নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/piika.pikaa

ইমরাজ কবির মুন

আমিই নাই, তাই আমার ব্লগে এসে লাভ ও নাই!

ইমরাজ কবির মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে এসেছে আবার

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

- ভাতিজা জাইগা আসো নাকি?
গত দেড়টা মাস বলতে গেলে জেগেই কাটাচ্ছি।থিসিস রেডী করার কাজে ঘুমের সাথে ঠিক সাক্ষাৎ হয়নি।আজ সন্ধ্যায় একটু তন্দ্রামতন এসেছিলো, মতলব মিঞাঁর একঘেঁয়ে আওয়াজ আর দরজায় অনবরত কড়া নাড়ার শব্দে সেটা উসাইন বোল্ট এর চেয়েও দ্রুত বেগে দৌঁড়ে পালালো।

চুদির ভাই!

জেগেই আছি চাচা - আসেন ভিতরে।
দরজা খুলে দিলাম।
- বিরক্ত করলাম না তো ভাতিজা তোমারে?

শালার বাচ্চা!

- কফি বানায়ে আনসি বাজান।আজকে একটু শীত করাইতেসে, ভাবলাম কফি খাইতে খাইতে তোমার সাথে একটু গফ কইরা যাই।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৯.২৩ বাজে।পেটে ছুঁচো নাচছে।একেবারে ডিনার করে ফেলাই উত্তম, তবু ঠান্ডা আবহাওয়ায় ধোঁয়া ওঠা কফি পানের লোভ সামলাতে পারলাম না।হঠাৎ করেই টেম্পারেচার ৫-৬ ডিগ্রী কমে গিয়েছে।
বেশ তো, বসেন।
আমি খাটে আঁধশোয়া হয়ে কফির কাপে চুমুক দিলাম।ব্যাটা বানিয়েছে খুব ভাল, ক্লান্তি অনেকটাই কেটে গেল।
আব্বা-আম্মা কি এক কাজে গতকাল ফেনী গিয়েছেন।আমার দেখভাল করার জন্য মতলব মিঞাঁকে গ্রামের বাড়ি থেকে আনিয়েছেন।উনি আমার দাদার বাড়ির দাঁড়োয়ান ছিলেন এক সময়।কোন কারণে তাঁকে চাকরী থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছিল।তবে আব্বার সাথে তাঁর বেশ ভাল সম্পর্ক, মাঝে মাঝে টাকা-পয়সা পাঠিয়ে সাহায্য করেন। রান্না-বান্নাও বেশ ভাল করতে পারেন শুনেছিলাম।আজ রাতে ডিনারের সময় এর সত্যতা পরীক্ষা করা যাবে।
তো চাচা বলেন, আছেন কেমন?
- এইতো বাজান কোনমতে দিনগোনা আরকি।
হাহাহ কি যে বলেন!আপনার বয়স হৈসে কত?
- গ্যালো রমযানে তিরানব্বুই এ পড়ছি।আর কত বৎসর যে অ্যাম্নে নিজেরে টানা লাগবো আজকাল বইসা হেইডাই ভাবি।

এবার আমি রীতিমতো চমকে উঠি।আমার সামনে বসা ব্যক্তিটার বযস তিরানব্বুই! দেখলে বড়জোর পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন মনে হয়।বলিষ্ঠ দেহের গঠন, চুল পেঁকে গেলেও বেশ ঘন; চোখ তীক্ষ্ণ খুব।তবে চেহারায় বিনম্র ভাব বিরাজমান।
আপনাকে দেখে তো একদমই বোঝা যায়না যে এত বয়স হয়েছে!
- মাইনষে কয় আমি আমার পোলাডার হায়াত পাইসি।

বৃদ্ধের কন্ঠে ব্যাকুলতা অনুভব করি।
আপনার ছেলে মারা গিয়েছে?
- হ বাজান।১১ বৎসর হৈসিলো তখন।একটাই বাইচ্চা হইসিলো আমার।হের জন্মানোর সময় আমার বৌডা মরে।ম্যালা কষ্টের পর অনেক বৎসর বাদে আমার একটা বাইচ্চা হইসিলো তো, মায়াটা বেশী পইড়া গেসিলো।

