নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক সাহিত্য চর্চা......

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

একটা সময় ছিল যখন লেখকরা তাদের পান্ডুলিপি নিয়ে প্রকাশকদের কাছে যেতেন। অথবা বিভিন্ন জাতয়ি দৈনিকে একটি লেখা ছাপানোর জন্য সম্পাদকদের স্বাক্ষাত পাবার আশায় থাকতেন মাসের পর মাস। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই অপেক্ষার পালাও যেনো শেষ হতে চলেছে। ফেসবুক যুগে লেখকরা এখন আর অপেক্ষায় থাকেন না কখন ছাপবে তাদের লেখা। একটি কবিতা, গল্প বা প্রবন্ধ এখন লেখা শেষ করা মাত্রই লেখকরা নিজেরাই নিজেদের প্রকাশক বনে যাচ্ছেন ফেসবুকের কল্যানে।

তাদের ভাবনা এমন যে রাজনীতি, দর্শন, খেলাধুলা, ফ্যাশন, পন্যের বিজ্ঞাপন, গণ আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে শক্ত প্রচার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক কাজ করলে সাহিত্য কেন নয়? আর তাই নবীন এবং প্রবীন লেখক সাহিত্যিকদের একটি নিজস্ব জায়গা তৈরি হয়েছে ফেসবুককে কেন্দ্র করে। শুধু তাই নয় ফেসবুককে কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সাহিত্য চর্চা গ্রুপ। যারা নানা মাত্রিক লেখকদের লেখা প্রকাশ এবং তা নিয়ে পাঠকদের আলোচনা সারবস্তুও তুলে ধরছেন। আয়োজন করছেন নানান সাহিত্য আড্ডা।

কবি নির্মলেন্দু গুণ, তসলিমা নাসরিন, সাইফুল মাহবুব দুলাল, সরকার আমিন, গোলাম কিবরিয়া পিনুসহ অনেকেই এখন ফেসবুককে তাদের সাহিত্যকর্মের প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। কবিরা তাদের আগের প্রকাশিত লেখা প্রকাশের পাশাপাশি নতুন লেখাও প্রকাশ করছেন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা ইস্যু নিয়ে তাদের নিজস্ব ভাবনা তুলে ধরছেন ফেসবুকে। যার ফলে পাঠকরা খুব সহজেই তাদের প্রিয় কবি এবং লেখকদের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে অবগত থাকছেন।

কবি নির্মলেন্দু গুণের ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায়, গেল মে দিবসের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের একটি ছবির সাথে শেয়ার দেন ‘মে দিবসের কাব্য’ শিরোনামে একটি পাঁচ লাইনের কবিতা। তিনি লিখেছেন “প্রতিটি সৃষ্টির পিছে রয়েছে শ্রমিক/একথা যেহেতু ঠিক-,/ ঈশ্বর বললেন, তবে/ আমিও শ্রমিক।” নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে সকলের মতো কবি নির্মলেন্দু গুণেরও মনে দাগ কেটেছে। তাই গত ২৭ এপ্রিল তিনি লিখেছেন ‘ক্ষমা করো ভূমিকম্প’ নামে একটি কবিতা। এছাড়া এই প্রখ্যাত কবির ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায় সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়সহ সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে নিজস্ব ভাবনার কথা।

ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক, কবি তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক ভ্যারিফাইড একাউন্টে বন্ধু সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। আর তাকে অনুসরণ করছে তারও অধিক মানুষ। তসলিমা নাসরিন তার এই একাউন্টে সব সময়ই সচল আছেন। নিজের কবিতা, প্রবন্ধসহ নিজস্ব মতামত তিনি তুলে ধরছেন এখান থেকেই। খুবই কম সময়ে মানুষের কাছে যেমন তার লেখাগুলো পৌছে যাচ্ছে আবার প্রথাবিরোধী নানান বক্তব্যের কারণে তার একাউন্টে পাঠকদের এক ধরনের আলোচনা করার সুযোগ্ও তৈরি হচ্ছে। এছাড়া দেশের বাইরে থাকায় বাংলাদেশের পত্র পত্রিকাগুলো তার লেখা পাবার অন্যতম উৎস হিসেবে ফেসবুকে নজর রাখছে সব সময়। তিনি পূর্বে প্রকাশিত কবিতা যেমন প্রকাশ করছেন, ঠিক তেমনি নতুন কবিতাও প্রকাশ করছেন তার একাউন্ট থেকে। তবে ইদানিং তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা বিষয় নিয়ে কলাম লেখায় একটু বেশি মনোনিবেশ করেছেন।

