নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অযথা ক্যাচাল পছন্দ না, তাই তালগাছবাদীরা দূরে থাকুন

মহান পংকজ

দার্শনিক, বাস্তববাদী

মহান পংকজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেদের চমৎকার কিছু বাণীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো আজকে। মন দিয়ে পড়ে দেখুন

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:১২

বেদের আস্তিকতা সহজ সরল নির্ভেজাল একেশ্বরবাদে বিশ্বাস । প্রভূ একক, অদ্বিতীয় এবং সর্ব শক্তিমান । দৃশ্যমান সকল শক্তির পেছনে রয়েছে তারই মহাশক্তি । সকল আলোর নেপথ্যে রয়েছে তার-ই মহাজ্যোতি । অঙ্গের নড়াচড়ায় মানবদেহে আত্নার উপস্হিতি যেমন স্বীকৃত হয়, তেমনি স্রষ্টার সৃষ্টির সুপরিকল্পিত গতিশীলতার দিকে তাকালেই মহাশক্তিমান প্রভূকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি । ---স্বামী সত্যপ্রকাশ সরস্বতী ।



১. সদা-সর্বত্র বিরাজমান তন্দ্রা-নিদ্রাহীন সদা সজাগ প্রতিনিয়ত করূণা বর্ষণকারী সর্বশক্তিমান হে প্রভূ ! আমরা শূধু তোমারই মহিমা স্বরণ করি, তোমারই জয়গান গাই । প্রভূ হে ! আমাদের সর্বোত্তম আত্নিক পথে, আলোকিত পথে পরিচালনা করো । আমরা যেন সব-সময় সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকে অনূধাবন করতে পারি । [ঋগবেদঃ ৩.৬২.১০]



২. সত্যজ্ঞানী তিনিই, যিনি জানেন প্রভূ এক এবং অদ্বিতীয় । তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্ব বিষয়ে একক ক্ষমতার অধিকারী । প্রাণ এবং নিষ্প্রাণের সব-কিছুই তার নখদর্পণে । সকল ক্ষমতার কেন্দ্র তিনি একক অনন্য । [অথর্ব বেদঃ ১৩.৫.১৪-২১]



৩. স্বর্গীয় জ্যোতি ও আনন্দ উপলব্ধির প্রতীক 'ওম' স্পাপিত হোক তোমার হৃদয়ে অনন্তকালের জন্য । [যর্জুবেদঃ ২.১৩ ]



৪. মহাপ্রভূর দৃষ্টিতে কেউই বড় নয়, কেউই ছোট নয়, সবাই সমান । প্রভূর আর্শীবাদ সবারই জন্য । [ঋগবেদঃ ৫.৬০.৫]



৫. হে নেতা ! হে পুরোধা ! ঈশ্বরের গুণাবলীতে গূণান্বিত হও । [যর্জূবেদঃ ১.১৮]



৬. বিশ্বাসীর হৃদয়েই প্রভূ বসবাস করেন । আমাদের দেহই হোক প্রভূর মন্দির । আমরা যেন চিরদিন তাঁর সত্যিকারের দাস হিসেবে থাকতে পারি । আমাদের জীবনের সকল অর্জন তার চরণে সমর্পণ করতে পারি । [ঋগবেদঃ ১.৯১.১৩]



৭. অলস মস্তিস্ক কু-চিন্তার সহজ শিকার । [ঋগবেদঃ ১০.২২.৮]



৮. মন চলে যায় আকাশে, পাতালে, পাহাড়ে, সাগরে । মনকে নিয়ে আসো নিজেরই অন্তরে, যেন তা থাকে তোমারই নিয়ন্ত্রণে । [ঋগবেদঃ ১০.৫৮.২]



৯. স্রষ্টা প্রেমের অমিয়ধারা প্রবাহিত হোক আমাদের অন্তরে, আমাদের শিরায় শিরায় । তাহলেই আমরা সকল প্রতিকূলতার মুখোমুখি দাড়াতে পারব প্রশান্ত হৃদয়ে । [ঋগবেদঃ ৮.৩২.১২]



১০. হে নেতা ! হে পুরোধা ! পাহাড়ের মত দৃঢ় ও অজেয় হও । কর্তব্য পালনে সব-সময় অবিচল থাকো । [যজূর্বেদঃ ১২.১৭

১১. যারা সৎপথে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করে তাদেরকেই প্রভূ সাহায্য করেন । [ঋগবেদঃ ৪.২৩.৭]



১২. সৎকর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে । দেহ মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে । সকল প্রতিকূলতার ওপর বিজয়ী করে । [ঋগবেদঃ ৫.১৫.৩]



১৩. হে মানুষ স্বনির্ভর হও ! বাইরের সাহয্যের দাসে পরিণত হয়ো না । [যর্জুবেদঃ ৬.১২]



১৪. হে মানুষ ! উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পরিশ্রম করো । দারিদ্রতা ও অসুস্হতা তোমার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে । [অথর্ববেদঃ ৬.৮১.১]



১৫. কখনো জুয়া খেলবে না । পরিশ্রমলব্ধ সম্পদ ভোগ কর ও পরিতৃপ্ত থাকো । পরিশ্রমলব্ধ সম্পদই সত্যিকারের সুখ দিতে পারে । [ঋগবেদঃ ১০.৩৪.১৩]



১৬. জীবনের প্রতিটি স্তরে সব ধরনের ঋণ থেকে মুক্ত থাকো । [অথর্ববেদঃ ৬.১১৭.৩]



১৭. হে নেতা ! হে পুরোধা ! নির্ভীকভাবে সত্য ভাষণের নৈতিক শক্তিতে তোমাকে বলীয়ান হতে হবে । [ঋগবেদঃ ৮.৪৮.১৪ ]



১৮. হে প্রভূ ! আমাদের সর্বোত্তম সম্পদ দান করো; দান করো কালজয়ী মন, আত্নিক সুষমা, অনন্ত যৈাবন, আলোকজ্জ্বল রূপ আর মধুর বচন । [ঋগবেদঃ ২.২১.৬]



১৯. স্বনির্মিত সহস্র শৃংখলে মানুষ-ই নিজেকে বন্দী করে রেখেছে । [ঋগবেদঃ ৫.২.৭]



২০. হে মানুষ ! ওঠো! দাড়াও ! পতিত হওয়া তোমার স্বভাবজাত নয় । জ্ঞানের আলোকবর্তিকা শুধুমাত্র তোমাকেই দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে তুমি সকল অন্ধকূপ এড়িয়ে যেতে পার । [অথর্ববেদঃ ৮.১.৬]

