা তাজা প্রাণকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।





"পেট ব্যথা নিয়ে তরিকুল ইসলাম তোহাকে (১৭) (ডাক নাম প্রিন্স) গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ খিদমাহ হাসপাতালের ডঃ জাহাঙ্গীর কবীরকে দেখানো হয়। সেই প্রেক্ষিতে উনি কিছু টেস্ট করাতে বলেন । তাঁর পরামর্শ মোতাবেক আমরা টেস্টগুলো করাই। টেস্টের রিপোর্ট দেখে উনি নিশ্চিত হন ওর পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে উনি ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ল্যাপ্রোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন। আমরা ১৮ তারিখে ভর্তি না করে তাঁর সাথে কথা বলে পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর তারিখে খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করাই। যার বেড নম্বর ৮০৩ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৩৫৩।

১৯ তারিখে ভর্তি করানোর পর দুপুরের দিকে তাঁর বুক হতে তলপেট পর্যন্ত হেয়ার রিমুভ করা হয় অপারেশনের প্রস্তুতি হিসেবে। এবং আমরা দেখতে পাই সারা পেট জুড়ে ব্লেডের আঁচর। অর্থাৎ যিনি কাজটা করেছেন তিনি হয় দক্ষ নন অথবা খুব বেশি গুরুত্বের সাথে কাজটা করে নি। আমরা সেখানে ডিউটি ডাক্তারকে বিষয়টা এনে দেখাই এবং সেখানকার কর্তব্যরত ব্রাদারদেরকেও দেখাই। তারা খুব বেশি গুরুত্ব দেন নি বিষয়টি।


যাই হোক। ডাক্তার বলেছিল রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে ওর অপারেশন করবে। কিন্তু ডাক্তার তাঁর চেম্বারে রুগী দেখায় ব্যস্ত বিধায় প্রিন্সকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকানো হয় রাত ১১টার দিকে। আমরা (প্রিন্সের মা, বাবা, মামা, খালা) বাইরে থাকায় দেখতে পাই ডাক্তার আনুমানিক ১১টা ১৫ এর দিকে অপারেশন করাতে আসে। উনি এসে খাওয়াদাওয়া করেন প্রথমে। এরপর আমরা ডাক্তারের সাথে অপারেশনের পূর্বে দেখা করতে চাইলে তারা খুব বেশি আগ্রহ দেখান না। তারপরেও আমরা জোরাজুরি করলে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে দেন। এবং তরিকুলের আম্মু ডাক্তারের সাথে কথা বলতে যান। তখন ডাক্তার বলেন কথা বলার কিছু নেই আপনার বাইরে থেকে আল্লাহকে ডাকেন, এটা সিম্পল অপারেশন।

সর্বোচ্চ ২০-২৫ মিনিট হবে এরই মধ্যে উনি একটা ট্রে-তে করে পিত্তথলিটা এনে আমাদের দেখান এবং আমরা দেখতে পাই সেখানে অনেক পাথর আছে।

অপারেশনের পরে রাতে ওকে আবার বেডে ট্রান্সফার করা হয়। এখানে লক্ষণীয় অপারেশনের পর থেকেই ও বেশ অস্বস্তিতে ছিল। কিন্তু ডিউটি ডাক্তার এবং অন্যরা আমাদের বলেন এই অপারেশনে এই রকম একটু হয়। রাতে প্রিন্সের প্রস্রাব হচ্ছিলো না। তাই ওকে ক্যাথেটার করে দেয়া হয় এবং আমরা দেখি ওর প্রস্রাব বেশ লাল।

পরের দিন অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর তারিখে ডাক্তার এবং ব্রাদাররা বলে ওকে বেশি বেশি লিকুইড খাবার দিতে এবং কষ্ট হলেও হাটাতে। আমরা তাঁদের পরামর্শ মোতাবেক প্রিন্সের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ধরে ধরে হাটাতে চেষ্টা করি। হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয় এই ধরনের অপারেশনে আমরা রোগীকে এক রাতই রাখি। তারপর তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারে। আমরা তখন তাঁদের বলি ও তো ভালো ফিল করছে না। বেশ ঘামছিলো। আমরা চাচ্ছিলাম যদি ওকে আরো একদিন হাসপাতালে রাখাতে হয় তবে আমরা রাখতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু তারা আমাদের বলে আসলে হাসপাতালে থাকলে আপনাদের শুধু শুধুই বেড ভাড়া দিতে হবে। এবং দুপুর ১২ টা ওভার হলেই আমাদের আরো এক দিনের বেড ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু আমরা কনফিডেন্স পাচ্ছিলাম না এবং আমরা বলছিলাম আমরা আরো কিছুক্ষণ থাকতে চাই। তখন তারা বলে আমরা ১২টার সময় দিতে ডিসচার্জ করে দিচ্ছি, আপনারা এইখানে রোগী না আসলে আরো কিছুক্ষণ থাকতে পারেন। এরপর আমরা ৩টার কিছু আগে হাসপাতাল থেকে বের হই এবং প্রিন্সকে তাঁর মুগদার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