আমরা ২ জনেই নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি।ঠান্ডা মনে হয় আরো কিছুটা বেড়েছে।কেমন যেন সোঁদা গন্ধ, বৃষ্টি পড়বে নাকি? পরিবেশ হালকা করার জন্য আমি কথা শুরু করলাম।
কত বছর আগে আমার দাদার বাড়ীতে চাকরী শুরু করেছিলেন?
- সে তো বাপ ম্যালা দিন আগের কথা।ঠিক ঠাওরাইতে পারিনা।তবে হইবো ২৫-৩০ বৎসর।তুমি যেদিন জন্মাইসো সেইদিন তুমার দাদাজান ব্যাপক খুশি হইসিলেন খবর পাইয়া।বংশের পরথম নাতী বইলা কথা।তাঁর আনন্দ আসিল দেখার মতো।পুরা গেরামবাসীরে মেজ্জ্বান খাওয়ানো হৈসিলো।
আব্বাকে প্রায়ই বলতে শুনি, দাদাজান নাকি খুব আমুদে ছিলেন।
- উনার আসিল ফরফইরা মিজাজ বুঝলা ভাতিজা।এই গরম, এই আবার ঠান্ডা।তবে লোক খুব মহৎ আসিলো, সবাইরে সাহাইয্য করতো।

