নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিষ্কারের নেশায়

রাকিব হোসেন ফুহাদ

এ ধরা ক্ষনিকের জন্য যেতে হবে চলে ক্ষনিকের মাঝে অসীম রহস্য উন্মোচন করে যাব বলে, যাহা আমি শিখিয়াছি এ ধরায় এসে তার চেয়ে ভাল কিছু করে যাব সাবইকে ভালবেসে। তোমরা যেখানে দেখাবে আমায় এক মুঠো মাটি আমি সেখানে খুজে বেড়াব যা সোনার চেয়েও খাটি। তোমরা যেখানে উড়াইয়া দিবে এক মুঠো ছাই আমি তাহাতে খুজে বেড়াব অসীম রহস্যের পাই।

রাকিব হোসেন ফুহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য- সৃষ্টি তত্ব পর্ব (০১)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

আদিমকাল থেকে মহাবিশ্ব নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কৌতুহল মানুষের হাজার হাজার বছর আগে থেকেই। আজও মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেই কৌতুহল। আমরা যখন মনে করি যে আমরা মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য জেনে গেছি। আর ঠিক তখনই আমাদের সামনে হাজির হয় নতুন এক রহস্য। আর সেই রহস্যর সমাধান করতে গিয়ে দেখি যে আমাদের পিছনের ধারনাগুলো ছিল ভুল। তখন সেটি গবেষনার পরে দেয়া হয় নতুন থিওরী। যেটি সকলের গ্রহনযোগ্যতা লাভের পর মেনে নিতে হয় সবার। আবার সেই থিওরী রাজত্ব করে অনেক দিন। এভাবেই মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের গবেষনা চলেছে অনেক আগে থেকে। আদিম কাল থেকে মানুষ বিভিন্ন ধরনের থিওরী দিয়ে আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ ধর্মের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন আবার কেউ কেউ নিজের ধারনা দিয়ে আবার কেউ বিভিন্ন ভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। আদিমকাল থেকে অনেক জ্ঞানী জ্ঞুনী ব্যাক্তিগন মহাবিশ্ব সৃষ্টি সমন্ধে ধারনা দিয়েছেন। যাদের এই ধারনার মাধ্যমে আমরা এবং আমাদের বিজ্ঞান আজ এতদুর পর্যন্ত আসতে পেরেছে। তারা যদি তাদের থিওরী ভুলও দেয় তারপরও সেটা ছিল বিজ্ঞান অগ্রগতির চাবিকাঠি। কারন কেউ যখন ভুল থিওরী দিল তার পরবর্তী অন্য একজন বলল যে এই থিওরীতে কিছুটা ভুল আছে। তখন সে আরও যুক্তিপূর্ন থিওরী দিল যা আগেরটির চেয়ে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য। আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান সেই সকল জ্ঞানী জ্ঞুনী বুদ্বিমান ব্যাক্তিদের কাছে ঋনী। ছোট ছোট বালুকনা জমিয়ে যেমন একটি পাহাড় তৈরী সম্ভব। ঠিক আদিমকাল থেকে মানুষের ছোট ছোট ধারনার মাধ্যমে আজ আধুনিক বিজ্ঞান পাহাড় সমতুল্য। আমাদের মহাবিশ্ব নিয়ে অনেক আধুনিক বিজ্ঞানী অনেক আধুনিক সংজ্ঞা দিয়েছেন। আমি কোন বড় বিজ্ঞানী না, কোন সম্মানিত ব্যাক্তিও না। আমি খুবই সাধারন একজন ছাত্র। আপনাদের সামনে আমি কিছু নতুন ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। মহাবিশ্ব নিয়ে কিছু নতুন নতুন ভাবনা ভাবতে শেখানোর চেষ্টা করব। জানিনা অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীদের লেখার মাঝে আমার লেখা কোন অবস্থানে ঠাই পাবে। তবুও আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য আমার লেখাগুলো এই মহাবিশ্বের সকলের কাছে পৌছানো।

আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে আমাদের মহাবিশ্বের সকল সকল পদার্থ এক জায়গায় জড়ো হয়ে ঘূর্নায়মান অবস্থায় ছিল। এক জায়গায় জড়ো থাকা সকল ঘূর্নায়মান পদার্থকে আমরা ০ বিন্দু হিসেবে ধরলাম। একটি ঘূর্নায়মান ফ্যান যেভাবে ঘুরতে থাকে, ঠিক সেভাবে ঘুরতেছিল আমাদের ০ বিন্দু। ০ বিন্দু ঘূর্নায়নের ফলে এর মধ্যে থাকা একটি পদার্থের সাথে অন্য একটি পদার্থের ঘর্ষন হতে থাকল। ০ বিন্দুতে থাকা পদার্থগুলো ঘর্ষনের ফলে ধীরে ধীরে ০ বিন্দু উতপ্ত হতে থাকল। এক সময় ০ বিন্দুর তাপমাত্রা বৃদ্বি পেতে পেতে অনেক বেশী উতপ্ত হয়ে যায়। যখন এর তাপমাত্রা অধিক পরিমানে বৃদ্বি পেল, তখন ০ বিন্দু ঘূর্নায়নের ফলে এর মধ্যে থাকা একটি পদার্থ থেকে অন্য একটি পদার্থ দুরে সরে যেতে চাইল। ঘূর্নায়নের ফলে ০ বিন্দুর তাপমাত্রা যখন আরও বৃদ্বি পেল তখন একটি পদার্থের সাথে আরেকটি পদার্থ দলবদ্বভাবে থাকা সম্ভব হলনা। তখন ০ বিন্দু থেকে পদার্থগুলো ছিটকে বের হয়ে গেল। এই ছিটকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে মহাবিস্ফোরন বলতে পারি।মহাবিস্ফোরন বলতে যে আমি শুধু আগুনকে বুঝিয়েছি, না মহাবিস্ফোরন বলতে আমি প্রধানত বুঝিয়েছি ঘূর্নায়নের মাধ্যমে ঘুরতে ঘুরতে একসময় একটি থেকে অন্যটি দূরে সরে যাওয়াকে, তবে ঘর্ষনের ফলে সেখানে অনেক তাপ্ও উৎপন্ন হয়েছিল । অতএব ঘূর্নায়ন এবং তাপ এই দুটির মাধ্যমে আমাদের মহাবিশ্ব বিস্ফোরন। আমরা যদি কোন বেলুনের মধ্যে কিছু পদার্থ ভরে এটিকে ফুলাতে থাকি দেখব যে এক সময় বেলুনটি ফেটে ভিতরের সকল পদার্থ ছিটকে বের হয়ে গেছে। এভাবেই আমাদের মহাবিশ্বের সকলকিছু ০ বিন্দু থেকে ছিটকে বের হয়ে গেছে। ছিটকে যাওয়া পদার্থকে আমরা বলি গ্যালাক্সি। আমার লেখার সবচেয়ে মূল যে পয়েন্ট সেটি হচ্ছে আমাদের মহাবিশ্ব ঘূর্নায়মান। আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টি ঘূর্নায়নের মাধ্যমে। আর এই ‍থিওরীর মাধ্যমে সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব।







উপরের চিত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ০ বিন্দু ভেঙ্গে নতুন নতুন গ্যালাক্সি তৈরী হয়েছে। যখন ০ বিন্দু থেকে যখন সকল পদার্থ ছিটকে বের হয়ে গেল তখন ছিটকে বের হয়ে যাওয়া পদার্থগুলো আবার নিজ নিজ অক্ষে ঘুরতে শুরু করল। ০ বিন্দু থেকে বের হয়ে যাওয়া সকল পদার্থগুলো এবং ০ বিন্দুতে থেকে যাওয়া সকল পদার্থনিয়ে নিয়ে তাকে ০০ বিন্দু ধরতে পারি। কারন প্রথম ০ বিন্দু থেকে বের হয়ে পদার্থগুলো ০০ বিন্দু মধ্যে অবস্থান করতেছে। আপনি যদি দুটি বক্স নেন একটি ছোট এবং দ্বিতীয়টি বড়, বড় বক্সটির মধ্যে ছোট বক্সটিকে ঢুকিয়ে যদি ছোট বক্সটিকে বিস্ফোরন ঘটাই, তাহলে দেখব যে প্রথম বক্সের জিনিসগুলো বিস্ফোরনের পরে দ্বিতীয় বক্সে অবস্থান করছে। এভাবেই মহাবিস্ফোরনের আগে সবকিছু ঘুরতেছিল ০ বিন্দুতে। মহাবিষ্ফোরনের পরে সবকিছু ঘুরছে ০০ বিন্দুতে। মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে আমাদের গ্যালাক্সি। তখনও আমাদের গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি তৈরী হয়নি। মহাবিষ্ফোরনের পরে মহাবিশ্ব শুধু গ্যালাক্সিগুলো নিয়ে ঘুরতেছিল। মহাবিশ্বের সন্তান হিসেবে আমরা গ্যালাক্সিকে ধরতে পারি। পরের লেখায় পৃথিবী সৃষ্টি ও আরও অনেক তথ্য তুলে ধরতে চেষ্টা করব। পরের লেথাগুলো আরও ভালভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করব আপনাদের সামনে। আমার লেখার মাধ্যমে ধারনা দিতে পারব মহাবিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি নিয়ে, আমাদের মহাবিশ্ব কেন ঘূর্নায়মান, আমোদের পৃথিবী কেন ধীরে ধীরে চ্যপ্টা হচ্ছে, আমাদের মহাবিশ্ব কিভাবে প্রসারিত হচ্ছে, মানুষ কিভাবে সৃষ্টি, আরও অনেক তথ্য আমার ‍থিওরীর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারব। আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন। আমার পরের লেখাগুলো আপনাদের সামনে ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারব। আপনি চাইলে আমার সাথে ফেসবুকে ফেন্ড হতে পারেন ফেসবুক লিংক https://www.facebook.com/rakibhossen.fuhat



মহাবশ্বি সৃষ্টরি রহস্য- সৃষ্টি তত্ব র্পব (০২)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.