যতই সময় যাচ্ছিলো প্রিন্সের অস্বস্তি যেনো বাড়ছিল। সারা রাত প্রিন্স প্রচুর ঘা্মে। ওইদিন রাতে ৩টার (অর্থাৎ ২১ তারিখ) বড় বোন (প্রিন্সের আম্মু) আমাকে ফোন দিয়ে জানায় প্রিন্স প্রচন্ড ঘামছে। আমি প্রেসার মাপতে বলি। কিন্তু ঘরে প্রেসার মাপার মেশিন না থাকায় সম্ভব হয় নি।

২১ তারিখ সকাল থেকে আমরা প্রিন্সকে বিভিন্ন ধরনের লিকুইড খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করছিলাম এবং হাঁটাতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওর শরীরটা যেনো ভালো যাচ্ছিলো না। প্রিন্সের আম্মু ফার্মেসি থেকে একজনকে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর বাসায় এসে প্রেসার মাপে এবং দেখতে পায় ওর প্রেসার বেশ কম ৭০/৪০ এই রকম কিছু। তখন আমরা খিদমাহ হাসপাতালে কল করে জানাই। তারা তখন বলে আশেপাশের কোন একটা হাসপাতালে নিয়ে যেতে তখন প্রিন্সের আম্মু ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে কল করলে ওখান থেকে বলা হয় যেখানে ওপারেশন করিয়েছেন সেখানেই নিয়ে যেতে। তখন আবার খিদমাহ হাসপাতালে কল করে রিকুয়েস্ট করা হলে তারা ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে বলেন। ততক্ষণে বিকেল হয়ে গেছে। ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে ওনারা জানায় ও শকে চলে গেছে। এবং তখন ওরা স্যালাইন ও ইনজেকশন দেয়। ২ লিটার সেলাইন দেয়ার পর প্রেসার কিছুটা বাড়ে। কিন্তু প্রিন্সের অস্বস্তি যেনো কমছিলো না। ও পানি খেতে চাচ্ছিলো কিন্তু পানি বা অন্য কোন লিকুইড মুখে দিলে বমির উদ্রেক হচ্ছিলো।

আমরা প্রিন্সকে ভর্তি করাই ২১ তারিখ বিকাল ৫ টা ১০ মিনিটে যার বেড নম্বর ৭০২ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৪০০। তখন ডাঃ জাহাঙ্গির কবিরকে হাসপাতাল থেকে ইনফর্ম করা হয়। কিন্তু ডাক্তার প্রিন্সকে যখন দেখতে আসেন তখন রাত প্রাউ ১১ টা ১৫ বাজে। উনি সাথে ডিউটি ডাক্তারকে নিয়ে আসেন। ততোক্ষণে প্রিন্সের পেট বেশ খানিকটা ফুলে গেছে।

ডাক্তার এসে আমাদের বলেন আমরা কেনো বাসায় চলে গিয়েছি। তখন আমরা বলি হাসপাতাল থেকেই তো বলা হয়েছিলো আপনার সাথে কথা হয়েছে এবং তাঁদের পরামর্শেই আমরা বাসায় চলে গেছি। তখন তিনি ইতস্তত করে বলেন ওর বয়স কম তো তাই আমরা ছেড়ে দিয়েছে।


যাই হোক উনি এসে আমাদের সাথে এর বেশি কথা বলেন নি। ডিউটি ডাক্তারকে শুনলাম বললো একটা আল্ট্রা করাতে। এবং আরো একটি সেলাইন দিয়ে দিতে বললো। এবং তিনি চলে গেলেন। আমরা ডিউটি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলাম আল্ট্রা কখন করাবেন তখন তারা জানালো এখন আল্ট্রা হবে না, বন্ধ হয়ে গেছে আগামীকাল করানো হবে। ডাক্তার চলে যাওয়ার আধাঘন্টা পরে অর্থাৎ রাত ১২ টার দিকে ডিউটি ডাক্তার প্রিন্সের আম্মুকে ডেকে বলেন, “আপনাদের যদি সামর্থ থাকে তাহলে ওকে আই সি ইউ ফেসিলিটি আছে এমন হাসপাতালে ভর্তি করাতে”! আমরা অবাক হয়ে যাই। আমরা তখন বলি ডাক্তার তো কিছু বললেন না। আর আপনি এখন এই কথা কেনো বলেছেন। আমরা তখন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চাই। আমাদের জানানো হয় উনি চলে গেছেন এখন আর তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব না। উনি আমাদের আরো বলেন যদি আমাদের সামর্থ্য না থাকে তাহলে যেনো এখানেই রেখে আল্লাহ্‌কে ডাকতে থাকি।

