নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Check on fb or http://princessdhaka.com

প্রিন্‌সেস ঢাকা

ফ্রিডম অব নিউজ এট প্রিন্সেস ঢাকা ডট কম।

প্রিন্‌সেস ঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপজেলার মালিক আমি, না তুই?’ উপজেলা চেয়ারম্যান বনাম ইউএনও এবং বিশ্লেষন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫

উপজেলার মালিক আমি, না তুই?’ দিনাজপুরের বিরল উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোকাররম হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনও এ কে এম আজাদুর রহমানের সঙ্গে এভাবেই কথা বলে তাঁর কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছেন।



গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত অবস্থায় ইউএনওর কক্ষে ঢোকেন এবং ইউএনও আজাদুর রহমানের দিকে একটি কাগজ ছুড়ে মারেন। তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই? আমার কথায় উপজেলা চলবে, না তোর কথায় চলবে?’ তিনি ইউএনওকে বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে পেপারওয়েট দিয়ে ইউএনওর টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন। টেবিলের ওপরে থাকা একটি ল্যাপটপ মেঝেতে ছুড়ে মেরে ভেঙে ফেলেন এবং টেবিলের সামনের চেয়ারগুলো উল্টে ফেলেন।



এ সময় ইউএনও চেয়ারম্যানকে জানান, উপজেলা পরিচালনার বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানকেও সে অনুযায়ী কাজ করতে বলেন। এতে চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথায় নয়, আমার কথায় বিরল উপজেলা চলবে।’ এরপর তিনি ইউএনওর কক্ষে টাঙানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি লক্ষ্য করে একটি পেপারওয়েট ছোড়েন। এতে প্রধানমন্ত্রীর বাঁধানো ছবিটি দেয়াল থেকে মেঝেতে পড়ে এর কাঠামো ভেঙে যায়। এ ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনওর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।



এ ব্যাপারে ইউএনও এ কে এম আজাদুর রহমান বলেন, তাঁর ব্যবহূত গাড়িটি কয়েক মাস ধরে অকেজো হয়ে আছে। সম্প্রতি তাঁর (ইউএনও) জন্য নতুন গাড়ি এসেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পুরোনো গাড়িটি চেয়েছেন। তিনি লিখিতভাবে গাড়িটি নেওয়ার জন্য উপজেলার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেন। এতে উপজেলার চেয়ারম্যান অপমানিত বোধ করে ওই ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান ইউএনও।



উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোকাররম হোসেন ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার কথা স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন। মোকাররম হোসেন বলেন, ইউএনওর নতুন গাড়ি এসেছে। পুরোনো গাড়িটি বারবার চাওয়ার পরও তিনি তা দিতে টালবাহানা করছেন। শেষ পর্যন্ত চিঠি দিয়ে তিনি গাড়ি নিতে বলায় তিনি এটিকে ইউএনওর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে গণ্য করে তাঁকে বকাঝকা করেছেন। এর বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।



এদিকে বিরল উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত উপজেলার সব কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউপি চেয়ারম্যানেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছেন।



এই ছিল প্রথমআলোর রিপোর্টঃ Click This Link



বিশ্লেষণঃ উপজেলা চেয়ারম্যান যথার্থ কাজ করছে। এখানে ইউএনও জনপ্রতিনিধিকে হাইকোর্ট দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পুরান সরকারী গাড়িটি চেয়ারম্যান ব্যাবহার করতে চেয়েছে আর ইউএনও আমলাতন্ত্র দেখালেন। এদের মাথায় নিজের ক্ষমতা নিজের চাকরীই মূখ্য। দেশ বা দেশের কাজ কোন দিনই লক্ষ্য ছিল না। যদি তাই না হতো তাহলে এত বছর যাবৎ ইউএনওরাই সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করে উপজেলাগুলো চালানোর পরও দেশের উপজেলাগুলির এই অবস্থা থাকার কথা নয়। উদাহরন হিসেবে বলবো শুধু মাত্র দুই বছর আগে কর্মসৃজন নামে উপজেলাগুলোতে মাটির রাস্তাগুলি ঠিক করতে সরকার যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে তাতে একজন শ্রমিক দিনে যদি এক মিটার রাস্তাও মেরামত করতো তাহলে এদেশের গ্রামীন অবকাঠামোয় ঘরে ঘরে রাস্তা পৌছে যেত।

একটা উপজেলার পুরো চেহারা পরিবর্তন করে দিতে যেখানে তিন বছরের বেশী সময় লাগার কথা না সেখানে ইউএনও ডিসি আর এদের পিতা সচিবের এদেশে সাহেব সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর পুরো দেশটাকেই হরিলুট করছে।



আবার এই বিদেশী আমলাদের বাটপারি দেখেন ডিসি ইউএনও মিলে এই ঘটনাটিকে অন্য দিকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংয়ার বিষয়টি কত সুকৌশলে ঢুকিয়েছে। পাশে জাতির পিতার ছবিটির কি হলো ? সেটাও ঢোকা।



আরে বিদেশী সাহেব, আমলা, ফকিন্নরপুলারা, বানান কারেকশন করা কেরানীর দল তোদের পয়দাই হয়েছে গাড়িতে, গাড়ি নিয়া তোদের এত সমস্যা ক্যান ? সচিব সহ সব আমলারে লাথ্থী দিয়া গাড়ি থাইক্কা বাইর না করা পর্যন্ত এদেশের দরিদ্র মানুষের মুক্তি নাই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-২

