![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-শ্রাবণ
-
- শ্রাবণ
আমি পিছনে ফিরে তাকাই নি। পিছনে না ফিরে তাকানোর ও কারন আছে। যে কন্ঠ শুনছি সে কন্ঠ আমার পরিচিত। কন্ঠটা "তৃনা'র "। তৃনার এখানে আসার কথা না।
হয়তো আমি ভুল শুনছি কিংবা মনের ভুল। পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরালাম।
হঠাৎ পিঠে কারো হাতের স্পর্শ অনুভব করলাম। এই স্পর্শটা আমার কাছে খুব পরিচিত মনে হচ্ছে। হাতের স্পর্শটা তৃনা'র।
এবার তো ভুল হতে পারে না। নিশ্চই এতোক্ষন আমাকে তৃনা ডেকেছে।
-শ্রাবণ
অনেকটা রাগ হয়ে বলে তৃনা। আমি ও পিছন ফিরে তাকাই। হ্যাঁ সত্যিই তো তৃনা!
-আরে তৃনা তুমি এখানে? কি মনে করে?
তৃনা আমার কথায় কোন সাড়া দিল না। মোট কথা তৃনা আমার কথা কানে ই নেয় নাই। তার দৃষ্টি আমার হাতের দিকে। কারন আমার হাতে সিগারেট। যা তৃনা একদম সহ্য করতে পারে না।
-শ্রাবণ তোমার হাতে ওটা কি?
-ঘড়ি। তুমি আমার জন্মদিনে দিয়েছিলে। মনে নেই তোমার?
- আমি ঘড়ির কথা জিজ্ঞেস করি নাই
- তাহলে তো আর কিছুই নেই আমার
তৃনা চোখ গরম করে আমার দিকে তাকাচ্ছে। বুঝাই যাচ্ছে যে খুব রাগ করছে।
-তৃনা আমার হাতে পাঁচটা আঙ্গুল আছে
-শ্রাবণ একদম ফাজলেমো করবে না। তোমাকে কতোবার নিষেধ করছি এসব খাবা না
-আচ্ছা ঠিকাছে আর খাবো না
কথাটা বলেই আমি সিগারেট টাতে একটা টান দিলাম। আর ঠিক তখন ই তৃনা রাগ মুখে আমার সামনে এসে সিগারেট টা আমার মুখ থেকে ছুড়ে ফেলল।
আমি ঠিক এই কারনেই সিগারেট টা ফেলে দেই নাই। জানি তৃনা এসে আমার মুখ থেকে সিগারেট টা ফেলে দিবে। আর সবথেকে বড় কথা আমার তৃনাকে রাগিয়ে দিতে খুব ভাল লাগে। ওর রাগী মুখটা দেখতে খুব ভালবাসি। ঠিক যেমনটা তৃনাকে ভালবাসি।
-আর যদি আমার সামনে সিগারেট খাও তাহলে তোমার একদিন কি আমার একদিন
-মোট দুই দিন। তাই তো?
-রাগ উঠাবা না কিন্তু শ্রাবণ
-তাহলে সিগারেট টা উঠাই?
-শ্রাবন তুমি যদি আর সিগারেট খাও তাহলে আমি তোমাকে মেরে ফেলবো। এই বলে দিলাম
-সত্যি?
-হ্যাঁ
-তাহলে মারো
-না
-কেন?
-তোমাকে মারলে আমার ব্যাথা লাগবে
-কেন লাগবে?
-তা তোমাকে বলতে হবে?
-হ্যাঁ। হয় বলো নয়তো মারো
-আমার পাগলটাকে মারলে আমার কষ্ট হবে
-কেন?
-আমি আমার পাগলটাকে বড্ড বেশী ভালবাসি তো তাই
-আমি আমার পাগলী টাকে বেশী ভালবাসি না। একটু কম বাসি
-কেন?
-আমার পাগলীটা আমাকে সিগারেট খেতে দেয় না যে তাই
কথাটা বলার উদ্দেশ্য ছিলো তৃনাকে রাগিয়ে দেয়া। কিন্তু তৃনা রাগ করেনি বরং মন খারাপ করছে। ভেবেছে হয়তো আমি একটু কম ই ভালবাসি ওকে। তৃনার মন ভাল করতে হবে কিছু একটা বলে। আর তৃনার যখন ই মন খারাপ হয় তখন তার মন ভাল করার দায়িত্ব পড়ে আমার উপর।
আজকে ও তাই করতে হবে।
-আচ্ছা তৃনা একটা কথা বলবা?
-কি কথা
-আচ্ছা আমি তোমাকে বেশী ভালবাসি না তুমি আমাকে বেশী ভালবাসো?
-আমি বেশী ভালবাসি। তুমি আমাকে ভালবাসই না
-তাই?
-হুম
-ওকে, আমি এখন আমার পাগলিটাকে অনেক বেশী ভালবাসবো
-কিভাবে?
-আমি এখন আমার পাগলিটাকে আমার বুকে নিবো। জড়িয়ে ধরবো আমার বুকে
কথাটা বলে আমি তৃনার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। তৃনা বললঃ
-খবরদার একদম কাছে আসবা না
-কেন?
-তোমার সাথে সিগারেটের গন্ধ
-(আমি এগিয়ে যাচ্ছি)
-একদম আসবা না বলেদিচ্ছি
-ব্রাশ করে আসলে হবে? তাহলে সিগারেটের গন্ধ চলে যাবে
-যাও
-যাবো?
-না। একদম পাগলামি করবা না
-আমি তো পাগল ই
-হ্যাঁ আমার পাগল
-পাগলী
-আমি আমার পাগলটাকে ভালবাসি
-আমিও পাগলীটাকে ভালবাসি
-ভালবাসি
-ভালবাসি
-কতোটুকু?
-বুকে এসো তাহলে বুঝবা
-যাও,,আসবো না। সিগারেট কেন খেয়েছো?
নাহ্। সিগারেট খেয়ে ভুল করে ফেলেছি। আমার পাগলিটাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারলাম না। বুঝাতে পারলাম না কতোটা ভালবাসি আমার পাগলিটাকে।
একদিন পাগলিটাকে বুকে জড়িয়ে ধরবো
তারপর পাগলিটা কে বলবো, "এবার বুঝছো কতোটা ভালবাসি"?।
তখন পাগলিটাও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলবে "আমি ও তোমাকে এতটাই ভালবাসি"।
©somewhere in net ltd.