নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

আমি একই সাথে প্রেমিক এবং বুর্জোয়া

রাব্বি রহমান

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

রাব্বি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাকশাল : বামদের একটি অপপ্রচার

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

রামপালে তাপবিদ্যু ৎ কেন্দ্র এই নির্মান করা হবে এই ইস্যুতে বামরা স্লোগান দেয় হাসিনা -মনমোহনঃ বাংলাদেশের দুষমন । হুম এরা বামদের কাছে চিরকাল দুষমনই ছিল । ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের যে সহযোগিতা করেছে সেই ঋণই তো আমরা জীবনেও শোধ করতে পারবো না । এক শ্রীমতি ইন্দীরা গান্ধীর ঋণ শোধ করতে আমরা যদি ভারতের জন্য রামপালে কেন ঢাকায়ও তাপ বিদ্যুৎ নির্মান করি তাতেও তার ঋণ শোধ করতে পারবো না ।


এবার বামদের প্রসংগে আসা যাক বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ন্যামে যোগ দিলেন । আর তিনি বাংলাদেশের উন্নতির জন্য সমাজতান্ত্রিক সরকার গঠনের কথা ভাবলেন । এর পিছনে কারনটা ছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বন্ধুর তালিকায় ছিল রাশিয়া,ভারত,সেনেগাল,কিউবা,ভেনেজুয়েলা ইত্যাদি । আর শত্রুর তালিকাটা আরও দীর্ঘতর আমেরিকা,চীনের মত বহু পরাক্রমশালী দেশ ।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার সমাজতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কারও আদলে না করে নিজস্ব রূপরেখায় করতে চাইলে চীন/রাশিয়া পন্থী সমাজতান্ত্রিক দেশ গুলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সাহায্য সহযোগিতা করা বন্ধ করে দেয় । আর তৎকালীন চীন , রাশিয়া পন্থী বামরাও এই ইস্যুতে রাজাকারে ভূমিকায় অবতীর্ন হয় । একটু ভাল ভাবে খেয়াল করলেই দেখবেন বামরা সমাজতন্ত্রের বুলি আওরায় আবার বাকশাল ইস্যুতে মুজিবকে গালি দেয় । পুরো বিশ্বের দেশগুলো যখন বাংলাদেশকে সহোযোগিতা করা বন্ধ করে দিল তখন শেখ মুজিব বাংলার উন্নয়নে ১০ বছর মেয়াদী একটা পরিকল্পনা গ্রহন করলেন । যে প্রক্রিয়ার অন্যতম একটি বিষয় ছিল এই ১০ বছরে বাংলাদেশে কোন রাজনীতি থাকবে না সবাই যার যার নিজস্ব অবস্থান থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে । চীন যেমন এই পদ্ধতির অনুসরন করে আজ বিশ্বের বুকে পরা শক্তি । ১০ বছর পর বাংলাদেশ দাড়াবার শক্তি অর্জন করলে তখন রাজনীতি শুরু করা যাবে । আর এরই অংশ হিসেবে গঠন করলেন বাকশাল । অনেকেরই বাকশাল নিয়ে সঠিক কোন ধারনা নেই। বাকশালের পূর্নরূপই অনেকে জানেন না । এই বামদের দেখা যায় বাকশাল নিয়ে চুলকানি খুন বেশি ।

স্বাধীনতাবিরোধী জামাত শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা বরাবরই বঙ্গবন্ধুকে তাচ্ছিল্য করতে বাকশাল শব্দটা ব্যবহার করে। নিশ্চিত জানি তারা অনেক কিছুর মতোই শুধু শব্দটাই জানে, বানান জানে, আর কিচ্ছু জানে না । শুধু মুখস্ত বুলি আউরে যায়। দুঃখজনকভাবে এই জানার ঘাটতিটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির মাঝেও প্রবল । এমনকি খোদ আওয়ামী লীগের অনেকেই দেখেছি এই বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখেন না বলে বাকশালকে আওয়ামী লীগের বিষফোড়া এবং শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ঐতিহাসিক ভূল বলে মানেন । সত্যিই কি তাই?


