![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার দিদা মুক্তিযুদ্ধে সব হারানো একজন মানুষ। কাছের জন, সোনার সংসার- সব কিছু হারিয়ে তিনি একেবারে তিনটি শিশুবাচ্চা নিয়ে অকূল সাগরে ভেসেছেন। কখন ঝোপের সাথে লেগে কাপড় ছিড়ে গেছে, কখন পায়ের নখ উল্টে গিয়ে গলগল করে রক্ত পড়েছে- কিছুই তিনি বুঝতে পারেন নি। বেঁচে থাকার আকুতি মানুষের এমনই হয়।
একেবারে অবুঝ বয়স থেকেই আমি তাঁর মুখে এইসব দাহকালের কথা শুনেছি, যুদ্ধদিনের কথাগুলো শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। তাই, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যাদি জানার জন্য আমাকে কিছু বই পড়তে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করার জন্য আমাকে কোন বই বা চলচ্চিত্রের সাহায্য নিতে হয়নি। আমি সৌভাগ্যবান- এই অমূল্য অনুভবটুকু আমি বিনাকষ্টে ভেতরে ধারণ করতে পেরেছি। আমি যখনই কোন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখি, তখনই তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি। অনুভব করার চেষ্টা করি- ঠিক কতটা সাহস থাকা দরকার মৃত্যুভয় ঝেড়ে ফেলার জন্য, ঠিক কতটা ভালোবাসা থাকা দরকার এই দেশের জন্য। যদিও "একবারের মুক্তিযোদ্ধা চিরকালের মুক্তিযোদ্ধা নয়, কিন্তু একবারের রাজাকার, চিরকালের রাজাকার"- হুমায়ুন আজাদের এই কথাটা আমাকে অকারণেই খুব ভাবায়।
কিছুদিন আগে একটি মজার ব্যাপার ঘটেছে! মজার ব্যাপারটি হল, পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের নৃশংসতাকে অস্বীকার করেছে! এটিকে আমি মজার ব্যাপার বলছি, কারন এই দাবীটি আমার কাছে একেবারেই হাস্যকর। মুক্তিযুদ্ধে সবকিছু হারানো একটি পরিবারের আমি একজন উত্তরকালীন সদস্য। পাকিস্তানীদের অত্যাচার খুব কাছ থেকে দেখেছে, এমন মানুষের সাথে আমি প্রতিনিয়তই থাকি। তাই পাকিস্তানীদের এই দাবীকে মিথ্যে বলার জন্য আমার কোন বই-পত্র বা ইন্টারনেট লিংক এর সাহায্য নিতে হয় না। আজন্ম ঘৃণা তাদের জন্যই বরাদ্দ থাকে, যারা নিরস্ত্র অসহায় মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তান নিশ্চয়ই সে তালিকার একেবারে উপরেই আছে।
২
আমি যখনই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভাবি, তখনই অবাক হয়ে যাই এই ভেবে যে- একটি দেশের সেনাবাহিনী কতটা নৈতিকতাবিবর্জিত হতে পারে, কিভাবে তারা ভাবতে পারে যে একটি জাতির পেটে তারা তাদের বীজ বপন করে যাবে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ১৯৭১ কতটা পশু হয়ে উঠেছিল, শুধু এটুকু ভাবলেই অবাক হতে হয়। যেকোন যুদ্ধেই নারীনির্যাতন একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দুটি বিশ্বযুদ্ধেও সৈন্যরা নারীনির্যাতন করেছে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে। তবে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী নারীনির্যাতনের উদ্দেশ্য ছিল শুধু আনন্দ পাওয়া কিংবা যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা নয়, তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্যটি ছিল বাঙ্গালীজাতির ভেতরে পাকিস্তানীদের বীজ রেখে যাওয়া, যেন বাঙ্গালী জাতি কোনদিন স্বাধীন হলেও তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিশ্বাসঘাতকার দুষ্টুচক্র থেকে মুক্তি না পায়! মাত্র নয় মাসে দুলক্ষাধিক বাঙ্গালী নারীকে তারা নির্যাতন করেছে, অঙ্কের হিসেবে প্রতি মাসে তারা বাইশ হাজার দু’শত বাইশ(২২,২২২) জন নারীকে নির্যাতন করেছে, অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে তারা প্রায় সাতশত চল্লিশ(৭৪০) জন বাঙ্গালী নারীকে নির্যাতন করেছে!
