নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত পদায়ন

রায়হান শাকিল

জীবনের অর্থের খোঁজে অসংখ্য প্রশ্নের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া একজন.।

রায়হান শাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“অরণ্য কথন ৫...”

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

“স্মৃতির পাতাটা বারবার উলটাতে থাকি আমি। অনেক গুলো স্মৃতি এসে মাঝে মাঝে একত্রে জটলা পাকায় মাথায়। অনেক দুষ্ট এই স্মৃতি গুলো। কখনো একা আসবে না। কালবৈশাখী ঝড়ের মত হঠাৎ আসে মনের আকাশে। স্মৃতির তাড়না থেকে মানুষের বেচে থাকাটা অনেক কঠিন। অবশেষে আমি মিতাকে কুজে পেলাম। খুজে পেলাম তার চলাচলের রাস্তা টি। নতুন যাত্রা শুরু। কিন্তু এত মহা বিপদ মহারানীকে তো পাওয়া যায় না। অপেক্ষা আরও বাড়ে।
একদিন রাস্তায় ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা। রিকশা থেকে কেউ একজন হাত নেড়ে জিজ্ঞেস করল কেমন আছি। চিনতে পারিনি। অবয়বে লাগলো মিতা। আগ্রহ বেড়ে গেল। কয়েক দিন পর তাকে পাওয়া গেল।অবাক হলাম যে ধরনের জড়তা থাকার কথা সেটা তার মধ্যে নেই। পরে ও বলেছিল কেন জানি ও আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারত না। তখন নিজেকে খুব বড় মনে হচ্ছিলো। যাক পৃথিবীতে আমি ওর জীবনে আলাদা কেউ। কিন্তু এখন ভাবী ওগুলো কি সত্যি ছিল নাকি আর সব কিছুর মত ওগুলো ও মিথ্যা। উত্তর টা জানা নেই বা জানার উপায় ও নেই“
লেখকের হস্তক্ষেপ। না করেও উপায় নেই। লেখক কোনোদিন এই প্রশ্নের উত্তর জানার অযাচিত চেষ্টা করেননি। না করার কারণ ছিল। বাকিরাও সত্য বা মিথ্যার বিচারে না যাওয়াই শ্রেয়। কারণ টা পরিস্কার অরণ্য টা খুজতে যায় নি একবারও। আমাদের জীবনে স্মৃতিগুলো দুই ধরনের হয়। যখন আপনি খুব সফল স্মৃতিগুলো আপনাকে হাসিয়ে যাবে আজীবন আর যখন আপনি অরণ্যের মত ভাগ্য বিড়ম্বিত স্মৃতিগুলো শুধু চোখের জল ছাড়া আর কিছু দিয়ে যায় না।
“কথা চলতে থাকে আমাদের। রাতে থাকা হয় ফেসবুকে কিন্তু দিনে? এবার সুযোগ টা সহজে এলো। বলাবাহুল্ল্য আমার মনে যতই আনন্দ থাকুক বাইরে আনন্দ না একপ্রকার ঝড় বইছিল। উত্তাল সময়ে আমরা সবাই তখন উত্তাল কিছু করতে তৈরি। সুযোগ টা এলো। মিতা নাকি কখনো যায় নি ওখানে যেখানে আমরা একের পর এক বীজ বুনে যাচ্ছি সত্য কে আগলে রাখার। বললাম চলে আস। আমি তো প্রতিদিন থাকি। ওপাশ থেকে উত্তর কাল শুক্রবার কাল যাব। আমার উত্তর গিয়ে ফন করো। ওপাশ থেকে নিরাশ ম্যাসেজ আমার কাছে নাম্বার নেই। মোক্ষম সুযোগে নাম্বার আদান প্রদান হল।“
অরণ্য পুরো ডায়েরীর এই অংশটুকু এততাই উচ্ছসিত ছিল যে এটা পড়েই বুঝা যায় তার আনন্দ। আসলেই অনেক আনন্দে ছিল সে সে সময়ে। বোকা অরণ্য দেখা করার সেই দিনটার আগের দিন পেয়েছিল মৃত্যু হুমকি। কিন্তু হুমকি তে সে দমে নি। পরের দিন সকালে আমার মোবাইল এ ম্যাসেজ বন্ধু আমি যাচ্ছি ওদিকে তুই আয়। পাগলা বলে কি একে তো বিপদ তার উপর যাচ্ছে একা। লাথি দিয়েছিলাম দুটো তাও হেসেছিল আমার বন্ধুটা বোকার মত। সেই হাসিটা আজো চোখের সামনে ভাসে আর আমাকে কাঁদায়।

(চলবে...)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.