নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ১ যাযাবর

পিলিয়ার

পিলিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ওয়ার্ক-লাইফ\' ব্যালেন্স

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

আমার বন্ধু জহিরের মাথা গরম। সে আমারে ফোন দিয়া বললো, 'বন্ধু আমি শেষ! প্রত্যেকদিন এই গ্যাঞ্জাম আর ভাল লাগে না। এই সম্পর্ক আমি আর রাখতে পারবো না'!

আমি তারে জিজ্ঞেস করলাম, 'কোন সম্পর্ক'? সে মোনার কথা বললো। মোনা জহিরের বউ।

ওদের বিয়ে হয়েছে চার বছর! আড়াই বছরের একটা সন্তান আছে। আমরা ওদেরকে আদর্শ সুখী দম্পতি বলে মনে করি। অথচ তলে তলে এই? আমি জহিরকে চেপে ধরলাম। 'ঘটনা কি বল'?

'জহির ব্যাংকে চাকুরি করে। বড়সড় পজিশন। ১০টা ছয়টা অফিস হলেও ফিরতে ফিরতে রাত ৯টা/ ১০টা বাজে। সপ্তাহের পাঁচ দিন এই অবস্থা। কখনো কখনো শনিবারে অফিস করতে হয়। অফিস শেষে এত ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যে, কারো সাথে কথা বলারও শক্তি অবশিষ্ট থাকে না।

শুক্রবার সকালটা ওর জন্যে যেনো বেহেশতের একটা দিন। আয়েশ করে ঘুম থেকে উঠে। বাজার করে কখনো কখনো। বিকেলে একটু বাইরে বের হয়। বাসায় কিছুক্ষণ টিভি দেখে। কখনো কখনো মুভি দেখে। বাচ্চার সাথে ক্যা ব্যা করে সময় কাটায়!

এখন জহিরের বউয়ের অভিযোগ হল-

১. জহিরের ঘর সংসারে মন নাই। দিন রাত অফিস আর অফিস। দুনিয়াতে আর কেউ অফিস করে না?

২. বউ বাচ্চার দিকে খেয়াল নাই। নিশ্চয় কোন সম্পর্কে জড়াইছে। পরকীয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

৩. জহিরের কাজ-কাম দেখে মনে হয়, ও বাসায় শুধু রাইতে ঘুমাইতে আসে। অনেকটা 'গেস্টের' মতো! না আসলেইতো পারে! ওর মতো গেস্টের দরকার নাই।

৪. শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ নাই। থাকবে কোত্থেকে? বাইরে থেকে কি সব করে আসে! বজ্জাত জামাই।

৫. ওর মতো 'হাজবেন্ড' থাকার চেয়ে না থাকা ভাল। অকর্মণ্যের ঢেঁকি! যদি কাজেই না লাগলো হাজব্যান্ড কিসের?

জহিরকে আজ বিকেলে পাকড়াও করলাম, 'ঘটনা সত্য? এইগুলা কি শুনতেছি'? জহিরের অবস্থান-

১. অফিসে অনেক কাজ। সিনিয়র পজিশনে চাকুরী করি। অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। কাজ শেষ হয় না। বাসায়ও টেনে আনতে হয়। আমারও খারাপ লাগে। কিন্তু কি করবো?

২. সারাদিন কাজ করার পর বাসায় ফিরলে আর কোন কাজ, এমনকি কারো সাথে কথা বলতেও ইচ্ছে করেনা! এত টায়ার্ড লাগে! মরার মতো ঘুম আসে।

৩. এসব যদি পরিবারের মানুষ না বুঝে তাহলে কে বুঝবে? পরিবারইতো সবার আগে! পরিবারের জন্য এতকিছু। সেই পরিবারই যদি অভিযোগ করে, আল্লাহর কসম, বাঁচতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় যেদিকে চোখ যায় পালাইয়া যাই।

৪. এখন আমি কি করবো? কোনটা রেখে কোনটায় সময় দিবো।

৫. চাকুরির চাপে নিজের পছন্দের সব কাজ থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে। এরপরেও যদি ব্যালেন্স করতে না পারি, তবে কি করবো?

এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আজ বিকেলে আমাদের বন্ধুদেরকে নিয়ে বসেছিলাম। আলোচনার বিষয়, ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স! খুব বেশি লাভ হয় নাই। এদের মধ্যে একজন আবার ব্যাচেলর। ওর কোন ধারণাই নাই এসব ব্যাপারে। উলটা মজা নেয়। বাকি সবার অবস্থা একই। সংকটাপন্ন। বেশি ঘাটাঘাটি করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পরবে।

তার মানে কি দাঁড়াচ্ছে? নগর জীবনে প্রায় সবার অবস্থা একইরকম? ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় জ্যামে বসে থাকতে হয়। এরপর কাজের চাপ। দিনশেষে কোনটাই হচ্ছে না। কেউ কেউ ভয়াবহ ফ্রাস্টেশনে থাকছে। 'ওয়ার্ক - লাইফ' ব্যালেন্স করতে গিয়ে কি সবাই হিমশিম খাচ্ছে? মোটামুটি সবাই কি তাহলে জোড়াতালি দিয়ে চলছে? তার মানে, এই ভয়ানক নগর জীবনে ব্যালেন্স করতে গিয়ে আমরা ভেতর-বাহির সব হারাচ্ছি?

আমার ফেসবুকে বহু জ্ঞানী গুণী বন্ধু আছে, আমি জানি। তারা কিভাবে 'ওয়ার্ক-লাইফ' ব্যালেন্স করছে সেটা জানতে চাই? নাকি সবারই অবস্থা জহিরের মতো?... ফেইস বুক

















মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: যেই অবস্থা বর্ণনা করলেন তাতে তো মনে হচ্ছে উনাকে অন্য কোন চাকরি নিতে হবে। আর উনার স্ত্রীরও তো ব্যাপারটা বুঝা উচিত। উনি সিনিয়র পজিশনে আছে তার মানে ভালই ইনকাম করেন। তাই কাজের চাপও বেশি। যদি অন্য কোন কাজ করত যেখানে ইনকাম কম, তখন বোধহয় স্ত্রী বলত জামাই এর টাকা নাই, এইটা নাই, ওইটা নাই ইত্যাদি ইত্যাদি।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে বউ স্বামীর অবস্থা না বুঝে শুধু অভিযোগ করে, সন্দেহ করে তার সংসার না করাই ভালো।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

দোদূল্যমান বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান হলো অফিসের কাছা কাছি হাঁটার দুরত্বে বাসা নেওয়া। তাহলে ট্রাফিক জ্যামে নাস্তানাবূদ হতে হবে না এবং সময়ও বাঁচবে। রাত ৮ টায় অফিস থেকে রওয়ানা দিয়ে ৮ঃ৩০ থেকে ৯ টায় বাসায় আসা যাবে। এইটা খারাপ না আশা করি। এছাড়া বাসা থেকেও দেরীতে রওয়ানা দিয়ে সময়মত অফিসে পৌছানো যাবে। বাসায় বউয়ের সাথে সকালে খেলাধূলা করা যাবে ফুল এনার্জিতে।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: এজন্যই সবাই এখন সরকারি চাকরির পিছনে ছুটছে।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:২৭

এম এ কাশেম বলেছেন: কিছু কিছু মেয়ে লোক আছে - কলিজা কেটে খাওয়াইলে ও কমপ্লেইন করে
স্বাদ হয় নাই, নুন মরিচ মশল্লা কম হয়েছে। ২৪ ঘন্টা কোলে নিয়ে বসে থাকলেও
কমপ্লেইন করে - কোলে নিলে কি হবে মনের মাঝে তো আরেক জন -
এরা সর্ব গ্রাসী রাক্ষুসী, এদের হাতে কোন পুরুষ সুখ পাবে না।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৪

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: BS.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.