নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কথা

আমি সত্যের এবং সুন্দরের পুজারী। কজন মানুষের সাথে হাসিমুখে মিষ্টি ভাষায় যারা কথা বলে তাদের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা । আর যারা নিজেদের অনেক বড় ভাবে, তাদের প্রতি আমার রয়েছে করুণা ।

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭

আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। জীবনটাকে সহজ করে ই দেখতে পছন্দ করি ।

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবিরের নতুন প্রজন্মের ভাইবোনেরা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫

শিবিরের নতুন প্রজন্মের ভাইবোনেরা,



আপনাদের হয়ত ভিন্ন একটা আদর্শ থাকতে পারে। আপনারা আওয়ামী লীগ, বি এন পি কে অপছন্দ করতে পারেন। আপনারা হয়ত গান বাজনা পছন্দ করেন না।



কিন্তু, আপনারা কিভাবে যুদ্ধের সময়ে সংগঠিত অপরাধের হোতাদের জন্য আপনার ভেতরের সততাকে বিলিয়ে দিচ্ছেন ? একবারের জন্য ও কি মনে হচ্ছে না, এত মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত দাবীটা হয়ত যৌক্তিক।



আমার বেশ কিছু ক্লাস মেইট ছিল যারা শিবির করে, কেউ লীগ করে, কেউ দল করে, কিন্তু বেশিরভাগে র ছিল নিজস্ব চিন্তা করার ক্ষমতা। ক্রিকেট খেলার সময় সবাই এক দল হয়ে খেলত। খেলা দেখার সময়ে, বা একই দল হয়ে খেলার সময়ে তাদের দেখে কেউ আলাদা আলাদা দলের বলে বিভাজন সৃষ্টি করবে এটা সম্ভব ছিল না।



দল থেকে অন্যায় নির্দেশ দিলেই সেটা মানতা হবে, তা তো না ! আল্লাহ আমাদের মানুষ হিসেবে পৃথিবীর বুকে পাঠিয়েছেন। নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনা করার জন্য ব্রেইন দিয়েছেন। মানবতাবোধ দিয়েছেন। দিয়েছেন সঠিক আর ভুলকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা।



আপনাদের আইডিওলজি ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু মানবহত্যা আর ধর্ষণের সমর্থন তো কোন সুস্থ মানুষ করতে পারে না !



দাবী হতে পারে, সকল দলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লড়াই এর। দাবী হতে পারে, এখনকার সময়ের খুনীদের বিরুদ্ধে লড়াই এর। কিন্তু একজন বাংলাদেশি, বিশেষত নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি যাদের সামনে আছে সত্যিকার ইতিহাস জানার অনেক সুযোগ, তারা তো কোনভাবেই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারীদের পক্ষে দাঁড়াতে পারে না !



আপনাদের প্রতি আমার একটাই কথা। শিবিরের যে ছেলেটা আমার ক্লাস মেইট ছিল, যে আমাদের সাথে বসে খেলা দেখত, বা যে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল, সে তো আমার শত্রু না। তার প্রতি আমার কোন রাগ থাকার ও কোন কারণ নাই। আমার রাগ তো সেই সমস্ত ভন্ড মানুষদের বিরুদ্ধে, যারা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ করে এখন ছদ্মবেশ এ ঘুরছে আর তরুণ সংগঠন কে ব্যবহার করছে, নিজেরা নিরাপদ থাকার জন্য !

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০১

ডাব্বা বলেছেন: ব্রাদার, জামাত এর আদর্শ তো বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিরোধী। তাই অনেকেই একে ওকে ব্যান করার কথা বলেন। কিন্তু আমি সবধরনের ব্যান এর বিপক্ষে। নীতিগত ভাবে।
দ্বিতীয়ত, এটা দূর্বলতা। আমরা বাংলাদেশের বিরোধীতাকারীদের বিচার চাই। আমরা দূর্বল কেন হব?!