মৃত্যুর আগপর্যন্ত এমনিতেই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু, তাই আলাদা করে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার দরকার ছিলো না । যে গণতন্ত্র হত্যার কথা বলে কুমিরের কান্না কাঁদে কেউ কেউ, তার জবাবটাও মুজিব সাক্ষাতকারে দিয়েছেন । তবে তাকে সপরিবারে হত্যার পেছনে এটাকে যতই অজুহাত হিসেবে দেখানো হোক, আসলে কেনো হত্যা করা হয়েছে সেটা তো এখন পরিষ্কার (যদিও মুজিব তাকে হত্যার আশঙ্কা জানিয়ে গেছেন আগেই)। দেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে, সেটা না পেরে ঢালাও ভাবে সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের গণ ফাঁসি আর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিদের পুনর্বাসন । নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করতে কতই গল্পই না বানালো খুনী আর নেপথ্যের কুশীলবরা । বাকশাল তারই একটি, আর এটাই সময় এ নিয়ে মিথ ভাঙার। স্বাধীনতা যদি বিপ্লব হয়, সেই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় এসেছিল বাকশাল । হঠাৎ করে নয়। প্রথম বিপ্লব, স্বাধীনতা, রাজনৈতিক মুক্তি। দ্বিতীয় বিপ্লব অর্থনৈতিক মুক্তি, সাধারণ মানুষের । চীন-রাশিয়া বাদ দিলাম, কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো, ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর ইমাম খোমেনীও বিপ্লবের রেশ বজায় রাখতেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই চালিয়ে গেছেন।

এদের কাউকে নমস্য মানেন?

তাহলে মুজিবের কি দোষ?



বাকশালে অবলুপ্ত দলগুলোর মধ্যে তালিকার প্রথম নামটি জানেন তো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।


বাকশাল এর পূর্ণ নাম বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ । বাকশাল ব্যবস্থার অধীনে কোন অদলীয় শ্রেণী ও পেশাভিত্তিক সংগঠন এবং গণসংঠন করার কোন অধিকার নেই। ট্রেড ইউনিয়ন মাত্রই তাকে বাকশালের অঙ্গদল শ্রমিক লীগের অন্তরর্ভুক্ত হতে হবে। এই ব্যবস্থায় জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ এবং জাতীয় ছাত্রলীগ বাদে কোন শ্রমিক, কৃষক, মহিলা, যুব ও ছাত্র সংগঠন থাকতে পারবে না। আর উপরোক্ত সংগঠনগুলি হচ্ছে বাকশালেরই অঙ্গ সংগঠন।

একটি শোষণহীন, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ ও শোষিতের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠাকরণ । বাকশাল কর্মসূচীকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় । এক. রাজনৈতিক, দুই. আর্থসামাজিক, তিন. প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থা

এই পদ্ধতিটি অনুসরন করবার কারন ছিল কি?

সেটা আমরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষন করলেই বুঝতে পারি । লেজুরবৃত্তি,ঘুষ,সেনাবাহীনীর মত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এসব আর থাকতোনা ।

বামপন্থীরা আজ দেশপ্রেমের বুলি ঝাড়ছে হাসিনাকে গালি দিচ্ছে । অথচ এরা জাতির পিতার নিতীর প্রতিও বিন্দু মাত্র শ্রদ্ধা দেখায় না । এরা মুখে মুখে সমাজ তান্ত্রিক কিন্তু রাতে বুর্জোয়াদের উৎকোচ নেয় , এক কথায় যাকে বলে পেইড এজেন্ট ।

লেখার শুরুতে দুইটা নামের কথা বলেছিলাম কারন এরাই খুব বেশী বাকশাল নিয়ে চুলকানিতে ছিল ।


সমাজতন্ত্র এখন ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে চলে গেছে, আর বাঙালী এই তন্ত্রের উপযুক্তও নয়। আমি গরীব পছন্দ করি, কারণ গরীব থাকলে আমার নিজেকে ধনী মনে হয় । দান-ভিক্ষা দিতে পারি । আমি ৫ ভাগ সুবিধাবাদীর দলে থাকতে চাই । বাকশাল স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অনিবার্য ছিলো, আমার কাছে মনে হয়েছে যুগান্তকারী পদক্ষেপ । না হলে, বঙ্গবন্ধুকে মরতে হতো না ।

আমরা রাজাকার তাড়ানোর আন্দোলন করি কিন্তু যেই বামদের কারনে আমরা জাতির পিতাকে হারালাম তাদের মন্ত্রী সভায় আসন দেই ।

( ১০ অক্টোবর , ২০১৩ সালে লেখা একটি নোট )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

তিক্তভাষী বলেছেন: আপনি হয়তো বিলুপ্তপ্রায় বাকশালী গোষ্ঠির একমাত্র স্যাম্পল। সাবধান থাকবেন।

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:১৯

রাব্বি রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.