আমি ইতস্তত করে মতলব চাচাকে প্রশ্নটা করেই ফেলি-
চাচা, আম্মা বলেছিলেন দাদার মৃত্যু নাকি স্বাভাবিকভাবে হয়নি? আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু তিনি তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন।আপনি জানেন এ ব্যাপারে কিছু?
মতলব মিঞাঁ সম্ভবত একটা দীর্ঘঃশ্বাস লুকোলেন।
- রাইত হইতেসে ভাতিজা, আসো আমরা খাওয়া-দাওয়া সাইরা ফেলি।তুমি যে সময়ে ঘুমায়ে আসিলা তখনি পাক-শাক কইরা রাখসিলাম।ঠান্ডা হইয়া যাইবো আর দেরী কইরলে।অ্যাম্নে শীতকাল, হের মইদ্ধ্যে বৃষ্টি পড়ার কোন মানে আসে কও দেহি?আমি খাওন লাগাইতেসি, তুমি আসো।
কথার ফাঁকে কখন যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল খেয়ালই করিনি।জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে আমি খাওয়ার টেবিলে গেলাম।
সাদা ভাত, গরু ভূনা, ঘন ডাল আর আলু ভাজি।খেতে মন্দ হবেনা বোধহয়।তবে খিচুড়ী, গরু ভুনা, ডিম ভাজা হলে আজ জমতো ভাল- আফসোস হলো কিছুটা।
আপনিও বসেন চাচা, একসাথে খেয়ে নেই।
উনি বসলেন।খেতে বসে কথা বলা আমার অপছন্দের, নিঃশব্দেই খাওয়া শেষ করলাম।উনি রাঁধেন চমৎকার স্বীকার করতেই হলো।
- ভাতিজা রুমে যাও, আমি আদা-লেবু চা বানায়ে আনতেসি।এমন রাইতে এই চা বড়োই উপাদেয়।
মিনিট পাঁচেক পর রুমে এসে উনি আমার হাতে কাপ ধরিয়ে দিলেন।চমৎকার সুঘ্রান আসছে সেখান থেকে।
- তোমার বাপে আগে ভাগেই শহরে চইলা আইসা বেবাক বুদ্ধিমানের কাজ কইরসে।তোমার চাচারা এখনো হ্যাগো বাপের সম্পত্তি লইয়া পিডাপিডি করে।তবে ভাতিজা এই জায়গায় ভিটা গইড়া তোমার বাপে ভুল কইরা ফালাইসে।জায়গাডা দোষী।
আমি হাসলাম।
কি যে বলেন চাচা! এত্ত বছর পার করে ফেললাম, কোনকিছুই তো প্রত্যক্ষ করলাম না আজ অব্দি।লোকে নানা কথা বলবেই।
- তোমাগো উত্তর পাশে যে খালি জমিটা পইড়া আসে হেইটার কাহিণী জানো?
না তো, কি হয়েছে বলেন শুনি!
বৃষ্টিস্নাত শীতের রাতে আধিভৌতিক গল্প শুনতে আমি বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠি।
- তোমার বাপে শহরে চইলা আসবো এমন শুইনা তুমার দাদাজান পরথমে একটু বিরাগ হইলেও শ্যাষে খুশিমনেই সম্মতি জানান।শহরের সহায়-সম্পত্তি দেখভাল করার লাইগা নিজের একজন থাকনের দরকার আসে।তোমাগে এই বাড়িটা তখন একতলা সেমিপাকা ঘর আসিলো।তোমার দাদায় ঠিক করসে উত্তরদিকের জমিটায় তোমার বাপেরে একটা ঘর উঠায়ে দিবো, সেইখান থেইকা যেই ভাড়াটা আদায় হইবো তা দিয়া তোমার বাপ-মা’র ভালভাবেই চইলা যাইবো। তোমার বাপে অল্পদিনের মইদ্ধ্যে একখান চাকরীও জুটায়ে ফালাইসিলো।
