নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

আমি একই সাথে প্রেমিক এবং বুর্জোয়া

রাব্বি রহমান

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

রাব্বি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান মনস্কতার রূপঃবিজ্ঞান এবং সাহিত্যের সম্পর্ক

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

নিজের একটা গভীর হতাশার কথা বলে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি অনুভব করছি শুরুতেই না হলে আমার এই লেখার কোন প্রাসাঙ্গিকতা খুজে পাওয়া যাবে না। আমি নিজে একজন বিজ্ঞানের ছাত্র বস্র প্রকৌশলে পড়াশোনা, মাঝে শখের বশে কিছু কবিতা-গল্প লিখে ফেলেছি । সেগুলোর সাহিত্যমান সম্ভবত একদম যাচ্ছেতাই হওয়ার কথা । অনেকগুলো বই পড়েছি জীবনে তাই মাঝে মাঝেই আইনস্টাইন-নিউটনের দুনিয়ার বাইরে এসে রবীন্দ্রনাথ-শেক্সপীয়ারদের দরজায় ঘোরাঘুরির দুঃসাহস দেখাই। সাহিত্য গুরুদের বিজ্ঞান মনস্কতার রূপ এবং বিজ্ঞান ও সাহিত্যের সম্পর্কই আমার এই লেখার মূল উদ্যেশ্য।

পরিবেশে দৃশ্যমান দৃশ্য এবং অদৃশ্যমান দৃশ্য দুই প্রকারেরই দৃশ্য বিদ্যমান । সহজ এবং সাধারন বিষয়গুলো সবাই সাধারন ভাবে নিলেও একদল লেগে থাকেন কি করে চলমান দৃশ্যকেই কিভাবে একটা ফ্রেমে রূপ দেয়া যায় । গল্পে , কবিতায় , উপন্যাসে , সিনেমায় , নাটকে , গানে কিংবা আলোকচিত্রের ফ্রেমেই এরা তুলে ধরে চলমান সমাজের বাস্তবিক রূপ যেগুলো হরহামেশাই আমাদের সামনে ঘটে । তাদের ফ্রেমে ধরা পড়ে জীবন, প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা । তাঁরা জীবনকে, এই চরাচরের প্রাণ-অপ্রাণ সব কিছুকেই দেখেন দার্শনিকের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। তাঁদের লেখনীগুণে জীবন ও জগতের সমস্ত সত্য কাব্যসুষমামন্ডিত হয়ে সৃষ্টির রূপ পায়। এদের জগৎটাকে শিল্প সাহিত্যের পৃথিবী বলা হয় ।

এর ঠিক বিপরীতেই আরেক দল যারা বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেয়ে ব্যবহারিক মাত্রাটাকেই বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকে । কল্পনাবিলাসী চিন্তা এদের কাছে একদম জিরো দিয়ে এক কোটিকে ভাগ করার সমান। এরা দৃশ্যবদলের কারিগর । এই কারিগরেরা সত্যের সন্ধানী, সত্যের পূজারী। এই মহাবিশ্বের যাবতীয় চেতন ও অচেতন বস্তুর পেছনে ‘কী, কেন, কোথায় কীভাবে’ প্রশ্নমালা নিয়ে নিরন্তর সত্যের সন্ধানে রত এরা । শিল্পায়নের সূচনা এদের হাত ধরেই । যন্তর-মন্তর ঘরের গরু খোঁজায় ব্যস্ত দলটার পৃথিবীটা বিজ্ঞান বলেই পরিচিত ।
দুইটা জগৎ কে পাশাপাশি দাড় করিয়ে দিলে দেখা যাবে একদল অবাস্তব কল্পনায় বিভোর আরেক দল কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে ব্যস্ত । তাই বিজ্ঞান ও সাহিত্য উভয়কেই সত্যসন্ধানী বললে একটুও বারাবারি হবে না। তাই এই দল পরস্পর মুখোমুখি তো নয়ই বরং একে অন্যের পরিপূরক।

বিজ্ঞান ও সাহিত্য তাই পরস্পরবিরোধী তো নয়ই, বরং একে অন্যের পরিপূরক। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের প্রবর্তক , এক সময়কার কল্পবিজ্ঞানের রচয়িতা প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসু্র একটি উক্তি স্মরণ করা যেতে পারে এই প্রসঙ্গে –

