নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুষ্পরেণু২০১৫

পুষ্পরেণু২০১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেপথ্যকথা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৫

তোমাকে বলিনি কিছু; না-বলে না-বলে
বিশাল পাহাড় এক গজিয়ে উঠেছে
দ্যাখো বুকের গহনে; মেঘের মাদুর
ছিঁড়ে - মাথা তুলে জেগে আছে ওই চূড়া
জলের বিন্দুতে ভরা কোনো জানলার
কাচ বুঝি - তাপ ও অঙ্কের হীম স্পর্শ
সব রক্ত শুষে নিয়ে গ্যাছে বহুদূর।

রক্তের সন্ধানে তাই কিছু পোষা পাখি
ছেড়ে দেই রোজ ভোরে - সারাদিনমান
উড্ডীন পাখির দল এইখানে ওইখানে
যায়, এর সাথে ওর সাথে কথা বলে
জেনে নিতে চায় কবে কেউ দেখেছিলো
শেষবার উড়ে চলা রক্ত-পারাবত
শুনেছিলো সেই পায়রার ঝাঁক থেকে
জলের বিন্দুর মতো ঝরে পড়া শব্দ
ও শব্দের আর্তনাদ - লাল আহাজারি।

সন্ধ্যার সামান্য আগে পোষা পাখিগুলি
ফিরে এলে আমি উদগ্রীব মন নিয়ে
তাদের আসরে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসি
আমার দু’চোখ দেখে তারা বুঝে যায়
আসলে হারানো রক্তের খোঁজ চাই আমি।
যেন রক্ত নয় ওই ঝরে যাওয়া লাল
বিন্দুগুলি - সন্তানের অন্যরূপ বলে
এখনো তাদের মায়া কাটাতে পারিনি।
যেহেতু তারাও এতদিনে বুঝে গ্যাছে
রক্ত ও সন্তান সমার্থক - গর্ভগৃহে
আলো পেলে ফুল হয়ে ফুটে ওঠে রক্ত
রক্তের মুখোশ পরে ডাক দেয়, পিতা
পিতা বলে, তাই যেন চায়না কখনো
পাহাড়ের অশ্মচোখ আবার গলতে
আরম্ভ করুক। তারা তো ভালোই জানে
একবার ঝরে গেলে কোনো রক্তবিন্দু
ফিরতে পারে না কোনোদিন - হতাশার
গল্প তাই শোনায় না সেইসব পাখি
তবু আমি শুনে যাই প্রতিটি পাখির
ঠোঁট থেকে ঝরে পড়া লাল আহাজারি।

তোমাকে বলিনি কিছু; না-বলে না-বলে
পাহাড় হয়েছি দ্যাখো মেঘের সম্রাট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.