নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ট্রাম্পকে যখন গুলি করা হচ্ছিল, তখন আমি দেখছিলাম Wag the Dog সিনেমাটা। (সামনে স্পয়লার)
১৯৯৭ সালের এই সিনেমার কাহিনী আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একটি যৌন অসদাচরণের ওভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ সামাল দিতে প্রেসিডেন্টের পিআর টিম আলবেনিয়ার সাথে যুদ্ধের পরিকল্পনা করে। তারা শরণাপন্ন হয় একজন হলিউডি প্রযোজকের। তার তত্ত্বাবধানে আলবেনিয়ায় কীভাবে মুসলিম সন্ত্রাসীরা গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে, গ্রামের অসহায় নারী বোমা থেকে বাঁচতে ছুটছে এমন একটা দৃশ্য ধারণ করা হয় স্টুডিওতে। যুদ্ধবিরোধী গান তৈরির কাজও চলতে থাকে। পরে সিআইএর হস্তক্ষেপে যুদ্ধের সম্ভাবনা রহিত হয়।
তখন তারা চলে যায় প্ল্যান বি'তে। কোত্থেকে যেন আলবেনিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া এক সৈন্যের ছবি প্রকাশিত হয়। সে তার ইউনিফর্মে মোর্স কোড দিয়ে লিখে রেখেছে Courage, mom. এখন প্রেসিডেন্টের পিআর টিমের কাজ হলো জেলখানা থেকে একজন মানসিকভাবে অসুস্থ কয়েদীকে উদ্ধারকৃত সৈন্য হিসেবে দেখানো, যে তার মায়ের কাছে ফিরতে চেয়েছিল।
এতসব কিছুর পর সবাই প্রেসিডেন্টের সেক্সুয়াল স্ক্যান্ডাল ভুলে গেল এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলো।
ট্রাম্পের কানের পাশ দিয়ে গুলি যাওয়া, এবং এরপর তার শূন্যে আঙ্গুল দিয়ে বিজয়ের চিহ্ন প্রকাশ করা, এবং মানসিক বিকারগ্রস্থ আততায়ীর মৃত্যু, এসবের সাথে ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ী হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়াতে মনে হচ্ছে লেজ এখন কুকুরকে নাড়াচ্ছে!
১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসল ঘটনা যাই হোক, ট্রাম্প একটা দারুণ ফেভার পেয়ে গেল।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সত্যি বলতে যতবার নিউজ ক্লিপটা দেখি মনের ভেতর প্রশ্ন আসে।
প্রথমত, আমেরিকার মতো জায়গায় এতো সিকিউরিটির ভেতরে গুলি করা।
যেভাবে আর ইউ রেডি বলে বলে তাকে তুলে ধরলো আর নিয়ে গেলো, পুরো বিষয়টা কেমন যেন হালকা লাগলো।
১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: বৃহত্তর স্বার্থের কাছে আনফেয়ার বলে কিছু নেই। এই যে একজন মারা গেছে, সে কে?
কেউ জানে না।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
এধরণের রাজনৈতিক স্বার্থের ঘটনায় যারা মারা যায়, তারা সবসময় অজানা অচেনা নাম না জানা মানুষেরাই মারা যাই।
জীবনের গল্পগুলো তাদের জীবনেই থাকে, যেটা কারো জানা হয়না।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সারা বিশ্বে রাজনীতির চাইতে বড় সিনেমা আর কি আছে? সেই সিনেমার একটা ছোট্ট কমেডি দৃশ্য আজকে চিত্রায়িত হলো ট্রাম্প দাদুর কল্যাণে। "কানের পাশ দিয়ে গুলি বের হয়ে যাওয়া" কথাটির বাস্তব একটা উদাহরণ উনি সারা বিশ্বকে উপহার দিলেন, এজন্য অবশ্যই উনি আন্তরিক ধন্যবাদ প্রাপ্তির দাবী করবেন না যে অদূর ভবিষ্যতে তা কে বলবে? অপর দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্টও ট্রাম্পের পথ ধরেই আবোল তাবোল কথা বলে ইতিমধ্যে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে হাসির খোরাক যোগাচ্ছেন। আমার মনে হয় আমেরিকার বুরোক্রেসি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে প্রেসিডেন্ট এর ভূমিকা কিছুই না। তাই তো প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট দুই প্রার্থীই দুই কমেডিয়ান। অবশ্য বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব প্রধান রাষ্ট্রপ্রধানকেই আমার ভাঁড় বলে মনে হয় তাদের কর্মকান্ড দেখে। আর এইসকল ভাঁড়দের কর্মকান্ডে সমস্যায় পড়ছি আমরা আপামর বিশ্ব জনতা।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
আহলান বলেছেন: আমার কথা হলো এমেরিকার আদালত কেন ট্রাম্পকে নির্বাচনে দাড়ানোর অনুমতি দিলো? রিপাবলিকান দলে কি আর কোন প্রার্থি ছিলো না? একজন অভিযুক্তকে কেন প্রার্থী হতে হবে? এখন সে খেলা দেখাচ্ছে ...
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: একদম খাঁটি কথা!
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: ট্রাম ক্ষমতায় আসলে বিশ্বের জন্য মঙ্গল।ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে যাবে।ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া বন্ধহবে।
৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কানে গুলি লাগলে সে তো ভয়ে চুপসে যাওয়ার কথা, কিন্তু তার অঙ্গ-ভঙ্গি দেখলে মনে হয় সে বিরাটা একটা কিছু অর্জন করে ফেলেছে। সত্যিই যদি কানে গুলি লাগতো তাহলে এসব ভি চিহ্ন দেখানোর কথা ভুলেই যোতো সে।
৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২০
শায়মা বলেছেন: নাটক হলেও ভুল করে কানের জায়গায় নাকে লেগে গেলে নাটক করা বের হয়ে যেত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫
নতুন বলেছেন: এতো নিরাপত্তার মাঝে মিটিংএ গুলির অর্থই হচ্ছে এটা সাজানো।
ট্রাম্প ব্যবসায়ী দুস্টু চরিত্রের মানুষ, তাকে মারার জন্য যদি ব্যবসায়ী প্রতিদন্ডিরা চেস্টা করতো তবে অন্য খানে করতো।
সরকারের পক্ষ থেকে এমন স্নাইপার ভারা করতো না যে মিস করবে.
আর কানের পাশ ক্ষত তিনি নিজেই করতে পারেন।
ট্রাম্পরে মতন প্রেসিডেন্ট যেই দেশের আসবে সেই দেশের ভরাডুবি হইতে বেশি সময় লাগবেনা।
এর পেছনে কি চাইনিজরা আছে? ট্রাম্পের মতন প্রেসিডেন্ট থাকলে আমেরিকার সম্রাজ্যবাদ খুইয়ে বসবে অল্প সময়ে।