![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্জিনিয়ারিং পাস করে একটা বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানিতে কামলা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম ।জানি না কিভাবে কিভাবে যেন জব লেনথ্ সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেল। আমি বুঝতে পারছলাম যে "আই নিড চেঞ্জ"। পরিবর্তনের জন্যই বা নতুন জীবনের সন্ধানে ক্যাঙ্গারুর খোঁজে পাড়ি দিলাম ভারত/প্রশান্ত মহাসাগর.......।
বাংলাদেশের নাম গিনেজ বুকে এসেছে, খুশি এবং গর্বিত হওয়ার কথা কিন্তু হতে পারছি না কারনটা সবারই জানা। এই রেকর্ড করার জন্য আমাদের মত গরীব একটা দেশের ৯০০০০০০০০ টাকা খরচ।
কয়েকদিন আগে এক শেয়ারড্ বাসায় থাকতাম, সাথে ছিলো এক নিউজিল্যান্ডের কাপল, এক অজি আর এক কোরিয়ান ছেলে। আমাদের শেয়ার্ড টয়লেটে অনেকগুলা ম্যাগাজিন ছিলো, কমোডে বসে পড়ার জন্য। বেশিরভাগই ছিলো গাড়ি, বোট এইসব বিষয়ক যেগুলাতে আমার তেমন আগ্রহ নাই। তবে সেখানে ছিলো গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ২০১৩ সংখ্যা। আমি যতবারই টয়লেটে যেতাম এই বইটা উল্টে পাল্টে রেকর্ডগুলা দেখতাম। অনেক রেকর্ড এত অদ্ভুত যেগুলা আপনার মাথায়ই আসবে না যে এই ব্যাপার নিয়া কোন রেকর্ড হতে পারে। আমি কতগুলা উদাহরন দেই:
> শুধুমাত্র আ্ন্ডারওয়ার পড়ে সবচেয়ে বড় লোক সমাগম হয়েছিলো ২০১১ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর ইউএসএ এর সল্ট লেকে সিটি তে। এতে অংশ নিয়েছিলো ২২৭০ জন।
সুতরাং আমরা যদি এই রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড করতে চাই তাহলে ২২৭১ জন এক জায়গায় জড়ো হয়ে আন্ডারওয়ার পড়ে দাড়াতে হবে
> ৫ নভেম্বর ২০০৫ সাল : ১৩৩৮০ জন লোক San Salvador সিটির Cuscatlán স্টেডিয়াম এ একসাথে দাত ব্রাশ করেছিলো।
সুতরাং নতুন রেকর্ড করতে হলে বাসা থেকে ব্রাশ পেষ্ট নিয়া ১৩৩৮১ জনকে একসাথে দাত ব্রাশ করতে হবে
> পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারওয়ার : 20 m (65 ft 7 in) across the waist and 12 m (39 ft 4 in) from waistband to crotch. বানালো হয়েছিলো ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে লন্ডন এ।
পৃথিবীর সবচেয়ে কমদামে আমাদের দেশে কাপড় কিনতে পাওয়া যায়, দর্জির মুজুরীও সবচেয়ে কম। আমরা চাইলে খুব সহজেই কয়েকজনের উদ্যেগেই মাত্র কয়েক হাজার টাকায় এই রেকর্ডটাও করে ফেলতে পারি।
> ৩২৪৮ জন একসাথে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর Rubik's কিউব সল্ভ করেছিলো। স্হান: College of Engineering Pune, Maharashtra, India
যে কোন একটা উইনিভার্সিটি বা কলেজের স্টুডেনরা উদ্যেগ নিলে সহজেই এই রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়া যায়।
> July 28, 2013 : ১২১৩ জন মিলে তাইপে এ ১০ মিনিট ধরে মুখোশ পড়ে রেখেছিলো।
ফেসবুকে একটা ইভেন্ট ক্রিয়েট করে সবাইকে যদি বলা হয় যার যার মুখোশ তৈরি করে নিয়ে আসতে, তাহলে এই রেকর্ড করা কোন ব্যাপার ?
