![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-এক্সকিউজ মি, আপনার কাছে লাইটার হবে?
কথাটা শুনেই হাঁটা বন্ধ করে দাড়ালাম। পিছনে ফিরে তাকাবো কি না তা ভাবছি।
এতো ভাবাভাবির কিছু ছিল না। যদি কোন ছেলের কন্ঠ শুনতাম। তাহলে বলতাম, না ভাই আমার কাছে লাইটার নেই। আপনি আমার সিগারেট থেকে আগুন নিতে পারেন। নো প্রবলেম।
কিন্তু আমি যেই কন্ঠটা শুনেছি তা একটি মেয়ের কন্ঠ। সুতরাং ভাবার ই কথা।
আচ্ছা মেয়েটা লাইটার দিয়ে কি করবে? সিগারেট খাবে না তো!
-এই যে হ্যালো! শুনতে পাচ্ছেন?
মেয়েটা একটু বিরক্ত হয়েই কথাটা বললো। আমি পিছনে ফিরে তাকালাম। হ্যাঁ সত্যিই একটা মেয়ে।
-জ্বি বলেন?
-লাইটার হবে?
-লাইটার দিয়ে কি করবেন?
-দরকার আছে
-না নেই। তবে সিগারেট থেকে আগুন নিতে পারবেন
-না থাক দরকার নেই।
মেয়েটা একটু রাগ হলো। কথাটা বলা আমার ঠিক হয় নি। যখন বলে ফেলেছি তখন আর ফেরত নেয়া তো যাবে না। মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করা দরকার।
-আচ্ছা আপনার নাম কি?
-সেজুতি
"সেজুতি" এই নামটা একটু বিশ্লেষন করা যাক। সে+জুতি =সেজুতি। যে কেউ এই নামটা শুনলে মনে করবে তার পাশের জনের নাম বলেছে। সে জুতি। তবে "জুথি" হলে ভাল হতো।
আমি যেহেতু বুঝতে পেরেছি তার নাম সেজুতি তাই এটা নিয়া প্যাঁচানো কোন মানেই হয় না। তবু ও একটু পেঁচানো দরকার। আর সবথেকে বড় কথা আমার মেয়েটিকে পরিচিত মনে হচ্ছে।
-কই আপনার পাশে তো অন্য কাউকে দেখতে পাচ্ছি না
-মানে?
-জুতি কই?
-জুতি মানে?
-বললেন না সে জুতি?
-আমার নাম সেজুতি সেটা বলছি
-ও আচ্ছা। সুন্দর নাম
-থ্যাংকস
-আপনার নাম নিয়ে একটা কবিতা আছে । পড়ছেন?
-না তো। কি কবিতা?
-আছে একটা
-শুনান তো একটু
সেজুতি আমাকে বিপদে ফেলে দিলো কবিতা শুনাতে বলে। আদৌ তার নামে কোন কবিতা আছে কি না তা আমি জানি না। এখন আমি কবিতা কোথায় পাবো? আর আমি কবি না যে কবিতা লিখে ফেলবো সেজুতি কে নিয়া। আর গড় গড় করে বলে ফেলবো।
-কি হলো বলছেন না যে?
আমি চোখ বন্ধ করে গড় গড় করে বলতে লাগলাম:
সেজুতি সেজুতি
তুমি কোন জুতি?
সেজুতি সেজুতি
তুমি কি আমার জুতি?
সেজুতি কবিতা শুনে রাগ হয়ে বললো, যাষ্ট স্যাট আপ।
আমি কবিতা বলা থামিয়ে দিলাম। রাগ হবার ই কথা এমন কবিতা নেই।
-আপনি এই কবিতা কোথায় পড়েছেন
-বই এ
-কোন ক্লাসের?
-ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর, ফাইভ,,,,,,
-স্টপ। আপনি সেই ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত বলে যাবেন আর আমাকে তা ই বিশ্বাস করতে হবে?
-না বিশ্বাস করার কোন দরকার নেই
-এমন কোন কবিতা নেই। মিথ্যা বলা পছন্দ করি না আমি
সেজুতি ঠিক বলেছে এমন কোন কবিতা নেই। তাহলে আমি কেন বললাম? মেয়েটাকে কেমন যেনো পরিচিত মনে হচ্ছে।
-আর কিছু বলবেন আপনি?
-আচ্ছা সেজুতি আমার কি তোমাকে চেনার কথা?
-একটা অপিরিত মেয়েকে "তুমি" করে বলছেন?
-পরিচিত মনে হচ্ছে
-আপনি কি সত্যিই আমাকে চিনতে পারছেন না প্রিয়?
সেজুতি আমার নাম জানে! তার মানে সেজুতি আমাকে চিনে। কিন্তু আমি চিনতে পারছি না কেন?
-প্রিয় আপনি কি সত্যিই আমাকে চিনতে পারছেন না?
-আচ্ছা সেজুতি তুমি মগবাজার এ থাকতে তাই না?
-না
-তাহলে?
-কোথাও না। আমি যাই
সেজুতি চলে যাচ্ছে। আমাকে অবাক করেই চলে যাচ্ছে। কিভাবে আমাকে চিনে? আর আমি ই বা চিনতে পারছি না কেন!
ভাবতে ভাবতে পার্কের বেঞ্চে একটা কাক এসে বসল। "কা কা" বলে আমাকে ডাকছে। ভাতিজার কথা শুনতে হয়।
-কি রে কেমন আছিস?
-কা,, কা,,,
-আমি ও ভাল আছি
- কা,,,কা,,,,
-ওই মেয়ে টা কে? আচ্ছা ওর নাম সেজুতি
-কা,,,,কা,,,,,
-না আমি চিনতে পারছি না মেয়েটাকে,,।কিন্তুু আমাকে চিনে। আমার নাম ও জানে
-কা,,,,,,কা,,,,,
-আরে ধুর ওসব কিছু না। কি যে বলিস তুই
-কা,,,,কা,,,
-আরে না আমার কিছু হয় না
-কা,,,কা,,,,
-হাসিস না। চল হেঁটে আসি
-কা,,,,কা
-আচ্ছা যা। ভাল থাকিস
কাক ভাতিজার তার নীড়ে যেতে হবে। তার পরিবারের কাছে। তার আগে তাকে খাবার জোগাড় করতে হবে তার পরিবারের জন্য। তাই আমাকে একাই হাঁটতে হবে।
আবহাওয়াটা খারাপ না। মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে। আমি পকেট থেকে সিগারেট বের করলাম। সিগারেট টা ধরাতে যেয়ে দেখি আমার কাছে লাইটার আছে!
তখন সেজুতি র কাছে নেই বলেছি কেন?
যদি বলতাম আছে তাহলে হয়তো কথায় কথায় সেজুতির পরিচয় টা বের করতে পারতাম।
না আগে সোজুতি কে খুজতে হবে। খুজে বের করতে হবে ওকে। তারপর বলতে হবে :-
সেজুতি সেজুতি
তুমি কোন জুতি?
#অপ্রিয়_প্রিয়(খালেদুল ইসলাম প্রিয়)
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫২
অপ্রিয় প্রিয় বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম| খুব সুন্দর লিখেছেন| বিশেষ করে কাকের সাথে কনভার্সেসনটা| চালিয়ে যান, আপনার কাছে আরো অনেক লেখা আশা করি
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
অপ্রিয় প্রিয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
ইনশাআল্লাহ্,,লিখতে চেষ্টা করবো
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৩
সুমন কর বলেছেন: রোমান্টিক কথামালা। ভালো লাগল।