“ কবি এই বিশ্বজগতে তাঁহার হৃদয়ের দৃষ্টি দিয়া একটি অরূপকে দেখিতে পান, তাহাকেই তিনি রূপের মধ্যে প্রকাশ করিতে চেষ্টা করেন। অন্যের দেখা যেখানে ফুরাইয়া যায় সেখানেও তাঁহার ভাবের দৃষ্টি অবরুদ্ধ হয় না। সেই অপরূপ দেশের বার্তা তাঁহার কাব্যের ছন্দে ছন্দে নানা আভাষে বাজিয়া উঠিতে থাকে। বৈজ্ঞানিকের পন্থা স্বতন্ত্র হইতে পারে, কিন্তু কবিত্ব-সাধনার সহিত তাঁহার সাধনার ঐক্য আছে। দৃষ্টির আলোক যেখানে শেষ হইয়া যায় সেখানেও তিনি আলোকের অনুসরণ করিতে থাকেন, শ্রুতির শক্তি যেখানে সুরের শেষ সীমায় পৌঁছায় সেখান হইতেও তিনি কম্পমান বাণী আহরণ করিয়া আনেন ”। (কবিতা ও বিজ্ঞান – অব্যক্ত)


আমাদের সমাজের অনেকের কাছেই যারা শিল্প সাহিত্যের চর্চা করে থাকে তাদের আতেল মনে হয় আবার যারা বিজ্ঞান চর্চা করে থাকে তাদেরও আতেল বলা হয় অনেক সময় । সাহিত্যের কাজ সমাজের মানুষের মনন ও চেতনাকে আলোড়িত করে বদ্ধমূল কোন ধারনাকে বদলে দেয়া ; একই ভাবে বিজ্ঞানের কাজও তাই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে ধারনা কিংবা স্বপন পূরন ।

যে সকল সাহিত্য-পূজারী দেশ-কালের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের আঙিনায় চিরভাস্বর , তারা যে বিজ্ঞানেরও পূজারী হবেন তাতে আশ্চর্য হবার মতো কিছু নেই। বিজ্ঞানমনস্কতা , বিজ্ঞানভাবনার অসংখ্য চিত্র-বাস্তব দলিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমাদের কবিগুরু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য প্রবন্ধে, কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, গানে, চিঠিপত্রে। তিনি বিজ্ঞানের সত্যকে সাহিত্যের মাধুরী মিশিয়ে তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে , আমাদের চেতনাকে সত্যের রঙে রাঙিয়ে দিতে। তাই তাঁর অসংখ্য কবিতা ও গানে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও উপমার উল্লেখ পাই। ‘তিনসঙ্গী’ গল্পগ্রন্থের চরিত্রগুলির দিকে তাকালেই আমরা বিজ্ঞানীদের ছড়াছড়ি দেখতে পাই , একটি গল্পের নামই ‘ল্যাবরেটরী’ ।


আমাদের সমসামিয়িক সময়ের কবি সাহিত্যিকেরা অনেক বেশি বাস্তবিক কার্বন নিঃসরন , সোডিয়াম বাতির নিয়ন আলো , নাগরিক যান্ত্রিকতা , ফসফরাস আরও অনেকগুলো শব্দ রয়েছে যেগুলো বেশ প্রচলিতই । চাঁদ নিয়ে কাব্য, গল্প-গাথায় সব দেশের সব সাহিত্যই উর্বর । আমাদের পৃথিবীর নিকটতম নিকটতম মহাজাগতিক প্রতিবেশীটির জন্মবৃত্তান্ত, জন্মকালীন ও তৎপরবর্তী পরিবেশ, কোটি কোটি বছর ধরে তার বিবর্তন- এমনই অসংখ্য বৈজ্ঞানিক সত্য বিজ্ঞানীরা উন্মোচিত করে চলেছেন। চাঁদে নীল আর্মস্ট্রং আর এডউইন অলড্রিনের পদার্পণের পর থেকে চাঁদের হাজারো কল্প-কথা সরে গিয়ে বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা উন্মুক্ত হচ্ছে । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথেরও চাঁদে প্রাণহীনতা নিয়ে কম আক্ষেপ ছিল না। পত্রপুটে লিখেফেলেছিলেন –


“শুনেছি একদিন চাঁদের দেহ ঘিরে
ছিল হাওয়ার আবর্ত।
…………………………..............
আজ শুধু তার মধ্যে আছে
আলো ছায়ার মৈত্রীবিহীন দ্বন্দ্ব-
ফোটে না ফুল
বহে না কলমুখর নির্ঝরিণী।”