> Adventure Island, Southend on Sea, Essex, UK তে ১০২ জন লোক ন্যাংটু বাবা হয়ে রোলার কোষ্টারে চড়েছিলো। এটাও একটা বিশ্ব রেকর্ড।
দেশের ৯০ কোটি টাকা সেভ করতে শুধু ১০২ জন না, আমার মনে হয় কয়েক হাজার তরুন পাওয়া যাবে যারা বস্ত্রহীন অবস্হায় রোলার কোস্টারে চড়বে।
> শুধু গ্রুপ না, ব্যক্তিগত উদ্যেগেও বিশ্বরেকর্ড করা যায়। Norman Perez নামের ২৪ বছর বয়েসী এক তরুন টানা চারদিন ধরে কম্পি্উটার এর কিবোর্ড দিয়ে instant messaging বা চ্যাট করে বিশ্বরেকর্ড করেছিলো। সে টানা ৯৬ ঘন্টা টাইপ করেছিলো এবং প্রত্যেক ঘন্টায় ৫ মিনিট করে ব্রেক টাইম পেয়েছিলো ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের নিয়ম অনুযায়ী।
আমাদের বর্তমান প্রজন্মের তরুনেরা যে সময় অনলাইনে কাটায়, আমার মনে হয় এই রেকর্ড ভাঙ্গা কোন ব্যাপারই না।
এইরকম আরও অসংখ্য রেকর্ড আছে যেগুলো ভাঙ্গার জন্য টাকার অপচয় করার দরকার নেই, দরকার শুধু দৃ্ঢ় সংকল্পের। আমাদের ব্লগ ফেসবুকে অনেক সেলিব্রেটি আছেন, আছে অনেক জনপ্রিয় গ্রুপ , এমনি কি ব্যক্তিগত উদ্যেগেও কোন ইভেন্ট খুলে কোন টাকা পয়সা না খরচ করে আরও একটি বিশ্বরেকর্ড করে আমার কি আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত নেতাদের কাছে এই বার্তা পৌছে দিতে পারি না যে আমাদের মত এত গরীব একটা দেশের এতগুলো টাকা অপচয় করার অধিকার কারো নেই, কারোরই নেই।
রেফারেন্স:
১। Click This Link
২। Click This Link
৩। Click This Link
৪। Click This Link
৫। Click This Link
৬।http://thewondrous.com/40-craziest-guinness-world-records/
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন:
মন্ত্রীর পদে থেকে নিজের প্রতিষ্ঠানকে এত বড় কাজ দেবার ঘটনাও বিশ্বে মনে হয় এই প্রথম। গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্যটা তুলে দরে দেখতে পারেন। রেকর্ড হলেও হয়ে যেতে পারে............বানিজ্যের এই নগ্নতা।
হা হা .. ভালো বলেছেন।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা কি শুধু রেকর্ড করার জন্যই করা হয়েছে??? ইয়াং জেনেরেশান যে জাতীয় সংগীতের প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, সেটা রেকর্ড দিয়ে পরিমাপ করার বিষয় না........
গিনিজ রেকর্ডের বই শুধু টয়লেটেই থাকে না ... কারো কারো বেড রুমেও থাকে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: দেশপ্রেম থাকতে হয় অন্তরে, এবং এই দেশপ্রেম তৈরি হয় ছোটবেলা থেকে .. পরিবার থেকে, স্কুল থেকে , বন্ধুবান্দব এবং সমাজেরও এইখানে প্রভাব আছে। এইটা হুড করে তৈরি হওয়ার জিনিস নয় যেন একটা ইভেন্ট করলাম আর তাতে অংশ নিয়েই লোকজনের মধ্যে দেশপ্রেম তৈরি হয়ে গেল।
এই পোষ্টে রেকর্ড বা জাতীয় সংগীতের প্রতি ভালোবাসা ব্যাপারটা তুলে ধরিনি, যেটা তুলে ধরতে চেয়েছি রেকর্ড করতে গিয়ে রাষ্টের ৯০০০০০০০০ টাকা অপচয়।
এই ধরনের ইভেন্ট হয় সাধারনত ভলান্টিয়ারি ব্যাসিস এ। ইয়ং জেনারেশন এর দেশ বা জাতীয় সংগীত এর প্রতি যে ভালোবাসা আমার মনে হয় তেমন কোন টাকা না খরচ করেই এই ধরনের ইভেন্ট অর্গানাইজ করা সম্ভব, আপনার কি মনে হয় ? আর এই ইভেন্টে ৯০ কোটি টাকার কত টাকা খরচ হইছে আর কত টাকা কারো পকেটে গেছে আল্লাহই জানে। আমার মনে হয় সেটা প্রকাশ পেলে বোনাস হিসেবে আরেকটা রেকর্ড হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১০
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আর টয়লেটে থাকা মানে এই নয় যে আমি গিনিজ বুককে হেয় করছি, এইটা এখানকার একটা ট্রেডিশন যে টয়লেটে বসে প্রিয় ম্যাগাজিন পৃষ্টা উল্টানো।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫০
