নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবনত মস্তক……..

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৪

‘আমি আসলে প্রচুর বাংলা সিনেমা দেখি। ভারতীয় বাংলা সিনেমা আমার একটু বেশি ভালো লাগে। সেখানে নায়কদের ফাইটিং দেখতে দেখতে আমি অনেকগুলো মস্তানকে এক সাথে হ্যান্ডেল করা শিখে ফেলেছি। প্রতি রাতে আমি একটা বাংলাদেশের আর একটা কোলকাতার সিনেমা দেখি। আমার সব সময় মনে হতো নায়ক একা সবাইকে এভাবে চ্যাঙধোলা করতে পারলে আমি কেনো নয়? সে লক্ষেই সিনেমা দেখা শেষে ফ্যানের সাথে দড়ি বেঁধে বালিশ ঝুলিয়ে দেই, তারপর প্রচুর ঘুসাই। এছাড়া, আমার পেট অনেক বেড়ে গেছে, পৌরসভার পানির ট্যাংকিটার মতো। তাই পেট কমাতে প্রতিদিন নিজে নিজে ব্যায়াম করি, বেলি মারি পুশ আপ মারি। সে সুত্রে আমার মাসেলও একটু শক্ত হয়েছে, যা আমার সফলতার রহস্য’। নিজের বীরত্বের কথা টিভি চ্যানেলকে বলছিলো মিয়া ইখতিয়ার উদ্দিন ঠিক এভাবেই এবং সে সব কিছু স্পষ্ট দেখছিলো। তার মুখে ছিলো উঁচু পবর্ত জয়ের হাসি।

ছোট্ট এ গল্পের এ পর্যন্ত ঠিক ছিলো, কিন্তু মায়ের চড় খেয়ে ঘুম ভাঙলে ইখতিয়ার উদ্দিন আফসোস করে এই ভেবে, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে সোনলী জুট মিলের পাশে মিশন পাড়া হাই স্কুলের রাস্তার তাল গাছের নিচে যে ইতরগুলোকে প্রতিদিন দেখে পাড়ার সকলে এবং সে, তাদের কেবল স্বপ্নেই মারা সম্ভব অথবা সিনেমায়। এছাড়া এটি একেবারেই অবাস্তব রুপ কথার মতোই অসম্ভব একটি বিষয়, যা তার পক্ষে কোনভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই আজ আবারো মাথা নিচু করে যাওয়া ছাড়া তার আর উপায় নাই। কিন্তু এই মাথা নিচু করে চলা তার আর ভালো লাগে না, একেবারেই না। তবু কিচ্ছু করার নাই। সে ওভাবেই স্কুলে যায়।

তারপর আর কি, ওই রাত হয়। রাত হলে ভাবতে ভাবতে সে আবার ঘুমায়, স্বপ্ন দেখে, একই স্বপ্ন, প্রতিরাতে। সকালে আবার চড় খায়। আবার মাথা নিচু করে স্কুলে যায়। আর রুটিন মাফিক সকাল সাড়ে এগারোটা বাজলে, মস্তানগুলো মিয়া ইখতিয়ার উদ্দিনের চাইতে দুই ক্লাস বড় শ্যামা চক্রবর্তী- যার ছিলো কোমর ছাড়িয়ে যাওয়া চুল, গায়ে ফেয়ার এন্ড লাভলির গন্ধ আর চোখের নিচে গাঢ় করে দেয়া দেড় ইঞ্চি কাজল, তাকে অনবরত শিষ মেরে যায়। মিয়া ইখতিয়ার উদ্দিন মেয়েটির জন্য কিছুই করতে পারে না। শুধু মনে মনে বলে, ‘একবার খালি দেব হইয়া লই’। মিয়া ইখতিয়ার উদ্দিন হিরো হইতে পারে না। রাত হলে সে আবার ঘুমায়. স্বপ্ন দেখে, একই স্বপ্ন, প্রতিরাতে। সকালে আবার চড় খায়। আবার মাথা নিচু করে স্কুলে যায়।

(২৮ নভেম্বর ২০১৫, পল্টন)



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগলে । ভাল লাগা রেখে গেলাম সেই সঙ্গে আমার আইডিতে চায়ের নিমন্ত্রণ রইল।আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম কিন্ত। ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

দধীচি বলেছেন: বাংলার ফেসবুক ব্লগারটাতে লাত্থায়া কানাডা পাঠাইতে মন চাইতেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.