![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বালকটি তার জীবনের মানে খুজতে বেরিয়েছিল,
বেরিয়েছিল পৃথিবীতে সুখ দুঃখের প্রকারভেদ খুজতে।
সে হাঁটছিল বিশাল এই পৃথিবীর ছোট এক রাস্তায়।
চারিদিকে শত সহস্র মানুষের ক্রমাগত কোলাহল,
সে হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
হাজার হাজার অচেনা মুখ, অচেনা হাসি,
যেন খোলা মাঠে বিশাল গ্যালারি।
ছেলেটি হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
চারিদিকে ছুটে চলা বিশাল জনস্রত।
সবাই যেন ছুটছে সামনে থাকা অজানা স্বর্গপানে।
সবাই সামনে ছুটছে পেছনের পানে না তাকিয়ে,
ছেলেটি হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
কারো মুখে হাসি, কারো বা বিষাদের কাল ছায়া,
তারপরও অবিরাম এই ছুটে ছলা,
কান্না হাসির কি দুর্দান্ত মিশেল।
কেউ ছুটে চলে বিষাদ ঘেরা মনে
কেউ বা আনন্দিত পুলকিত হৃদে।
ছেলেটি হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
এই ছুটে চলা আবার বৈচিত্রে ভরপুর,
কেউ বা পায়ে হেটে কেউ বা বাহনে চড়ে,
কেউ থেমে নেই, সবাই ছুটছে,
অগত্যা কেউ থামছে, তাও আবার ছুটছে।
ছেলেটি হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
ছেলেটিও চলতে থাকল আর সবার মত,
খুজতে থাকল জীবনের মানে।
সে হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
কি বর্ষা, কি গ্রীষ্ম, মানুষ ছুটছে তার আপন খেয়ালে,
কি রাত্রি, কি দিবা, মানুষ ছুটছে তার আপন ঠিকানায়।
যেন তার সামনে ডাকছে এক অজানা স্বর্গ।
সবাই ছুটছে সেই স্বর্গের দিকে।
অবশেষে ছেলেটি থামল।
বেরিয়েছিল সে জীবনের মানে খুজতে।
পেয়েছে কিনা তা সে জানে না।
সময়ের কাটার সাথে এ ধরা এগিয়ে চলেছে,
সাথে ধরার বুকের বাসিন্দারাও।
সবাই চলমান,
চলমান ঘড়ির কাটার মত অবিরাম।
©somewhere in net ltd.