নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে ...

পেলব চক্রবর্তী

ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম...

পেলব চক্রবর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কষ্টগুলো একটু আলাদা, কারণ আমরা সংখ্যালঘু

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১





আমরা সাবধান ছিলাম:



অল্প কিছুদিন আগের কথা।সাঈদীর ফাঁসীর রায়ের পর তখন দেশজুড়ে তান্ডব চলছে।পুলিশকে মারা হচ্ছে।পুলিশ প্রাণে বাঁচার জন্য রাবারবুলেট ছুড়ছে।নিহত হচ্ছে অনেকে।আহতের সংখ্যা আরও বেশি।মানুষরূপী জানোয়ারগুলো হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গে ফেলছে। বাড়িঘর লুট করছে………।



সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় এলেন পাশের বাড়ির এক মাসিমা।মোটাসোটা গড়ন। দেখলেই বিশ্বাস জন্মায় এমন একটা মায়াবী চেহারা। ফিসফিসিয়ে কথা বলছিলেন আমার দিদার সাথে।আমার কানে কথাগুলো ভেসে এল।



‘মাসিমা,শুনতাছি আবার নাকি সব জায়গায় হিন্দুদেরে মারতাছে।মন্দির ভাঙতেছে। আমার খুব ভয় করতাছে। কি করি কন না কিছু।’



আমার দিদা কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল।এরপর সান্তনার স্বরে বলল,‘চিন্তা করিস না।এদিকে এখনও ওরা আসে নাই।এখানে তেমন কিছু হওয়ার কথা নয়। তবে চোখ-কান খোলা রখিস। সাবধানের মাইর নাই।’



আমাদেরকে সাবধান থাকতেই হয়। আমরা সাবধান ছিলাম ৯২’এ।লাভ হয় নি। আমরা নির্যাতিত হয়েছি। সাবধান থাকলেই যে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা মিলবে- এমন নিশ্চয়তা কেউ কি কখনও দিয়েছে? মাত্র কিছুদিন আগে বৌদ্ধবিহারে হামলার সময়ও আমরা সাবধান ছিলাম।হামলা আমাদের উপরেও আসতে পারে। আমরা এখনও সাবধান।এভাবে বছরের পর বছর ধরে আমরা সাবধান হই।যে মানুষটি সাবধান হয় সে কিন্তু আতঙ্কিতও হয়। তাই বছরের পর বছর ধরে সাবধান হবার সাথে সাথে আমরা আতঙ্কিতও হই।ভয় পাই। আমরা তো সংখ্যালঘু! আতঙ্কে থাকা, ভয় পাওয়া-এগুলো তো আমাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক। তাই না?





কষ্টটা যেখানে:



ধর্মের ভিত্তি বিশ্বাস।হিন্দুরা দেব-দেবীর মূর্তিতে ঈশ্বরকে কল্পনা করে পূজা করেন। অর্ঘ্য নিবেদন করেন।মনের চাওয়া ও একান্ত না বলা কথাগুলো দেবতাকে বলেন।একজন হিন্দুর এ বিশ্বাস তৈরী হয় পারিবারিক ও সামাজিক ঐতিহ্য থেকে।এ বিশ্বাস ভালবাসায় পরিণত হয় ধর্ম পালনের মধ্য দিয়ে।ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে।এ এমন এক ভালবাসা যার শতকরা একশত ভাগ বিশুদ্ধ।ভেজালের ছিটেফোঁটাও এখানে নেই।



আপনি যাকে জন্মের পর থেকেই হৃদয় উজার করে ভালবেসেছেন, যার উপর নির্ভর করে আপনার দিন শুরু হয়,সন্ধ্যা নামে,যার কোলে শুয়ে স্বপ্ন দেখেন- সে যদি শতছিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকে, আপনার ব্যথা কতটা হবে? ধরি আমাদের মা।আপনার মা কে যদি কয়েকজন এসে রাতের আঁধারে গলা কেটে ফেলে রেখে যায়, আপনার পক্ষে আপনার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা কি সম্ভব হবে? দেবী মূর্তি কিন্তু হিন্দুদের কাছে মায়ের মতই।