আমি মনে করি, ওরা ও থাকবে, আমরা ও থাকব। কিন্তু কেউ যদি ভাবে যে দেশটা পাকিস্তান বা ইন্ডিয়ার, ফাসীতে ঝুলিয়ে তারপর ঘুমাতে যাব। আবার ঘুমাবোও না। সজাগ দৃস্টি রাখব নিশ্চিত হবার জন্যে যে ব্যাটা মরেছে তো ঠিক!

হাড়ে, অস্হিতে, মজ্জায় তিলে তিলে বিষ দিয়ে যাব। যন্ত্রনার চরম সীমায় নিয়ে বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ব, এটা বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ। আমার কস্টে পাওয়া দেশ। আমার ভালবাসার দেশ। রাজাকারের নিঃস্বাস ফেলার দেশ না।

রাজাকার এই আমার দেশে থাকতে পারবে, কিন্তু থাকতে হবে Second Class Citizen হয়ে। জমা খরচ দিয়ে চলতে হবে। দৃস্টি নীচে রেখে হাটতে হবে। নরম স্বরে কথা বলতে হবে। বুঝতে হবে ওরা আমাদের করুনায় এখনো বেঁচে আছে।

আর ফাসী হয়ে গেলে তো, আলহমদুলিল্লাহ্‌। ঘুম ই ঘুম।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১১

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ব্লগার ডাব্বা,

আপনার সাথে একমত। যারা মানুষের অসহায়তার সময় তার পাশে না দাঁড়িয়ে বরং তার অসহায়তার সুযোগ নিয়েছে, যারা অসহায় মানুষ গুলাকে সাহায্য না করে একি দেশের মানুষ হয়ে ও খুন আর ধর্ষণ করেছে, এবং আজ ও ছদ্মবেশ এ ঘুরছে তাদের ফাঁসি হবেই ইনশাআল্লাহ।



অনেক কষ্টে দেশটা স্বাধীন হয়েছে। ছোট দেশ হতে পারে। কিন্তু অনেক রক্ত দিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এ স্বাধীনতা এসেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাদের অসম্মান আমরা মেনে নিতে পারি না।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২১

ডাব্বা বলেছেন: রাইট। অনেক আশা নিয়ে বসে আছি। এই জাগরনটা যদি আমাদের মানসিকতায় একটা পজিটিভ বদল নিয়ে আসে, সেটাই আসল পাওনা।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: একমত, আমি বিশ্বাস করতে চাই, ২০১৩ সালের এ মহা জাগরণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।

একারণেই এখানে জনগণের জয় হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

একতাবদ্ধ জাতি হিসেবে থাকলে আমরা অনেক অসম্ভব কেও সম্ভব করতে পারি।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

বাকরুদ্ধ আমি বলেছেন: আমার জানামতে শিবির সকল নেশা থেকে বিরত , সকল ইভ টিজ থেকে বিরত , খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে । টেন্ডার বাজি ,দলীয় কোন্দলের উর্ধে থাকার চেষ্টা করে ।

অথচ অন্য দলগুলির অবস্থা কি ?

যদিও পারিবারিক ভাবে বিএনপি করি । তবে শিবিরের কার্যক্রমকে খারাপ বলতে আমি নারাজ ।

লীগ ও দলের ছেলেদের থেকে ওরা অনেক ভালো । কয়েকটি বন্ধু পেয়েছিলাম ভার্সিটি লাইফে ।

ওরা ওদের মত থাকতো । সেখানে আমরা থাকতাম গাজা গুলি ,বিড়ি সিগারেট খাওয়ার ধান্দায় , আরও নানান ধান্ধায় থাকতাম ।এই কাজে ওদেরকে দেখি নি ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আমি ভাগ্যবান। আমার ক্লাস মেইটরা বিভিন্ন দলের হয়ে মিছিল, শ্লোগান, মারামারি, রাজনীতিতে পটু হলেও, কেউ ইভটিজিং, নেশা করত না।

আমার মতে প্রত্যেকের উচিত অপর মত কে শ্রদ্ধা করা। একি সাথে মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত মানবহত্যাকারীদের বিচার বাধাগ্রস্ত না করা, সে যে দলের ই হোক।

ধন্যবাদ, মানুষের হত্যাকারীদের বিচার না চাওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.