বাংলাদেশের কবিতার জগতের জীবিত কবিদের মধ্যে অন্যতম সফল কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু । এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ ১৩ টি। প্রবীন একজন লেখক ও কবি হয়েও ফেসবুকে তাকে বেশ সক্রিয় দেখা যায়। পূর্বে প্রকাশিত কবিতাই তিনি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে থাকেন। ফেসবুককে আর সবার মতো একটি প্রচার মাধ্যম হিসেবেই দেখেন কবি গোলাম কিবরিয়া। ফেসবুকে কবিতা প্রকাশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা একটি নতুন মাধ্যম। জাতীয় দৈনিক, লিটলম্যাগ বা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতা সবার কাছে পৌছানো যায় না। ফেসবুকে এক সাথে অনেকে যুক্ত থাকে বলে সহজেই সে লেখাগুলো পৌছানো যায়। পাঠকদের মতামতও পাওয়া যায় সহজে।

তিনি বলেন, এখন অনেকেই কবিতা লিখছেন এবং ফেসবুকেই প্রকাশ করছেন। এতে কোনটা কবিতা আর কোন কবিতা না, তা নিয়ে এক ধরনের দ্বিধাদ¦ন্দ তৈরি হয়। তবে যারা সত্যিকারের পাঠক তারা ঠিকই খুঁজে নিবে সঠিক কবিতাটি। কবিতা শুধু ফেসবুক কেন্দ্রিক প্রকাশিত হলে কবি নিজেও তার লেখার মান যাচাই করতে পারবে না। কিছু কিছু কবিতা সম্পাদকের হাত দিয়ে প্রকাশিত হওয়া উচিত। তাহলে বোঝা যাবে কোনটা কবিতা আর কোনটা কবিতা না।

তরুণ কবিদের প্রতিষ্ঠান বিরোধীতা বা মুক্ত গণমাধ্যমে স্বাধীন ভাবে সাহিত্যচর্চার যে ইচ্চা তার প্রতি তিনি সম্মান জানিয়ে বলেন, সাহিত্য সম্পাদক বা প্রকাশকদের কাছে যেতে না পারার যে সংকট এখানে তা অস্বীকার করার কিছু নেই। এগুলো অনেক বিস্তৃত একটি বিষয়। তবে যে কবি মনে করছেন মুক্তভাবেই তিনি কবিতা লিখে যাবেন, শুধূমাত্র ফেসবুকে প্রকাশ করে তার কবিতার মান তিনি নিজেই নির্ণয় করতে পারছেন তাহলে কারো কাছে না যাওয়াটা অপরাধ নয়। এক্ষেত্রে কবির ভুমিকা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি সত্যিকার পাঠক, কবি এবং সাহিত্য সামালোচকদের কাছ থেকে মতামত পান এবং পরবর্তিতে যদি বই বের করেন তবে তা হতেই পারে। এখানে অনেক বেশি বাধ্যবাধকতারও যে খুব প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

এতো গেলো প্রবীন ও খ্যাতিমান কবি সাহিত্যিকদের কথা। কিন্তু কি ভাবছেন এখনকার তরুণ কবি সাহিত্যিকরা। যাদের অনেকের লেখালেখির শুরই ফেইসবুক দিয়ে। ফেইসবুকে নিয়মিত লেখেন এমন কয়েকজন তরুণ কবির সাথে কথা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের বইও বের হচ্ছে গত কয়েকটি বই মেলা ধরে। চট্টগ্রামের তরুণ কবি হাসনাত শোয়েব তেমন একজন। গেল বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘সূর্যাস্তগামী মাছ’। কথা হয় ফেসবুক সাহিত্য চর্চা নিয়ে। কবি হাসনাত জানান, আমার অধিকাংশ লেখাই ফেইসবুকে প্রকাশিত। লিখে আগে ফেইসবুকে প্রকাশ করি। ফেসবুকে শুরুতেই প্রকাশ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে তো সবাই বিভিন্ন পত্রিকা বা লিটলম্যাগে কবিতা ছাপাতো। বই বের করার সময় সেসব থেকে বাছাই করে তবেই বই বের করতো। এখন ফেইসবুকের যুগ তাই লিটল ম্যাগ বা পত্রিকার যায়গায় আমি ফেসবুককে ব্যবহার করছি। তাই বলে যে পত্রিকা বা লিটল ম্যাগে প্রকাশ করছি না তা কিন্তু নয়।