২১. কর্কশ স্বরে কথা বলো না, তিক্ত কথা যেন মুখ ফসকে বেরিয়ে না যায় । [যর্জুবেদঃ ৫.৮]



২২. হে প্রভূ ! সামর্থ্য দাও উদ্দীপনাময় সুন্দর ও সাবলীল কথা বলার । [ঋগবেদঃ ১০.৯৮.৩]



২৩. সত্যিকারের ধার্মিক সব সময় মিষ্টভাষী ও অন্যের প্রতি সহমর্মী । [সামবেদঃ ২.৫১]



২৪. সমাজকে ভালোবাসো । ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও । দুর্গতকে সাহায্য করো । সত্য ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করো । [ঋগবেদঃ ৬.৭৫.৯]



২৫. নিঃশর্ত দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার । তারা লাভ করে আর্শীবাদ ধন্য দীর্ঘ জীবন ও অমরত্ব । [ঋগবেদঃ ১.১২৫.৬]



২৬. এসো প্রভূর সেবক হই ! গরীব ও অভাবীদের দান করি । [ঋগবেদ ঃ ১.১৫.৮]



২৭. নিজের শত্রুকে বিনাশে সক্ষম এমন উপদেশাবলির প্রতি মনযোগী হও । [যর্জুবেদঃ ৬.১৯]



২৮. ধনুকের তীর নিক্ষেপের ন্যায় হৃদয় থেকে ক্রোধকে দূরে নিক্ষেপ করো । তাহলেই তোমরা পরষ্পর বন্ধু হতে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে । [অথর্ববেদঃ ৬.৪২.১]



২৯. জীবনের প্রতিটি স্তরে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো । [সাববেদঃ ৩০৭]



৩০. একজন নিরীহ মানুষের ক্ষতি যে করে সে মানুষ নয়, সে হায়েনা । তার কাছ থেকে দূরে থাকো । [ঋগবেদঃ ২.২৩.৭]

৩১. ঈর্ষা থেকে হৃদয়কে মুক্ত করো । সহিংসতা থেকে বিরত থাকো ।

[সামবেদ-২৭৪]



৩২. যে ক্ষুধার্ত সঙ্গীকে অভুক্ত রেখে একাই ভূরিভোজ করে এবং যে স্বার্থপর তার সাথে কখনো বন্ধুত্ব করো না । [ঋগবেদ-১০.১১৭.৪]



৩৩. হে মানবজাতি ! তোমরা সম্মিলিতভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হও । পারস্পরিক মমতা ও শুভেচ্ছা নিয়ে একত্রে পরিশ্রম করো । জীবনের আনন্দে সম-অংশীদার হও । [অথর্ববেদ-৩.৩০.৭]



৩৪. হে মানুষ ! সুষম জীবনাচার অনুসরণ করো । ধরিত্রী থেকে আহৃত খাবার ও পানীয় সমভাবে বন্টন করো, একটি চাকার শিকগুলো সমভাবে কেন্দ্রে মিলিত হলে যেমন গতির সন্চার হয়, তেমনি সাম্য-মৈত্রীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হও । তাহলে অগ্রগতি অবধারিত । [অথর্ববেদ-৩.৩০.৬]



৩৫. অনন্ত প্রশান্তির জন্য আমরা মহাপ্রভূর ধ্যান করি । [অথর্ববেদ-১৯.৯.৪]



৩৬. যোগ-ধ্যানের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি জ্ঞান, সৌন্দর্য ও ক্ষমতা । আর স্বর্গীয় জ্যোতিতে স্নাত হয়ে লাভ করি পরম প্রশান্তি ও তৃপ্তি । [যর্জুবেদ-১১.২]



৩৭. সবুজ উপত্যকার নির্জনতায় ঋষিরা লাভ করেন সজ্ঞা / প্রজ্ঞা । [ ঋগবেদ - ৮.৬.২৮]



৩৮. সত্যকে তিনি-ই উপলব্ধি করেছেন , যিনি জানেন দৃশ্যমান সুতোর ভেতরে প্রবহমান রয়েছে অদৃশ্য সুতো । [ অথর্ববেদ-১০.৮.৩৭]



৩৯. ব্রক্ষার সাথে এক হয়ে যাওয়াই পরিপূর্ণ স্বাধীনতা । [ অথর্ববেদ- ৭.১০০.১]



৪০. একজন সমর্পিতের মতো বাচো এবং কাজ করো । তাহলেই তুমি পরিতৃপ্ত সফল জীবনের অধিকারী হতে পারবে । অমর হতে পারবে । [ অথর্ববেদ- ১৫.১৭.১০]



৪১. আদিতে তিনি-ই ছিলেন । সৃষ্টির সবকিছুর উৎসও তিনি-ই । সমগ্র অস্তিত্বের তিনি-ই প্রভূ । আকাশ ও ভূ-মন্ডলে বিরাজমান সবকিছূর তিনি-ই লালনকারী । অন্য কারো কাছে নয়, শুধুমাত্র সেই মহাপ্রভূর কাছেই আমাদের সবকিছূ সমর্পন করছি । [অথর্ববেদ- ৪.২.৭]



এটির মুল উৎস হচ্ছে উৎসঃ পন্ডিত সত্যকাম বিদ্যলংকার -এর ইংরেজী অনুবাদ The Holy Vedas থেকে কিছু বাণীর সরল বাংলা মমার্থ । প্রকাশিত হয় -কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দ্বারা ।



তবে আমি হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাদের সাইটের এই পেজ থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ভালো থাকবেন সবাই।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

প্রবাসী১২ বলেছেন: ইসলামই একমাত্র সত্য। বাকী সব বানোয়াট; বেদ-বাণী এটাই প্রমান করলো।

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭

মহান পংকজ বলেছেন: জ্বী ভাই ঠিক ধরছেন এতো বড় সত্য টা আপনে ধরতে পারছেন আপনাকে যে কি দিয়ে পুরষ্কৃত করবো বুজতেছিনা । আপনাকে আল্লাহ বেহেশতে নসীব করুন। আমিন

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

নাঈমুল হাসান বলেছেন: কিছু মনে করবেন না। আমি মুসলিম, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত। যতটুকু জানি হিন্দু ধর্মে অনেক দেব-দেবী। একেক শক্তির জন্য একেক জনকে পূজা করা হয়। কিন্তু আপনার লিখা পড়ে তো মনে হলো বেদ এক ঈশ্বর এর কথা বলছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩

মহান পংকজ বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিকই ধরছেন বেদ এ এক ঈশ্বর এর কথা বলা হয়েছে এমনি কি হিন্দু ধর্ম ও সর্বত্র এক ঈশ্বরের কথাই বলে। কোথাও বলেনি ঈশ্বর দুইজন বা তিনজন। কিন্তু বলা হয়েছে ঈশ্বর চাইলে যে কোন রুপ ধারণ করতে পারেন। তার বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কাজের ভিত্তিতে আমরা রুপ কল্পনা করি। যেমন ঈশ্বর বিষ্ণুরপে পালন করেন, শিবরুপে ধ্বংশ করেন। এখানে কিন্তু বলা হয়নি শিব আলাদা কোন স্বত্বা। সবই এক। যেমন আর একটা উদাহরন দেই আল্লাহ তার নাম তো আরো অনেক গুলো নাম আছে তাই আল্লাহ না বলে যদি অন্য কোন নামে তাকে কেউ ডাকে তবে কি আপনি কি তা বুঝবেন না। আল্লাহ কি তাতে সাড়া দিবে না??? অবশ্যই দিবে, ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মেও বলা হয়েছে যে ঈশ্বর নিরাকার তবে তিনি চাইলে সাকার হতে পারেন। বেদের প্রথমেই বলা হয়েছে একহোহম মানে আমি এক। তাই এই নিয়ে দ্বিধার কোন প্রশ্নই ঊঠতে পারেনা যে ঈশ্বর কয়জন হিন্দু ধর্মে।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:২৮

মদন বলেছেন: অসাধারন

সব ধর্মের বানীই সৃষ্টির কল্যানের জন্য।

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০

মহান পংকজ বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন। কিন্তু আমরা অনেক সময় বিপথে ধাবিত হই। এটা কি আমাদের দোষ নাকি ধর্মের দোষ??????

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫

ফারাবী১৯২৪ বলেছেন: বেদ অবশ্যই একেশ্বরবাদী মতবাদ প্রচার করে। কিন্তু এখন হিন্দুরা আর বেদ পরে না। দেখুন View this link

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মহান পংকজ বলেছেন: বেদ ই না সম্পূণৃ হিন্দু ধর্ম ই একেশ্বরবাদী। ঈশ্বরের রুপের ভিন্নতা শক্তির ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে রুপ কল্পনা করা হয়। আর হিন্দুরা বেদ পড়েনা এটা ঠিক না তবে বেদ অনেক কম পড়া হয় এর একটা কারণ হচ্ছে বেদ পড়ার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে আবার বর্তমানে প্রায় সব হিন্দুই ভক্তিযোগে বিশ্বাস করে সেখানে শ্রীকৃষ্ণের গীতা পবিত্রতম গ্রন্থ তাই বেদ আর পড়া হয়না। তবে জ্ঞনের জন্য পড়তে পারেন যেমন আমি পড়ি।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কৃষ্ণ, বুদ্ধ মোহাম্মদ
কি চমকে উঠো! কেন?
সকলেই সৎ, সত্য সুন্দর;

অথচ তোমাতো আমাতে
কত হানাহানি! কেন?
কেন এত লোভ, অবিচার, অনাচার???

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মহান পংকজ বলেছেন: এমন একটা অবস্থার দিকে আমরা ধাবিত হচ্ছি যেখানে আমার ধর্মের অনুসারী না হলেই তার ধর্ম খারাপ, তার ধর্মে ভালো কিছু নাই, সে আমার শত্রু এমন একটা মনোভাব এসে পরছে মানুষের মনে।
আমরা যারা নেট ব্যাবহার করি সবাই যেহেতু শিক্ষিত তাই আমাদের ই এই সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসা দরকার ।
আমরা মুল পথ ছেড়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি শক্ত হওয়ার অবস্থায় চলে যাচ্ছি।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফরিদ আলম বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আমার একটি লেখা পোষ্ট করলাম

হিন্দু ধর্মগ্রন্থে ইশ্বর সম্পর্কে ধারনা

বেদ হল পৃথিবীর প্রাচীন গ্রন্থ গুলির মধ্যে একটি এবং হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ । বেদ যে আসমানি গ্রন্থ এ ব্যাপারে অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়েছেন । আমরা জানি আল্লাহ তা’আলা চার খানা প্রধান আসমানি গ্রন্থ (কুরান, ইঞ্জিল,যবুর ও তাওরাত) ও একশ খানা সহিফা গ্রন্থ নাযিল করেন । তাঁদের মতে বেদ এই সহিফা গ্রন্থ গুলোর মধ্যে পড়ে ।


আমরা জানার চেষ্টা করব ইশ্বর সম্পর্কে বেদ কি বলে । হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোর মতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বের পুজো করা উচিত ।বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তাঁর মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “তিনি একজন তাঁরই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬) । “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ তিনি একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) । “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) । এছাড়াও অনেক জোর দিয়ে বলা হয়েছে --


“ন দ্বিতীয়, ন তৃতীয়, চতুর্থ ন পুচ্যতে


ন পঞ্চম, ন ষষ্ট, সপ্ত্য ন পুচ্যতে ।


ন অষ্টম, ন নবম, দশমো ন পুচ্যতে


য এতং দেভ মেক বৃতং বেদ” ।। (অথর্ব বেদ। সুক্ত ১৪;৪;২)


অর্থাৎ ‘পরমাত্তা এক। তিনি ছাড়া কেহই দ্বিতীয়, তৃতিয় বা চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ট বা সপ্তম, অষ্টম নবম বা দশম বলে বলিয়া অবিহিত আর কেহ নাই । যিনি তাহাকে এক বলিয়া যানেন তিনিই তাঁহাকে প্রাপ্ত হন’ । শ্রীমদ্ভগবদ গীতায় আছে-‘আমার আদি নাই, জন্ম নাই । আমি সকল জগতের প্রভু, আমার এই স্বরুপ যিনি জানেন, তিনি এই জিগতের সকল পাপ হইতে মুক্ত’ (গীতা, দশম অধ্যায়, শ্লোক/৩৭) ।এছাড়াও আছে ‘হে মহাত্মা তুমি ব্রহ্মার চেয়েও বড়, তুমি সৃস্টিকর্তা তাই তমাকে তাঁরা সকলে প্রনাম করিবে না কেন ? হে শ্রেষ্ট দেবতা, হে অনন্ত, হে জগতের আশ্রয়! তুমি ব্যক্ত ও অব্যক্ত ও ব্যক্ত ও অব্যক্তের অতীত যে পরম ব্রহ্মা তাঁহাই তুমি’ (গীতা, দশম অধ্যায়, শ্লোক ৩৭-৩৮) ।