পরের বৎসর ঘর বানায়ে দেওনের লাইগা তুমার দাদা নিজেই শহরে চইলা আইসিলেন, লগে আমিও আসিলাম।উনি মিস্তিরি-মজুর ঠিক কইরা ঘর বানানোর কাম আরম্ভ করায়ে দিলেন।সুন্দরমতোই সব আগাইতেসিলো।
১ তলার ছাঁদ যেদিন ঢালাই দেওন হইসিলো হেইদিনের রাইতের কথা।আমরা সবাই খাওন-দাওনের পর শুইসি।মাঝরাইতে বিকট শব্দে কিসু একটা ভাইঙ্গা পরার আওয়াজে জাইগা যাই।বাইর হয়া দেখি ছাঁদ ভাইঙ্গা এক্কেরে ঝুরাঝুরা।২নম্বুরি মাল-সামান দিয়া বানাইসে মনে কইরা তোমার দাদা তো সবডিরে বেজায় ঝারসে।তয় কাম তো আর আঁটকায়ে রাখন যায়না।নতুন কইরা জিনিষপত্তর কিইন্না তার ২ দিন পর আবার ছাঁদ ঢালাইয়ের কাম শুরু।হেই রাইতে আবারো একি ঘটনা, ছাঁদ ভাইঙ্গা পরসে! আমরা সবাই বিরাট পেরেশান তুমার দাদাজান এইবার কি করেন তা ভাইবা।দেখলাম উনি খুব শান্ত হয়া ওই ভাঙ্গা ছাঁদের দিকে তাঁকায়া আসেন।পরদিন সকালে উনি আমাকে একটা ঠিকানা দিয়া কন যে, ওই জায়গায় এক আলেম থাকেন ওনারে যেন সাথে কইরা নিয়া আসি।
ওনাকে নিয়ে সেইদিন সইন্ধ্যায় আমি আইসা পৌঁছাই।আলেম সাব রাইতের বেলা এশার নামায সাইরা সেই জায়গাটা দেখতে যান।আমগো সবাইরে মানা কইরা দিসিলো কেউ যাতে রাইতের বেলা বাইর না হই।খায়া-দায়া শুইয়া পড়সি, চাইরপাশ একদম শুনশান।একটু পর আলেম সাবের সুরেলা তেলওয়াত কানে আসতে লাগলো।তখন ভাতিজা জইষ্ঠ মাস, চরম গরমে পরাণ জ্বইলা যায়- এর মধ্যেই হঠাৎ কইরা একদম মাঘের লাহান ঠান্ডা হইয়া গ্যাসে।বাইরে চায়া দেহি পুরা ফকফকা।আর হাজার হাজার কাউয়া চিল্লাইতেসিলো।এর মাঝখান দিয়া আলেম সাবের গলা হুনা যাইতেসিলো, মনে হৈতেসিলো উনি কারো লগে কথা কইতেসেন।খুব ভয় পাইসি হেই রাইতে।
রাতটা কোনমতে কাঁটাইয়া ভোরে বাইর হইসি।দেখলাম তোমার দাদা তোমার বাপেরে সাথে নিয়া খাঁড়ায়ে আসে ভাঙ্গা বাড়ির সামনে।আলেম সাবরে কোথাও দেখলাম না।ওনার কথা জিগাইতে তোমার দাদা কইলো উনি রাইতেই চইলা গ্যাসেন।তবে যাওয়ার আগে সাফ মানা কইরা দিয়া গ্যাসেন যে হেই জায়গায় যাতে বাড়ি বানানোর চিন্তা না করা হয়।নামায পড়ার লাইগা জ্বীনের জায়গাটা পসন্দ করসে, আল্লাহর উসিলায় জায়গাডা খাইল্ল্যা থুইয়্যা রাখা লাগবো।

