নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথিক জন

পথিক জন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলে যা না খেলারাম.... ১

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

সবার মুখে একই কথা পাথিকের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে ....
কি ভাবে যে হইলো সেটাই বুঝতেছি না /
মানুষ যে এখন রান্না করা তরকারি হয়ে গেছে তা আমার জানা ছিলো না /
কিন্ত এই চরিত্রহীনতার অপবাদ কেন ?
কারন আমার বয়স নাই নাকি এখন ভালোবাসার কবিতা লেখার বা প্রেমের গল্প বলার ......

আমি যখন ছাত্র , মানে কলেজ শেষ হলে পড়ে যেখানের ছাত্ররা সত্যিকারের ছাত্র হয় তেমন আর কি , সে সময় পড়েছিলাম সৈয়দ শামসুল হক স্যারের খেলারাম খেলে যা বইটি / তা প্রায় বিশ বছর আগের কথা /

বুধবার ১৫ জুলাই ২০১৫
আবারও পড়লাম

আমার চুমোয় তবে
’চলো না বেড়িয়ে আসি দূরে বা কোথাও- এই কথা বলতে
নিভে যায় সাহসের যে সলতে
জ্বালিয়ে আমি তোমার কাছে আসি/
এমনকি আজও বলা হয়নি’ ভালোবাসি!”
আমি কত কিছু বলে চলি , তুমি কিছুই বলো না /
রহস্য দিয়ে বোনা
দামাস্কাসের দোরপর্দা তোমার হৃদয়;
রক্ত দিয়ে আজ যদি তা মাখিয়ে দেই , কেমন হয় ?
বললে ‘কাল বহুদিন পরে
বেড়াতে গিয়েছিলাম শহরে / ‘
’কী দেখে এসেছো? আমার চেয়েও মাতাল
কাউকে দেখলে যে তোমার জন্যে পাতাল
পর্যন্ত যেতে প্রস্তত ? ‘
‘ না তা দেখিনি/
দেখেছি শুধু জিনিসের বিকিকিনি / ‘
’ কি দেখে এসেছো ?আমার চেয়ে বোকা কোনে চোর ,
হীরামুক্তা ফেলে যার হৃদয়ের দিকে নজর? ‘
’ না , তা দেখিনি /দেখেছি বিজ্ঞাপন -
লাল নীল বিশাল সব নিয়ন! ! ‘
হঠাৎ পড়ল চোখ -
কিছুক্ষন অপলক
তাকিয়ে থেকে বললাম, ‘ দেখি দেখি , ওখানে কিসের দাগ!’
তুমি বড্ড চালাক -
চুল দিয়ে ঢেকে দিলে দাগ!
বললে, ‘কই , কিছু না/ ওহ্ ওটা ?
একদিন যাকে ভালোবেসেছিলাম তার রক্তের ফোঁটা!
আমি দেখাতে চাই না সে দাগ/ ‘

বললাম ‘ যদি যায় আমার চুমোয় তবে মিলিয়ে যাক / ‘

প্রায় ৪০ বছর পার হতে চলল 'খেলারাম খেলে যা'র। এটি একটি বিশেষ ধরনের জনপ্রিয়তা এবং বলতে কী এটিই সত্যিকারের জনপ্রিয়তা।
প্রেম-কামের বিস্ময়ে ভরা এক রঙিন উপন্যাস 'খেলারাম খেলে যা'। বইটির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ থাকলেও মানব জীবনের দিকে তাকালে দেখা প্রেম-কাম অঙ্গাঙ্গিভাবেই জড়িত। উপন্যাসের নায়ক বাবর আলীকে দেখা যায় সে বড়ই যৌন-তৃষ্ণার্ত, শয্যায় নিতে চায় শুধু সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ তরুণীদের।

