নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর একটি পৃথিবী চাই

পিট পলাশ

নিতান্ত অলস একজন মানুষ

পিট পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন গোয়েন্দার একাল-সেকাল

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫




বাংলাদেশে যারা একটু-আধটু বই পড়েন তাদের মধ্যে তিন গোয়েন্দার নাম শোনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া অসম্ভব । সব রকম পাঠকগোষ্ঠীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সিরিজের স্রষ্টা রকিব হাসান । বিদেশী বিভিন্ন গল্পের ছায়া অবলম্বনে রচিত এই সিরিজটি কিশোর-কিশোরীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় । অনেকে বড় হওয়ার পরেও এই সিরিজটি পড়ে যান । ছোট বেলার মোহ কাটাতে পারেন না আরকি!

তিন গোয়েন্দা পুরোপুরি মৌলিক নয় । কিশোর বয়সীদের উপযোগী বিদেশি বিভিন্ন গল্পের ছায়া, কখনো শুধু গল্পের চরিত্র বদলে তিন গোয়েন্দায় পরিণত করা হয়েছে । তিন গোয়েন্দার প্রথম দিককার বইগুলো রবার্ট আর্থারের ইংরেজি সিরিজ "থ্রি ইনভেস্টিগেটরস" অবলম্বনে রচিত। আবার কিছু বই এনিড ব্লাইটনের "ফেমাস ফাইভ" অবলম্বনে রচিত।

১৯৮৫ সালের আগস্ট মাস থেকে সুলেখক রকিব হাসানের হাত ধরে তিন গোয়েন্দার পথচলা শুরু । টানা ১৬০টি কাহিনি লিখেছেন তিনি । রকিব হাসানের লেখা "তিন গোয়েন্দা"-এর কাহিনীগুলো যখন ছোটবেলায় পড়তাম, টানটান উত্তেজনা পাওয়া যেত প্রায় প্রতিটি বইয়ে । প্রায় সব ধাঁচের কাহিনী নিয়েই তিন গোয়েন্দা রচিত হয়েছে । অ্যাডভেঞ্চার, হরর, শুধুই গোয়েন্দা ইত্যাদি । রকিব হাসানের লেখা সবগুলো বইতেই থ্রিল ছিল কিশোরদের জন্য । দক্ষিণের দ্বীপ, রূপালী মাকড়সা, হারানো কামান, ওকিমুরো কর্পোরেশন, কবরের প্রহরী, কঙ্কাল দ্বীপ, জলদস্যুর দ্বীপ, অথৈ সাগর, পোচার, যুদ্ধযাত্রা, আরেক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন, দুর্গম কারাগার, প্রেতের অভিশাপ, চাঁদের পাহাড় ইত্যাদি আমার মতে তিন গোয়েন্দার শ্রেষ্ঠ বই। এগুলো সবই রকিব হাসানের লেখা । রকিব হাসানের পরে তিন গোয়েন্দার হাল ধরেন শামসুদ্দীন নওয়াব । অনেকের মতে শামসুদ্দীন নওয়াব গোস্ট রাইটার । কারণ, উনার লেখার ধাঁচ একেক বইতে আমার কাছে একে রকম মনে হয়েছে । কাহিনীও খুব একটা জমাতে পারেননি । শামসুদ্দীন নওয়াবের লেখা তিন গোয়েন্দার মধ্যে শুধু "উড়ন্ত রবিন" বইটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল ।

তিন গোয়েন্দার ভলিউম ৬০ পর্যন্ত পড়লে ভালো লাগে । এরপরের বইগুলোতে তিন গোয়েন্দাকে সেই রূপে খুঁজে পাওয়া যায় না । ৬০ এর পরের ভলিউমগুলোএ কাহিনী একঘেয়ে হয়ে গেছে । বিদেশী ভালো কাহিনী না পাওয়া, গোস্ট রাইটার দিয়ে লেখানো ইত্যাদি কারণে আগের তিন গোয়েন্দা আর নেই এখন ।

পুরনো ভালো বইগুলোর রিপ্রিন্টও হয় না এখন । বাজে কাহিনী দিয়েই নতুন বই প্রকাশ হয়েছে । তবে কালে-ভদ্রে ভালো কাহিনী নিয়েও বই বের হয় । কিন্তু সেগুলো তিন গোয়েন্দার সেই পুরনো বইয়ের কাছে কিছুই না । ভাল বইয়ের অভাবেই এই প্রজন্ম অনেকটা বই বিমুখ । সেবার কাছে আনুরোধ, ভাল কাহিনী না হলে বই বের করার দরকার নেই । পুরনো বই রিপ্রিন্ট করুন । পরের প্রজন্মেরও কৈশোরের সঙ্গী হোক তিন গোয়েন্দা ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্বর্ণযুগে পড়েছি। প্রবাস জীবনের কারণে নতুন যুগে শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখা পড়িনি। আর রকিব হাসান তো প্রথমা থেকে গোয়েন্দা কিশোর রবিন মুসা লিখছেন। সেই সিরিজটা কেমন? আর উনি 'সেবা' ছাড়লেন কেন?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