মতলব চাচার গলা আগের মতো একঘেঁয়ে লাগছে না, সেখানে এসে ভর করেছে ভীতি।আমার কিছুটা ভয় করতে লাগলো।আমি চুপ করে আছি।মতলব চাচার আরো কিছু বলার বাকি আছে।
- তোমাগো বাড়ির থেইকা ৩০ কদম দূরে খিরিষ্টানগো যে গোরস্থান আসেনা?হেইডা আগে এক্কদম মাঠের লাহান খোলা আসিলো। হেইখানে এক ব্যাটারে দফনাইসিলো বাক্সের মইদ্ধ্যে ভইরা।রাইতের বেলা কি দেখা গ্যাসে জানো ভাগিনা?
থরথর করে কাঁপছেন উনি।
- কিভাবে জানি মরার ডান হাতটা বাক্সের বাইরে ঝুলতাসে।
উনি একটু দম নিলেন।
- সেই রাতেও পরচুর কাউয়া চিল্লাইতেসিল।
মতলব চাচার গলার স্বরের সাথে আমার হৃৎপিন্ডও পাল্লা দিয়ে কাঁপছিল।
- এই রকম এলাকায় মরারা ঘুরাফিরা কইরা থাকে বেশি।আমি তুমার বাপেরে ম্যালা বার কইসিলাম এইখান থেইকা চইলা যাইতে- হে শুনেনা আমার কথা।কুনদিন কি বিপদ হইয়া যায় কেউ কইবার পারেনা। উনি মিনমিন করে বললেন।
আমি হাসার অভিনয় করে বললাম, কিছু হওয়ার থাকলে এতদিনে হয়েই যেত চাচা, খামোখা দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।
উনি সম্ভবত আমার কথা শুনতে পাননি।মাটির দিকে তাকিয়ে একমনে কথা বলতে থাকলেন-
- তুমি জানো ভাতিজা তোমার জন্মানোর পর যে মেজ্জ্বানটা দিসিলেন তুমার দাদাজান হেইটায় রান্না আমি করসিলাম?আমার পুলাটা খায়েশ মিটাইতে হেইদিন খাইতে আইসিলো গায়ে জ্বর নিয়া।তখন দুপুর সময়, বাইরে ছ্যাড়াব্যাড়া রোউদ, জ্বর গায়ে পোলাটা ওইখানে বইলে শইলডা আরো খারাপ হয়া যাইবো ভাইবা হেরে তোমার দাদার বাড়ীর ভিতরে নিয়া বসায়া খাওন দিলাম।অসুইখ্যা পুলাটা আমার ২ গেরাস খায়াই এক বাড়ী মেহমানের সামনে বমি কইরা ঘর নোংরা কইরা ফালায়।তুমার দাদা তা দেইখা মাথা ঠান্ডা রাখতে না পাইরা জোরসে দুইঘা থাবড়া লাগায়।আমার বাইচ্চাটা জ্ঞান হারায়া মুখ থুবড়ায়া পইড়া যায়।তোমার দাদাজান তখনি নিজে কোলে উঠায়ে আমার পুলাটারে ডাক্তারের বাড়িতে নিয়া যায়।গভীর রাইতে আমার বাপডা চক্ষু ম্যালে, এক্কেবারে টকটইক্কা লাল হয়া আসিলো।আমার দিকে তাকায়া সে মিষ্টি একটা হাসি দিয়া কইসিলো, খুব বালা পাক করসো বাপজান।এরপর হেই যে চোখ বন্ধ হইসে ভাতিজা, আর খোলে নাই।তুমার দাদা হেইদিন আমার পাও ধইরা মাফ চাইসিলো।আমি উনারে মাফ কইরা দিসি।
মতলব মিঞাঁ ছোট করে একটা ঢোক গিলে আবার বলতে শুরু করলেন।বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি, বিজলী চমকাচ্ছে।
- আমার পুলা মরার কয়দিন পরের ঘটনা।তদ্দিনে তুমার দাদা মনের দিক দিয়া একদম ভাইঙ্গা পড়সেন।সারাক্ষন মনমরা হয়া পইড়া থাকেন।আমি গিয়া কইতাম হায়াত-মউত আমগো হাতে নাই, উপরওয়ালা যেইটা চাইসেন।উনি চুপ কইরা আমার কথা শুনতেন আর মাথা নাড়াইতেন।পুলাডার লাইগা আমার পরাণ হারাডাক্ষনই ধুকফুক করতো ভাতিজা, কিন্তু আমি কখনোই ব্যাপারটা নিয়া কারো সাথে কথা কইতাম না।
হেইদিন তোমার দাদাজান ম্যালা রাত কইরা গঞ্জ থেইকা ফিরলেন।কাযা নামায শ্যাষ কইরা বাড়ির উঠানে পাটি পাইতা বসলেন।আমি উনারে দেইখা কথাবার্তি করার লাইগা গ্যালাম।ক্যামন ঠান্ডা করাইতেসিলো।কিসুটা সময় পর খুট খুট আওয়াজ শুনতে পাইলাম।তোমার দাদাজান ও খেয়াল করসেন।বারান্দায় মনে হইলো কেউ একজন বইসা আসে।আমি চিল্লায়া জিগাইলাম ক্যাডা ওইহানে? একটা হাসির শব্দ আইলো।খুব চমকাইয়া উঠলাম।তুমার দাদা ভয় পাওয়া গলায় জিগাইলো কি হইতেসে মতলব?আমরা পা টিপ্যা টিপ্যা বারান্দার দিকে আগাইলাম।বোঁচকা গন্ধ।কাছে যাইয়া বরফের মতো জইম্যা গেসি।হ্যাজাকের আলোয় দেখলাম পুরা জমিন বমিতে ভরা, এর মাঝে বইসা আমার মরা পুলাডা মেজ্জ্বানী ভাত খাইতেসে।আমরা আরেকটু নিকটে যাইতেই হে মাথা উডায়া আমগো দিকে তাকাইলো, চোউখ দুইডা রক্তের মতো লাল।তুমার দাদা আর সইহ্য করতে না পাইরা জ্ঞান হারায়া পইরা যান।আমি তাঁরে কাঁধে উঠায়া অন্দরমহলে নিতেসিলাম, গা আগুনের মতো গরম।পিছ থেইকা আওয়াজ শুনি, “খুব বালা পাক করসো বাপজান”।