এই ভয়ানক পরিসংখ্যানটি তুলে ধরার একটাই উদ্দেশ্য- তাদের দানবতাকে অনুভব করা। এমন কিছু একটা করার জন্য সবথেকে বেশি দরকার ছিল পাকিস্তানী সৈন্যদের মনকে পাপাচারে ভরিয়ে তোলা, পৃথিবীর জঘন্যতম পাপকাজগুলোকে পূণ্য বলে তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া। পাকিস্তানী সেনাদের বলে দেয়া হয়েছিল যে-
"আমরা পূর্ব পাকিস্তানকে একেবারে সংশোধন করতে চাই এবং বিচ্ছিন্ন হওয়ার সব হুমকিকে রদ করার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এর অর্থ যদি হয় ২০ লক্ষ লোককে হত্যা করা এবং প্রদেশটিকে ৩০ বছর ধরে কলোনি বানিয়ে রাখা, তবুও।”
তাদের সৈন্যরা তাই করেছে- তারা ৩০ লক্ষাধিক লোককে হত্যা করেছে, উচ্ছেমত নির্যাতন চালিয়েছে। বইপত্রে তাদের নির্যাতনের পদ্ধতিগুলো পড়লে যন্ত্রনায় বুক ফেটে যায়, হাত-পা কেঁপে ওঠে। খুব ছোটবয়সে সেগুলো পড়ে আমার কয়েক রাত ভালোমত ঘুম হয়নি। একাত্তরের বইগুলো পড়ে আমার কখনওই মনে হয়নি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঝে মানবীয় কোন বৈশিষ্ট্য ছিল! ৭১ এ তারা যা করেছে, জন্তু-জানোয়ারদের মধ্যেও আমি এমন চরিত্র খুঁজে পাই না। তাদেরকে আমি কিসের সাথে তুলনা করব?
৩
এবার পাকিস্তানীদের পিশাচসুলভ কৌশলগুলোর কথা ভাবি। অপারশন সার্চলাইট দিয়ে শুরু করা যাক। ২৫ মার্চ রাতে অসহায় বাঙ্গালীদের উপর হঠাৎ করে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। সম্ভবত গণপরিষদের অধিবেশন বাতিল করার পর অথবা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শোনার পর পাকিস্তানীরা বাঙ্গালীনিধনের সুনির্দিষ্ট এই পরিকল্পনা করে। কিন্তু তার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি দরকার! ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর সাথে সমোঝোতার জন্য আলোচনা করে সময় নষ্ট করবে। কাউকে কিচ্ছু বুঝতে দেবে না।
এদিকে প্রতিবার আলোচনা করতে আসার সময় ইয়াহিয়ার দল সাথে করে ব্যাপক অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে আসবে। গোপনে তা ঢাকায় মজুদ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরেও প্রচুর অস্ত্র মজুদ করতে হবে ধীরে ধীরে- আর সবকিছু হবে বোকা বাঙ্গালীদের চোখের আড়ালে। বাঙ্গালী সৈন্যরা যেন প্রতিরোধ গড়তে না পারে সেজন্য তাদেরকে কাজের কথা বলে ঢাকার বাহিরে পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপরেই তো জমবে রক্তের খেলা!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘মানবঢাল’ নামে একটি একেবারে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল সৈন্যরা। ব্যাপারটি ছিল এরকম- কিছু সংখ্যক অসহায় নারী-পুরুষ-শিশুকে ধরে এনে একটা ঘরে বন্দী করে রাখা হত। সেই ঘরের সামনে চলত যুদ্ধ। ফলে প্রতিপক্ষের উপর একটি নৈতিক ও মানবিক চাপ পড়ে যেত। শত্রু নিধন করতে গেলে পেছনের ঘরে থাকা অসহায় মানুষগুলোকেও যে মেরে ফেলতে হবে! বেশিরভাগ সময়েই ‘মানবঢাল’ এর কবলে পড়া মানুষগুলো মরে যেত। কিছু কিছু সময় প্রতিপক্ষ সৈন্য যুদ্ধ না করে পালিয়ে যেত, এমনকি মারাও যেত। যুদ্ধের মাঝেও মানবিকতা থাকে, থাকতে হয়।
