![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!
ঠুনকো মানসিকতা বলে মনোবিজ্ঞানে কোন শব্দ আছে কিনা আমার জানা নেই । আমার মনে হয় আমার মানসিকতা তেমন ; এটা অবশ্য শুধু আমার দাবী নয় আমার আশে পাশের অনেকেই বলে । আমি নিজেও সাইকোলজিতে অতটা দক্ষ না। আমি যতটুকু জানি ১০ হাজার কোটি নিউরনের অবস্থান , কর্মক্ষমতা , কর্ম সম্পাদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের আচারন কিংবা মানসিকতার উদ্ভব হয় ।
আমার নিজেকে ঠুনকো মানসিকতার মনে হওয়ার কারন কারন আমার একটি ডাটা ইনপুট দিতে যতটা সময় লাগে তার থেকে প্রসেসিং এ সময় আরও কম লাগে আর সে ডাটা মুছে ফেলতে অনেক সময় লাগে । তার মানে আমার হার্ড ডিস্ক অনেক দ্রুত ডাটা নেয় আবার দ্রুত প্রসেসও করে কিন্তু সহজে ইরেজ করতে পারে না । তার মানে মেমোরিতে যত দিন যাচ্ছে একটা জ্যামের মতো তৈরী হচ্ছে । যার প্রভাব প্রসেসরে পরতে অবশ্য অনেক সময় লাগবে কিন্তু অনেক জানা অজানা ফাইলের মাঝে মজুদ কৃত ডাটা গুলো খুঁজে পাওয়াও একটা দুঃসহ কাজ হয়ে দাড়িয়েছে । যার কারনে সবাই বলে আমি যখন যে কাজটা পাই সেই কাজটা নিয়েই অতি উৎসাহী হয়ে পরে থাকি । এসব অবশ্য Evolutionary psychology র আওতা ভুক্ত ।
সব কিছু বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হয়ে চলছে এবং এর মধ্যে আমিও । সুতারং সমাজে প্রচলিত আমার ঠুনকো মানসিকতা যদি থেকেও থাকে তাহলে সেটিও আজ পরিবর্তিত হয়ে একটা স্টাবল পর্যায়ে চলে এসেছে । সুতারং আমার দশ হাজার কোটি নিউরন এখন অনেক ডাটা নিতে চাইলেও নিতে পারছে নাহ ।
আমাদের অনেকের মানসপট নির্মানে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার একটা ছাপ আছে । সহজ ভাষায় প্রি ডিটারমাইন্ড / মাইন্ড সেটআপ বলা যেতে পারে । এটা মনে হয় জ্ঞানীয় বা কগনিটিভ মনোবিজ্ঞানের মধ্যে পরে । সুতারং এরকম থাকলে তাদের আচারনবাদ হয় অনেক উগ্র । জানিনা আচারনবাদ এটাকে সমর্থন করে কিনা । আমার তথাকথিত ঠুনকো মানসিকতায়ও এই ক্রাইটেরিয়া আছে কিনা জানি নাহ । তবে কৃত্রিমতার চর্চা মাত্রাতিরিক্ত থাকলে সমাজে নিজেকে যেভাবে ইচ্ছা ঐভাবে উপস্থাপন করা যায় ।
পুনশ্চ –
আমরা বিবর্তনীয় অথবা জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানের যে শাখার কথাই বলি না কেনো । মানুষকে আসলে কোন প্যারামিটারে সঙ্গায়ন করা সম্ভব না এটাই সত্য কথা । যদি সাইকোলজির তত্বে মানসিকতাকে বিচার করতেও হয়া তাহলে –
মনকে গনণা যন্ত্র ধরে নিয়ে বাইনারী এক এবং শুন্যের সমীকরনে হিসেব করতে হবে । যেখানে আউট পুটের হিসেবটাই বড় হয়ে দাঁড়াবে । জীবন হবে কৃত্রিম ।
পৃথিবীর সুখী মানুষেরা ইকুয়েশনে বিশ্বাস করে না অকৃত্রিম ভাবে ভালোবাসে , না পেলে পাগলের মতো কাঁদে আবার নিজের সুখ খুঁজে পাওয়ার জন্য উৎসের সন্ধানে বেরিয়ে পরে ।
আধুনিকতা যেখানে আগ্রাসী জৈবিকতা সেখানে প্রগাড় মমত্ব বোধের স্বপ্ন খুঁজে বেড়ায় ।
সর্বোপরি –
“Our modern skull house a stone age of mind”
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২০
সকাল হাসান বলেছেন: Our modern skull house a stone age of mind
সহমত কথাটার সাথে!