সৃস্টিকর্তা এক এ সম্পর্কে আরও অনেক অনেক শ্লোক আছে তবে উপরের শ্লোক গুলোই যথেষ্ট এতা প্রমান করার জন্ন যে হিন্দু ধর্মে একেইশ্বরবাদ স্বীকৃত । যেহেতু হিন্দু ধর্ম প্রাচীন ধর্ম, এবং সবার শাস্ত্র পড়ার অধিকার ছিল না তাই সেই সময় কার কিছু ঋষিমুনির কারনে মুর্তি পুজোর উদ্ভব হয়েছে । এই প্রসঙ্গে ডা. চমনলাল গৌতম তাঁর বিষ্ণুরহস্য বই এর ১৪৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন-‘ঋষিগন মুর্তি পুজা প্রচলিত করেছেন যাতে সেই মুর্তির মাধ্যমে সেই অসিম সত্তাকে দৈহিক আকৃতিতে নিজের সামনে দেখতে পায়’ । ইশ্বর যে নিরাকার তাঁর কোনো রুপ নেই, আকার নেই, হাত পা নেই তা ঋকবেদের এই শ্লোক থেকে বোঝা যায়-‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি’ (৩২;৩) ।অর্থাৎ সেই পরমেশ্বরের কোনো আকার হয় না । এছাড়া বেদ মুর্তি পুজা করতেও নিষেধ করে । বেদ বলে- যে ব্যক্তি অলীক দেব দেবীর পুজা করে, সে দৃষ্টি হরনকারী গাঢ় অন্ধকারে ডুবে যায়’(ঋকবেদ-৫;২;৫)।আরও আছে ‘যারা সম্ভুতির (অর্থাৎ যা আল্লাহর সৃষ্টি যেমন জল, বাতাস, সুর্য ইত্যাদি) পুজা করে তারা অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে । আর যারা অসম্ভুতির পুজা করে তারা আরো অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে’ (ঋকবেদ) ।


হিন্দু ধর্মে যত ইশ্বরের নাম দেওয়া হয় সেগুলো আসলে এক জন ইশ্বরেরই গুনবাচক নাম । তাঁরই নাম ব্রহ্মা, তাঁরই নাম বিষ্ণু, তিনিই ইন্দ্র তিনিই সরস্বতি । বেদ থেকে তার সুস্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায় । নিচে এ সম্পর্কে কয়েকটি শ্লোক দেওয়া হল --- “হে অগ্নি! তুমিই পুণাত্মাদের মনস্কামনা পুর্ণকারী ইন্দ্র । তুমিই উপাসনা লাভের অধিকারী । তুমিই বহুজনের প্রশংসিত বিষ্ণু । তুমিই ব্রহ্মা ও ব্রহ্মপতি” (ঋকবেদ- ২;১;৩) । “হে অগ্নি! তুমিই পুণ্যের ভান্ডার । তুমিই এঢ়া তুমিই সরস্বতি” (প্রাগুক্ত ২;১;১১) । “হে অগ্নি! তুমিই সম্পদ দানকারী সবিতা । তুমিই বায়ু উপাসকদের রক্ষাকারী” (প্রাগুক্ত ২;১;৭) । “হে অগ্নি! তুমিই কর, তুমিই পুষা । নিকটবর্তী আকাশের রক্ষাকারী শংকর”(প্রাগুক্ত ২;১;৬) । হে অগ্নি! তুমিই প্রতিশ্রুতি পুর্ণকারী বরুন । তুমিই প্রশংসনিয় মিত্র । তুমি আসলে নেতা আর‌্যাম” (প্রাগুক্ত ২;১;৪) ।


বেদ থেকে এরুপ সুস্পষ্ট প্রমানের পর বিভিন্ন নামে পুজিত হাজারো দেবতার ধারনা একেবারেই খারিজ হয়ে যায়।তবে ডা. চমনলালের কথা মেনে নিলে এটা বলা যেতে পারে যে বিভিন্ন ঋষিমুনি ইশ্বরের বিভিন্ন আকার বা মুর্তি তৈরি করায় আজ ইশ্বরের এত গুলো মুর্তির সৃষ্টি হয়েছে । এক ইশ্বর ছাড়া অন্য কোনো ইশ্বর নাই ।তাঁর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে । তবে তাঁর বিভিন্ন নাম কে বিভিন্ন ভগবান মনে করা বোকামী । উপরের শ্লোক গুলো থেকে এটাই প্রমানিত হলো ।বেদে আছে –“(ইন্দ্র, বরুন, সরস্বতি, মিত্র, অগ্নি, যম, বায়ু, বিষ্ণু প্রভৃতি) একই শক্তির বিভিন্ন নাম । দৃষ্টিবানেরা ও জ্ঞানীরা গুনের ভিত্তিতে ইশ্বরকে বিভিন্ন নামে আহ্ববান করে থাকেন” (প্রাগুক্ত ১০;১১৪;৫) ।এই সকল প্রমানের পরও যদি কেউ সে কথা মেনে না চলেন তাহলে তারা নির্বোধ ছাড়া আর কিছুই নয় । কারন বেদে বলা হয়েছে “ উৎ ত্বঃ পশ্যন্ম বাচম, উৎ ত্বঃ শৃরাবন্ম শ্রনোত্যে নাম’ (ঋকবেদ ১০;৭১;৪) । অর্থাৎ নির্বোধ লোকেরা গ্রন্থ দেখেও দেখে না, শুনেও শুনে না ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মহান পংকজ বলেছেন: আপনার লেখাটি আরো সুন্দর হয়েছে, তবে কিছু কারেকশন করি, বেদ আসমানী গ্রন্থ না এটা নাযিল হয়নি, এটা দৃষ্ট মানে সেই যুগে ঋষিগন ধ্যানের মাধ্যমে বেদের শ্লোক গুলো দর্শন করেন যার অনেক পরে সেগুলো পুস্তকারে আসে।

আর একটা কথা বলি যেহেতু আপনি এই বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন তাই আপনাকে বললে অবশ্যই বুঝতে পারবেন। এটা অন্যদের তো দূরের কথা অনেক হিন্দু কেও বুঝাতে পারিনা।
আমরা হিন্দুরা বিভিন্ন মূর্তির, গাছের, প্রাণীর, সাপের, সূর্যের পুজা করি, এটা অন্য ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক তাই তো বলছেন। কিন্তু দেখেন সেই আরবের অন্ধকার যুগে তারা যেই মূর্তির পুজা করতো এটা তেমন ভাবে গুলিয়ে ফেলবেন না। কারন হিন্দুরা মূর্তিকে কখনও পুজা করেনা। কখনও না। তারা মুর্তির মাঝে ভগবানকে কল্পনা করে মন্ত্র পরে তাকে অনুরোধ করা হয় তুমি সর্বত্র আছো, তুমি যে কোন রুপ ধারন করতে পারো, যে কোথাও যেতে পারো আমি আমার সামনের মুর্তিতে তোমাকে আসার জন্য অনুরোধ করছি, তুমি ভক্তের কথা রাখ তাই আমার কথাটুকু ও রাখবে ।
এটা গেল আবাহন এতে ভগবানকে মুর্তিতে আনা হল তারপর মুর্তর প্রাণচৈতন্য করা হলো এবঙ পূজা দেওয়া হলো। এরপরে পুজার শেষে আবার বলা হয় আমার কথায় এখানে আসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ, আমি তোমার পুজা দিয়েছি আমার ভুল হলে আমি ক্ষমা চাই এখন তুমি তোমার যেখানে ইচ্ছা যেতে পার।

