নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে ...

পেলব চক্রবর্তী

ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম...

পেলব চক্রবর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত ঔদ্ধত্যের উৎস কোথায় ?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১



খুব অল্প বয়স থেকেই দেখছি, বাংলাদেশের ভালো কিছু হলে সবথেকে বেশি গা জ্বালা ধরে একটি দেশের। সে দেশটির নাম পাকিস্তান। শুধু ভালো ব্যাপারগুলো নয়, বাংলাদেশের ভালো-মন্দ সবকিছুতেই পাকিস্তানের মন্তব্য করা চাই। বলাবাহূল্য, পাকিস্তানের প্রতিটি মন্তব্যই শরীর জ্বালিয়ে তোলে। শত শতাংশ ব্যর্থ একটি রাষ্ট্রের এমন উলঙ্গ আস্ফালন অসহ্য লাগে। একটি দেশের একেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার তারা কে?

প্রশ্ন হল, কেন পাকিস্তান এমনটি করে? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়?

আমার মতে, তাদের এই সাহসের যোগানদাতা আমরাই। বিনা কারনে আমরাই পাকিস্তানকে ক্ষেত্রবিশেষে এত বেশি প্রাধ্যান্য দিয়ে ফেলেছি যে তারা অনেকসময় হয়ত নিজেরাই অবাক হয়েছে। রাজনৈতিক ব্যর্থতার ইতিহাস জ্বলজ্বল করে সর্বাঙ্গে। পারভেজ মুশাররফ বাংলাদেশে সফর করেছে, জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়েছে, কিন্তু কেউ তাকে ৭১’এর অপরাধকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনৈতিক নতজানুতাই পাকিস্তানকে দিনের পর দিন এত সাহস যোগাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কৃতকর্মের জন্য সম্প্রতি ক্ষমা চেয়েছে জার্মানি। ক্ষমাপ্রার্থনা মানুষকে মহৎ করে। কিন্তু এই মহত্ব অর্জনের যোগ্যতা পাকিস্তানের নেই।

ক্রিকেটে বাংলাদেশের পাকিস্তাননির্ভরতা আশংকাজনক হারে দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে। এই বৃদ্ধিপ্রাপ্তিটা খুব নিরবে হচ্ছে, জনসাধারণের চক্ষুগোচর হচ্ছে না। পাকিস্তানে ক্রিকেট নিষিদ্ধ হবার পর এখন পর্য্ন্ত মাত্র দুটি দেশ পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছে, একটি দেশ জিম্বাবুয়ে- যাদের পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। যদিও এই সফরের বিনিময়ে জিম্বাবুয়ের প্রতিটি খেলোয়াড় মোটা অঙ্কের টাকা বা একরকম ঘুষ পেয়েছে বলে শোনা যায়। আর পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া দ্বিতীয় দেশটির নাম বাংলাদেশ। আমাদের নারী ক্রিকেট দল সেখানে খেলতে গিয়েছিল। কিন্তু পুরুষ বা নারী- যাই হোক না কেন, তাঁরা যখন খেলতে যায়, তখন তাঁরা দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে। এর আগেও আইসিসি’র সভাপতিত্ব পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের দরকার পড়েছিল পাকিস্তানের! তখন চক্রান্ত চলছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর। শেষ পর্যন্ত যদিও সেটা সম্ভব হয় নি। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে বাংলাদেশে। এর জন্যও বাংলাদেশের দরকার পড়েছে পাকিস্তানকে। বিপিএল এ পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মেলা, তাদের মধ্যে কারও কারও অর্থপ্রাপ্তি আমাদের সাকিবের চেয়েও বেশি। পৃথিবীর অন্য যেকোন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা থাকলেই পুরো ব্যাপারটা সবার কাছে অস্বস্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বাংলাদেশ তাদেরকে সবথেকে বেশি টাকা-পয়সা দিয়ে ডেকে আনে।

এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো আপাত গুরুত্বহীন মনে হলেও সম্মিলিতভাবে এগুলোই পাকিস্তানকে সাহস দেয় বাংলাদেশকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করতে। যে দেশ নিজেদের জনগনকেই নিরাপদে রাখতে পারে না, যে দেশ জন্মের অর্ধশত বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে সেরা ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় অবস্থান করে নেয়, সেদেশের অন্য কারও বিষয়ে কথা বলা কতটা ‘ফফর দালালি’? ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, আমি নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কিন্তু অন্য কেউ ছেড়া কাপড় পড়েছে বলে তাকে এলোমেলো বকছি। আমি কতটা নির্লজ্জ !

