![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!
শীত চলে এসেছে ! বিশ্বের অনেক দেশে তুষারপাত শুরু হলেও বাংলাদেশে শীতের প্রকোপ এখনো ততটা দেখা যাচ্ছে না । আবেগী মানুষের কল্পনা বিলাস বাংলাদেশেও যদি তুষারপাত শুরু হতো , দ্রুত সাদা হয়ে উঠতে শুরু করতো সব কিছু। সে বরফপাতে শুভ্র হয়ে আমি তুলতাম প্রিয় নীলাভ- বেগুনি ল্যাভেন্ডার । ওরা শৈত্যপ্রবাহের সাথে যুদ্ধ করে সতেজ থেকে ফুল ফোটাতে চাইতো । আমারও জানা নেই কি ভাবে প্রিয় গাছ গুলোকে বাচিয়ে রাখবো । প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহে তুলতুলে নরম হয়ে ঝরে যাবে । কালো হয়ে যাবে পাতা। বসন্তে মাথা তুলে জাগবেনা হয়তো বা আবার, হাসবে না মনভুলানো রঙের হাসি আর অপূর্ব সৌরভে জড়িয়ে রাখবে না আমাকে।
নতুন ঋতু আসার আগেই তাকে বিদায় দিয়ে কবে বসন্তকে বরন করে নেবো সেই প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে শুরু করে দিয়েছি । শহরের একদম শেষ প্রান্তের নদীটায় নীল রঙের পানি প্রবাহিত হচ্ছে আর ওপারের উচু উচু সারি বদ্ধ দালানগুলোর ছবি প্রতিফলিত হচ্ছে নদীর স্রোতহীন পানিতে । ব্রীজের এ পাড়ে দাঁড়িয়ে ওপারে যাওয়ার কথা ভাবছি। এপার আর ওপারের মাঝে কতটা ব্যবধান ?
একবার শেষ বিকেলে দাঁড়িয়ে ছিলাম মিসিগানের শেষ সীমানায় ; সামনে বয়ে যাচ্ছিল সেন্টক্লেয়ার নদী। ওপারে সার্নিয়া , কানাডার একটি শহর দেখা যাচ্ছে । ব্লুরিভার ব্রীজটি মিলিয়েছে দুইটি দেশকে। ওপারে যাওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছে জেগেছিলো ? মনে হয়েছিল কখনও কি দেখা যাবে ওপারের ওই শহর। কি আছে সেখানে, কেমন জীবন যাপন।
ব্লুরিভারের ব্রীজ পেরিয়ে যাওয়া হবে কি অন্যপাড়ে কোনদিন ?
জীবন প্রবাহমান , এর গতিপথও প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল । একদিন ঠিকই সুযোগ চলে এলো ব্লুরিভার পারি দিয়ে ওপারের সেই শহরে যাওয়ার । অনেক সাধনার ব্যাপার ছিলো । বড় বড় ব্রীজ তার উপর দিয়ে বড় বড় লরি , ট্রাক পেরিয়ে যাচ্ছে অনেক রকম পণ্য নিয়ে। এপার আর ওপারের জীবন যাত্রায় অনেক পার্থক্য, এপারে যেমন শান্ত নিরবতা ওপারে তেমন ব্যস্ত নাগরিক জীবন। এপারের মানুষও কবিতা ভালোবাসে ওপারের মানুষও কবিতা ভালোবাসে কিন্তু পার্থক্য এপারের মানুষ মোহাচ্ছন্ন হতে ভালোবাসে আর ওপারের মানুষ বাস্তবতায় বিশ্বাসী । দুই দেশের পতাকা উড়ছে পাশাপাশি আমেরিকা আর কানাডার। রাতের ঘন অন্ধকারে শুয়েছিলাম এক ঘন বনের ক্যাম্পগ্রাউণ্ডে , অসংখ্য বুনো জন্তু আর পাখির সাথে সার্নিয়ায়। এই পারের বনের পশু প্রথমে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায় তারপর ছিড়ে খেতে চায় হৃৎপিণ্ড । আঘাত করতে চায় সত্তায় । আশা দেখায় নৈরাশ্যে ভুক্তভোগীর মুর্ষে যাওয়া মুখ দেখার নেশায় ।
অন্যরকম ভালোলাগার কাল্পনিক গল্প শোনাচ্ছিলাম । সময় গড়িয়ে গেছে অনেক । মাথার ভিতর কোন এক বোধ কাজ করে প্রতিনিয়ত । স্বপ্ন নয় শান্তি নয় ভালোবাসা নয় বিস্তৃত এক অনুভব ; আমি তাকে শত চেষ্টা করেও তাকে এড়াতে পারছিনা । দ্রুততার সাথে অনেক আবেগ আর আনন্দ হারিয়ে যাচ্ছে। আার সহজিয়া চলার পথে বুকের ভিতর জড়িয়ে থাকা ভালোলাগার গল্পগুলো হারিয়ে ফেলা্র বেদনা। ঘুমুতে পারছিনা । দেশ থেকে দেশান্তর পারি দিচ্ছি , ঘুরছি ফিরছি কিন্তু খাচ্ছি না।
মুক্তির প্রবল নেশায় দুঃখের প্রাচীরের মাঝে আমি উন্মাদ হয়ে গিয়েছি অনেকেই বলে । অনেকেই আজকাল পাশে দাড়াচ্ছে , কেউ কেউ সান্তনা দিচ্ছে । আমি নাকি ব্যর্থ ? অন্তত সহানুভূতিশীল মানুষের ধারনায় শ্রদ্ধাশীল হবার জন্য হলেও বারবার ব্যর্থ হই আমি । আর শহরের পুরোনো রাস্তার সদ্য মেরামত করা নতুন প্রাচীরে লিখে যাই আমার কাল্পনিক ব্যর্থতার বিরাট ইতিহাস ।
বেশ ভোরেই ঘুম ভেঙ্গেছে আজ । নাকি ঘুম ভাঙ্গার মত কোন ঘটনায়ই আজ ঘটেনি ? জীবন আগের গতিময়তায় ফিরে পেয়েছে অনেকটা । বিতর্কটাও শুরু করেছি আবার। ব্যাস্ততা বাড়তে শুরু করেছে ।এইতো কিছুদিন আগের সময় গুলোও এলোমেলো ভাবনায় ভরে থাকতো । দ্বায় চাপাতাম অলস মস্তিস্কের উপর। এখন চাপাবো কার উপর ?