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে পাকিস্তানীরা অনেক অসৎ পন্থা অবলম্বন করে। এগুলোর মধ্যে তাদের উল্লেখযোগ্য পাপাচারগুলো হল- বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাস বলে আখ্যা দেবার অপচেষ্টা, পরাজয়ের কিছু আগে যুদ্ধটিকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ভারতের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা, কিংবা পরাজয়ের ঠিক দুইদিন আগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে মারা যেন স্বাধীন বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের চেয়েও জঞ্জালমাখা দেশ হয়ে যায়।
এত চমৎকারভাবে পরিকল্পনা করে মানুষ মারার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অল্প কিছু আছে। হিটলার বা মুসোলিনী সহ যারা এগুলো করেছে, তারা সকলেই সার্বজনীনভাবে ধিকৃত। কিন্তু এদের তালিকায় কেন পাকিস্তান পড়ে না, কেন পাকিস্তান এদের মত সার্বজনীনভাবে ধিকৃত নয়? আমার প্রশ্ন এখানে এসেই থেমে যায়।
পাকিস্তানীদের পাপাচারগুলা সঙ্গাবিবর্জিত, অবাক করা। তার থেকেও অবাক করা ব্যাপার হল, আধুনিক বাঙ্গালী খুব সহজেই এসব কিছু ভুলে যাবার চেষ্টা করছে, শুধু তাই নয়- এগুলো ভুলে যাওয়াটাকেই সঙ্গত মনে করছে! আমার কষ্টের সীমাও এখানে এসেই থেমে যায়!
৪
আামার কাছে একটি বিষয় খুব মজা লাগে। বিষয়টি হল- পাকিস্তান যতবার এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছে, যতবার তারা এ নিয়ে ভেবেছে, যতবার তারা নিজেদের পরাজয়ের কারন জানতে চেয়েছে, যতবার তারা নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছে- ততবারই তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ঘৃণা করার মত অসংখ্য কারন খুঁজে পেয়েছে। আর তাই তারা তাদের সন্তানদেরকেও বই-পত্রে মিথ্যায় ভরা কিছু কথা শিখিয়ে শিখিয়ে বড় করছে। পাকিস্তানের ‘The Dawn’ পত্রিকাটি খুঁজে আমি এই মজার লিংকটি পেলাম। আধুনিক পাকিস্তানের ছেলে-মেয়েরা জানে বাঙ্গালীরাই খারাপ, তারাই অত্যাচারী! তারা জানে, বাঙ্গালীরাই বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তান ভেঙ্গেছে। মুক্তিযোদ্ধারাই পাকিস্তানীদের নির্যাতন করেছে। পাকিস্তানী ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সিলেবাসও সেভাবেই সাজানো হয়েছে। আধুনিক পাকিস্তানের ছেলে-মেয়েরা একবারও বোধহয় গুগুলে গিয়ে `Genocide of Bangladesh’ বা `Operation Searchlight’ লিখে সার্চ করেনা। তারা কখনও ‘হামিদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট’ এর নাম শোনেনি- যে গুপ্ত রিপোর্টে পাকিস্তান ৭১ এর যুদ্ধে তাদের পরাজয়ের কারন হিসেবে সৈন্যদের চরমতম মানবিক বিপর্য়য়কে দায়ী করেছিল এবং তা যেন প্রকাশ না পায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। তারা খুব বেশি হলে নিয়াজী’র ‘The Betrayal Of East Pakistan’ বা এই জাতের কিছু বই পড়ে। তাদের আওতায় এর থেকে বেশি কিছু নেই। তারা কখনও কামরুল হাসানের আঁকা ইয়াহিয়ার রক্তখেকো ছবিটা দেখেনি। তারা একবারও কোন মুক্তিযোদ্ধার মুখে একাত্তরের কাহিনী শোনেনি। বাঙ্গালীর যন্ত্রণা তারা বুঝবে কিসে?