বিংশ শতকের যে সময়টা বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ , তা রবীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন । দেশ ও বিদেশের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীরা ছিলেন তাঁর সমসাময়িক । তাঁর অন্তরঙ্গতা সবচেয়ে বেশি ছিলআচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে। মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সি.ভি.রমন প্রমুখ বিজ্ঞানীদের সাথেও ছিল তাঁর পরিচিতি। আইনস্টাইনের সাথে রবীন্দ্রনাথের সখ্যতাও বহুচর্চিত বিষয়। ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, উইলহেম রন্টজেন, লুই ভিক্টর ব্রগলি, এডুইন হাবল, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, আরনেস্ট রাদারফোর্ড প্রমুখ বিজ্ঞানীদের কাজের সাথেও তাঁর যথেষ্ট পরিচয় ছিল। ফলে রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার ও অগ্রগতি সম্পর্কে ছিলেন সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। বিজ্ঞানে তাঁর জ্ঞানকে তিনি কবিতায় ও গানে ব্যবহার করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। তাঁর সময়েই বিজ্ঞানের বহু আবিষ্কার শিল্পে জোয়ার এনেছিল। এই সময়ই আবিষ্কৃত হয় অশোধিত খনিজ তেল শোধনের ক্যাটালাইটিক পদ্ধতি, হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক জেনারেটর, বক্সাইট থেকে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশন পদ্ধতি, কৃত্রিম তন্তু, লো-প্রেশার ওয়াটার টারবাইন, পরমাণু বিভাজন পদ্ধতি, বেকেলাইট, ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম, পোলোনিয়াম, পেনিসিলিন, ডিডিটি ইত্যাদি। কবিতা ও গানে বিজ্ঞানের এমন সার্থক প্রয়োগ বিশ্বে আর কেউ করতে পারেননি। শিল্প প্রত্যাশী কবি তাই সাদরে আহ্বান করেছেন যন্ত্রকে তাঁর গানে-


“নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র!
তুমি চক্রমুখরমন্দ্রিত, তুমি বজ্রবহ্নিবন্দিত….”।


বিজ্ঞান আর সাহিত্য একে অন্যের পরিপূরক । একটি ছাড়া আর একটি চলতে পারে নাহ । এইচ জি ওয়েলস , জুল ভার্ন , আইজ্যাক অজিমভরা বিজ্ঞানকে সাহিত্যের পর্যায়ে নিয়ে এসে কল্প বিজ্ঞান রচনা শুরু করলেন যেখনে এসে বিজ্ঞানের বাস্তবতাও সাহিত্যের কল্প বিলাসী রাস্তায় পথচলা শুরু করলো । যেখানে এসে হাজার বছরের চলমান দন্দ্ব একটা সরল রেখায় রূপ নিতে শুরু করলো । বাংলা এবং ইংরেজী সাহিত্যের অনেক যায়গাতেই বিজ্ঞানের বিপ্লবকে তুলে ধরা হয়েছে । বিজ্ঞানের মধ্য দিয়ে প্রেমও গতিপথ খুজে পেয়েছে কোথায়ও কোথায়ও ।

হুমায়ুন আহমেদ সুপারন্যাচারাল পাওয়ার আর প্যারানরমাল একটিভিটি দিয়ে তারই সৃষ্টি করা চরিত্র মিসির আলীকে উপজীব্য করেই বাংলা সাহিত্যে উপহার দিলেন অনেকগুলো সাহিত্য কর্ম । যেগুলো মাঝে মাঝে আমাদের বাস্তবতার সাথে একটি অদৃশ্য অবিশ্বাসের জাল সৃষ্টি করে দেয় । আসলে শিল্পের জগৎটা অনেক উন্মুক্ত ; যদি মানুষকে বোঝানোর জন্য কেউ নগ্ন ছবিও আঁকে যার মধ্যে সংস্কারের বার্তা বিন্দু মাত্র হলেও রয়েছে তাহলে সেটিও শিল্প । আর এই জগৎটাতে সকলের বিচরন কাম্য । এখানে কোন আদর্শই শাশ্বত ও সর্বজনীন হওয়ার যোগ্যতা রাখে না । কাল ও স্থানভেদে সবকিছুর উপযোগিতা যাচাই হয় শিল্পের মধ্য দিয়ে তাই এর সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক না থাকলে আজকের শিল্প এক হাজার বছর পরে মানুষ বুঝতে পারবে না ।

শিল্পের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক থাকবে এটাই বাস্তবতা । আর কবি সাহিত্যিকেরা যেমন একজন শিল্পী ঠিক তেমনি বিজ্ঞানীরাও একরকমের শিল্পী । কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো বিজ্ঞানীদের সাহিত্য চর্চার প্রয়োজন এক রকমের না থাকলেও কবি-সাহিত্যিকদের অবশ্যই বিজ্ঞানের চর্চা কিংবা বিজ্ঞানের আবিস্কার সম্পর্কে অল্প বিস্তর হলেও ধারনা রাখতেই হবে । না হলে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠবে না ।