তাহলে দেখেন কোথায় একটি মূর্তির পুজা করলাম??? করা হলো তো ঈশ্বরের পূজা। একটা মুর্তির মাঝে কল্পনা করে। বেদে সহ অন্য অনেক জায়গায় মুর্তি পুজা নিষেধ মানে সেই মুর্তিকে পূজা করতে নিষেধ করা হয়েছৈ। কিন্তু যারা কোন মুর্তিকে পুজা করে তারা পাপ করে।

আর বাকি তো অনেক গুলো রেফারেন্স দিয়েছেন সেখানে আমার বলার কিছুই নাই, সব্ ই সত্য। তবে আমার কথাগুলো একটু পড়ে আবার ঐগুলো পড়ুন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে আরো।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮

মৈত্রী বলেছেন: সদা-সর্বত্র বিরাজমান তন্দ্রা-নিদ্রাহীন সদা সজাগ প্রতিনিয়ত করূণা বর্ষণকারী সর্বশক্তিমান হে প্রভূ ! আমরা শূধু তোমারই মহিমা স্বরণ করি, তোমারই জয়গান গাই । প্রভূ হে ! আমাদের সর্বোত্তম আত্নিক পথে, আলোকিত পথে পরিচালনা করো । আমরা যেন সব-সময় সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকে অনূধাবন করতে পারি । [ঋগবেদঃ ৩.৬২.১০]

সকল প্রশংসা সেই মহান সত্ত্বার যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, পরম দয়ালু, বিচার দিনের মালিক। আমরা শুধু তোমারই উপাসনা করি এবং তোমারি কাছে সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করো। সেই পথে যে পথে তুমি কল্যান রেখেছ। সেই পথে নয়, যেপথে অকল্যান রয়েছে এবং পথভ্রষ্টরা রয়েছে। হে প্রভু আমার এ চাওয়া তুমি পূর্ণ কর!! [কোরআন, ১:১-৭]

........খুব কি বেশি পার্থক্য??.........

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫০

মহান পংকজ বলেছেন: জ্বী না পার্থক্য নাই, অনেক সময় কথার কিছু মারপ্যাচে কিছু পার্থক্য দেখা যায়, তবে মূল ভাব ও উদ্দেশ্য একই । কিন্তু আমরা অনেক সময় ই অযথা ক্যাচাল করি। উপরের প্রথম কমেন্ট টি একটু দেখেন বুঝবেন আশা করি।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

Observer বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিকই ধরছেন বেদ এ এক ঈশ্বর এর কথা বলা হয়েছে এমনি কি হিন্দু ধর্ম ও সর্বত্র এক ঈশ্বরের কথাই বলে। কোথাও বলেনি ঈশ্বর দুইজন বা তিনজন। কিন্তু বলা হয়েছে ঈশ্বর চাইলে যে কোন রুপ ধারণ করতে পারেন। তার বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কাজের ভিত্তিতে আমরা রুপ কল্পনা করি। যেমন ঈশ্বর বিষ্ণুরপে পালন করেন, শিবরুপে ধ্বংশ করেন। এখানে কিন্তু বলা হয়নি শিব আলাদা কোন স্বত্বা। সবই এক। যেমন আর একটা উদাহরন দেই আল্লাহ তার নাম তো আরো অনেক গুলো নাম আছে তাই আল্লাহ না বলে যদি অন্য কোন নামে তাকে কেউ ডাকে তবে কি আপনি কি তা বুঝবেন না। আল্লাহ কি তাতে সাড়া দিবে না???



তাহলে ঈশ্বরের কি দরকার আছে কোটি রুপ ধরে কোটি কোটি মানুষকে ধোঁকা দেয়ার??? এবং ধর্মগ্রন্থই বা একের অধিক কেন যা ভিন্ন ভিন্ন ঈশ্বরের লেখা যেগুলো পরস্পর বিরোধী???

আর এক আল্লাহর ১০০ টা নাম থাকা আর হাজার ভগবানের হাজারটা নাম থাকা কিন্তু এক বিষয় না।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৪

মহান পংকজ বলেছেন: কোটি রুপে মানুষ ধোকা খাবে কেন? আমি তো বলি ৩৩ কোটি কেন ৩৩৩ কোটি হলেও আমার সমস্যা নাই, আমার ইশ্বর আমি যেরকম ভাবে চাইবো সেভাবেই আমার কাছে আসবেন, কারণ সে যে আামার ইশ্বর, তার রুপ নেই আবার আমি তাকে কল্পনা করে রুপ প্রদান করি, তার রুপকে তো পূজা করছিনা, করছি তাকে।
সনাতন ধর্মে কোথাও বলেনি সব ধর্ম গ্রন্থ ঈশ্বর লিখেছেন, এগুলোর অধিকাংশ ই ঈশ্বরকে উপলব্ধি করে মুনি ঋষিগণের লেখা। যেমন বেদ। সেগুলো বিভিন্ন মতের হলেও সম্পূণৃ সাংঘর্ষিক না। কারন মতের ভিন্নতা থাকতে পারে পথের ভিন্নতা নাই।
তবু ভালো তারা লিখেছেন এবং সেই পথ ও আছে আবার তার অনুসারী ও আছে, তাদের কে দুরে সরিয়ে দেইনি।
এমন তো হয়নি যে তিনবার ভুল বই লিখে শেষবার রিভাইসড ভার্সন দিয়ে বললাম এটাই মানো আর যারা না মানে তাদের হত্যা করো।

কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু আমার পোষ্ট পড়ে আপনার যে জ্ঞান হয়েছে তার খাতিরে বলতেই হলো।
আপনি কোথায় পেলেন হাজার টা ভগবান আছে। কোথাও দুইজন বলা নেই । অথচ কুরআনে অনেক যায়গায় আল্লাহ আমরা শব্দ টি ব্যাবহার করেছেন। কেন?????????? নবিজী নাকি উনার বন্ধু ছিলেন , কিভাবে?????? কলস ভর্তি পানি রেখে তার মাঝে আর পানি ঢালবেন না, এতে পানি আর বাড়বে না পরে যাবে। নতুন পানি নিতে চাইলে কলসের যায়গা বারান। না হলে যা আছে তাতেই খুশি থাকেন।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কেনজিয়া বলেছেন: সব ধর্মের বানীই সৃষ্টির কল্যানের জন্য।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫৪

মহান পংকজ বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত আপনার সাথে। ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৮

এস এইচ খান বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার এ পোস্ট। ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০১

মহান পংকজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫১

আসাদুজজামান বলেছেন: ভাই ভালো বলেছেন। আপনি ফরিদ আলম এর মন্তব্যের জবাবে বলেছেন যে আপনাদের মূর্তিপূজা ঠিক বিশেষ অর্থে মূর্তিপূজা নয়। ওটা হচ্ছে মূর্তির ভিতর ভগবানকে পূজা করা। কিন্তু এই মূর্তিপূজা (আমার মতে প্রতিমা পূজা) কবে থেকে বা কেন আপনাদের ধর্মে যোগ হয়? প্রশ্নটা করার কারন হচ্ছে যে, আপনার লেখা থেকে মনে হচ্ছে আপনারা শুরুতে একেশ্বরবাদী ছিলেন। এখনও আছেন তবে তা প্রতিমার আড়ালে। আমার শব্দচয়ন দূর্বল বলে তা যদি আপনার ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করে তবে ক্ষমা করে দিবেন। ইচ্ছা করলে মন্তব্য মুছেও দিতে পারেন। আমি কিছুই মনে করব না।

এখন বিষয়টা হচ্ছে যদি আমার ধারণা ঠিক হয় যে আপনারা প্রথমে একেশ্বরবাদী ছিলেন, তারপর বিভিন্ন মুনি ঋষি ধর্মকে সর্বসাধারনের সহজবোধ্য করার জন্য ইশ্বরের বিভিন্ন রুপকে বিভিন্ন প্রতিমার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাহলে বিষয়টা একটু বিশদ ভাবে ব্যাখ্যা করুন। দরকার হলে আরেকটা পোষ্ট দিন।

বেদ পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। এই এখানে সেখানে দুচার কথা পড়ার সুযোগ হয়েছে মাত্র। কিন্তু পুরাণ(সব না), মহাভারত, রামায়ণ ইত্যাদি পড়ে আমার মনে হয়েছে কিছু অসামঞ্জস্য আছে। যেমন কেউ চাইলেই কঠোর তপস্যা করে ইন্দ্রাদি দেবগনের চেয়ে বেশি ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। যেমন শুম্ভ-নিশুম্ভ। এরা নিজেদের হাতে ছাড়া অন্যদের হাতে অবধ্য বর পেয়ে ত্রিলোকবাসিকে উৎপাত করে বেড়াতো। এখানে দেবতাগনও তার উৎপাত থেকে রেহাই পায়নি। আবার কাউকে তপস্যারহিত করতে অপ্সরাদেরকে পাঠানো হত। হিরন্যকশিপুকে মারতে নৃসিংহ অবতার দরকার হল। কারন তাকে বর দেয়া হয়েছিলো যে সে জীবজন্তু, মানব-দানব-দেব এদের হাতে অবধ্য। এগুলোকে আমার কাছে সমন্বয়ের অভাব বলে মনে হয়েছে। কারন সবাই যদি একই শক্তির বিভিন্ন রূপ হয় তবে এক রূপ কিভাবে এমন বর দিতে পারে যা অন্য রূপকে কাবু করতে সক্ষম?

আমার কাছে সুর-অসুরের ব্যাপারটা একটু গোলমেলে ঠেকে। অসুররা কেন জীবন পণ করে সুর বা দেবতাদের বিরুদ্ধাচরন করতো? আমি যতদূর পড়েছি তাতে মনে হয়েছে এদের পিতৃ-পুরুষ এক জায়গায় গিয়ে মিলেছে।

আবারো বলছি, যদি আমি আপনার ধর্ম বিশ্বাসে আঘাতমূলক মন্তব্য করে থাকি (আমার অজান্তে) তবে সাথে সাথে মন্তব্য মুছে দিন।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৪

মহান পংকজ বলেছেন: আরে ভাই, আমার ধর্মবিশ্বাস এত ঠুনকো না যে আপনার এই দু্‌ইটা কথায় ভেঙে যাবে, আমি মনে করি এতে আরো সুদৃঢ় হয়, আর এতদিনের ব্লগিং লাইফে কারো কমেন্ট এখনও মুছিনি আর মুছবো এটাও চাই না।
এবার আসি আপনার কথায়, আপনি বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে মার্ক করছেন, অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করছে আপনাকে, কিন্তু আজকে লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে গেছে। তাই আমি সংক্ষেপে বুঝাচ্ছি, যদি কোথাও না বুঝেন নির্দ্বিধায় নিচে কমেন্ট করবেন। কনফিওসন রাখবেন না।
প্রথমে ঈশ্বরের কোন মূর্তি ছিলোনা, কেননা তখন মুনি ঋষিরা তাকে ধ্যানের মাঝে দর্শন করতেন, এখনে প্রশ্ন আসতে পারে দর্শন করলে কেমন ছিল?? কিন্তু কথা হচ্ছে পরমেশ্বর কে তারা তাদের অন্তরে উপলব্ধি করতেন, যেমনটা আপনারা আল্লাহ্‌কে করেন। যাই হোক ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে পাপ বাড়তে লাগলো এবং এই ক্ষমতা টিও ধিরে ধীরে লোপ পেতে শুরু করলো। তখন ধর্ম বিপন্নপ্রায় দেখে মুনি ঋষিরা বললেন তাদের অনুভবের বর্ণনা,যেমন ঈশ্বর এমন, তেমন,। এসব বললে ভক্তরা সহজেই ধ্যানে ঈশ্বরকে কল্পনা করতে পারতো। কিন্তু আরো পাপ বেড়ে যাওয়াতে অনেকেই এভাবে্‌ও পারতো না, তখন তারা মুনি ঋষিদের বলা রুপ গুলোকে পরিপূর্ণভাবে রুপ দেওয়ার জন্য মুর্তির মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলো। এতে ধর্মতে মন বসতো বেশি, খুব সহজেই ধ্যানে ঈশ্বরের মুর্তি কল্পনা করা যেত। এভাবেই মুলত মূর্তি পুজা প্রচলন।যদি একটা উদাহরণের সাহায্যে বলি হয়তো বা আরো ক্লিয়ার হবেন, ধরেন ক্লাসে শিক্ষক তার ছাত্রদের একটা লেসন বুঝালেন কিন্তু সব ছাত্র বুঝতে পারলোনা, যারা বুঝলো তাদের কাছে এটা অনেক সহজ কিন্তু যারা বুঝেনাই শিক্ষক আবার চেষ্টা করার পরে ও যখন তারা না বুঝে তখন শিক্ষক কি করবেন??? তিনি সহজ একটা উদাহরণ দিলেন যার মাধ্যমে ছাত্ররা মুল কথাটা খুব সহজেই ধরে ফেলেন। কিন্তু তাই বলে কি উদাহরণ ই পড়া হয়ে যাবে নাকি??? সেটা যে করবে সে ভুল করবে এজন্যই বলা হয়েছে মূর্তি কে পুজা করোনা। তবে কথা হচ্ছে ঈশ্বর সর্বময় এবং সবকিছুতেই তিনি আছেন তাই তার সৃষ্টিকে দেখলেই তার মাঝে আমরা স্রস্টাকে খুজি, স্রস্টাকে আমরা সুদুর স্বর্গে শুধু বসিয়ে রাখিনি, সর্বত্র তাকে অনুভব করি, প্রতিটি প্রাণীর মাঝে তিনি আছেন তাই প্রতিটি প্রাণীকে পূজা করা মানে সেই প্রাণীর প্রতি পূজা না, ঈশ্বরের প্রতি ই পুজা।