আমরা প্রিন্সকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, আমাদের মাথায় ছিল প্রিন্সকে সুস্থ করতে হবে। আমরা ডিউটি ডাক্তারকে বলি তাহলে আমাদের ভালো একটা হাসপাতালে রেফার করে দিতে। উনি আমাদের ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন। আমরা জানতাম ঢাকা মেডিকেলে গেলে হয়তো চিকিৎসা পেতে আরো দেরি হবে। তাই আমরা ডাক্তারের সাথে কথা না বাড়িয়ে জরুরী ভিত্তিতে শ্যামলি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাত আনুমানিক ১ টা ৩০ এর(তখন ২২ তারিখ) দিকে নিয়ে যাই। প্রিন্স তখনো ব্যথায় কাতরাচ্ছে। আমাকে শুধু একবার জিজ্ঞাসা করেছিলো "মামা আর কতদূর!"

আমরা বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে নেয়ার পর ওনারা ওকে প্রাথমিক চিকিতসা দেন এবং ডাঃ মোঃ শাহরিয়ার ফয়সালের আন্ডারে ভর্তি নেন। ইমার্জেন্সিতে থাকা সময়টাতে প্রিন্স বার বার পানি খেতে চাচ্ছিলো কিন্তু ওনারা বলছিলো ওকে পানি দেয়া যাবে না। ঐদিন রাতেই ডাক্তারের পরামর্শে প্রিন্সকে এইচডিইউ তে ট্রান্সফার করা হয়, এবং রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করা হয় এবং আর অনেক টেস্ট করার জন্য স্যাম্পল নেয়া হয়।

২২ তারিখ আমাদের জানানো হয় প্রিন্সের পেটে প্রচুর পরিমানে লিকুইড জমা হওয়ায় আল্ট্রাতে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না যে ভিতরকার কী পরিস্থিতি। তাই তারা একটা অপারেশনের মাধ্যমে পেটের পানি আগে পরিস্কার করতে চাচ্ছে। আমরা তাতে সম্মত হই এবং অপারেশনের অনুমতি দেই। ঐদিনই বিকালের পর পর ওর অপারেশন করা হয় এবং ডাক্তার জানায় প্রায় ৮ লিটার পানি জমা হয়েছে প্রিন্সের পেটে এবং তখন আরো একটি আশ্চর্যজনক সংবাদ আমরা পাই ওর পেটের পানির সাথে নাকি খাবার পাওয়া গেছে। তাঁর মানে ওর খাদ্যনালীতে কোন ছিদ্র আছে। তখন আমরা প্রথম বুঝতে পারি অপারেশনের সময় ডাক্তার খাদ্যনালী হয়তো কেটে ফেলেছে। (যেহেতু আপারেশনের আগের আল্ট্রা সহ বিভিন্ন টেস্ট নরমাল ছিল এবং সেগুলো আমাদের হাতেই আছে)

স্পেশালাইজডে আমাদের বলা হয় ল্যাপ্রোস্কোপির যে ছিদ্র সেটা দিয়ে তারা ভিতরের পানি বেড় করে পরিস্কার করে দিয়েছে। কিন্তু যেহেতু ওপেন করা হয় নি তাই ওই ছিদ্র দিয়ে আসলে খাদ্যনালির কোথায় ছিদ্র হয়েছে তা সনাক্ত করা সম্ভব হয় নি।

ওনারা আমাদের বলেন আপাতত প্রিন্সকে আই সি ইউ তে ট্রান্সফার করা হবে এবং ২/৩ দিন কোন খাবার না দিয়ে পর্যবেক্ষনে রাখা হবে যদি আস্তে আস্তে ক্ষত রিকভার করে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ্‌, নয়তো শরীর আর একটু স্ট্যাবল হলে ওপেন করে ছিদ্র শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরমধ্যে প্রিন্সকে আই সি ইউ তে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দেয়া হচ্ছিল, এক্সরে করানো হচ্ছিল, বিভিন্ন ধরণের মেডিসিন দেয়া হচ্ছিলো কিন্তু প্রিন্স যেনো কিছুতেই ইম্প্রুভ করছিলো না। ডাক্তাররা আমাদের বলে খাদ্যনালী থেকে জীবাণু বের হয়ে ওর বিভিন্ন অর্গান ইনফেকটেড হয়ে গেছে। এর মধ্যে ওর জ্বরটাও কমছিলো না। হার্টবিটও স্বাভাবিক ছিল না। এভাবে করেই কেটে গেলো ৫ দিন। ২৬ তারিখে আমাদের জানানো হলো প্রিন্সের বয়স যেহেতু কম তারা একটা শেষ চেষ্টা করে দেখতে চায় ওকে বাঁচানো যায় কিনা। তখন সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে একটা বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত নেয় ওপেন করবে। আমরা অনুমতি দেই।

