![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ বাসায় ফিরছিলাম,
অর্থহীন আড্ডা আর রোজকার কাজ শেষে।
ফিরছিলাম রাজকীয় বেশে,
রাজকীয় বাহন সেই রিকশাতে চড়ে।
রিকশা চালাচ্ছিলেন যে বুড়ো লোকটি,
তার দিকে খেয়ালই দেই নি।
রিকশা চলছে,
আমি কানে হেডফোন আর নিকোটিনে
নিমজ্জিত...
বালক টি তার পথে চলতে শুরু করল,
চলতে শুরু করল অজানার উদ্দেশ্যে,
নতুন পথে, নতুন করে।
জীবনের বাঁকে আজ তার নতুন সূচনা,
সূচনা নতুন এক ভোরের।
মেঠো পথ,
নরম ঘাসের চাঁদরে মোড়া সবুজাভ ছবি,
মাঝে মাঝে ছড়িয়ে...
“স্মৃতির পাতাটা বারবার উলটাতে থাকি আমি। অনেক গুলো স্মৃতি এসে মাঝে মাঝে একত্রে জটলা পাকায় মাথায়। অনেক দুষ্ট এই স্মৃতি গুলো। কখনো একা আসবে না। কালবৈশাখী ঝড়ের মত হঠাৎ আসে...
মানুষ চলে যায়, রেখে যায় তার স্মৃতি। স্মৃতি কখনো হাসায়, আবার কখনো কাঁদায়। কিছু স্মৃতি মানুষকে অন্য এক জগতের সন্ধান দেয়। আর! কিছু স্মৃতি মানুষকে পোড়াতে থাকে, খুবলে খেতে থাকে...
অরন্যের জীবনকে বদলে দেয়া দুটি বছরের শুরু টা হয়েছিলো লেখকের হাত ধরে... লেখক এখন নিজেকে অনেকখানি অপরাধী মনে করেন সেই দিনটির জন্য। নিজেকে অনেক বেশী দায়ী করেন তার সেই কর্মটির...
ডায়েরীর শেষ পাতায় লেখা অরণ্যের শেষ কথাগুলো...
“স্মৃতির পাতাগুলো আজ কেন জানি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উলটে যাচ্ছে। একের পর এক স্মৃতি আজ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে আমাকে... মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা এমন...
অন্ধকার তো অনেক ধরণের হয়... কিন্তু আজ অন্ধকার টা অনেক বেশী... ক্ষমা চেয়ে নেয়া টা হয়তো আবশ্যক... যে ঘটনার কথা লিখতে যাচ্ছি... তার জন্য অনুমতি প্রয়োজন।। কিন্তু... অনুমতি দেয়ার আগেই...
এই দেশটাকে নিয়ে আমাদের গর্বের কোন শেষ নেই... দেশটাকে নিয়ে প্রচুর গর্ব আমাদের... যদিও এই দেশ আমাদের মত বেকারদের, যাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রত্যাশিত ফলাফল থাকা সত্তেও যথাযথ চাকুরী...
দিনগুলি হয়তো এভবেই চলে যায়...
জীবন চলে তার আপন গতিতে...
সময়কে হয়তো বাধা যায় না কোন ফ্রেমে..
সময়কালটা একই...
কিন্তু দুটি বছরের দিনাতিপাতের মাঝে...
আজ কত বিস্তর ফারাক...
উচ্ছাসহীন, আনন্দহীন সময়...
আলাদা কোন আবেগ নেই...
নেই কোন...
রাত্রি এখন দ্বিপ্রহর,
শূন্য আকাশে কিছু বিক্ষিপ্ত নক্ষত্র,
আর কিছু নিঃসঙ্গ মেঘের দল,
তার নিচে একা এক পথিক।
চলছে সুদূরে,
অজানা কোন গন্তব্য এ, কোন নির্জনে,
অচেনা এই পথে সে আজ বড়ই একা,
একাকী হেটে চলেছে ধূসর...
কত কিছুই না হয়,
কখনো দুঃখ, কখনো সুখ,
কখনো হাসি কান্নার মিশেল।
কত কিছুই না ঘটে,
কখনো বিরহ, কখনো প্রনয়,
কখনো প্রনয় সুরে বিচ্ছেদের আগুন।
কত কিছুই না আসে,
কখনো হাহাকার, কখনো প্রেয়সীর হাত,
কখনো পথে পথে ছুটে...
বিশাল মহাবিশ্ব,
তার কোন এক প্রান্তে ক্ষুদ্র এ ধরণী।
তারি এক প্রান্তে,
সবুজ কোন চত্বরে,
নদী আর ফুল ফলের সমারোহে,
ছোট্ট এক লোকালয়।
সুন্দর তার প্রকৃতি
সরল তার মানুষ।
দুঃখ, জরা, খরা নিত্যসঙ্গী,
তারপরও তারা হাসে, তারা খেলে,
তারা গেয়ে...
ছেলেটি রাস্তায় নেমেছিল,
অজস্র জীবন আর হাজারো প্রানের স্পন্দন শুনতে,
খোলা আকাশের তারার নিচে
তীব্র গতিতে ছুটে চলা সহস্র মুখের
ভাষাহীন আবেগের প্রকাশ দেখতে।
ছেলেটি ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিল
খুজতে গিয়েছিল জীবনের কোন শাব্দিক অর্থ।
ছেলেটি আজ একা।
নাগরিক...
বালকটি তার জীবনের মানে খুজতে বেরিয়েছিল,
বেরিয়েছিল পৃথিবীতে সুখ দুঃখের প্রকারভেদ খুজতে।
সে হাঁটছিল বিশাল এই পৃথিবীর ছোট এক রাস্তায়।
চারিদিকে শত সহস্র মানুষের ক্রমাগত কোলাহল,
সে হাঁটছিল আর দেখছিল পৃথিবীর রঙ্গ।
হাজার হাজার অচেনা...
ছেলেটি অবশেষে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো,
বেরিয়ে এলো একদম রিক্ত হস্তে,
পেছনের সব জন্ত্রনা,সব দুঃখ,
সব কষ্ট মুছে ফেলে,
সে খুজতে চায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখ।
কোন সম্বল নেই, নেই কোন ঠাই,
সামনে যে এগোবে
জানা নেই সেই...
©somewhere in net ltd.