সুতরাং বাবর আলী অপরাধী। তার শাস্তি প্রাপ্য। কিন্তু যে অপরাধ তাকে শাস্তিযোগ্য করে তোলে, সে অপরাধ একান্ত মনে পোষণ করেনি অন্তত এমন পুরুষ প্রাণী পৃথিবীতে কি খুব সচরাচর? কিংবা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ও স্বাধীন হলে নারীও কি মিলবে তেমন? তাহলে বাবর আলীর দোষ কোথায়? যদিও, সামাজিক ছকে বেঁধে দেওয়া এই দোষ তর্কাতীত নয়, এই 'দোষ' দোষই বটে।

বাবর আলীর মত আমি পাথিকও শনাক্ত হয়ে গেছি / বাবর আলী তুলনামূলক খ্যাতিমান, আমার চেয়ে/আমি সেই যে কিনা বাবর আলীর মত , চল্লিশ ছুঁই ছুঁই অবিবাহিত লোক, সুন্দর করে মিথ্যা বলা যার করায়ত্ত, তার তো দোষ আছেই। তার প্রতি ব্যাপক সন্দেহ আছে সবার। কারণ বাবর আলীর প্রাপ্ত দার্শনিকতাকে আমরা প্রকাশ্যে পছন্দ করতে পারি না কিন্তু গোপনে অনুগামী হয়ে থাকি সেই মোহময়তার। মাত্র একটি বাক্যের মধ্যেই নিহিত দর্শন, সেই দর্শনটা কি? 'খেলারাম খেলে যা'। পরাজয় থেকে, ব্যর্থতা থেকে যে অংক ফলিত হয় মননে, সেই অংক বড় নিষ্ঠুর এবং সত্য। যদিও, এই সত্য পরাজয়ের পর অর্জিত, ব্যর্থতার ভিতর দিয়ে প্রাপ্ত। হয়তো এ শুধু জ্ঞানার্জিত সত্য। এই বাক্যে প্রাণিত হয়েছে সামর্থ্য-সাধ্য অনুযায়ী প্রয়োগ-সাফল্যে দৃশ্যমান বাবর আলীকে/ আমরা চিনব, দেখব, তার গতিবিধি লক্ষ্য করব, তার মিথ্যা বলার কৌশলেও আমরা মুগ্ধ হব এবং লতিফা, বাবলী, মিসেস নফিস, ক্ষণমুহূর্তের দেখা সুষমা কিংবা জাহেদাকে বশ করে সম্ভোগ পর্যন্ত গমনে আমরাও বাবর আলীর সঙ্গে থাকব, এমনকি বাবর আলীকে দেখে আমাদের না-পারা জীবনীতে একটুখানি পারার সুখ নেব কিন্তু সামাজিক নৈতিকতায় নিজেকে শুদ্ধ প্রমাণের প্রয়োজনীয় হিপোক্রেসি বা বহিরাচরণে ভদ্রতা ছড়িয়ে বলব- বাবর আলী একজন লম্পট, মিথ্যাবাদী! আমরা যে এরকমই করে থাকি বা এরকম বিশুদ্ধ হিপোক্রেসিতে অভ্যস্ত, চলনে-বলনে, বাবর আলী তা জানে, ভালোভাবেই জানে। বাবর আলী তাই আমাদের পাত্তা দেয় না, সে বরং তার অর্জিত বাক্যনির্দেশ চর্চা করে চলে- 'খেলারাম খেলে যা'।
তো আমার সমস্যা কোথায় ?
কি বলছি ??
বলছি ভালোবাসি

স্যার যা লিখেছেন তা কি মনে প্রেম না থাকলে কি লেখা যায় ...
আজ ৪০ বছর পরেও স্যার তো সেই একই ভাবে লিখছেন
তবে আমি যদি লিখি তবে চরিত্র হারাইলাম কেমনে.... ???
( সহায়িকা... বাংলাদেশের খ্যাতনামা দৈনিক পত্রিকা সকল , নাম বলবো না..কারন কোনো একদিন কোনো এক পত্রিকা থেকে বলবে ...লেখা দিতে / তাই সবার সাথে এখন ভাব রাখাই ভালো )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.