![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
কাছে এসে তুমি কখনও থাকোনি, জড়িয়ে ধরোনি হাত
তাই বলে আমি কখনও কাঁদিনি, চোখে হয়নি বৃষ্টিপাত
অনুভব থাকে হৃদয় জুড়ে, নাইবা দেখা দিলে
তোমাকে দেখার জন্য মন আজ কতনা কথা বলে
মনকে বলি শান্ত থাকো, ভালোবাসা আজ পাপ
নিরব স্বরের ভালোবাসা আজ হল আমার শাপ।
২
[এক সন্ধ্যেবেলায় বিলের ধারে বসে ছিলাম।
অদ্ভুতভাবে এক ঘরে ফেরা পাখি আমার পাশে এসে বসে। আমার শরীর ছুঁয়ে থাকার চেষ্টা করে। থাকে অনেকক্ষণ।আমি কিছু বলি নি।
যেই না হাত বাড়িয়ে পাখিটিকে আদর করতে চাইলাম, ও উড়াল দিয়ে চলে গেল। আমি আবার একা বসে রইলাম।
কৃষ্ণপক্ষের রাত ছিল। ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেল। সেই অন্ধকার ছাড়া আমি আর কিছুই পেলাম না। শুধু আমার অনুভূতিগুলো কবিতায় রূপ পেল।]
সন্ধ্যে বেলা বিলের ধারে বসে
অন্ধকারের একটি পাখি এসে,
বসে আমার পাশে
বলে, গতজনমে ও ছিল আমার সখা
আর আমি ছিলাম ওর সখী!
আমি বলি, পাখি তুমি বাড়ি যাও
আমায় একা থাকতে দাও
জাতিস্মর নই আমি
কখনও হতেও চাইনা
জীবন কয়টি হয়তা তো জানি না
আমি যাকে ভালোবাসি,সে তো তুমি জানো না!
পাখি ফিরে যায়
ফিরে না তাকায়
অথবা তাকায়
অন্ধকারের চাহনি আমি দেখতে পারি না,
অভিমানের চাহনি নাকি সহ্য করা যায় না!
সত্যিই কি পাখি আমার সখা
আর আমি ছিলাম তার সখী?
হারানো জন্মে বুঝি
আমি সখাকে কষ্ট দিয়েছিলাম
তাই এ জন্মে আমার প্রেম-
আমাকে কষ্ট দেয়।
৩
[কোন নিয়ম নেই- মানুষ তার প্রিয়ার জন্য ভালোবাসার কথা লিখতেই পারে। সে তো চাইতেই পারে, তার প্রেমভরা চিঠি পাখির ঠোঁটে করে প্রিয়ার জানালায় চলে যাক।
সে সন্ধ্যায় খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। অদ্ভুতভাবে কালো মেঘের বদলে আকাশ ছেয়ে ছিল অবারিত লালিমায়। মনে হচ্ছিল,বাজারের সব সিঁদুর এনে কেউ যেন আকাশের গায়ে লেপ্টে দিয়েছে।
অথবা আকাশ ছিল কারও প্রিয়ার সিঁথি। সে সন্ধ্যায় আকাশ বিয়ের পিড়িতে বসেছিল হয়ত!]
আবার সন্ধ্যা-
বৃষ্টি পড়ছে
মনের পাখি চলে গেল দূর
নিয়ে গেল আমার আল্পনা ও সিঁদুর
গগন সিঁদুরে হারিয়ে গেল সে-
বৃষ্টি আবারও ঝরছে
আমার প্রিয়া কি পাবে সে সিদুঁর?
৪
[প্রেমে সফল হয়না অনেকেই। তবে জীবনে অন্তত একবার করে হলেও প্রেমে ব্যর্থ হবার প্রয়োজন আছে।
মানুষ যখন কাউকে খুব করে ভালোবাসে, সে তার সবকিছুকেই ভালোবেসে ফেলে, তার ভালো-মন্দ সবকিছুকে। এমনকি তার ছলনাকেও – তা সে যতই নিষ্ঠুর হোক না কেন।]
ভোর হয়ে যায়,চোখ ফিরে চায়, পাখি মোর আসে না
মন যাকে চায়,এত করে হায়, দেখা সে তো দেয় না
দেখা মেলা ভার,শেষ গতবার, দেখা হয়েছিল প্রান্তে
শুধিয়েছিলাম,তুমি কি আমার মনের কথাটি জান্তে?
মৃদু হেসে তুমি,ঝুমুর দুখানি, অথৈ জলে ফেলে
হাসলে আবার, বললে তোমার, ঝুমুর এনে দিলে
দেখা যেন হবে,ভালোবাসা হবে, চাঁদনি রাতের কালে।
আমি দিই ডুব
ভিজে ঝুপঝুপ্
ঝুমুর ধরে হাতে
দূর থেকে খুব
হেসে টুপটুপ,
তুমি ছিলেনা আমার সাথে।
সে রাতে আবার শরীর পাকিয়ে জ্বর এসে গেল বলে
এই তো আমার প্রেম প্রতিদান- ভালোবাসা কি মেলে?
আকাশের চাঁদ আমায় দেখে সব আলো দিয়ে হাসে
অভাগা চোখ চাঁদের আলোয় তোমার হাসি দেখে!
৫
[প্রেম এমনই।আমি যাকে ভালোবাসি, আমার মাঝে সবসময়ই তার উপস্থিতি কামনা করি; খালি চোখে অথবা চশমার ফাঁক দিয়ে চকিত চাহনির অপেক্ষায় থাকি।
তাকে নিয়ে কবিতা লিখি, ছন্দ হারিয়ে গেলে ছন্দ চুরি করি। এটা অন্যায় নয়।
কারন, ভালোবাসা ও যুদ্ধে সবকিছুই ন্যায়]
এ সবই কল্পনা
বামন হয়ে চাঁদে হাত- ভালো না, ভালো না।
তোমায় হাসতে দেখি,
আড়চোখের চাহনি দেখি,
জানি, এসব আমারজন্য নাই
নীল-সাদা পাতায়
খুব করে তাই
কবিতা লিখে যাই।
কতসব কথা, বলে পাই ব্যথা, তবু থেমে আমি যাই না
তোমাকে দেখার বায়না আমার কারও তাই বোঝা হয় না
বেলা বয়ে যায়,ছন্দ হারায়, কবিগুরু দেয় ছন্দ
মনে মনে আজ ছন্দ চুরির কতই না আনন্দ
তবু কেন আজ, বিমর্ষ সাজ, মনে ভরে কিছু চাই না
‘কেন মেঘ আসে,হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।’
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভুমিকা এবং কবিতা দুটোই ভালো হয়েছে ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে, কষ্ট করে পড়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: খুব ভালো লাগল।