জানোয়াররা ভাঙচুর করে দেবীমূর্তির মাথা ও দেহ আলাদা করে দিয়েছে।তবুও প্রসন্ন এক মায়ামাখা হাসি তখনও ধরে ছিল দেবীর সেই ছিন্ন মাথাটি।



সেই হিন্দুরা কিন্তু এখনও তাদের মানসিক ভারসাম্য বজার রেখেছে। তবে তারা কাঁদছে।খুব করে কাঁদছে।তারা কষ্ট পাচ্ছে। খুব কষ্ট পাচ্ছে। আমার এক বন্ধুতো মজা করে বলেই উঠল, আমাদের হিন্দুরা এসবে অভ্যস্ত।তারা কষ্ট পায় না।

সত্যিই কি তাই। আমার তা মনে হয় না। নিজের শ্রদ্ধা আর ভালবাসার বস্তুকে কেউ গুড়িয়ে দিয়ে গেলে যে কেউই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দুরা কোন কথা বলছে না। লাশের মত নিথর হয়ে পড়ে আছে।কারন কি? ভয়?

খুব সম্ভবত তাই। হুমকি এমনও হয়, ‘যা হওয়ার হয়েছে, চুপ করে থাক। মুখ খুললে বা উচ্চবাচ্য করলে পরেরবার সব শেষ করে দেব’।



প্রশাসনিক সুরক্ষা নেই। নির্ভরতার জায়গা নেই।তাই, মুখ লুকিয়ে কাঁদা অনেক বেশি নিরাপদ।





নাম না গালি ? :



এদেশে হিন্দুদের কিছু নাম আছে। যেমন মালাউন,মালু,কাফের ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোকে আসলে নাম না বলে গালি বলাই ভাল।কারণ এদেশের মানুষ এগুলোকে গালি হিসেবেই ব্যবহার করে।



ভদ্রভাষায় তাদের অবশ্য আরেকটি নাম আছে।সেটি হল সংখ্যালঘু।যদিও সংখ্যালঘু শব্দটা বিশাল, এর সাথে হাজারো মত,হাজারো পথ, হাজারো দর্শন-এসব জড়িয়ে আছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখন সংখ্যালঘু শব্দটাও একটা গালি।সংখ্যালঘু মানেই আপনি হয় হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান অথবা অন্য কিছু। সংখ্যালঘু মানেই আপনি হীনতেজ।আপনি অসহায়।আপনি নোংরা।আপনার সকল পবিত্রতা নোংরা।আপনার জন্ম নোংরা। আপনার মৃত্যু নোংরা………..।মোটকথা, সংখ্যালঘু মানেই আপনি ঠিক যেন মানুষ নন।মানুষের থেকে কিছুটা নিচু স্তরের কিছু একটা। এক ব্লগারের লেখা পড়ছিলাম।উনি খুব কষ্ট পেয়েই লিখেছেন, সংখ্যা ও লঘু –এই শব্দদুটোর কোনটিই খারাপ নয়।তারপরও সংখ্যালঘু শব্দটি দিন দিন কেমন যেন অশ্লীল হয়ে উঠছে।

আরও একটি ব্যাপার। কেউ কেউ(যদিও সংখ্যায় খুবই কম) তার কাছের হিন্দু বন্ধুটিকে মজা করে মালু বা মালাউন বলে ডাকেন।আমি একশতভাগ পরিষ্কার করে বলতে চাই,যিনি এ নামে তার বন্ধুটিকে ডাকছেন,তিনি হয়ত মজা পাচ্ছেন,কিন্তু তার হিন্দু বন্ধুটি কিন্তু শুধু কষ্টই পায়।হয়ত বুঝতে দেয় না। অথবা বোঝার মত ক্ষমতা সেই ব্যক্তির(যে বলছে) থাকে না।



সংখ্যালঘুরাই কেন হামলার শিকার:



ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যায়, কারণে-অকারণে, সময়ে-অসময়ে সংখ্যালঘুরা নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। আমার মত করে আমি এগুলোকে ব্যাখ্যা করি।



প্রথমত, রাজনৈতিক কারন।সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভোট দেশের একটি ভয়ানক সাম্প্রদায়িক সংগঠন মানে জামাত-শিবির কখনওই পাবেনা। তাই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করা তাদের পক্ষে ভোটের রাজনীতির ক্ষেত্রে মোটেও প্রভাববিস্তারী নয়।বরং সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরী করা তাদের জন্য উপকারী।



দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় গোঁড়ামী।পৃথিবীর সব মানুষ কখনওই একরকম নয়। প্রতিটি মানুষই আলাদা।প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ভিন্ন।আর এই ভিন্নতাই সৌন্দর্য। সব মানুষকে, সব সংস্কৃতিকে কখনও একই রকম করা যায়না। ভিন্নতাকে স্বীকার করতেই হবে।শুধু আমি ঠিক আর বাকি সবাই ভুল- এমন চিন্তা মনকে একরোখা করে তোলে। আর এই একরোখামিকে হিংস্র করে তোলে সংকীর্ণ শিক্ষা,সংকীর্ণ জ্ঞান।হিটলার চেয়েছিল পৃথিবী থেকে সব ইহুদী মেরে ফেলে পৃথিবীকে ইহুদীমুক্ত করতে। পেরেছিল কি? আমরা সবাই জানি, হিটলার পারে নি।



তৃতীয়ত,উস্কানি।তথ্যগত বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা। এটি অনেক প্রাচীন পদ্ধতি। আমরা উপমহাদেশের মানুষ স্বভাবতই একটু আবেগ প্রবণ। আমরা যুক্তি কম পছন্দ করি।যেমন কিছুদিন আগে শিশু অসুস্থ হবার গুজব রটে গেল চারপাশে।হয়ত কয়েকটি শিশু অসুস্থ হয়েছিল। কিন্তু তোলপাড় হয়ে গেল গোটা দেশ। এমনিভাবে ছোট ছোট ছেলেগুলো, সবে হয়ত ক্লাস সিক্স বা সেভেনে উঠেছে-এদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে খেলা করা সব থেকে সোজা কাজ।এদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলাও খুব সহজ ব্যাপার। কিছুদিন আগে জামাতের হরতালের সময় টেলিভিশনে দেখলাম, মাদ্রাসাপড়ুয়া ছোট ছোট কিছু ছেলে সাদা সাদা দাঁত বের করে অনেকটা হাসি হাসি মুখ নিয়েই হরতাল হরতাল বলে চিৎকার করছে। আমি শতভাগ নিশ্চিত, ওই ছেলেগুলোর এখনও হরতাল কি, ভালকরে সেটি বোঝারই বয়স হয়নি। তাহলে ওরা রাস্তায় নেমে আসছে কিভাবে?



চতু্র্থত,লোভ। আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর যে শুধু পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বা তছনছ করা হয়েছে তাই নয়, তাদের টাকা-পয়সা,গয়না,বাসন-কোসন পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। মন্দিরে লুটপাট হয়েছে। শুধু হামলা করে আগুন জ্বালিয়ে লাভ কি। বাড়ি-ঘরে যা কিছু পাওয়া যায়,ওরা তাই নিয়ে গেছে।আগুন দিবার জন্য পেট্রোল ও গুড়া পাউডার কিনতে যে খরচা হয়, সেটা হয়ত লুটপাট করে পুষিয়ে নেয় ওরা!

বিকৃত আদর্শ ভয়ানক।এ থেকেই সন্ত্রাসবাদের জন্ম।আজকে আমরা যতগুলো জঙ্গী বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন দেখতে পাই- এরা সবাই কিন্তু বিকৃত আদর্শের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।



সংখ্যালঘু ও ভারতপ্রীতির ভ্রান্তধারণা:



কিছুদিন আগে প্রথম আলো একটি ভয়ানক প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। শিরোনাম ছিল ‘১০ বছরে ৯ লাখ হিন্দু কমেছে’। এদেশে সহিংসতার শিকার হিন্দুদের যাবার যায়গা তো একটাই-ভারত। যদি যখন-তখন দেব-দেবীর মূর্তিকে গুড়িয়ে দেয়া হয়, সারাবছর যদি আতংক আর চাপের মাঝে রাখা হয়, হিন্দু পরিবার-ভোট দেয় নি-সে অপরাধে যদি ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়,যদি দেশের সরকার নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়, তবে ওই অত্যাচারিত জনগোষ্ঠির দেশ ছেড়ে পালানো কি অন্যায় কিছু? আমার তা মনে হয় না।