২৭ তারিখ বিকাল ৩টায় প্রিন্সকে অপারেশনে ঢুকানো হয় ৫টা ৩০ এর কিছু আগে অপারেশন সম্পন্ন হয়। বের করার পর থেকেই প্রিন্সের হার্টবিট স্বাভাবিক ছিল না। রাতে ওর জ্বর যেনো বেড়েই যাচ্ছিলো। সকাল আনুমানিক ৮ টা ৩০ এর দিকে ফোন করা হয় আমাকে হাসপাতাল থেকে। আমি হাসপাতালে গেলে আমাকে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে বলা হয় এখানে নাম ঠিকানা ঠিক আছে কিনা সেটা দেখে দিতে। আমি বুঝতে পারছিলাম না ডাক্তার কী বলছে। আমাকে বলা হয় কাল থেকেই ওর জ্বর অনেক বেড়ে যায় এবং সেটা ১০৮ নাকি উঠে যায়। যেখানে ১০৫ এ উঠলেই নাকি ওনারা আশা ছেড়ে দেন। ডেথ সার্টিফিকেট এর তথ্য মোতাবেক প্রিন্স ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে মারা যায়।"

অতি সাধারণ একটা অপারেশন, যে এভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হবে কে জানতো? আর এর জন্যে দায়ী কে? খাদ্যনালী ছিদ্র হলো কেন? কেন তোহা মরার সময় এক গ্লাস পানিও খেতে পারলো না? এমন ভয়ংকর মৃত্যু যেন কারো শত্রুরও না হয়। এমন অবহেলা যেন কাউকে সহ্য করতে না হয়!



ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর, কেন এভাবে অনায়াস অবহেলায় কেড়ে নিলেন একটা জীবনকে? এত সস্তা আপনাদের কাছে এই জীবন-মরণ খেলা? কী করলে আপনারা জীবনের মূল্য বুঝবেন?

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উফ পড়তে পড়তে কান্না এসে গেল। কেন এমন হল :(

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কোন জাহাঙ্গীর কবির, ডায়াটের ডাক্তার যিনি জনপ্রিয় হয়েছেন?

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: না। এই লোক-

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: কি ভয়ংকর ঘটনা! আমি তো ভাবতেই পারছি না। উফ!
অবশ্যই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তোহা হত্যার বিচার হওয়া উচিত। একজন ডাক্তার হয়ে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কিভাবে হয়?

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

নতুন বলেছেন: অপারেশনের এতো গুলি দিনেও তার সমস্যা নির্ণয় করে চিকিতসা করা সম্বভ হলো না :(

বর্তমানে কোন ডাক্তার রোগীদের নিয়ে ভাবেনা, সমস্যা সমাধানের চেস্টা করেনা। :(

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আসলেই পড়ে কান্না পাচ্ছে। মানুষ কতটা অসহায়। আল্লাহ্‌ তোহার পরিবারকে এই কষ্ট সহ্য করার তৌফিক দান করুন আর তোহাকে পরকালে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন।

উনারা কি এই ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। সুযোগ থাকলে নেয়া উচিত। নইলে এমনতর অবহেলায় আরও অনেক তোহা'র জীবন অকালে ঝড়ে যাবে।

আমার খুব নিকটজনও এই মুহুর্তে ফুসফুসজনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি আছে, যে কিনা আবার ক্যান্সার রোগী। আল্লাহ্‌ সহায় হোন।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

শায়মা বলেছেন: পুরাটা পড়তে পারিনি এত খারাপ লাগছে।

মানুষ বাঁচার জন্য ডাক্তারের কাছে যায় আর সেই ডাক্তারেরা এই মূল্যবান জীবনের কোনো মূল্যই দেয় না।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

