নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত পদায়ন

রায়হান শাকিল

জীবনের অর্থের খোঁজে অসংখ্য প্রশ্নের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া একজন.।

রায়হান শাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরণ্য কথন ৩

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০২

অরন্যের জীবনকে বদলে দেয়া দুটি বছরের শুরু টা হয়েছিলো লেখকের হাত ধরে... লেখক এখন নিজেকে অনেকখানি অপরাধী মনে করেন সেই দিনটির জন্য। নিজেকে অনেক বেশী দায়ী করেন তার সেই কর্মটির জন্য। লেখকের দোষ আছে কি নেই সেই কাজটি হয়তো এখন পাঠককে করে নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত যখন বন্ধুটির অন্তিম শয়ানে আমকেই থাকতে হয়েছে, সুতরাং নিজেকে অপরাধী ভাবা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। যদিও ঘটনাটা আজও আমার বুকে তাজা। আমার বন্ধুটিকে আনেকটা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার সাথে। বন্ধুটি আমার পরীক্ষার অজুহাতে যেতে চায়নি। কিন্তু লেখকের অদম্য জেদের কাছে সে হার মানে। পরের ঘটনাটা ডায়েরীতে আছে বিস্তৃত ভাবে...
“দিনটা এভাবে পরিবর্তন হবে ভাবি নি... বন্ধুটাকে খুন করতে মন চাচ্ছিল। একে তো ইচ্ছা ছিল না আসার... তার উপর এসে পড়লো উটকো ঝামেলা একটা। রাগের সীমা অতিক্রান্ত হওয়া তে অনুষ্ঠান থেকে বের হতে হোল। সাথের আরেক বন্ধুর সাথে হেটে হেটে চলে আসলাম অনেক পরিচিত মানুষ সমৃদ্ধ সেই যায়গাটিতে। স্বভাবতই সেই পরিচিত জায়গার অনেক পরিচিতই বয়সে বড়... আর সেখানে আমি এক অকাল পক্ক ছোট মানুষ।

আমি কখনোই জানতাম না সেই মিনিট পনেরোর দাড়িয়ে থাকাটা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিবে।

একজোড়া চোখের তারায় আমি খুজে পাবো আমার জীবনের নতুন দিগন্ত।

বসে কথা বলছিলাম দুজনের মাঝখানে। হঠাৎ চোখে পড়লো সামনে একটা চেয়ারের পিছনে হেলান দিয়ে হাসতে থাকা মানুষটি। সেটা হাসি ছিল কিনা তা আমি জানিনা কারণ ওই এক হাসির ঝলকে আমার ভেতরের সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে আসছিল।

লাল জামা আর লাল ওড়নার ঘোমটা দেয়া মেয়েটি ঘোমটার আড়ালেও তার হাসির ঝলক দেখা যাচ্ছিল। এর পর বের হয়ে সামনের উদ্যানের মাঝে যখন দাড়িয়ে ছিলাম তখন আবারো সেই মুখটি সামনাসামনি... ঠোটে তার সেই বিখ্যাত হাসি আর লাল ঘোমটা... অপূর্ব লাগছিল দেখতে।

সবুজ গাছের নিচে আজ হঠাৎ একি অপ্সরির দেখা পেলাম?
এই স্বর্গীয় হাসি সে কোথায় পেল? নাকি সে এরকম?
নিষ্পাপ হাসির মাঝে অদ্ভুত সুন্দর এক ভালো লাগা...
অদ্ভুত সুন্দর তার চাহনি...
তার দিকে তাকিয়ে আজ আমার,
জীবনের গতি স্তিমিত...


জীবনের গন্তব্যে আজ বড় বাঁধা হল তাকে খুজে বের করা।
কিন্তু কিভাবে? তার তো নামটাও জানিনা আমি। শুধুই মুখটা তার চিনি।
কিভাবে খুঁজবো তাকে? আমি তো তার জানিনা কিছু...
তাও আমাকে করতে হবে... আমার জীবনের জন্য তার সেই চাহনি যে আমার চাই ই...
আমার সব কাজের উৎসাহ যে সেই চাঁদ মুখ...
তাকে আমরা চাই ই চাই...”

(চলবে)...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.