তুমার দাদাজানের জ্ঞান আর ফিরে নাই।শহর থেইকা তুমার বাপ-মা যাওনের পর তাঁর কবর দেয়া হয়।দাফন-কাফন সমাধা কইরা আমি তুমার বাপেরতে অনুমতি লইয়া কাজ ছাইড়া চইলা আইসি।সে আমারে বিস্তারিত কিসু জিগায় নাই।শুধু কইসিলো যেকুন দরকার হইলে তার সাথে যুগাযুগ করবার লাইগা।এরপর থেইকা সে নিয়ম কইরা আমার বাড়িতে টাকা পাঠায়, মাঝে মাঝে খবর ন্যায়।
অনেকক্ষন কথা বলে মতলব মিঞাঁ হাঁপিয়ে উঠেছেন।তিনি লম্বা একটা দম নিলেন।বৃষ্টি থেমে গিয়েছে।বাইরে ফকফকে চাঁদের আলো।আজ পূর্ণিমা নাকি?
- আমার পুলাডার মরণের লাইগা আমি কখনোই তুমার দাদারে দোষ দেইনাই।শুধু মাঝেমইদ্ধ্যে মনে হয় তুমি না জন্মাইলে আমার পুলাডা আইজ বাঁইচা থাকতো।
মতলব চাচার কন্ঠে তীব্র ক্রোধের আঁচ পেলাম।আমি আমার হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছি।
- তুমি কি জানো ভাতিজা, তুমার চেহারা একদম তুমার দাদাজানের মতো?
চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বললেন তিনি।
- বাইচা থাকলে কাইল খিচুড়ি, গরু ভূনা আর ডিম ভাজি খাওয়ামু।
আমার মাথা ভনভন করছে।
আজ মনে হয় আর থিসিস নিয়ে বসা হবেনা।ঘুমিয়ে পড়া দরকার।বারান্দার দিক থেকে কিছু একটা আওয়াজ আসছে।বেড়াল-টেড়াল হবে মনে হয়, গ্রীল গলে ঢুকে পড়েছে।ওটাকে তাঁড়ানোর জন্য দরজা খুলতেই বোঁচকা পঁচা গন্ধ আমার নাকে এসে লাগলো। ভালমতো তাকাতে দেখি বাচ্চা একটা ছেলে ফ্লোরে বসে ভাত খাচ্ছে, তার চারপাশ নোংরা বমিতে ভর্তি।
প্রচন্ড ভয় আর দুর্গন্ধে আমার গা গোলাচ্ছে।
সে আমার দিকে মাথা তুলে তাকালো, চোখ দুটো রক্তলাল।আমরা একে অন্যের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছি।
আমাদের বাড়ির উত্তর দিক থেকে সুরেলা কন্ঠে আরবী উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে।
কোথা থেকে এক পাল কাক এসে বিকট শব্দে বিচ্ছিরিভাবে ডাকতে শুরু করলো।
আমি সম্মোহিতের মতো ধীরে ধীরে ঢলে পড়ছি।
কাক এর পালের ডাক ছাঁপিয়ে উঁচু লয়ে সূরা পাঠ শোনা যাচ্ছে॥


**সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে লিখা।সঙ্গত কারণে স্থানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

নিমগ্ন বলেছেন: লাইক দিয়া ইস্টার্ট কইরলাম। :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এইবার পড়েন || :|

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

নিমগ্ন বলেছেন: তাহলে? দাদার মতো নাতিও শ্যাষ??

(অপ্রাকৃতিক গল্প! ভালই লিখেছেন)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হৈলেও হৈতে পারে! ;)
থ্যাংক্স নিমগ্ন ||

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাই এক চুমুকেই পুরাটা পড়েছি। যদি সত্য ঘটনাই হয়ে থাকে তাইলে ঠিকানা কইলে আরো ভাল লাগতো। তবে চুদির ভাই আর শালার বাচ্চা এই দুইটা শব্দ ব্যবহার করার কারণ বুঝতে পারলাম না। ধন্যবাদ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কাঁচা ঘুম ভাঙায় মনে মনে গালি দেয়া হৈসে |

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সত্য ঘটনা মনে করেই পড়ে ভাল লাগল্।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে ||

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

আরব বেদুঈন বলেছেন: অস্থির ঘুমানোর আগে আসাধারয়ান একটা পোস্ট পড়লাম

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
means a Lot, onek dhonnobad.

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

আমি উম্মাদ বলেছেন: পরে কি হলো নাতীর??? বেচেঁ আছে নাকি....

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
schrodinger saheber biraLer moto obostha! :)

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নাতিও তাইলে শ্যাষ! তাও বাচ্চাকাচ্চা পয়দা না কইরাই। ______________ (!!!!!!)

দ্যাটস ডেফিনিটলি এ হরর স্টোরি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাতীর বাচ্চাকাচ্চা পয়দা না করে শ্যাষ হয়ে যাওয়াটা হরর স্টোরি? খেক ;)

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওরে বাস! হেব্বি গল্প| হালকামত ভয় পাইছি| তবে ভালও লাগছে| সেইরকম গল্প|

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইমো খেয়ে গেলাম! এত্তগুলা থ্যাংক্যু ||

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বেশ পরিবেশ ভারী করা গল্প । দারুণ লেগেছে । সত্য ঘটনা বলায় আরো নতুন আবহ দিয়েছে ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
thanks Kothakethi.

১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
thank yo ULta. apni vaLo Likhen.
Good Luck.

১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এত রাতে এই গল্প পড়ে সত্যিই ভয় পেয়ে গেলাম।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
jene vaLLagLo, Ruhi. :)

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

নেক্সাস বলেছেন: মুন ভাই দারুন লিখেছেন। নিয়মিত কেন লিখছেন না?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
thanks Nexus.
amar Likhar haat vaLo na, niyomito LikhLe ek somoy giye ar kichu ber hobena!

১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা ভালো হয়েছে। গল্প হিসেবে আরো একটু আশা করেছিলাম।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
goLpo LikhaLikhi amar kommo na Sumon.eta emnei ki mone kore Likhe feLsi.

১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ভালো লাগলো । গোছানো হরর গল্প (সত্যি কাহিনী)। দিনের বেলায় পড়লাম বলে ভয়টা বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নায়। রাতে এই গল্প পড়লে নির্ঘাত ঘুম হারাম হয়ে যেত।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
amar intention voy Lagano na, haLka dhakka Lagano chiLo.
thanx Digonto.

১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হরর গল্পে ধাক্কা লাগার সাথে সাথে ভয়টাও কোথা হতে যেন এসে যায়। তবে এটা সত্যি কথা, আপনার লেখার মাধ্যমে ইনটেনশনটা সফল হল। ভালো লিখেন আপনি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
haha. thank you।

১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সত্য ঘটনা অবলম্বনে #:-S

ভাগ্যিস দিনে পড়েছি!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভূতুড়ে ৩টা ঘতনা সত্যি।আর বাকীটা হাবিজাবি মনগড়া! :)

১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সুলতানা রহমান বলেছেন: যদি কথাগুলো পুরোটা ফেনীর ভাষায় লিখতেন তাহলে বোধহয় পড়াই যেতনা।
ভুতের গল্প হিসেবে ভালোই হয়েছে।তবে আঞ্চলিক ভাষার কারণে পড়ার গতি ছিল আস্তে।
আর আমি ও ফেনীর তো, তাই বললাম।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এইটা কোন আঞ্চলিক ভাষা আমি নিজেও জানিনা!
ধন্যবাদ সুলতানা ||

১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চিন্তা কইরা দেখেন। আপনের কুনো বিয়াশাদির আগেই একটা ভুত আইসা লাইফের বারোটা বাজায়ে দিল। তাও হরর এক পরিবেশে।
এইটা কতটা ভয়ংকর চিন্তা করে দেখছেন? আর টোটালি তো হরর কোন ব্যাপারই? নাকি?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভূত, বৌ এর চে কম হরর! /:)