তবুও আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি। ৭১’এর পরাজিত শক্তি এবং পৃথিবীর অন্যতম ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তান যদি তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামায়, সেটাই তাদের জন্য উত্তম।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

কমরেড ফারুক ২ বলেছেন: ঠিক বলেছেন? কোথায় পায় এতো সাহস?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: আমিও সেটাই ভাবছি।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

হোসেন মালিক বলেছেন: ধুর ব্যাটা তুই তো জাতিবিদ্বেষী

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: ভুল বললন।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

ডিজ৪০৩ বলেছেন: এদেশে তাঁদের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছে বলেই এত সাহস এখনও আছে তবে এই সাহস অচিরেই শেষ হয়ে যাবে আশা রাখা যায় ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: সেটাই আশা রাখি।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

অচেনা হিমালয় বলেছেন: এই পাকিরা কোথায় পায় এতো সাহস ? আমাদের সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত...

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: আমাদের সরকারের এইবারের রেসপন্স বেশ কঠোর ছিল। এমনটাই দরকার।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৩

ইলুসন বলেছেন: ওই দুই লোকের জন্য পাকিস্তানের এত দরদ দেখেই বুঝা যায় ওরা রাজাকার ছিল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: এই যুক্তিটাকে কেউ মিথ্যে প্রমাণিত করতে পারবে না।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

আবু সাঈদ েমাহাম্মদ ফারুক বলেছেন: Click This Link

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইটা সাহস না, এইটাই ওদের স্বভাব। ওরা জাতিগরভাবেই এমন। বিশেষ করে পাঞ্জাবীরা।

বাংলাদেশীরা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অনেক উদারতা দেখিয়েছে। ওদের আচরনের জবাবে যেই মাত্রার সহিংসতা দেখাবার কথা ছিলো এর ধারেকাছেও যায়নি আমাদের আচরন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম সরকার থেকে শুরু করে প্রতিটা সরকারই বন্ধুত্বপুর্ন সম্পক্কে চেয়েছে। কেউ কেউ অতি উদারও হতে চেয়েছে। কিন্তু ওরা কি করেছিলো সে সময় তা সম্পুর্ন জেনেও ক্ষমা চাইবার সাধারন সৎ সাহসটাও জোগাড় করএ পারেনাই। এইটা ওদের মানসিক দৈন্যতা। আমাদের সরকারেরও উচি প্রতিটা কথার আরো কঠোর জবাব দেয়া। একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক না থাকলে কিছুই আসবে যাবেনা।

ওদের সরাসরি রাষ্ট্রের প্রধানের মাধ্যমেই সরাসরি জবাব দেয়া উচিত যে ৭১ এ তোমরা যারা বাংলাদেশ চাইতো তাদের বিচারের আওতায়ও নিয়ে আসার প্রয়োজন বোধ করোনাই, সরাসরি হত্যা করছো। আমরা উদার দেখেই বিচার প্রক্রিয়া মানছি। আমাদেরও উচিত ছিলো বাংলাদেশ বিরোধীদের তখনই নির্মুল করে ফেলা। কিন্তু আমরা তা করিনাই, কারন আমরা পাকিস্তানী নই, আমরা বাঙ্গালী। একটা বিশুদ্ধ জাতিসত্ত্বা। তোমাদের মত ম্যানুফ্যাকচারড জাত না।

পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমার তেমন কিছু বলার নাই। এইগুলা ফ্যাঞ্চাইজিগুলার নিজের ব্যাপার। তবে ওদের ওইখান থেকে যত কম নেয়া যায় ততই ভালো। কারন এই খেলাটাকেও দুষিত করবার পেছনে ওদের অবদান কম না। ওদের খেলোয়াড়দের চরিত্র না আবার আমাদের খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করে এই আশংকা থেকেই যায়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: ইতিহাস বলে, অতীতে আমরা পাকিস্তানকে যতবার বিশ্বাস করেছি, তারা তার থেকেও বেশি বার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই নতুন করে ওদেরকে ভালো ভাবাটা নিতান্তই বোকামি।

বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাশীল মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.