তোমোদাচি বলেছেন: সবাই মিলে উৎসব করে জাতীয় সংগীত গাওয়া অবশ্যই সুন্দর একটা বিষয়, কিন্তু সেটার উদ্দেশ্য যখন থাকে গ্রিনিচ বুক এ নাম উঠান, আর সেই আয়োজন যখন একটা দেশের সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কোটি টাকা খরচ করে করা হয় তখন সেটা হাস্যকর হয়ে দাড়ায়।
হুজুকে বাঙ্গালী সাধেই কি আর বলে!!!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৭
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: এই ধরনের ইভেন্ট হয় সাধারনত ভলান্টিয়ারি ব্যাসিস এ। ইয়ং জেনারেশন এর দেশ বা জাতীয় সংগীত এর প্রতি যে ভালোবাসা আমার মনে হয় তেমন কোন টাকা না খরচ করেই এই ধরনের ইভেন্ট অর্গানাইজ করা সম্ভব।
আর দেশপ্রেমের কথা বললে : আমরা কি আমাদের স্কুলে প্রতিদিন সকালে কম দেশপ্রেম নিয়া জাতীয় সংগীত গাইতাম ?
এই ধরনের ইভেন্টে আমাদের মত দেশের সরকারের ৯০০০০০০০০ টাকা খরচকে আমি অবশ্যই অপচয় বলবো। তাদের বা কারোরই কোন অধিকার নাই দেশের টাকা নষ্ট করার।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩০
গারো হিল বলেছেন: আমার এক বড়ভাই বাইরে থাকে আগ্রহ নিয়া বললাম তোমার বিদেশি বন্ধুদের কে বলবা.......একটা কথাই বললো হাসবে আর পাগল ছাড়া কিছুই বলবে না
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫২
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: গিনেজ বুকের কোন রেকর্ড করে এরা খেলার ছলে অথবা ফান করার জন্য অথবা কোন ভলানটিয়ারি অরগানাইজেশন এর ফান্ড রেইজিং বা কোন কর্পোরেট কোম্পানির সিএসআর এর ফান্ড দ্বারা কোন বিষয়কে হাইলাইট বা লোকজনকে সচেতন করার জন্য।
বাংলাদেশ এত্ত সিরিয়াস ভঙ্গিতে রেকর্ড করছে যেন এটা অলিম্পিক এর ১০০ মিটার দৌড়ের মত কোন রেকর্ড। এই রেকর্ড হবে স্বতস্ফুর্ত ভাবে, দেশপ্রেম এবং আনন্দের সাথে সবাই রেকর্ডের অংশ হওয়ার জন্যই অংশ নিবে।
কিন্তু এই কাজের জন্য আমাদের মত গরীব রাষ্ট্রের ৯০০০০০০০০ টাকা খরচ, কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষকে হঠাৎ করে জিজ্ঞাসা করা হলে বলতেও পারবেনা যে, নয় এর পর কয়টা শুন্য যোগ করলে নব্বই কোটি টাকা হয়। হাতের আঙ্গুলে একক দশক গুনে বলতে হবে।
আমাদের মত এত গরীব একটা দেশের এতগুলো টাকা অপচয় করার অধিকার কারো নেই, কারোরই নেই। একমত।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: সাধারন লোকের কথা কি বলবো, আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রীর কথা শুনলে মনে হয়ে সে ইউএসএ বা চীনের মন্ত্রী, ৩০০০০০০০০০০০-৪০০০০০০০০০০০ টাকা তার কাছে কিছুই না।
৯০ কোটি টাকার ১০০ বা ৫০০ টাকার নোট লোক জনের সামনে আনলেই হয়তো তারা বুজবে যে ৯০ কোটি টাকা আসলে কত টাকা।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪
মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: ভালো হইছে, এই উছিলায় কিন্তু ভদ্রবেশী পচা মানুষকে চেনা গেলো, যারা চেতনা, চেতনা করে ফেনা তুইলা ফালায়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৪
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: কিছুলোক আছে যারা চেতনাকে সত্যিই অন্তরে ধারন করে, আর বাকিরা সবাই ই চেতনাকে ব্যবহার করে শুধুমাত্র নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৯
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন:
১০০ টাকার নোট হলে ৯০ কোটিতে মোটামুটি এতগুলা টাকা হবে।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশই একমাত্র হতভাগ্য দেশ, যে দেশের জনগনের একটি অংশ নিজ দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান।
১। জাতীয় সংগীত মন থেকে মানে না,
বলে 'হিন্দুয়ানি সঙ্গীত'।
জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠান হলে সেখানে অংশগ্রহন করে না, বরং অসম্মান করার ছুতা খুজে।
২। ১৬ ই ডিসেম্বরের বিজয় কে বলে ভারতের বিজয়!