দিন বা রাতের অধিকাংশ ক্ষণ কাটছে একই ভাবে , বৈচিত্র্য নেই ভাবনায় । এর মাঝেই জীবিকার প্রয়োজনে নিজেকে বাধ্য করা অন্য ভাবনায় , কাজে । ভুলে যাচ্ছি সোনালী সময় ।
আজ সকাল থেকেই মনে বাজছে কিছু কথা, কিছু সুর আর সে সুর অনায়াসে উদ্ধার করা গেলেও তার বানী স্পষ্ট করতে বেশ বেগ পেতে হল।
" এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার ......" ইন্দ্রনীল সেনের কণ্ঠে অনেক শুনেছি গানটি।
গানের কথা গুলি মনে পড়তেই অনলাইনে সার্চ করে পেয়ে গেলাম মূল শিল্পী জটিলেশ্বর মুখোপধ্যায়ের গাওয়া গানটি। পেলাম আরও একটি প্রিয় গান একই শিল্পীর গাওয়া-
"তোমার সঙ্গে দেখা না হলে ভালবাসার দেশটা আমার দেখা হতোনা,
তুমি না হাত বাড়িয়ে দিলে এমন একটি পথে চলা শেখা হতোনা। ......"
মাঝে মাঝে মনেহয়, যদি সব কিছু ভুলে থাকা যেত ইচ্ছে মত, ভাল হতো। যে সব মানুষকে বলি মেশিন, চাইলেই যদি নিজের জীবনটাকে, অনুভূতি গুলিকে তাদের মত করে সাজিয়ে নেয়া যেত, ভাল হতো। পরে মনেহয়, জগতে সকলের ভাল তো এক রকম বা একই পথে নয়।
এরকম চিন্তায় প্রতিদিন মাঝরাত হয় আবার ঘোর এক অমানিষায় রাত কেটে যায় । শুধু বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে অনেক গুলো শব্দ নাম আর ডাক ।
এভাবেই রাত কেটে যাচ্ছে ।
সকাল হচ্ছে ।
স্মৃতিগুলো আলো হয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে ।
কথাগুলো শব্দ হয়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ।
নিউরনের নিথর আয়না আর দেয়ালিকায় ।
অথবা আবারও কল্পনায় চলে যাই-
আমি গোল্ডেনগেট, পৃথিবীর এক সপ্তম আশ্চর্যর উপর দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছি ঝকঝকে অনুভবে। ওপারের রহস্যকে উন্মোচন করতে, এমন কত সংযোগ কত পুল পাড়ি দিতে হয় আমাদের জীবনের ধাপে ধাপে । মাঝে মাঝে অবাক বৈচিত্র মরীচিকার মায়ায় হারাই। সব অজানা রহস্য হয়ে উঠে সুন্দর স্বপ্ন মধুর আমার কাছে। প্রতিটি অজানা আসে চ্যালেঞ্জিং হয়ে আমার কাছে তাকে গ্রহণ করি সাহসে। তার সাথে পাল্লা দেই অকুত ভয়ে শেষ সীমানা দেখার দুঃসাহসিক স্বপ্ন নিয়ে। ইচ্ছে করি আরো অনেক সেতু পেরিয়ে যাওয়ার। বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি ।
৭২২/৩ পশ্চিম কাজীপাড়া,
সকাল ৬ টা ১৫ মিনিট ,
১৬ নভেম্বব , ২০১৪ ।
২| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:১১
রাব্বি রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
বিনয়ন বলেছেন: অনুভূতি গুলো প্রকাশ পেয়েছে সুন্দর কোমলতায়