এই সুযোগে এমন একটি ধারণা তৈরী হয়ে গ্যাছে যে, হিন্দু মানেই ভারত।বাংলাদেশের সব হিন্দুই ভারতে যেতে চায়।বাংলাদেশের সব হিন্দুই আজ হোক কাল হোক ভারতে চলে যাবে।কোথা থেকে কিভাবে এ ধারণার গোড়াপত্তন হল তা জানি না, তবে এই ধারণাটি এখন বেশিরভাগ মানুষের মনেই ঘোরাঘুরি করে।আমাকে অনেকে অনেক বার বলেছে, আমি নাকি ভারতে চলে যাব।আমি জিজ্ঞাসা করি, ক্যানো, আমি ভারতে চলে যাব কেন? কেউ এড়িয়ে যায়, কেউ সরাসরি বলে দেয়, হিন্দু মানুষ ইন্ডিয়া যাবে না তো কি করবে। তুমি হিন্দু, আজ হোক, কাল হোক, তুমি ঠিকই ইন্ডিয়া চলে যাবে।

বাংলাদেশে আমার জন্ম। আমি আমার মায়ের মতই এদেশকে ভালবাসি। এসব কথা আমি তাদের বোঝাইনা। বোঝানোর চেষ্টাও করি না।মনে মনে নির্যাতিত হতে থাকি। আর অনুভব করি, যেসব সংখ্যালঘু পরিবার দুঃখ-কষ্টে জ্বলে-পুড়ে দেশ ছেড়ে চলে গ্যাছে, তাদের অনুভূতিগুলো কতটা বেদনার্ত।



তবুও ভালবাসি:



বাইরের দেশগুলো যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কথা বলে, বাংলাদেশ ও এর প্রশাসন ব্যাবস্থাকে কটাক্ষ করে- তখন কষ্ট পাই।বাংলাদেশকে নিয়ে আজেবাজে কথা শুনলেই মন মেজাজ ক্যামন যেন গরম হয়ে যায়।



কষ্ট পাই ঠিকই, কিন্তু ভালবাসতে ভুলি না। ভালবাসায় ভয় থাকে। আমার ভালবাসাতেও অনেক ভয় ভিড় করে যখন-তখন। আর রাস্তা-ঘাটে এর ওর কাছে মালাউন,মালু,ভারত চলে যাব- এসব তো শুনতেই হয়। আমি বাঙ্গালী। আমি বাংলাদেশেই থাকতে চাই। সবাইকে নিয়ে বাঁচতে চাই। ইস্, এই ছো্ট্ট কথাটা যদি আমি সব্বাইকে বোঝাতে পারতাম !!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

বোকামন বলেছেন:







সম্মানিত লেখক,

আপনাদের কষ্টগুলোর প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি । এই ধরনের ঘটনাগুলোর জন্য খুবই লজ্জা লাগে এবং নিজেকেও অপরাধী মনে হয়....

যাই হোক আমিও আপনার মত একজন সাধারণ নাগরিক । আপনার দু:খগুলোর সাথে আত্বিকভাবে একাত্ম হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না । তবে নিজে অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি ....... কিছু করার

আশাকরি আপনার ছোট্ট কথাগুলোর গুরুত্ব যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে ।

ভালো থাকবেন

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: প্রিয় বোকামন, আপনার কথাগুলো সামান্য নয়। বিপদগ্রস্থ মানুষের কাছে সামান্য সান্তনাও অলংকারের মতই।
আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হবার কতদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। এমনকি স্থানীয় নেতারাও সান্তনার কথা শোনানোর জন্যও সেখানে যায় নি।
সেদিক থেকে আপনার একাত্মতা কোন অংশেই কম নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: যে দেশে শহীদ মিনার জ্বলে পুড়ে ছাই, কারো কোনো কষ্ট লাগে না. সে দেশে থেকে কি করবেন?
Click This Link

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: প্রিয় দায়িত্ববান নাগরিক, আপনি নিশ্চই দায়িত্ববান নাগরিক। দেশ ছেড়ে যেয়ে দায়িত্ব এড়ানোর কথা বলবেন না প্লিজ।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমাদের সবার আগে এই সংখ্যা লঘু শব্দটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে মনে রাখতে হবে আমরা এখন সবাই বাংলাদেশী ধর্ম এখানে দ্বিতীয় বিষয়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: ধর্ম দ্বিতীয় বিষয় ! অন্তত উপমহাদেশের ক্ষেত্রে এটি মিথ্যে কথা প্রিয় কান্ডারী অথর্ব।
তবে হ্যা, আমাদের কে লঘু শব্দটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে, আসতেই হবে।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: :(

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: কষ্ট পেলেন নাকি সিদ্ধার্থ বাবু?