৩। স্বাধিকার আন্দোলনের মুল নেতা বঙ্গবন্ধুকে মানে না, বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করতেই লজ্জা পায়। জাতীর পিতাকেও মানে না। সদ্য মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী পক্ষের সরকার গঠন প্রকৃয়াকে স্বীকার করতে চায় না
বলে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী।
৪। মুক্তিযুদ্ধকেও মানতে চায় না। বলে শত্রুরা মুক্তিযুদ্ধে বেশী লোক মারে নাই, যুক্তি দেখায় ... অল্প কিছু মেরেছে!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১১
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক ই দলকানা। আপনি যে দল করেন সেই দল খারাপ কিছু করলে আপনি সেটা দেখেও না দেখার ভান করবেন, অনেকে আবার একডিগ্রী উপরে উঠে সেই খারাপটাকে ভালো বলে প্রতিষ্টিত করতে চাইবে। আবার প্রতিপক্ষ দল ভালো কিছু করলে সেটা কখনোই স্বীকার করবে না, তার ক্ষুত খুজবে বা কুৎসা রটাতে চেষ্টা করবে।
অশিক্ষিত লোক এই কাজ করলে মেনে নেয়া যায়, ভাবি আমাদের লেক্সড্ জেনারেশন শিক্ষিত হলে এটা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু যখন কোন শিক্ষিত লোককে এই কাজ করতে দেখি নিজেকে সত্যিই অসহায় মনে হয়।
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২১
উদাসীপথিক বলেছেন: আগে প্রতি বছর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ ও সেনা সদস্যদের প্যারেড হত। সেটি বন্ধ হলো কেন?
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: বন্ধ হবে কেন, সেটা আগামী বছর থেকে যথা নিয়মে চলবে। এই বছর হয়তো এই অনুষ্ঠানের জন্য করা হয়নি। আর অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ছিলো কিন্তু সেনা সদস্যরাই।
আমার যেটা পয়েন্ট এই অনুষ্ঠানের জন্য বা এই রেকর্ডের জন্য ৯০ কোটি টাকা খরচ মানে অপচয় এবং গরীব দেশের জনগনের টাকা অপচয় এবং লুটপাটের অধিকার কারো নেই।
ধন্যবাদ।
১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৩
উদাসীপথিক বলেছেন: অনেকেই মনে করেন সরকার এই সব 'হুজুগে' অনুষ্ঠান করছে মূলত সেনা সদস্যদের প্যারেড ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি না করার জন্য- ঠিক বেঠিক জানা নেই...
১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনিও গাধার মত মুল স্পিরিট অনুধাবন না করেই 'দলকানা' বলে সবকিছু হালকা করে ফেললেন।
জাতীয় পতাকা
জাতীয় সঙ্গীত
জাতীর জনক
মুক্তিযুদ্ধ
১৬ ই ডিসেম্বর
এসব কোনটিই দলিয় বিষয় নয়। দেশের গৌরবের বিষয়।
ওয়াসিংটন, গান্ধী এমনকি কায়দেআজম কে নিয়েও কোন বিতর্ক নেই।
বাংলাদেশেও ১৫ই আগষ্ট পর্যন্ত ছিল না। ১৫ই আগষ্ট এর পর রাজাকারদের পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনার পর এসব নিয়ে কুৎসা সুরু হয়, দেশ বিভক্ত হয়।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: অবশ্যই এগুলো দলীয় বিষয় নয় কিন্তু এগুলো দলের উর্ধ্বে থেকেছে কি? বিশেষ করে জাতীর জনক। কাউকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে হলে আপনি কখনোই তাকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না, এটাই বেসিক রুল।
কিন্তু যুদ্ধাররাধীদের বিচারের আগে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার ছিলো বঙ্গবন্ধু। প্রচন্ড দুর্নীতি করে ভোটের সময় বলে আমরা বঙ্গবন্ধুর দলের লোক, তার আদর্শে বিশ্বাসী, আমাদের ভোট দেন। এর মানে আমি বলছিনা যে বিরোধী দল ধোয়া তুলশীপাতা।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নতো এখন তরুনদের কাছে রীতিমত জোকস্। কয়েকদিনআগে আমাদের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন থ্রিজি উদ্বোধন কালে বলেছেন থ্রিজিও নাকি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো। হোয়াট এ জোক।
যাদের ই দায়িত্ব ছিলো এটাকে দলমতের উর্ধ্বে রাখার, তার ভাবমূর্তি বজায় রাখার তারাই তাকে পায়ের নিচে পিষে ফেলেছে বারবার।
আপনি কি ভেবেছেন বর্তমান সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে, আমাদের যে ট্রেডিশন কিছুটা দেরি হলেও বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন আবার ইতিহাস চেইঞ্জ হবে, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বানী পড়েছেন কি ?
