নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"লাল চায়ের রং আসলে লাল না........."

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

সে দেখতে থাকে-
দক্ষিণ মুখ করা কারওয়ান বাজারের চায়ের গলির এক্কেবারে মাথায় বসানো ফয়জুল রাজবংশির যে চায়ের দোকান সেইখানে লাল চায়ের রং আসলে লাল না। অন্য কিছুু। কেননা, ফকফকা সাদা পানিতে আদা আর লেবুর রস চিপা ফালানের পর পানিটা একটু ঘোলা হইলো, তারপর টি ব্যাগ ছাড়ার পর পানি আর লাল হয় না, কিন্তু অন্য কিছু। কাজেই প্রমানিত, লাল চায়ের রং আসলে লাল না।

এই অন্য কিছু দেখতে দেখতে যখন রাস্তার ওই পাড়ে খাড়াইয়া থাকা পাঁচ তারা হোটেলের মাথার উপর দিয়া সূর্য- এইইই কয়দিন হইলো শহরে আসা কুয়াশা নামক ভদ্রমোহদয়রে তলোয়ারের মতো কাইটা কুইট্টা ঠিক ফয়জুল রাজবংশির সদ্য বানানো চা'য়ের উপর পড়ে তখন তা দেখতে অদ্ভুত লাগে। কেননা, চা'য়ের কাপ থেইকা যেই ধোঁয়া সেইদিনের সকালে হেভি হেইলা দুইলা দক্ষিনের আরাম আরাম বাতাসে মিশা যাইতেছিলো তা শুধুমাত্র বছরের এ মৌসুমেই দেখা যায়। তাই, লাল চা যে আসলে লাল না, অর্থাৎ লাল কইলেই যে সব লাল হইয়া যায় না তা প্রমান করার পর এবার নজর- হেইলা দুইলা দক্ষিনের বাতাসে মিশা যাওয়া চা'য়ের কাপ বাইয়া বাইয়া ওঠা ওই ধোঁয়ার দিকে।

জাউগ্গা-
ফয়জুল রাজবংশি একটারপর একটা চা বানাইতাছে, দেক্ষোইন্না লোকটা বইয়া বইয়া এই অদ্ভুত সৌন্দর্যটার ফিল নিতাছে আর বিড়ি টানতাছে তো টানতাছে। দেখা যেনো শেষ হয় না! এই দেখা দেখির মাঝে হঠাৎ তার অফিসের লিফ্টের কথা মনে পড়ে যায়। কারণ- অফিসের লিফটাও এমন হেইলা দু্ইলাই উপরে ওঠে। দেক্ষোইন্না বান্দাটার ভিষণ উচ্চতা ভীতি থাকার কারনে সেইদিন তার খালি মনে হয়, উপরে উঠলেই যদি পইড়া যাই, যদি ধোঁয়ার মতো মিশা যাই, আমি কি পইড়া যাইতে পারি, ধোঁয়ার মতো মিশা যাইতে পারি? এইসব হাবিজাবি।

জাউগ্গা-
এইবার এতোক্ষণ পরে ফয়জুল রাজবংশি মুখ খোলে আর খালি দেক্ষোইন্না লোকটারে জিগায় -
মামা অফিস যাইবেন না?
উত্তরে দেক্ষোইন্না লোক'টায় কয়-
তুমি চা বানাও। যতক্ষণ না এই রোইদ পইড়া যাইতাসে ততক্ষণ যাইতাছিনা কোনোখানে। ফয়জুল রাজবংশি কিছু কয় না, ঠোঁটে শিষ বাজাইতে বাজাইতে সে নিজের নামের মাজেজা বোঝায় আর চা বানায়।

এর মইধ্যে ফোন আইলে ওই পাশ থেইকা শোনা যায়-
"জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক, আপনি কই? ক্লাইন্ট এসে বসে আছে। আপনার কয়'টায় আসার কথা ছিলো?" তালুকদার আব্দুল খালেক কিছু বলে না এবং ফোন কাইটা দেয়।

তারও অনেক পরে-
দক্ষিণ মুখ করা কারওয়ান বাজারের চায়ের গলির এক্কেবারে মাথায় বসানো ফয়জুল রাজবংশির যে চায়ের দোকান সেদিক দিয়া আবার বাতাস আইলে দেক্ষোইন্না লোকটা অর্থাৎ- তালুকদার আব্দুল খালেক দেখে রোইদ পইড়া গেসে। ধোঁয়া আর দেখা যায় না। সে উইঠা দাঁড়ায় আর হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে বাতাস, ফুটপাতে নাটক করা ভিখারি, ফ্লেক্সিলোড ওয়ালা, পান দোকানদার, বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী আর গা ঘেইসা হাঁটতে থাকা হাজার হাজার মানুষের মইধ্যে মিশা যায়।

কিন্তু-
তালুকদার আব্দুল খালেক কই যায়?

তবে-
লাল চায়ের রং যে লাল না, তাতো পরিস্কার আবার লাল কইলেই যে সব লাল হইয়া যায় না সেইটাও তো প্রমানিত?

ফোন বাজতে থাকে, বাজতে থাকে.......!

(১২ ডিসেম্বর ২০১৫, পল্টন)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফোন বাজুক, ভলিউমটা বড় করে দেন, সেটাই শুনি; গল্পে তো ফাঁকি দিলেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

পথেরদাবী বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.