সস্প্রতি পাকিস্তানীরা আবাও ভুল করেছে। তারা ৭১’এ সকল অপরাধকর্মকে অস্বীকার করেছে। তারা নিজেদের ঘায়ে লবন ছেটাচ্ছে। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের অর্থদাতা হিসেবে অনেকবার পাকিস্তানীদের যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে। এমনসব নির্লজ্জ আস্ফালনের পর পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সকল রকম সম্পর্কের অবনতি হওয়া উচিত। অথচ হয়নি। এমন কুটনৈতিক নতজানুতার কারনেই আমরা পাকিস্তানকে আজও ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে পারিনি। বরং আজ তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শনের সাহস পায়। তবে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার দায়ে পাকিস্তানী কুটনীতিক ‘ফারিনা আরশাদ’ কে সরিয়ে ফেলা অবশ্য সুবাতাসের ইঙ্গিত দেয়। কিছু বিষয়ে আমরা নতজানু হতে বাধ্য। যেমন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা যুক্তরাষ্ট্রকে সেই সব কথা স্মরণ করিয়ে দেবার পরিস্থিতি এখন আর নেই। আশা রাখি, একদিন আমরা মাথা উঁচু করে অভিজাতদের সেইসব পাপাচারের কথাগুলোও মনে করিয়ে দেব। কিন্তু দুর্বলতার কারনে যদি আমাদের ইতিহাস ছোট হয়, তার থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কি হতে পারে।
এটা বিজয়ের মাস। এই মাসটিতে যেমন আনন্দ আসে, তেমনি অনেক কষ্টের কথাও উঠে আসে। আমি আমার দিদার চোখের দিকে খুব ভালো করে তাকালে এখনও ভয়ের ছবি দেখি, তাঁর কান্নাভরা কষ্টের দিনগুলি কিছুটা অনুভব করতে পারি। দেশের আনাচে-কানাচে এমন অনেক লোক চোখের জল শুকিয়ে বেঁচে আছেন আজও। তাঁদের সবাই যে সম্মান পেয়েছেন, সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তাও নয়। তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট পান, যখন দেখেন, তাঁদের চোখের সামানে রাজাকারি করা মানুষগুলো স্বাধীনতার পর বেশ-ভূষা পালটে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সব সুবিধা ভোগ করছে।
৫
বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার কথাগুলোই বারবার করে বলি, লিখি, শুনি। এখন আমাদের সবকিছুই স্বাধীনতায় ছাওয়া। আমাদের সততা, নিষ্ঠা, প্রেম যেমন স্বাধীনতায় মিশে থাকে, তেমন আমাদের ধাপ্পাবাজি, ছলচাতুরি, গলাবাজি, এমনকি দেশদ্রোহীতা- সবকিছুই স্বাধীনতার স্বাদ পায়। আমাদের স্বাধীনতা এতটাই ব্যাপক ও উদার যে এখানে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরাও পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে! পৃথিবীর অন্য কোথাও এমন ঔদার্য চোখে পড়া ভার।
প্রার্থনা করি, আমাদের আলো-বাতাস, মতামত প্রকাশ, নির্বাচনের মাঠ, দুপুরের রোদ, পুকুরের রাজহাঁস, ইউনিভার্সিটির প্লেগ্রাউন্ড কিংবা অপরাজেয় বাংলা- আরও বেশি করে স্বাধীনতায় ভরে থাক। স্বাধীনতা জেগে থাকুক স্লোগান-মিছিলে, স্কুলের ব্লাকবোর্ডে, চায়ের দোকানে, নেশার আড্ডায় কিংবা কবিতার আসরে। স্বাধীনতা ডানা মেলুক খাঁচার সীমানা পেরিয়ে। স্বাধীনতা ঝলসে উঠুক আকাশের সীমানায়।
নতজানুতার অন্তর্ঘাত গভীর। তবে তা আকাশের থেকে বড় নয়। আমাদের স্বাধীনতা আকাশের চেয়েও বড়।
©somewhere in net ltd.