![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্ত ঝরেছে ভোটের মাঠে। নিহত সাত কিংবা আট। আহত শতাধিক। অস্ত্র এসেছে অনেক। দেশীয় অস্ত্র নয়, আগ্নেয়াস্ত্র। ইচ্ছে হলেই আকাশে গুলি ওড়ানো যায়, করা যায় ‘ওপেন ফায়ার’। মরে যায় বালক শুভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুজন। ভোটের মাঠে ভোটার থাকে না। আকাশে ওড়ে লাশখেকো শকুন। ব্যালট বাক্স হারিয়ে যায়, চোখের সামনে ভোট চুরি হয়, আগ্নেয়াস্ত্রের সামনে নিরব থাকেন প্রিজাইডিং অফিসারেরা। হামেশাই ভোটচুরিরতে লিপ্ত হন তাঁরাও! ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এই তো ধোঁয়াভরা, রক্তমাখা রূপ। ভোটের মাঠে প্রভাবশালীদের লাঠিয়াল বাহিনী থাকবে। তারা যাকে ইচ্ছে তাকে আঘাত করবে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই এ বাঁধা দিলে চলবে ফায়ার! পুলিশ আত্মরক্ষা করবে ভিন্নরকম ‘ওপেন ফায়ার’ করে, কিন্তু ব্যালট বাক্স রক্ষা আর হবে না।
প্রথম দয়া নির্বাচনে কতজন মরে গিয়েছিল? যাই হোক, সংখ্যাটা একেবারে কম না। তারপরও দ্বিতীয় দফায় এতগুলো মৃত্যু। এত লাঠি-সোটা, এত গরম, এত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র- আসে কোথা থেকে? মানুষের এত সাহসের উৎস কোথায়? ক্ষমতা ও দখলবাজির নৃশংসতম রূপটি এছাড়া আবার কি? নির্বাচনে জয়-পরাজয়, বিজয়ী-বিজিতের ভোটের অনুপাতিক পার্থক্য তাই এখানে অকিঞ্চিতকর। এতগুলো প্রাণহানিতে কোন নির্বাচন কখনও আশানুরূপ হয়? ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয়েছে’- রেকর্ডটি বাজছে না কেন এখনও?
ক্রিকেটপ্রিয় জাতি গতরাত থেকে আনন্দে উন্মাতাল, মাত্রাতিরিক্ত আনন্দ হামেশাই বুদ্ধিহীনতা ডেকে আনে। শাহবাগ ধর্ষক ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষুব্ধ। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র, সুজন মৃধা, গুলি বর্ষণে নিহত। পরিস্থিতির কতটা জঘন্য হলে পুলিশকে ইচ্ছে মত গুলি চালাতে হয়? ক্ষমতাদখলের যে আসুরিক শক্তির বিকৃত রূপ আজ ভেসে আসছে তার সূত্রপাত অনেক আগে। দখল অভিপ্রায়ে কেন্দ্র থেকে ইচ্ছেমত প্রশ্রয় পাওয়া মাঠকর্মিরা তাই এত বেপরোয়া হবার সাহস সঞ্চয় করেছে। এই নির্বাচনের পর অনুমান করা যায়, অনেক অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঘটেছে দেশে। সে ব্যাপার না। কিন্তু যে অন্ধকারের দিকে মানসিকতার পতন ঘটছে, তা থেকে উত্তোরণের সিঁড়ি কিন্তু আমাদের কারও হাতে নেই। ৭-৮ টি মৃত্যু হয়ত তাই উপেক্ষণীয়।
এক্ষেত্রে খুনীদের বিচার কি আমি চাইতে পারি না
[ছবিটি দৈনিক ইত্তেফাক হতে সংগৃহীত]
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৬
পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: মন্দ বলেননি। কিন্তু কথা হল, কেন এত সহিংসতা তৈরী হবে। পেশীশক্তির স্থায়িত্ব কতদিন?
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৯
বিজন রয় বলেছেন: সাবধান, সাবধান।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইউনিয়ন পরিষদের দরকার নেই; ইুনিয়ন পরিষদ ডাকাত সৃস্টি করে মাত্র।