শ্রীব্রজেন্দ্রচন্দ্র ভট্টাচার্যের বই “সাহিত্য ও পাঠক” থেকে কিছু লাইন উদ্ধৃত করছি -

“ সাহিত্য শুধুমাত্র হৃদয়বৃত্তির ব্যাপার , তাহাতে ইন্দ্রিয় বা বুদ্ধিবৃত্তির কোন স্থান নাই এ ধারণা কিন্তু নিতান্তই অমূলক । ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়াই হৃদয়ে পৌঁছাইতে হয় ।ইন্দ্রয়ই হৃদয়ের দ্বার । সাহিত্যিক বস্তু- জগতের বিভিন্ন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন এবং তাহা রসাশ্রিত করিয়া আমাদের সম্মুখে উপস্থাপিত করেন । তাহা পাঠ করিয়া আমাদের মনশ্চক্ষে যে চিত্র ভাসিয়া উঠে তাহা হৃদয়গ্রাহ্য সন্দেহ নাই । কিন্তু মনের চক্ষুও তো ইন্দ্রিয় । আসল কথা হতেছে এই বস্তু-জগতকেই আশ্রয় করিয়া সাহিত্যিক চিরন্তন সত্য প্রকাশ করিয়া থাকেন। ”

কেউ চাইলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করে উপন্যাস, সিনেমা লিখতে পারেন কিন্তু তার জন্য তাকে সমালোচিত হতে হয়। কেন হতে হয় ? উপরে শ্রীব্রজেন্দ্রচন্দ্র তা ভালই বুঝিয়েছেন !

কেউ চাইলেই সুডোসায়েন্স /কুসংস্কারকে সত্য ঘটনা, নিজের দেখা ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে পারেন, চাইলেই ভাগফল পালটে দিয়ে ফিবোনাক্কি রাশিমালা দিয়ে ভেলকি দেখাতে পারেন, চাইলেই বিগ-ব্যাং স্পেশাল রিলেটিভিটি ভায়োলেট করছে বলে ফেলতে পারেন, চাইলেই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মত পরীক্ষণ নির্ভর র-সায়েন্সের সাথে আধ্যাত্মিকতার সম্পর্কের কথা বলতে পারেন কিন্তু, একটা কিন্তু থেকে যাবে।

এই কিন্তুটাই দূর করতে পারে বিজ্ঞান । সেটা দূরীকরনের অন্যতম উপায় বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করা । শিল্পীর বিজ্ঞান মনস্কতা এখানে অনুঘটক । ‘নবজাতক’ কাব্যগ্রন্থের ‘প্রশ্ন’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ যখনা মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ব ও জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতিবিধিসংক্রান্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সূক্ষ্ম হিসেব-নিকেশ তুলে ধরলেন তখন বিজ্ঞানীর কাজ হয়ে দাঁড়ালো রবি বাবুর প্রশ্ন পিপাসা মেটানোর ।


‘চতুর্দিকে বহ্নিবাষ্প শূন্যাকাশে ধায় বহুদূরে,
কেন্দ্রে তার তারাপুঞ্জ মহাকাল চক্রপথ ঘুরে।
কত বেগ, কত তাপ, কত ভার, কত আয়তন,
সূক্ষ্ম অঙ্কে করেছে গণন
পণ্ডিতেরা লক্ষ কোটি ক্রোশ দূর হতে
দুর্লক্ষ্য-আলোতে।’




------------------------
রাব্বি রহমান ,
কাজীপাড়া, ঢাকা ।
(১০ জানুয়ারি ,২০১৫;রাত - ৩টা৩০)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ ভালো লেখা!!

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:১২

রাব্বি রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ :)

২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাব্বি রহমান ,



আপনার আক্ষেপ আর দুঃসাহস দেখানোর বিষয়টি মানলুম না । বেশ চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন ।

আপনার কোট করা লেখা থেকেই বলি - ----সাহিত্য শুধুমাত্র হৃদয়বৃত্তির ব্যাপার , তাহাতে ইন্দ্রিয় বা বুদ্ধিবৃত্তির কোন স্থান নাই এ ধারণা কিন্তু নিতান্তই অমূলক । ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়াই হৃদয়ে পৌঁছাইতে হয় ।ইন্দ্রয়ই হৃদয়ের দ্বার ।--------

সাহিত্য এভাবেই গড়ে ওঠে সব নিয়ে । যখোন ভাবনারা ভীড় করে আসে তখোন শব্দগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে । আর তখোনই একটি সাহিত্যের জন্ম হয় , জন্ম হয় জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:১২

রাব্বি রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.