পিট পলাশ বলেছেন: প্রথমা থেকে যেগুলো লিখেছেন সেগুলোও মোটামুটি ভালোই । আর রকিব হাসান সেবা কেন ছাড়লেন তার সঠিক কারণ আমার জানা নেই ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: দক্ষিণের দ্বীপ, রূপালী মাকড়সা, হারানো কামান, ওকিমুরো কর্পোরেশন, কবরের প্রহরী, কঙ্কাল দ্বীপ, জলদস্যুর দ্বীপ, অথৈ সাগর, পোচার, যুদ্ধযাত্রা, আরেক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন, দুর্গম কারাগার, প্রেতের অভিশাপ, চাঁদের পাহাডসবগুলোই পড়েছি।নস্টালজিক করে দিলেন ভাই।আমার কাছে যে তিন গোয়েন্দা,মাসুদ রানা,ওয়েস্টার্নের যে ভলিউমগুলো আছে সব যত্ন করে রেখে দিয়েছি।এগুলো আমার স্বর্নের চেয়েও দামী।এখনো স্কুল পড়ুয়া কোন ছেলেমেয়ে যদি পড়াশোনার ব্যাপারে কোন পরামর্শ চায় সবার প্রথমেই জিজ্ঞেস করি এসব বই পড়ে কি না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

পিট পলাশ বলেছেন: জিজ্ঞেস করে লাভ কি?? সেই বইগুলো তো আর এখন পাওয়া যায়ই না

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৩

পুলহ বলেছেন: তিন গোয়েন্দার চাঁদের পাহাড়ের কাহিনী মনে করতে পারছি না। অন্যগুলো-আপনি লেখায় যা উল্লেখ করেছে- তা কমবেশি পরিচিত।
প্রথম দিকের গুলো পড়ে যতটা মজা পেতাম শেষের দিকের গুলো অতটা রোমাঞ্চকর নয়- আপনি ঠিকই বলেছেন।
আরেকটু লিখতে পারতেন তিন গোয়েন্দাকে নিয়ে, জিনা, এমনকি শুটকির কথা....
শুভকামনা ভাই !

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

পিট পলাশ বলেছেন: ভালো কথা মনে করিয়ে দিলেন তো ভাই । লিখতে হবে সবগুলো চরিত্র নিয়ে । বিশেষ করে গ্রীনহিলস আর ফগর‍্যাম্পারকটকে খুব মিস করি ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমার বই পড়া তিন গোয়েন্দা দিয়ে শুরু হয়নি। অন্যগুলো দিয়ে শুরু করলেও বই পড়ার দিকে ঝোঁক এসেছিল তিন গোয়েন্দা পড়েই। যখন শুরু করেছিলাম তখন তিন গোয়েন্দার বই পাওয়াও যেত না। বহু মানুষের থেকে ধার করে করে বই জোগার করছি। শুধু এই তিন গোয়েন্দার বইয়ের জন্য বৃষ্টির মাঝে পাঁচ-ছয়মাইল জায়গা হেঁটে গিয়েছিলাম।

যদিও ধার করা বইয়ের একটাও ফিরত দেয়নি। ১-৬৬ এর সবগুলোই সংগ্রহে ছিল। ভেঙ্গে ভেঙ্গে সিঙ্গেলও কিছু ছিল। এখন পিচ্চি বোনগুলো বই হারিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটা।
সবগুলো বইই কমপক্ষে তিনবার করে পড়া।

এর কারণেই রহস্যের প্রতি নেশা জন্মেছিল আমার। ইভেন দুই বন্ধু মিলে গোয়েন্দাগিরিও করেছি ঐসময়। একটা কেস সলভ করার রেকর্ডও আছে। B-)

রকিব হাসান ছাড়ার পর থেকে আর তিন গোয়েন্দা পড়িনি। শামসুউদ্দিন নওয়াবের তিন গোয়েন্দায় আকর্ষণ পাইনি অতটা। মিসিং দোজ ডে'জ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

পিট পলাশ বলেছেন: আমিও বন্ধুদের নিয়ে করেছিলাম গোয়েন্দাগিরি । হা হা ...... মিলে গেল দেখি । সোনালী সেই কৈশোরের দিনগুলোও আর পাব না, সেই তিন গোয়েন্দাকেও পাওয়া যাবে না।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯

মাদিহা মৌ বলেছেন: ভলিউম ৬০ এর পরের গুলি সত্যিই ফালতু।
শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখা তিন গোয়েন্দার মধ্যে আমারো উড়ন্ত রবিন ভালো লাগছে। চিমটি।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৪০

নোমান প্রধান বলেছেন: তিন গোয়েন্দার সাথে হারিয়ে যাওয়ার দিন গুলো সেরা সময় ছিলো

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সেবার কাছে আনুরোধ, ভাল কাহিনী না হলে বই বের করার দরকার নেই । পুরনো বই রিপ্রিন্ট করুন । পরের প্রজন্মেরও কৈশোরের সঙ্গী হোক তিন গোয়েন্দা ।

সহমত :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.