সাজিদ! বলেছেন: খুবই খারাপ লাগলো পড়ে। আল্লাহ ওর পরিবারকে শোক বইবার শক্তি দিন, আমিন। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অবশ্যই তদন্ত করার মতোন। একজন সার্জন নিজের দেওয়া সময়ের দুই ঘন্টা পর অপারেশনে আসবেন, তার অপারেশন কমপ্লেক্সে খাওয়ার সময় আছে কিন্তু রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলার সময় নাই, এইটা অদ্ভুত। এরপর আবার যখন অবস্থা খারাপ হওয়ার পর, খিদমাহতে এডমিট করা হলো তখন সেই সার্জনের উচিত ছিল ইমারজেন্সি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য সনোলজিস্ট ম্যানেজ করা ( রাতে ইমারজেন্সি আল্ট্রা হবে না এইটা কোন নিয়ম হইতে পারে না), এরপর সেই ডাক্তার উনার কথাতেই তো এলোমেলো লাগতেসে, উনি অপারেশন করলেন কিন্তু পেশেন্টের পোস্ট অপারেটিভ ফলো আপ কেমন জানেন না, অপারেশনের পর ছুটি কে দিল কেন দিল সেটাও জানেন না, তাহলে কিসের ঘোড়ার ডিমের প্র‍্যাকটিস করেন? হাসপাতালের ওটি বয়ও বছরের পর বছর ওটি টেবিলে কাজ করে বেশ দক্ষ হতে পারে কিন্তু সে ডাক্তার না কারন অপারেশনের পরে রোগীর কি কারনে কি কি সমস্যা হতে পারে সেটা নিয়ে সার্জারীর ডাক্তার পড়েন মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য। এইখানে চিকিৎসক জাহাঙ্গীর সার্জন হিসেবে পুরোপুরি ব্যর্থ।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাজিদ! বলেছেন: সম্ভবত - ইন্ট্রাঅপারেটিভ পিত্তথলির পাথরের অপারেশন করতে গিয়ে আশেপাশের কোন স্ট্রাকচার ড্যামেজ হয়েছিল যার কারনে ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে, অথবা পোস্ট অপারেটিভ সময়ে ক্ষুদ্রান্ত্র- বৃহদান্ত্রের কোন জায়গায় ব্লাডের সাপ্লাই আর ডিমান্ড মিট করতে পারেনি / ফাংশন রিগেইন করতে পারেনি তাই এই সমস্যার কারনে পেট ফুলে যাওয়া ও পরে শকে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যাই হোক, হাসপাতাল আর সার্জন এর দায় এড়াতে পারেন না, তাদের জবাবদিহিতায় আওতায় আনা হোক।

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই রকম নিষ্পাপ ছেলেটার ছবির দিকে তাকিয়ে অশ্রু সংবরণ করা কঠিন নয় কঠিনতর l

আমাদের এইসব কসাইখানাগুলু যে কবে বন্ধ হবে? আর কসাইটার আরো একটু ডিটেলস দেয়া দরকার l কারণ একই নাম একাধিক কসাই থাকতে পারে l স্বাভাবিক মৃত্যু চাই, কসাই হাতে মরতে চাইনা l

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১

সোবুজ বলেছেন: এতো সুন্দর তাজা একটা প্রান ডাক্তারের ভুলের কারনে আকালে ঝরে গেল।ডাক্তারদের বিশেষ করে যারা অপারেশন করে তাদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এমন খবর পত্রিকায় প্রায় দেখা যায়।পরিবারের জন্য এটা যে কতোবড় মর্মাহত ঘটনা ভুক্তভোগী ছাড়া উলব্ধি করা সম্ভব না।ক্ষতি পুরন চেয়ে মামলা করা দরকার।

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইস!!!! সরি কমেন্ট করার মতো অবস্থায় নেই

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: কী ভয়ংকর !
এই ডাক্তারকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে ! তার ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিল করতে হবে ।

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৭

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: আমার বাসার পাশেই খিদমাহ হসপিটাল। ডাক্তার গুলো সবতের মাথায় টুপি, নুরানী চেহারা। কিন্তু এরা একেকটা মানুষ রূপী হায়না। এই হাসপাতালে কোন রুগী নিয়ে গেলে এরা লক্ষ্য করে রুগীর ঘাড় সোজা আছে কিনা। রুগীর ঘাড় যদি অন্য কারো কাঁধে হেলানো থাকে কিংবা রুগীকে যদি অজ্ঞান মনে হয়, তাহলে এরা সঙ্গে সঙ্গে রুগীকে অন্য হসপিটালে নিয়ে যেতে বলে। এমন কি প্রাথমিক চিকিৎসা কিংবা অক্সিজেন সহ জীবন রক্ষার অন্যান্য সাপোর্টও দেয় না। নাম দিয়েছে 'খিদমাহ হসপিটাল' অথচ একটি হাসপাতালে যে নুন্যতম সেবা বা দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ তার কিছুই এখানে নেই। সেবার চেয়ে মুনাফাই এদের প্রধান লক্ষ্য।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪০

কালো যাদুকর বলেছেন: একে জনগনের কাছে তুলে দেয়া হোক।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইসব ডাক্তার ,এইসব হাসপাতাল টিকে থাকবে বাংলাদেশে জনগণ অসহায় থাকবে এবং মরবে

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,




অভাবনীয় মর্মান্তিক।
হত্যা মামলা হতে পারে।

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল বেশির ভাগ ডাক্তারদের টাকার প্রতিই লোভ বেশি।মানুষের জীবন তাদের কাছে কোন মূল্যই নাই।

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আহা ! খুব মনোযোগ দিয়ে ব্লগটা পড়লাম । খিদমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জমা হয়ে আছে । তারা শুধু মাত্র বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে চিকিৎসা সেবাকে ব্যবহার করছে ... আশা করবো মামলা করবেন । মামলা না করলে এই ধরনের অমানুষগুলোর আরো অনেক অসহায় মানুষকে চিকিৎসার নামে হত্যা করবে । পরিশেষ , ওনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি । হে রাব্বুল, আলামিন আপনি ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুণ ।

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

বিটপি বলেছেন: কিছু কিছু রামছাগলের চোখে সমস্যা হচ্ছে এই ডাক্তারের দাড়ি আর টুপি থাকা। ভাবটা এমন যেন দাঁড়ি টুপি থাকলেই এগুলো অমানুষ!

