![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যে এত ঘন পুষ্পলোভ, সম্রাটের আসন ছেড়ে সহসাই নেমে যাওয়া হাত ধরে ফুল্লরার, এ-সবের মানে কিছু জানো নাকি, মণিভূষণ!
তোমার রক্তের একমাঠ দূরে বসে আমি তাস খেলি। কত রাজা উড়ে যায়, কত রাণি গোলামের পার্শ্বচর হয় আর আমি ক্রমাগত পাকা জুয়াড়ির কাছে হেরে গিয়ে খুইয়ে বসি একান্ত বাগানবাড়ী, গার্হস্থ্য ও সন্ন্যাস।
শেষতক আমাদের মাঝে এক বুনো অর্কিড উঁকি দিয়ে বলে, ভালো করে দ্যাখো সোনাধন, আমিই তোমার পিতা। এক তুফানের রাতে উড়ে গিয়ে বালিতে ফুটেছিলাম। সেখানেও জল ছিলো উটের গলায়, মরুদ্যানের স্বপ্নে বিভোর একজোড়া কালো গোলাপের চারাগাছ ছিলো। ফিরেই আসতাম না, যদি না দেখতাম তুমি ক্রমাগত হেরে যাচ্ছো ওই পাকা জুয়াড়ির কাছে যে আসলে রত্ন ও সম্পদ নয়, রক্তপিপাসার কাছে হেরে গিয়ে খেলায় বসেছে এবং এখন পর্যন্ত বহু মানুষের রক্ত নিংড়ে নিয়ে দ্যাখো চোখে এক মধুর ফণা তুলে হাত নাড়ছে। আসলে সে রক্ত চায়। ধমনিতে বহমান উষ্ণতর রক্তের স্বাদ।
চোখ পড়ে জুয়াড়ির চোখে- সহসাই দেখি সেখানে অজস্র মানুষের হাড়গোড়, কঙ্কাল পড়ে আছে, কালো স্রোতে ভেসে যাচ্ছে সব গন্ধলোভী পতঙ্গের দল।
তাই বলি, ফিরে এসো মাণিকলতায়। সামান্য বিন্দুর মতো ফুটে থাকো। কেউ তোমাকে হারাতে আসবে না। আর যাকে তুমি নাম ধরে ডাকলে কিছু আগে, সে তোমার পিতামহ, বৃদ্ধ তারকার মতো খসে গিয়ে আজ রক্তের দোসর হয়েছে।
গন্ধলোভ বা সাম্রাজ্য ত্যাগের সেই যে প্রাচীন গল্প, এ-সবের মানে কেউ জানে না। তুমিও জানবে না। তবু জেনো, কিছু লোক চিরকাল ফুল্লরার হাত ধরে নেমে যাবে সিংহাসন থেকে।
©somewhere in net ltd.