বেদ পড়তে পারেন নি??? আমি কিছুদিন আগে বেদ শেয়ার করেছি বাংলাতে । আমার প্রোফাইল পেজে ৩ নং পোস্টে দেখবেন বাংলাতে বেদের লিংক আছে, ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।
ঈশ্বর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, তিনিই প্রকৃতি তৈরী করেছেন কিন্তু তিনি নিজে প্রকুতির বাইরে মানে এর নিয়মের বাইরে যাননা । তাই যেহেতু সকল কিছুর ই শেষ আছে তাই পাপীদের ও তিনি যথাসময়ে যথাযোগ্য পাপের কারণে ই ধ্বংশ করেন। যে তাকে যে রুপে ডাকে তিনি তার কাছে সেই রুপেই আসেন। তাই ভক্তের চাওযা পূরণ করতে তিনি যেমন উদারহস্ত আবার প্রকৃতির নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে তিনিই আবার তা ঠিক করেন। এটাই তার লীলা।

পুরান গুলো গল্পের আকারে মুল ভাব গুলো তুলে ধরেছে তাই এর সম্পূর্ণ সত্যতা পাবেন না। যেহেতু আপনি হিন্দু ধর্মের মুল তত্বগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন না। তাই সেগুলো পড়ে এর মুল ভাবটা বুঝার চেষ্টা করুন, সেটাই ভালো হবে।

আর দেবতা হচ্ছে শুভ শক্তি আর অসুর হচ্ছে মনের অশুভ শক্তি । এবার একটু ভেবে দেখুন তো উত্তর তো পাওয়ার কথা।

আর পারছিনা ভাই এখন। যদি কনফিওসন থাকে নিচে লিখবেন আবার আগামীকাল উত্তর দেব। ধন্যবাদ।

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৮

ডাংগুলি বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। কিছু ব্লগার কি চান বুঝি না। তাদের ধর্ম বিষয়ক পোষ্টে কোন নাস্তিক যুক্তি দেখালে তখন তেনারা বলেন ধর্ম ব্যাপার টা বিশ্বাস আবার ভিন্ন ধর্মের বিশ্বাসে তারা যুক্তির তুবড়ি ছুটান। নিজের বাসা ভালবাসলে বুঝি পাশের বাসাতে আগুন দিতে হয়! নিজের ধর্মকে ভালবাসুন, অন্যদেরটা ঘৃনা করবেন না। ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৪

মহান পংকজ বলেছেন: সহমত আপনার সাথে, তবে আমি বিশ্বাস করি ধর্মের সব কিছু যুক্তি দিয়ে প্রমান অসম্ভব। সেখানে বিশ্বাস থাকতে হবে তবে অন্ধ বিশ্বাস না। ধর্মকে নাড়াচাড়া করে দেখতে হবে, একটা সময় মনে হতো যে একটা নির্দিষ্ট বয়স পার হবার পরে ধর্ম গ্রহণ করার অধিকার প্রদান করা হোক, তাতে সবাই সব ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে। কিন্তু আবার মনে হয় তাতে হানাহানি বেড়ে যাবে। তবে যাই হোক নিজের টা নিজে পালন করি অন্যের টা সম্মান করি এটাই যথেষ্ট। আর যারা আমরা জ্ঞান বৃদ্ধি করতে চাই তারা মুক্তমন নিয়ে সকল ধর্ম পড়াশুনা করি। সেটাই যথেষ্ট

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১১

নষ্ট কবি বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট-
অনেক ক্ষন পর চোখে পড়ল।


বেদের এই বানী গুলোই খুঁজছিলাম অনেক দিন ধরে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৯

মহান পংকজ বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদা কেমন আছেন?? সব ভালো তো????

১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৩

ফরিদ আলম বলেছেন: ামি বলিনি যে বেদ আসমানি গ্রন্থ। আমি বলেছি অনেক চিন্তাবিদ মনে করেন যে বেদ আসমানি গ্রন্থ।

বেদ যে আসমানি গ্রন্থ এ ব্যাপারে অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়েছেন । আমরা জানি আল্লাহ তা’আলা চার খানা প্রধান আসমানি গ্রন্থ (কুরান, ইঞ্জিল,যবুর ও তাওরাত) ও একশ খানা সহিফা গ্রন্থ নাযিল করেন । তাঁদের মতে বেদ এই সহিফা গ্রন্থ গুলোর মধ্যে পড়ে ।

আর আপনি মুর্তিপুজার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এই শ্লোক গুলোর কি ব্যাখ্যা দিবেন?

-‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি’ (৩২;৩) ।অর্থাৎ সেই পরমেশ্বরের কোনো আকার হয় না । এছাড়া বেদ মুর্তি পুজা করতেও নিষেধ করে । বেদ বলে- যে ব্যক্তি অলীক দেব দেবীর পুজা করে, সে দৃষ্টি হরনকারী গাঢ় অন্ধকারে ডুবে যায়’(ঋকবেদ-৫;২;৫)।আরও আছে ‘যারা সম্ভুতির (অর্থাৎ যা আল্লাহর সৃষ্টি যেমন জল, বাতাস, সুর্য ইত্যাদি) পুজা করে তারা অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে । আর যারা অসম্ভুতির পুজা করে তারা আরো অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে’ (ঋকবেদ) ।

কোন কিছুকে সামনে রেখে পুজা করা মানেই মুর্তি পুজা করা। আর যখন ভগবানের আকারই নেই তাহলে তাঁর আকার বা চেহারা বানাবার অধিকার মানুষকে কে দিল? নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৯

মহান পংকজ বলেছেন: হুম আপনার কথাটি বুঝতে পারছি। দুঃখিত উত্তর দিতে অনেকদিণ দেরী হয়ে গেল । আসলে এটা পরে উত্তর দিবো ভাবছিলাম কিন্তু ভুলেই গেছিলাম।
যাই হোক, বেদ কোন আসমানী গ্রন্থ না। এটার সাথে আপনার কুরআনের অনেক জায়গায় মিল যেমন আছে আবার অমিল ও আছে। তাই এটা বলার ক্ষেত্রে যদি রেফারেন্স হিসেবে সেই বিশেষজ্ঞ এর নাম টা বলতেন তবে বুঝতে পারতাম।
আর হ্যা ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিশাল, তাকে কোনো প্রতিমাতে ঢুকানো আপাতদৃষ্টিতে সম্ভব না। তবে তিনি যেমন বিশাল আবার ইচ্ছা করলে ক্ষুদ্র ও হতে পারেন। তাই তাকে আহ্বান করা হয় সেই মুর্তিতে অধিষ্ঠান করার জন্য।

কোন কিছুকে সামনে রেখে পুজা করা মানেই মুর্তি পুজা করা।
তাহলে কাবা শরীফে যে সেজদা করেন সেটা কি? মসজিদে ইমামের পিছনে যে লাইন ধরে দাড়িয়ে নামাজ পরেন, সেজদা দেন, তখন কি সেটা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয় কিন্তু এটা হয় না তাইনা? অদ্ভুত আপনাদের যুক্তি।

১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৬

সিস্টেম বলেছেন: মুসলিমরা ব হু দিন আগে বীজগনিত আবিস্কার করেছিলেন। একটা চলক এক্স ধরে সমস্যার সমাধান বা কোন কিছুর মান বের করা। এই কন্সেপ্ট তারা হিন্দু ধর্মের সাকার উপাসনা থেকে ( যেটাকে বর্তমানে তারা মুর্তিপুজা বলে) নেয়া হয়েছিল। এখনকার মুসলমান বীজগণিত মানে কিন্তু সাকার (চলক) উপাসনা মানে না। ভন্ডামি কারে কয়। আফসুস। না মানলে নাই, আপনি যদি ইশ্বরে বিশ্বাস করেন তবে সাকার উপাসনার কন্সেপ্ট মানতেই হবে। বীজগনিত যদি একটা পদ্ধতি হইতে পারে, সাকার উপাসনা পদ্ধতি হইতে বাধ্য। মাইন্ড খাইয়েন না। অবশ্য নাস্তিক হইলে আলাদা কথা, তারা ইশ্বরেই বিশ্বাস করে না।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩১

মহান পংকজ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। যে খোদা কোটি কোটি প্রাণী সৃষ্টি করতে পারলো, এই বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড তৈরী করতে পারলো নিমিষেই আর তিনি চাইলে একটা মনুষ্য মুর্তি ধারণ করতে পারবেন না???? এটা ভাবতেই অবাক লাগে।

১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৪

অনিক আহসান বলেছেন: ৪. মহাপ্রভূর দৃষ্টিতে কেউই বড় নয়, কেউই ছোট নয়, সবাই সমান । প্রভূর আর্শীবাদ সবারই জন্য । [ঋগবেদঃ ৫.৬০.৫]
------------------------------------------------------------------------------------
এতো বড় স্বীকারোক্তির পড়েও হিন্দু ধর্মে বর্ন প্রথা কেন?

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৯

মহান পংকজ বলেছেন: সত্যি কথাই বলেছেন মুলত ধর্মে জাতপ্রথা তেমন ভাবে নেই। বর্তমানে যেটা আমরা দেখছি তা বিকৃত ভাবে এসেছে। মুলত বেদে কোন বর্ণপ্রথা নেই, আমরা যেটা দেখছি এটা এসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের আমল হতে কাষ্ট সিস্টেম টা চালু হয়েছে, আর তার আগে হতে বর্ণ প্রথাটিকে বিকৃত করেছে আর্যরা তারা এখানে এসে প্রভাব বিস্তার করে থাকার জন্য তারা নিজেদের বড় দেখিয়েছে এবং নিজেদের ব্রাক্ষ্মন রুপে দেখিয়েছে এবঙ অন্যদের অত্যাচার করেছে। তাই ধর্মের বেস ধরলে এটা স্পষ্ট যে ধর্মে এক বর্ণ থেকে অন্য বর্ণে যাওয়ার কথা অনেক যায়গায় আছে সুতরাং বেদে বর্ণপ্রথা নেই। আমি সময়ের জন্য ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারলাম না। আপনি নিচের লিংক টা দেখুন বিস্তারিত জানতে পারবেন। যদি তাও সংশয় থাকে তবে আবার কমেন্ট করুন।
Click This Link
দেরী করে কমেন্ট এর উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।

১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৭

সুদীপ্ত কর বলেছেন: ইনফরমেটিভ পোষ্ট। ভাল লাগল।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০৪

মহান পংকজ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা

১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৩

কর্ন বলেছেন: হে হে আপনি যেভাবে বর্ন প্রথা সরলীকরন করলেন সব হিন্দু পন্ডিত কিন্তু টা নাও করতে পারে । মানে আবার সেই ক্যচাল ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৪

মহান পংকজ বলেছেন: ভাই আমি মূল টাকে বিশ্বাস করি, কোন হিন্দু কি বললো তাতে আমার যায় আসে না। সে হিন্দু পন্ডিত দেখেই সব জানে আর আমি সাধারণ দেখে কিছুই জানিনা তা তো না। আপনাকে যদি একটা বই দিয়ে পড়তে বলি এবং তার পরে সেই বই কে বেস করে কোন প্রশ্ন করি আপনার উত্তর বই অনুযায়ী ধরবো নাকি প্রশ্নকর্তার মন অনুযায়ী সঠিক বা ভুল ধরবো। তাই হিন্দু পন্ডিত প্রধান না প্রধান হচ্ছে এর গ্রন্থ সমূহ। তাই সেটাই ধরেন, পন্ডিত গো সব কথাই মানতে হয়না।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

ইফতেখার রিফাত বলেছেন: ভাই, বেদে ক্ষমা করা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা জানালে খুব উপকৃত হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.