![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা আমার জীবন, বাংলা আমার মরণ
নিজাম উদ্দীন আওলিয়া, যার মাজার ভারতের দিল্লীতে অবস্থিত। কথিত আছে তিনি নাকি ৯৯জন লোক খুন করার পর আওলিয়া হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। এটি একটি গুজব-কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।
উপমহাদেশের আওলিয়াকূলের মধ্যে হযরত নিযামুদ্দীন সুলতানুল-আওলিয়ার স্থান অনেক উচ্চে। ৬৩৬ হিজরী সনের ২৭ সফর তারিখে উত্তর প্রদেশের বাদায়ুনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আহমদ ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম। হযরত নিজামুদ্দীনের নাম রাখা হয়েছিল মুহম্মদ। শিশুকাল থেকেই তিন লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু অল্প বয়সে পিতৃহারা হয়ে পড়লে বিদূষী মা তাঁকে উচ্চশিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে দিল্লীতে নিয়ে আসেন। দিল্লীতে তখন আল্লামাম শামসুদ্দীন খাওয়ারেজমীর রহ. বিশেষ খ্যাতি ছিল। বালক নিজামুদ্দীনকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হলো। যোগ্য উস্তাদের একান্ত সান্নিধ্যে থেকে খাজা নিজামুদ্দীন সে যুগের একজন সেরা হাদিস তত্ত্ববিদ ও ফেকাহ শাস্ত্রের বিশেষ বুৎপত্তি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। দিল্লীতে একটি মসজিদের হুজরাখানায় বসবাস করার সময় সে যুগের সেরা সাধকপুরুষ হযরত বাবা ফরীদগঞ্জেশকরের মুরীদ হন। বাবা ফরীদের খেলাফত লাভ করে তিনি উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার পরবর্তী প্রধান কা-ারিতে পরিণত হন। হযরত নিজামুদ্দীন আওলিয়ার প্রচেষ্টাতেই একাধারে চিশতিয়া তরিকা এবং একই সঙ্গে দীনি এলেম সমগ্র উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছিল। বাংলা দেশের হযরত আখী সিরাজ ও হযরত নূর কুতবে আলম রহ. ছিলেন হযরত নিজামুদ্দীনের ভাবশিষ্য। ৭২৫ হিজরীর ১৮ রবিউল আওয়াল তারিখে দিল্লীতে তাঁর ওফাত হয়।
পাক ভারত-বাংলার আদর্শ লোক-শিক্ষক আওলিয়াগণের মধ্যে হযরত নিযামুদ্দীন সুলতানুল-আওলিয়া রহ. ছিলেন শীর্ষস্থানীয় একজন। সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি আজমিরীর পর হযরত খাজা নিজামুদ্দীনের প্রভাব ও খ্যাতি ছিল সর্বোচ্চ। তিনি যেমনি ছিলেন উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আলেম তেমনি এমন কিছু সংখ্যক আলেম তাঁর পুন্য স্পর্শে গড়ে উঠেছিলেন যারা সমগ্র উপমহাদেশ ছাড়াও মধ্য-এশিয়া এবং দূরপ্রাচ্যের ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার সাহচার্য ধন্য সাধক আখী সিরাজ শায়খ নূর কুতবে আলম, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আশরাফ সামনানী রহ. ও শায়খ আলাউল হক তদানিন্তন বাংলার দুই প্রধান নগরী পান্ডুয়া ও সোনার গাঁয় মাদরাসা ও খানকাহ স্থাপন করে এই অঞ্চলে দীনের আলো ছড়িয়েছিলেন।
এহেন একজন মহাপুরুষকে এক শ্রেণীর ইসলাম-বিদ্বেষী অমুসলিম পামড় ডাকাত খ্যাতিতে কলংকিত করার অপচেষ্টা করেছে।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০০
মদন ক বলেছেন: কন কি?
