নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

প্রতিদিনের মতো আজও গভীর রাতে খুব গোপনে আস্তে আস্তে দরজা খুলে সিড়িতে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরায় রুপঙ্কর। সিগারেট টানতে টানতে বাড়িরর কার্ণিশে লাগানো গাছগুলো দেখে। বৃষ্টিও পড়ছে গুড়ি গুড়ি। তার এই বৃষ্টিতে ঘর ছাড়তে মন চায়। কিন্তু বজ্জাত বাড়িওয়ালা সদর দরজায় খিল লাগায় রাত ১১টা বাজলেই। হঠাৎ রুপঙ্করের চোখ পড়ে পাশের বাড়ির দিকে। যে বাড়ির দিকে সে প্রায়ই রাতে তাকায়। তাকিয়ে সে ভয় পায় এই ভেবে যে, সমমনা সবাইকে একেরপর এক মেরে ফেলা হচ্ছে। যদিও রুপঙ্কর এমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নয়। কিন্তু যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে মনের মধ্যে ইদানিং রুপঙ্করও মনে করছে তার সাথেও এমন কিছু হয়তো ঘটতে পারে। বাড়িটার সাথে ভয়ের একটাই সম্পর্ক, ওই বাড়ি থেকে কিছুদিন আগে একদল সনাতনী ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। সনাতন ধর্মের নানান কৃসংস্কার নিয়ে সে তেমন না লিখলেও নাস্তিকদের সাথে ওঠা বসা, হত্যার প্রতিবাদ এবং ধর্মী গোঁড়ামির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে কিছু বলা বা লেখার কারনে তাকে শহরের কিছু মানুষ নাস্তিক মনে করে। সে সুত্র মতে ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীদের ধারণা সেদিন রাতে রুপঙ্করই পুলিশে খবর দিয়েছিলো। এবং যে কোন সময় সে মারা পড়বে অন্যদের মতো। এসব ভাবতে ভাবতে রুম্পঙ্কর তার প্রেমিকার সাথে শেষ কি কথা বলেছিলো তা নিয়ে ভাবতে থাকে। ভাবনার এক পর্যায়ে সিগারেট শেষ হয় আবার আরেকটি সিগারেট ধরায় রুপঙ্কর; এবার শুধুমাত্র প্রেমিকার কথাই ভাবে, ভাবে স্বপ্নের কথা। ভয় চলে যায় রুপঙ্করের। সকল ভাবনা শেষে জীবনানন্দের একটি কবিতার শেষ কয়েকটা লাইন ফিস ফিস করে বলতে বলতে সিড়ি ভাঙে, ঘরে ফিরে সে....

যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব'লে মনে হয়
মহত্‍‌ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।


(০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, পল্টন)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শকুন আর শেয়ালের খাদ্যই বটে!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পথেরদাবী বলেছেন: কড়া নজরদারি আছে বটে...হা হা হা.....

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা আরেকটু লম্বা হতে পারত

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

পথেরদাবী বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন.... কিন্তু এখানেই শেষ করতাম তাই আর বাড়াইনি... তবু আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.