৫ বছরে একটা জেনারেশন জানবে একরকম ইতিহাস, পরবর্তি ৫ বছরে অন্যরকম। তারা যখন বড় হবে এটা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হবে কনফ্লিক্ট। এটাই আমাদের নিয়তি যতদিন না পর্যন্ত আমাদের দেশের লোকজন শিক্ষিত এবং সচেতন না হয়, শুধু শিক্ষিত না, শিক্ষিত এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন।
অনেক কথা বলে ফেললাম, ভালো থাকবেন।
১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৩৭
গারো হিল বলেছেন: আমার উপরে যাহার কমেন্টস তার কমেন্ট পড়ে প্লিজ মাইন্ড করবেন না.....তিনি সামু ব্লগের হাম্বালীগের ডেডিকেটেট একন দা......ল :>
১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন থ্রিজি উদ্বোধন কালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলে মোটেও ভুল বলেন নাই।
শালার বাঙ্গালি দ্রুতই সব ভুলে যায়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশটিতে বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩ বছরের মত ক্ষমতায় ছিলেন। প্রায় শুন্য রাজকোষ ভঙ্গুর অবকাঠামোর ভেতরও বেতবুনিয়া ভু উপগ্রহ কেন্দ্র তৈরি করেন। দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিফোন ও আন্তর্জাতিক টেলিভিশন লাইভ সম্প্রচারের সুচনা করেন। আন্তর্জাতিক টেলিফোন লাইন ইন্টারনেটের মুল ভিত্তি।
আর খালেদাজিয়া ১৯৯৩এ বিনামুল্যে কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তমহাদেশীয় ফাইবার অপটিক সংযোগ প্রত্যাক্ষান করেন। অতচ একই লাইন পার্শবর্তি ভারত বার্মা শৃলঙ্কা গ্রহন করে ইন্টারনেট ও উন্নত টেলিযোগাযোগের ভাগিদার হয়েছিল।
১৯৯৩ এ অথর্ব সরকারের আবাল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ আইটিতে ২০ বছর পিছিয়ে যায়।
এখন বিবেচনা করুন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সঠিক ছিল কিনা।
১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো একটা পোস্ট এবং কাজের পোস্ট ...
পোস্টে সাধুবাদ এবং ভালোলাগা ..
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
খেলাঘর বলেছেন:
বেকুব বেকুবীতে রেকর্ড করেছে, এটুকুই।
১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫
ল বলেছেন: কে শুনবে কার কথা।উপকারী পোস্ট ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বর্তমান এবং ভবিষ্যত নেতাদের কাছে এই বার্তা পৌছে দিতে পারি না যে আমাদের মত এত গরীব একটা দেশের এতগুলো টাকা অপচয় করার অধিকার কারো নেই, কারোরই নেই।
অনায়াসে পারেন। আর তারাও এটা জানে। কিন্তু কথা হলো বানিজ্য! চমক!
মন্ত্রীর পদে থেকে নিজের প্রতিষ্ঠানকে এত বড় কাজ দেবার ঘটনাও বিশ্বে মনে হয় এই প্রথম। গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্যটা তুলে দরে দেখতে পারেন। রেকর্ড হলেও হয়ে যেতে পারে............বানিজ্যের এই নগ্নতা।