তিনি আরো জানান, ফেইসবুকে এখন সহজেই পাঠক প্ওায়া যায়। অনেকেই একে সস্তা জনপ্রিয়তা খোঁজার চেষ্টা হিসেবে প্রচার করে থাকেন। কিন্তু আমি তা মনে করি না। কারণ একটা বইয়ের জন্য একটা বইমেলার জন্য দীর্ঘ একটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বই কয়জনের হাতে পৌছায়। অথচ আমার ফেইসবুক একাউন্টে যারা কখনো কবিতা পড়েনি তারাও কবিতা পড়ার একটা চর্চার মধ্যে প্রবেশ করছে। আমার কবিতা কারো ভালো নাই লাগতে পারে। কিন্তু যেখানে কেউ পড়তোই না সেখানে এখন কবিতা ভালো কি খারাপ তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটা একটি পজেটিভ দিক। যা ফেসবুকে প্রকাশ না করলে তো জানতে পারতাম না।

কবি হাসনাত এই সময়ের মানুষ হিসেবে ফেসবুককে একটি মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ফেসবুকে নানান ধরনের মানুষের অংশগ্রহন আছে। অনেকেই এর নেতিবাচক ব্যবহারও করছেন। কিন্তু তার বিপরীতে আমরা যে এই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সাহিত্য ভাবনা আদান প্রদানের একটি জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছি তার অবশ্যই একটি ইতিবাচক প্রভাব আছে বলে আমি মনে করি।

‘উড়ন্ত ছাই নিচে নেমে আসো, পাশে বসো।’ তরুণ কবি রাজিব দত্তের ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে দেখা যায় এমন একটি লাইন। চট্টগ্রাম চারুকলা থেকে পাশ করা ছাত্র রাজিব দত্ত একাধারে একজন চিত্রশিল্পী এবং কবি। গেল বই মেলায় বের হয় তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ, সাবানের বন। কথা হয় এমন ছোট ছোট লাইন লেখা সম্পর্কে। তিনি বলেন, মাথায় আসলে লিখে ফেলি। কখনো এই এক লাইন একটি পূর্নাঙ্গ কবিতার রুপ পায় আবার এরকমই থাকে। এটা নির্ভর করে ইচ্ছা ও মনের উপর।

কবিতাকে এই তরুণ কবি সিরিয়াস কিছু মনে করেন না। তিনি মনে করেন মানুষের আর দশটা কজের মতোই কবিতা লেখা। তাই ফেসবুকে অন্যান্য মানুষের প্রতিদিনের যে কাজ তার থেকে কবিতা প্রকাশকে আলাদা করে দেখতে চান না রাজিব। ফেসবুককে একটি এনার্কিস্ট যায়গা হিসেবে অবহিত করেন তিনি। তিনি বলেন, একই স্থানে কারো মৃত্যুর সংবাদ আবার একই স্থানে একটি নতুন শিশু ভুমিষ্ট হবার কথা আমরা দেখতে পাই। হয়তো তারপর পরই আমার কবিতা। তো সবটা মিলে একটি এনার্কিস্ট এরিয়া হলো ফেসবুক।

ফেসবুকের এই এনার্কিস্ট অবস্থা ধরেই যদি বলা হয় অনেকেই একারনে ফেসবুকে সাহিত্যকর্ম প্রচারে পক্ষপাতি নন। এতে নাকি একটি কবিতার মুল যে গভীরতা তা অনেকটা সস্তা হয়ে যায়। তাদের এই অবস্থানকে আপনি কি ভাবে মুল্যায়ন করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রাজিব বলেন, যারা করতে চায় না সেটা তাদের নিজস্ব চিন্তার বিষয়, কিন্তু প্রচার মাধ্যম হিসেবে কেউ ব্যবহার করলে তা নিয়ে সূচিবায়ু রোগে ভোগা এক ধরনের মোড়লের অবস্থানে নিজেকে বসানো ছাড়া আর কিছুই নয়।

কবি বসন্ত বোস কবিতা লেখাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। গেল একুশে বই মেলায় তার দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ’রাতের সমনে বসে আছি’ প্রকাশ পায়। তিনি মনে করেন মানষের উৎপাদন এবং ঘামের সাথে যে শিল্পের সম্পর্ক নেই, সে শিল্প শিল্প নয়। তাই শিল্পকে নিয়ে যেতে হবে মানুষের দোর গোড়ায়। আর সে জন্যই তার কবিতাকে সকলের কাছে আরো সহজে পৌছে দিতে ফেসবুককে একটি অন্যতম সহজ মাধ্যম হিসেবে মনে করেন।