১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আর আপনি? আপনার মূল সমস্যা হচ্ছে কমেন্টে কে দাঁড়ি নিয়ে কী বলছে। এত বড় পোস্টে এত অবিচার আর অবহেলার কথা লেখা হলো সেইসব নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যথা আছে? একটা মানুষ মিরা গেলো সেইদিকে আপনার খেয়াল নাই আইছেন কমেন্টে ক্যাচাল করতে।

২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তরিকুল ইসলাম তোহার প্রতি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের দেশে এই অবস্থা চলমান। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নামক অপচিকিৎসা হচ্ছে। আইনের প্রয়োগ খুবই শক্তভাবে প্রয়োজন।

২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমন কাজ একজন ডাক্তাররের হতে পারে না! সুষ্ঠ তদন্ত করে এর বিচার হওয়া উচিত।

২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ওনারা রোগী দেখে টাকা কামান, আল্লাবিল্লা করেন, মসজিদে দান খয়রাত করেন। অবেহেলা-অবজ্ঞায় রোগী মরে মরুক, এসবের ধার ধারেন না, প্রয়োজনে প্রশাসনে জায়গামতো লেনদেন করে নিজের মুশকিল আসান করেন। এরা সকল অপরাধে পার পেয়ে বহাল তবিয়তে থেকে রোগী দেখে যান, টাকা কামান, হজ্ব করেন, যাকাত দেন।
ফাইনালী এই ডাক্তারদের হাতেই আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা জিম্মি।
শুধু প্রিন্স নয়, এমন আরো অনেক রোগীর অকাল মৃত্যু হয়েছে এমন সব কসাই ডাক্তারদের হাতে। প্রিন্স তো আমাদেরই ভাই বা সন্তান। কসাই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমাদের ভাই অথবা সন্তানের অকাল মৃত্যুর শোক কতো আর সহ্য করা যায়!

২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: +++
পিত্তথলির পাথর অপসারন মুলত পুরোটা পিত্তথলি রিমুভ করা ল্যাপ্রোসকপিক খুবই সাধারণ অপারেশন। রোগী ২৪ পর বাসায় যেতে পারে। কিন্তু ডাক্তার ব্যাটা এই সাধারন অপারেশনটা করতে যেয়ে অন্ত্র কেটে ফেললো সে কিসের ডাক্তার?
আচ্ছা ভুলে না হয় কেটে গেছে, কিন্তু তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা না নিয়ে রোগিকে ছুটি দিয়ে বাসায় চলে গেল এ কেমন দায়িত্বহীনতা!
এই জন্য এইসব দাড়ীওয়ালা লোক গুলোকে দুইচোক্ষে দেখতে পারি না।
এরা হাতমুখ ধোয়ার বেসিনে পা ধোয়। বাসের সিটে বসলে ব্যাগ ও কনুই এমনভাবে রাখবে যে কোন ভদ্রলোক পাশে বসার উপায় নেই।

-----
লেখক বলেছেন: আর আপনি? আপনার মূল সমস্যা হচ্ছে কমেন্টে কে দাঁড়ি নিয়ে কী বলছে। এত বড় পোস্টে এত অবিচার আর অবহেলার কথা লেখা হলো সেইসব নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যথা আছে? একটা মানুষ মিরা গেলো সেইদিকে আপনার খেয়াল নাই আইছেন কমেন্টে ক্যাচাল করতে। +++

২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:০৩

করুণাধারা বলেছেন: ছেলেটার হাসিমুখের ছবি দেখে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার কোন বিচার হবে না। ডাক্তারের লাইসেন্স টু কিল বহাল থাকবে। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত বাসী করেন, ওর মা-বাবাকে এই দুঃখে সবর দেন।

২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: পড়তে পড়তে দীর্ঘশ্বাস খারাপ লাগল কিন্তু কথায় আছে ডাক্তারা নাকি কসাই কথাটা সত্য তার চেহার মধ্যেই ঝলঝল করছে কসাই
যাক মানুষ মরণশীল কোনা কোন ওসিলাই মৃত্যু বরণ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক মহান আল্লাহ্ প্রিন্সকে জান্নাত বাসি করুণ আমিন

২৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

সেডরিক বলেছেন: হৃদয়বিদারক, কষ্টকর ও মর্মান্তিক!
আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন কি?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: তোহার পরিবার আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছে।

২৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

জ্যাকেল বলেছেন: এইসব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মত প্রশাসনিক সিস্টেম আমাদের দেশে কি আছে? যদি না থাকে তবে সরকারে বসে ৫০ বছর এইসকল লোকেরা কি করেছেন? এখনো অন্তত একটা কিছু তো করা যায়।

২৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ এসব বর্ণনা পড়া যায় :(
এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানাই, পরিবারের কে আল্লাহ সহ্য করার ক্ষমতা দিন।

২৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: খুবই দুঃখজনক!
আইনের প্রয়োগ খুবই শক্তভাবে প্রয়োজন।

৩০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যিই দুঃখজনক। ডাক্তারের দায়িত্বহীনতা কি ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে, এই ঘটনা তার বাস্তব প্রমান। আহ! সচেতনতার অভাবে একটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেল! বিষয়টি এখানে তুলে ধরায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঘটনাক্রমে এই ডাক্তার ভদ্রলোক শশ্রুমন্ডিত। দাড়ি রাখা বা না রাখার ব্যাপারে যতটুকু জানি, আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় কোন আইন নেই। এটাকে বরং যার যার ব্যক্তিগত ইচ্ছে অনিচ্ছার মধ্যেই গন্য করা হয়। যদিও এটা সকলেরই জানা যে, ইসলাম ধর্মে দাড়ি রাখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউ দাড়ি নিজে না রাখলেও যারা দাড়ি রাখেন তাদেরকে সাধারণত: সম্মানের চোখেই দেখা হয়ে থাকে। আর এটা এ যাবত চলে আসা আমাদের দেশ বা এই অঞ্চলের রেওয়াজ বা প্রথাও বটে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামী শরিয়তে দাড়ি রাখাকে যেখানে ওয়াজিব বা আবশ্যক সাব্যস্ত করা হয়েছে সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে ঘৃণা প্রকাশক নেতিবাচক মন্তব্য নিশ্চয়ই দুঃখজনক। দাড়ি নিয়ে একজনের অবান্তর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আরেকজন প্রতিবাদ করায় আপনি তাকে কিছু কথা শুনিয়ে দিলেন। কিন্তু প্রথমোক্ত ব্যক্তি অর্থাৎ, যিনি এই পোস্টের মূল বিষয়ের বাইরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে দাড়ি নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে প্রথমে খোচা দিলেন তাকে কিন্তু কিছুই বলেননি! যদিও শশ্রুমন্ডিত লোকদের নিয়ে তার ঘৃণাবাচক কথাগুলো কষ্টদায়ক ছিল। তার মন্তব্যটা পাঠের পরে একটা সিম্পল প্রশ্ন এসেই যায়, তিনি শশ্রুমন্ডিত লোকদের যেসব দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছেন, সেইসব দোষ কি শশ্রুবিহীন লোকদের মাঝে থাকে না? উত্তর হচ্ছে, অহরহ থাকে। আর শশ্রুমন্ডিত লোক হলেই যে এইসব দোষ তাদের মাঝে থেকে থাকবে, বিষয়টা সম্ভবত: এমনও নয়। কেউ কেউ ভুল করতেই পারেন। তাহলে? ঢালাওভাবে শশ্রুমন্ডিত লোকদের দোষারোপ করার প্রবনতা কাম্য হতে পারে কি?

এসব বিষয়ে কথা বলার ইচ্ছে ছিল না, একান্ত অনিচ্ছা নিয়েই কথাগুলো বললাম। আপনি কষ্ট নিবেন না আশা করছি। তারপরেও আপনার কাছে যদি মনে হয়ে থাকে যে, বেশি কিছু বলে ফেলেছি, তাহলে বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

শুভকামনা জানবেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্য অবশ্যই অফেন্সিভ। তবে হাসান কালবৈশাখী আর বিটপির মন্তব্যে পার্থক্য হচ্ছে একজন মূল বিষয়ে আলোকপাত করার পর তার ব্যক্তিগত উষ্মা জানিয়েছে, আরেকজন উত্তর দিয়েছে মূল বিষয়ের প্রতি কোন এমপ্যাথি না দেখিয়েই। এই ধরণের মানুষজনকে আমি যেভাবে দেখি, মানুষ মরা তাদের কাছে কোন বিষয় না, দাঁড়ির অবমাননাই মূল ইস্যু। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি অফেন্সিভ মনে হয়েছে।

যাই হোক, হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্য মুছে দিচ্ছি। তার এই ধরণের মানসিকতার অবশ্যই নিন্দা জানাই।

৩১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৫

পুলক ঢালী বলেছেন: ইসলামি লেবাসের বিজ্ঞাপন এদেশে হট কেকের মত চলে তাই পয়সা কামাবার জন্য কশাইরাও মাথায় টুপি দেয়।