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন:
প্রিয় ভাইয়া, আপনার মন্দির ভেঙ্গেছে, সেই বেদনা আপনাকে স্পর্শ করার আগে আমার্কে স্পর্শ করেছে। আমি জানি আপনার এই বেদনা কোন সান্তনার বাণী দিয়েই ঘোচানো যাবে না। তবে, শুধু এতোটুকু বলতে পারি, আমি দুঃখিত, লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।


১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: আপনাদের মত মানুষগুলোকে এক করে যদি অবুঝদেরকে বোঝাতে পারতাম, কি ভালটাই না হোত, তাই না নাজমুল ভাইয়া?

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

১০৩০৯০০৩ বলেছেন:
বিজেপির ঢাকামুখী লংমার্চের ঘোষণা::বাংলাদেশের জন্য কতটুকু সুখকর??? প্রসঙ্গে গত কালকের একটি মন্তব্য "আপনাদের দেশের জমাত শিবিরের লোকেরা আমাদের উপর পাশবিক নির্যাতন, হত্যা, মন্দির ভংচুর, লুটপাট করবেন আর আমাদের জাত ভাইরা আপনাদের নমস্কার করবে না ?! মন্তব্যটি করেছেন টুম্পা রয় নামের একজন ব্লগার এটা পড়ার পর "সংখ্যালঘু ও ভারতপ্রীতির ভ্রান্তধারণা"কথাটা মানতে একটু কষ্ট হচ্ছে ।
বিজেপির ঢাকামুখী লংমার্চের ঘোষণা::বাংলাদেশের জন্য কতটুকু সুখকর???

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: লিংকটা কাজ করছে না।

আমি বিস্তারিত জানি না সে বিষয়ে। ঐ ব্লগারের লেখাটা পড়তে পারলে হয়ত কিছু জানাতে পারতাম।।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

১০৩০৯০০৩ বলেছেন: View this link

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: সার্ভার ব্যস্ত দেখাচ্ছে। অপেক্ষা করছি।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: ভালোই লিখেছেন। তা এসব ছাইপাশ না লিখলেই কি নয় ? এই তো বেশ আছি। কাল যদি এরকম খবর রটে যায় "হিন্দুরা অনলাইনে লেখালেখি করতেছে .... ব্লা ব্লা ব্লা" তখন কি করবেন ? চুপচুাপ থাকুন। যেই ভগবানরে দিন রাত ডেকেছি, যার শক্তির বর্ণনা লিখতে গেলে হাজার হাজার পাতা লাগে ... সেই তিনিই যদি এসব দেখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় তখন আমাদের তো লাফালাফি করবার কোন দরকার নাই, তাই না? তার মূর্তি ভাঙ্গা হচ্ছে আর সেটাতে তার নিজেরি কোন প্রবলেম নাই, তো আপনার খামোখা লেখালেখি করে নিজের কল্লা অনিরাপদ করার দরকার কি ...

মন্দির-বিগ্রহ ভাঙ্গাভাঙ্গি?...ভালো কাজ। শুনেছি, অনেক সময় ভালো নামে ডাকার চাইতে খারাপ নামে ডাকলেই শুনিবার সম্ভাবনা বেশি থাকে...

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: প্রিয় তন্ময় দা, আপনি কতটা কষ্টে এই কথাগুলো লিখেছেন, তা হয়ত আমি ‍বুঝতে পেরেছি।

জেনে রাখুন, ঈশ্বরের কোন ক্ষতি করার সামর্থ কোন মানুষের নেই।

সন্ত্রাসীরা কি করতে পারে, ওরা বড়জোড় আমাদের অনুভূতিকে আঘাত দিতে পারে, আমাদের সম্পদ লুট করতে পারে। ওদের এই সব অপকর্ম প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমাদের সবার উপরই বর্তায়।

আর পৃথিবীতে যতদিন কথা থাকবে ততদিন কথা রটবেই। ও নিয়ে ভয় পাবেন না।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১

গেস্টাপো বলেছেন: আপনাদের উপরে হামলা করে তো হাম্বালীগেরা
সত্য কথাটা বলেন না ক্যান?
আপনাদের দখল হয়ে যাওয়া ৮৫% সম্পত্তিও হাম্বারা দখলে রাখছে?
সংখ্যালঘু শব্দটা ব্যাবহার করেন কেন?৯৯% বাঙ্গালির দেশে সংখ্যালঘু আসে কোথা থেকে?