তিনি বলেন প্রত্যেক লেখকের লেখার মান নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা আলোচনা সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু একমাত্র ফেসবুকে লেখা প্রকাশের কারনেই যে লেখার মান কমে যাচ্ছে সে বিষয়ে আমি একমত নই। আমি প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানুষ, তাই মুক্তগণমাধ্যমের যে ধারণা সেখান থেকে বিশ্বাস করি ফেসবুক খুবই যুগান্তকারী একটি আবিষ্কার। এখন কে কিভাবে ব্যবহার করছে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। ফেসবুকে লেখা নিয়ে মোড়লের ভুমিকায় যাদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি তারা মুলতো মুল ধারার গণমাধ্যম দ্বারা নানা ভাবে সুবিধা প্রাপ্ত। তাই আমাদের এই মুক্তগণ মাধ্যমে সাহিত্য চর্চার কারনে তারা কতৃত্ব হারাচ্ছে বলেই এমন অপ্রয়োজনই আলাপ তুলছে।

মুক্ত গণমাধ্যমের যে কনসেপ্ট সে হিসেবে প্রচারকার্যে ফেসবুকের গুরুত্ব কবি বসন্তের কাছে থাকলেও এই মুহুর্তে তিনি মনে করছেন না পাঠক তৈরিতে ফেসবুক খুব একটা ভুমিকা রাখছে। তিনি মনে করেন পাঠক তৈরি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। মাত্র শুরু হয়েছে ফেসবুক কেন্দ্রিক সাহিত্য চর্চা। আরো সময় গেলে আমরা বুঝতে পারবো পাঠক তৈরি হচ্ছে কি হচ্ছে না। রাজনৈতিক ইসুগুলোতে সব সময় জোরালো বক্তব্য ফেসবুকে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কবিরাতো সমাজের বাইরে না। ফেসবুকে কবিতা লিখতে পারলে প্রতিবাদের কথা বলতে পারবো না কেনো। সম্ভব হলে মিছিলেও যাই। কবিতা লিখেইতো আর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।

ফেসবুককে কবি সাহিত্যিকদের পাশাপাশি আছে অনেক ধরনের কবি এবং সাহিত্য পত্রিকার ফ্যান পেইজ। যে সকল পেইজ থেকে অনেক বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকের লেখা প্রকাশ করা হয়। এরকম পেইজগুলোর মধ্যে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর পেইজে আছে প্রায় ৪৮ হাজারের মতো সদস্য। এ পেইজ থেকে প্রতিদিনই কবির বিভিন্ন কবিতা প্রকাশিত হয়ে থাকে। এবং পাঠকরাও বেশ সক্রিয়। বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক আছে ২৯ হাজারের অধিক। সেখানেও একই রকমের কার্যক্রম চলে। ফ্যান পেইজ থেকে একটি কবিতা শেয়ার দিলে অনেকই সেটা পড়েন ও নিজস্ব প্রোফাইল থেকে শেয়ার দেন ভক্তরা। এতে করে যাদের কবিতা পড়ার অভ্যাস নেই তেমন তাদেরও এক ধরনের অংশগ্রহন হয় এর মাধ্যমে।

লাল জিপের ডায়েরি একটি অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্য পত্রিকা। ফেসবুকে এর আছে একটি ফ্যান পেইজ। নতুন চালু করা এ ফ্যান পেইজ তাদের মুল পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন লেখা থেকে বাছাইকৃত লেখাগুলো শেয়ার করে থাকে। শব্দ কুহক নামে আরো একটি পত্রিকা খুব শীঘ্রই আসবে বলে দেখা গেছে এই নামে কিছুদিন আগে খোলা তাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজ থেকে। তবে সংশ্লিষ্টদের সকলেই মনে করেন, যেহেতু বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে ফেসবুক একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে মাত্র তাই একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তেমন কিছুই বলা যাচ্ছে না।

###########

(বিঃদ্রঃ এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে গেলো জুন ২০১৫ তে। লেখা শেষ করার পর বহু যায়গায় প্রকাশের চেষ্টা করেও তাতে ব্যর্থ হতে হয়। শেষে ফেসবুক এবং ব্লগই শেষ আশ্রয় হলো। আজ প্রকাশ করলাম।) :-)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ| অনেক বিষয়ের সাথেই একমত নই| ফেসবুকে আঁতেলের সংখ্যা বড় বেশি বলে মনে হয়| আবার একবার সেলিব্রেটি হয়ে গেলে ফাটাফাটি লিখছেন টাইপ কমেন্ট ছাড়া অন্য মন্তব্য আশা করা যায় না| তবে এটা একটা ভাল মাধ্যম| আমার এক প্রিয় কবি কালপুরুষ কাফকা, তাকে ফেবুতে পাই| ফেবুর মধ্যমেই চিনি|
অবশ্য আমি ব্লগেই বেশি আরাম পাই লিখে| অনেক প্রিয় লেখকে সুচিন্তিত মতামত পাওয়া যায়| যদিও জানি সাহিত্য ঠিক আমার জন্য নয়

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

পথেরদাবী বলেছেন: :-)

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

পথেরদাবী বলেছেন: ধন্যবাদ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.