এখানে মাথা ব্যাথা হল, অপারেশনের আগে ডাক্তাররা শাস্তি এড়াবার জন্য ইনডেমনিটি নিয়ে নেয়।
এখন ভুল আর দুর্ঘটনার পার্থক্য বরাবর হয়ে যেতে পারে। দায়িত্ব জ্ঞানহীন ডাক্তারকে কোনো থেরাপি দেওয়া যায় কিনা সেটা ভেবে বের করা দরকার।
তরতাজা,চোখে স্বপ্নমাখা, প্রানবন্ত এক কিশোরকে মেরে ফেলাকে মেনে নেওয়া যায়না, খুনি ডাক্তারের বিচার চাই।

৩২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

স্প্যানকড বলেছেন: পুরোটা পড়তে খারাপ লাগছে। ডাক্তার বেশে বহু জল্লাদ খুনি আছে দেশে ! এরা শুধু অর্থ চিনে রোগী চিনে না। ডাক্তার এর ও তেমন কিছু করা হোক যাতে বাকি জল্লাদ খুনিরা সাবধানে থাকে। মনটাই খারাপ হইয়া গেলো। ভালো থাকবেন।

৩৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যটি পাঠ করে আপনি রেগে যাননি এবং ইগনোর করেননি বলে আপনার প্রতি অনি:শেষ কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ তাআ'লা পরিবার পরিজনসহ আপনাকে তাঁর করুণার বারিধারায় সিক্ত করুন। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীকে আল্লাহ তাআ'লা সুখে রাখুন, শান্তিতে রাখুন।

৩৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ভয়ঙ্কর কষ্টের কিছু বলার ভাষা নেই :(

৩৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

সাইবার সোহেল বলেছেন: তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, এরাই হলো বর্তমানে যে প্রশ্ন ফাঁস করে মেডিকেল কলেজ ও বুয়েটে যারা অবৈধ ভাবে ভর্তি হয় তাদের অগ্রজ. ..। না হলে আজকাল এমন ছোটখাটো অপারেশনেও কেন এমন ভয়ানক অবস্থা!!! তার মানে ভবিশ্যতে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে, জনে জনে সনদ দেখে তো আর চিকিৎসা নেয়া সম্ভব নয়। X( X(( :( :(( :#)

৩৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

ক্ষত বিক্ষত বলেছেন: আপনার মন্তব্য সবাই ডাঃ জাহাঈীর কবীর না। তার সব রুগী মরে গেছে তাও না। এটা একটা ভুল ছিল। তবে এর জন্য তার প্রাপ্য সাজা পাওয়া উচিৎ তাহলে ডাঃ সাহেবরা সতর্ক হবেন। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে যে ডাঃ আছে দেখে আমরা এখনো তাদের কাছে কিছু চিকিৎসা নিতে পারছি। তারা কসায় হলে ও আমাদের উপকার হয়।

৩৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: মর্মান্তিক!! তাজা একটি প্রাণ। ছেলেটার দিকে তাকাতেই কষ্ট হচ্ছে।

৩৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।

৩৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪২

অধীতি বলেছেন: আমার ছেলেটার কষ্টের কথা মনে পড়ছে। মনটা বিষন্ন হয়ে উঠেছে পড়ার পরে। ওনাদের নামে থানায় অভিযোগ করুন।

৪০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

ফারহানা শারমিন বলেছেন: ডাক্তারদের ভুলের জন্যে মা কে হারিয়েছি। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশেই এটা সম্ভব।

৪১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

লিংকন১১৫ বলেছেন: জানিনা সঠিক বিচার পাবেন কিনা, তবে চেস্টা চালিয়ে যাবেন শেষ অবধি ।
(অপারেশন এর পরে পেটের কোন ছবি তোলা হয়েছিলো কিনা , হলে আদালতে খুব কাজে লাগবে)
অন্তর থেকে দোয়া থাকবে তোহার জন্য ।

৪২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সভ্য বলেছেন: হাসপাতাল আর সার্জন এর দায় এড়াতে পারেন না, তাদের জবাবদিহিতায় আওতায় আনা হোক। ডাক্তারকে সাজা দেওয়া হউক।

৪৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৯

মুক্ত মানব বলেছেন: তদন্ত এবং ন্যায় বিচার চাই

৪৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নরপিচাশের কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত।

৪৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৪৪

আলামিন১০৪ বলেছেন: আমার মা-বাবা দু’জনই ডাক্তারের হাতে খুন হয়েছেন। এসব খুনের কোন বিচার নাই দেশে তাই আল্লাহর আদালতে নালিশ দিয়েছি।

আপনারা কি আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন? কোন আপডেট আছে?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আইনী লড়াই শুরু হয়েছিল। সেটার কোনো ভবিষ্যত নাই। আপডেট জানি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.