১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ লাগলো। সাদামাঠা লাগছিলো প্রথমদিকে, কিন্তু লাস্টে সেই টুইস্ট দিছো।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নোটিফে আপনার নাম দেখে বুক ধরফর করতেসিলো, কি না কি বলেন!
থ্যাংক্যুস || :D

২০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

ইমিনা বলেছেন: বকা-ঝকা ওয়ালা শব্দগুলো পড়ে তো গল্প পড়ার সাহস হচ্ছে না :||

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমি ঐসব ওয়ার্ড চাইলে অ্যাভয়েড করতে পারতাম, সর‌্যি ইমিনা ||

২১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত দারুণ গল্প।প্রাঞ্জল ভাষা...
পড়তে পড়তে একটা চমৎকার আবহের ভিতর দিয়ে আসলাম!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জাহেদ || :)

২২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লেখা ভাল লাগছে। শেষটা দারুণ হইছে। +++

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
থ্যাংক্যু হুঁশিয়ার কান্ডারী || :)

২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাল লাগলো, গালির শব্দদুটো ইচ্ছে করে আরোপিত মনে হল, কেননা বোল্ড করে দিয়েছেন। ফিনিশিংটা ভালো লেগেছে, ভালো থাকুন সবসময়।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
থ্যাংক্স মানুষ! :)

২৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন: খাইসে এত বড় B:-/ :-P

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
পড়ার দরকার নাই! |-)

২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন: ব্লগ এ গল্প পড়িনা অনেকদিন /:) লুলামি পোস্ট দিয়েন হাজিব হব তখন :``>>

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
লুলামি পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা তো জাগে বুঝলা! তবে ১জনকে কথা দিসিলাম যে ঐ ধরনের পোস্ট আর দিবোনা; তার সাথে আর যোগাযোগ নাই বলা চলে কিন্তু কথা যেটা দিসি ঐটা আর ভাংতে ইচ্ছ করতেসেনা ||

২৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনাকেও || :)

২৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

আরজু পনি বলেছেন:

২০১৫ তে সবেমাত্র দুইখান পোস্ট !
বইয়ের পোস্ট কি ড্রাফটে ? /:)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
2015 boLi nai, kokhon jani LekhsiLam bLsi :-<

২৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আরজু পনি বলেছেন: এ্যাহ্ একবছরের পোস্ট খুঁজে বের করতেই আমার খবর হয়ে গেছে আর ...
তারপরও পোস্ট মিসিং হয়েছে জানি...মরুভুমির জলদস্যুর আরেকটা নিক আছে এই ব্লগে সেই নিকটা মনে করতে পারছি না, সে বই পোস্ট দিয়েছিল কয়েকটা ।
আমি পড়ে মন্তব্যও করেছিলাম ! :(

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
goto botsor ami hibernation e chiLam kina, apnar upokare aaste parLamna :|

২৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: হামা ভাইয়ের সাথে একমত।চমতকার লিখা। +

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
thankoos Chairman Saab, As SaLam.
Good to see you :)

৩০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

এহসান সাবির বলেছেন: হর্‌র গল্প ভালো লেগেছে। যেহেতু সত্য ঘটনা আছে পিছনে সেই জন্য আরো ভালো লেগেছে।

শুভ কামনা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
thanks, good Luck Sabir।

৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০০

রাজসোহান বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনেতো ভালোই লিখতে পারো। গল্প লেখালেখি চালায় যাও না ক্যান?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
২-৩ বছরে ১টা গল্প মাথায় আসে।গল্প লিখে ব্লগ চালাতে গেলে হিট পাওয়া হবেনা আর! :-&

৩২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

রাজসোহান বলেছেন: আরে ব্লগে গল্পই বেশি চলে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এটা সহ মাত্র ৬৪টা হৈসে।ফীচার লিখলে আরো বেশি পাই!

৩৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রাজসোহান বলেছেন: আমার একটা গল্প আছে আড়াই হাজারের ওপর হিট, সেঞ্চুরি প্লাস। B-))

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ঐসব দিন এখন কি আর আসে X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.