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪
হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: মাওলানা আবুর কালাম আজাদ কিছুদিন আগে কোন এক বেসরকারী চ্যারেলে ইসলামের মুত্যৃদ্নডের বিধানের মহত্ব আলোচনায় নিজাম আউলিয়ার ৯৯ হত্যা কান্ডের উদাহরণ টি তুলেছিলেন।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সম্ভবতঃ বাল্মীকি মুনির জীবনীর সাথে তাঁর জিবনীকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
ভাল লেগেছে, তবে এ ধরনের লেখায় রেফারেন্স দেয়া উচিৎ।
ধন্যবাদ।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮
রাফিম্যান বলেছেন: যেখানে আমাদের প্রিয় নবী স: সম্পর্ক বিধর্মীরা নানা কুৎসা রটনা করছে তখন বিভিন্ন আউলিযা কেরামদের নামে যে করা হবে না তা না আশা করাই ভূল । তবে আমি একটা কথা না বলে পারছি না তাহলো বিধর্মীদের তুলনায় আমরা মুসলমানেরা কিন্তু কোন অংশে কম নই এসব সাধুপুরুষেদের অপমানে ক্ষেত্রে। যেমন আমরা অনেকই মনে করি আমাদের নবী স: নাকি নূবের তৈরি অথচ পবিত্র কোরআন এমনি তিনি (নবী স নিজেই বলে গেছেন তিনি আমাদের মতই মানুস । তাই তাকে অমানবীয় গুনে গুনান্বিত করা তাকে অপমানেরই সামিল। আর এই অপমানে আমাদের একশ্রেনীর ভন্ড হুজুররা কিন্তু এককাঠি বাড়া। তাই আমি সবাই কে আহবান জানাব আসুন আমরা কোরআন ও সঠিক হাদিস অনুশীলন দ্বারা আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করি।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
লালসালু বলেছেন: রেফারেন্স চাই
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২০
ত্রিশোনকু বলেছেন: রেফারেন্স দিলে ভাল হয়।
৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৯
ঝড়১২৩ বলেছেন: রাফিম্যান বলেছেন: আপনে নিজেই প্রথম লাইনে যা বললেন পরে নিজেই সেই কাজ করলেন। নবী নুরের না তো কিসের? আপনেও সঐ গোলক ধাধার মাঝে পড়ে গেলেন। কোরানের যেই আয়াত এর কথা বলেছেন তার বাংলা অর্থ করে এক এক করে মিলায় দেখবেন, কেননা আমাদের দেশে আমরা যেই কোরান বাংলা অর্থ করে পড়ি তার ভিতর অসংখ্য ভুল।
ইসলামকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে সত্যি বলতে কেউ না, বা ইসলামের ঘোর শত্রু হল মুসলমান, আলেম নামক জালেম ব্যক্তিরা, জাকির নায়েক, ওহাবী এই জাতীয় আমাদের দেশের ঐ আবুল কালাম আজাদ...কোন বেধর্মী ইসলামকে নষ্ট করেনি, তারা করবে কি ??? তারাত দেখে, শুনে আর হাসে, তাদের কিছু করারই প্রয়োজন হয়না, যেখানে এদের মত আলেমরা থাকে। সৌদির বাদশার অর্থদানে কোরানের তফসীর হয় সেও জানা যায়...।
নবী (স) আমাদের মত মানুষ হতেই পারেনা। পরে লিখে দিবনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬
ক্যামেরাম্যান বলেছেন: "এহেন একজন মহাপুরুষকে এক শ্রেণীর ইসলাম-বিদ্বেষী অমুসলিম পামড় ডাকাত খ্যাতিতে কলংকিত করার অপচেষ্টা করেছে।" - এটা আপনি অহেতুক বললেন। জনশ্রুতি বলে একটা কথা আছে। যেটা লোকের মূখে মূখে ছড়ায়। যেমন চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামির মাজার। ছোটবেলায় শোনা এই মাজারের কাহিনী বড় হয়ে জেনেছি ভূল। সেখানকার কাছিম নিয়েও অনেক কাহিনী আছে। নিজামুদ্দিনের কাহিনীটাও হয়ত সেরকম কিছু ছিল।
http://en.wikipedia.org/wiki/Nizamuddin_Auliy