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

তাওফিকুর রহমান শিবলু বলেছেন: শিরোনাম দিলেন বিশ্লেষণ,মন্তব্য করলেন একতরফা,ব্যপারটা কেমন হয়েগেল না।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

উন মানুষ বলেছেন: তার মানে আপনি বলতে চাইছেন, উক্ত চেয়ারম্যান এর ভাষা ঠিক আছে?
আর সুনির্দিষ্ট কাগজ ব্যাতিত গাড়ী না দেয়াটাই ইউ.এন.ও. এর ভুল ছিল?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

প্রিন্‌সেস ঢাকা বলেছেন: ইউএনও-র উচিত ছিল গাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পত্র দিয়ে শুধু জানিয়ে রাখা।

যেহেতু আমলারা সব হারামজাদা এবং বিদেশি সাহেবি মানসিকতার তাই ঐ ফাজিল একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে আমলাতন্ত্র দেখিয়েছে।

আমাদের উচিত এসব বিদেশি সিস্টেম ভেঙে চুরমার করে দেয়া। সব নব্য সিএসপিদের পাছায় লাথি দিয়ে বঙ্গপোসাগরে ফেলে দেয়া।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

অ্যামাটার বলেছেন: বেশ তো, আমলাতন্ত্র রাখার দরকার কি? উঠিয়ে দেন!

একতরফা দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের সমস্যা, নাচতে জানি আর না জানি, উঠোন বাঁকা হবেই।
চেয়ারম্যান সাহেব যদি আরেকটু শিক্ষিত হতেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী হতেন, পাহাড়সম বিসিএস-এর বাঁধা টপকাতেন, তারপর কোনও একদিন সেই উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে পোষ্টিং পেতেন, তাহলে তার ভুমিকা কি হত, জানতে ইচ্ছা করেঃ)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

প্রিন্‌সেস ঢাকা বলেছেন: BCS মানে (বাংলাদেশ চোরের সর্দার) ওখানে আপনাকে অবশ্যই চোর ও পা'চাটা কুকুর হতে হবে। ওখানে গিয়ে প্রথম যা দেখবেন ১. বাত্তি বাত্তি চোরেরা পা চেটে চেটে তাদের জিহবা এক হাত ঝুলিয়ে বসে আছে আপনাকে দিয়ে নিজেদের পা চাটানোর জন্য।
এরাই বর্তমান দেশের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সকল নীতি ও বাস্তবায়ীত সব কিছুর আশি ভাগের জন্য দায়ি।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮

মৌ রবি বলেছেন:
হক্কল জায়গাই গ্যানজাম..........

আরদেশে ফিরে আসুম না......

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতাসীন করলে উপজেলা গুলোতে এমন ঘটনা আরো ঘটবে, এমটা কাম্য নয় ।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৯

উন মানুষ বলেছেন: আপু, আপনি উত্তেজিত। আমি মনে করিনা, যে আপনি এত বড় একটা ব্যাপার নিয়ে এত সুন্দর একটা বিশ্লেষনমূলক লেখা লিখেছেন, সেই আপনি জানেন না যে, একজন কর্মকর্তা চাইলেই সব করতে পারে না।

আপনি বলেছেন,"ইউএনও-র উচিত ছিল গাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পত্র দিয়ে শুধু জানিয়ে রাখা।"

কিন্তু একজন সরকারী কর্মকর্তা তার অন্ডারে থাকা একটা গাড়ি যাস্ট সরকারকে জানিয়ে রেখেই গাড়ি দিতে পারেন কি? নাকি এখানে সরকারের পারমিশন এর দরকার আছে, বাধ্যবাধকতা আছে? আপনার কি মনে হয়? এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার আত্নীয় স্বজনদের মধ্যে থাকা যে কোন সরকারী কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন।

একজন সরকারী কর্মকর্তা কখনোই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পারমিশন ছাড়া গাড়ি দিতে পারেন না। কারন ওই গাড়ি তিনি নিজেও পেয়েছেন সরকারের নির্দেশ এর পরেই।

বরং উক্ত চেয়ারম্যান যে ভাষা ব্যবহার করে যেভাবে গাড়ি চেয়েছেন, এটাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আসল চেহারা। গোটা দেশটাকেই তারা মনে করেন তাদের বাপের সম্পত্তি।

আমি কিন্তু এটা বলছি না যে, সরকারী কর্মকর্তারা সব সময় ঠিক। তারাও ভুল করেন। বাট আপনার লেখাটা "বিশ্লেষনধর্মী"। আপনাকে তো সব দিক বিবেচনা করে বিশ্লেষন দিতে হবে তাই না?


আপু, আপনি আমার সামান্য কমেন্ট টা খেয়াল করেননি বলে হয়তো ২টি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে আপনার চোখ হতে।তাই আবার প্রশ্নগুলো করছি, "উক্ত চেয়ারম্যান এর ভাষা ঠিক আছে?
আর সুনির্দিষ্ট কাগজ ব্যাতিত গাড়ী না দেয়াটাই ইউ.এন.ও. এর ভুল ছিল?"

আশা করি আপনি আবারো বিশ্লেষনধর্মী উত্তর দেবেন(আপনার পোস্টের মতই)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.