ভাইয়া একটা কথা বলি সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে যা হয় ৯০% রাজনীতির জন্যই হয়।এখানে ধর্মীয় পরিচয় আসল নয়,কখোনই নয়

রাজনৈতিক লাভের জন্য এরা রাতের বেলায় মন্দির,শহিদ মিনার এরাই পোরায়।তাই আসুন সত্যকারের দেশপ্রেমিকের মত আমরা এদের প্রতিরোধ করি

হাম্বাদের প্রতিরোধ করুন

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: “৯৯% বাঙ্গালির দেশে সংখ্যালঘু আসে কোথা থেকে? ” কথাটাযে আমার কতখানি ভাল লেগেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না।

মিডিয়া,পেপার-পত্রিকা- সবাই বলছে যে এটা জামাত শিবিরের কাজ। সাঈদীর রায়ের পর তারা এ অপকর্ম চালায়। এছাড়া এটা তাদের ঐতিহাসিক বদঅভ্যাস।

আমি জানি না আসলে কারা এ ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। তবে আওয়ামীলীগ জড়িত, এ নিয়ে ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার করলে ভাল হত।

আমাকে আবার কোন দলের ভেবে বসবেন না যেন। এদেশের কোন রাজনৈতিক দলের উপরই আমার আর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্রেফ সমবেদনা রইল। হিন্দুরা মালু-মালাউন নয়, তাদের সেকেন্ড হোমও ইন্ডিয়া নয়। কিছু মানুষ যদি এগুলো বুঝত, দেশে দুঃখী পরিবার কিছু কমত।

যারা এসব করেন, তারা গিয়ে সুরা ইখলাস পড়েন। তবু যদি এই ব্রেনওয়াশড পাগলদের কিছু অনুভব হয়!

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: শুধুই সমবেদনা। আশেপাশের মানুষগুলোকে বোঝানোর দায়িত্ব কি আপনার আমার সবার না ?

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

ঝটিকা বলেছেন: আপনাকে সমবেদনা জানান ছাড়া আর কি বা করতে পারি আমি। মানুষ যদি সার্থপর হয়ে যায় তখন পশুর থেকেও নিকৃষ্ট হয়ে যায়। ব্যাক্তি সার্থ আরো জঘন্য রুপ ধারন করেছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। নাহলে ভাবুন একবার ত্বকির কথা, ওকি সংখা লঘু ছিল? ওকি রাজনীতি করত? আমরা সবাই কিছু মানুষের কাছে জিম্মি, ভিত সন্ত্রস্ত থাকি সবসময়। নিরাপদ নয় কেউই।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই।আছে কিছু বিকৃত আদর্শ। কখনও আবার সেটাও থাকে না।

কিন্তু, প্রিয় ঝটিকা, সমবেদনা জানানো ছাড়াও আপনার আমার সবারই আরও অনেক কিছু করার আছে। তাই না? ভেবে দেখবেন দয়া করে।।

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০০

আশফাক সুমন বলেছেন: আপনাদের জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা ভাই।
আপনাদের উপর আক্রমন নিশ্চয় কন হিন্দু ভাই করেনি, মুসলমান নামধারি কিছু কুলাঙ্গার ই করেছে।
আল্লাহ এদের শাস্তি দিন- এটিই আমার প্রাথনা ।
প্রশাসন আন্তরিক হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের ধরবে- এটাই আশা করছি।

শুভ কামনা আপনাদের জন্য।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আশফাক সুমন।

কিন্তু 'প্রশাসন আন্তরিক হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের ধরবে' এটা একটা কল্পনা মাত্র। প্রশাসন আন্তরিক হলে এ ঘটনাগুলো ঘটত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.