নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিষ্কারের নেশায়

রাকিব হোসেন ফুহাদ

এ ধরা ক্ষনিকের জন্য যেতে হবে চলে ক্ষনিকের মাঝে অসীম রহস্য উন্মোচন করে যাব বলে, যাহা আমি শিখিয়াছি এ ধরায় এসে তার চেয়ে ভাল কিছু করে যাব সাবইকে ভালবেসে। তোমরা যেখানে দেখাবে আমায় এক মুঠো মাটি আমি সেখানে খুজে বেড়াব যা সোনার চেয়েও খাটি। তোমরা যেখানে উড়াইয়া দিবে এক মুঠো ছাই আমি তাহাতে খুজে বেড়াব অসীম রহস্যের পাই।

রাকিব হোসেন ফুহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার। আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু আর ঘাম

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার। আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু আর ঘাম'



- উইনস্টন চার্চিল ( একমাত্র ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি সাহিত্যে নোবেল জিতেছেন এবং প্রথম মানুষ যুক্তরাষ্ট্র যাঁকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় )



দুই আঙ্গুল উঁচিয়ে ভি বা বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন ইংল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং যুদ্ধকালের সফল রাজনৈতিক নেতা ও শাসক উইনস্টন চার্চিল। ইংল্যান্ডের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম ১৮৭৫ সালের ৩০ নভেম্বর।



ইতিহাসের সফলতম এই রাষ্ট্রনায়ক ছাত্র হিসেবে সাফল্য লাভ করেননি। স্কুলের গণ্ডি পেরুতে তাকে তিনটি স্কুল বদলাতে হয়। আর সামরিক জীবনে প্রবেশ করতে পরীক্ষায় পাস করেন তিনবারের প্রচেষ্টায়। অথচ এক সময় তিনিই হলেন ওয়াশিংটন পোস্টের মতো পত্রিকার রিপোর্টার। তিনিই একমাত্র ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সামরিক জীবনে চার্চিল যুদ্ধ করেন কিউবা, ভারত, সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও জড়িয়েছিলেন চার্চিল। সেনাজীবন ছেড়ে চার্চিল রাজনীতিতে যোগ দেন এবং সেখানে লাভ করেন ব্যাপক সাফল্য। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ এবং ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ এই দুই মেয়াদে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন উইনস্টন চার্চিল। সামরিক জীবন এবং রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য বক্তৃতা দিলেও ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে তার ১৩ মে ১৯৪০ সালের ভাষণটি। উল্লেখ্য, এই ভাষণের প্রায় আট দিন আগে ৩ মে ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভিন্ন কারণে এক সময়ের প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী নিভাইল চেম্বারলিকে সরিয়ে যুদ্ধবাজ হিসেবে খ্যাত চার্চিলের দায়িত্ব গ্রহণকে সহজে মেনে নিতে পারেনি অনেকেই। এমনি এক প্রেক্ষাপটে চার্চিল শুরু করেন তার ভাষণ।



বক্তব্যের শুরুতে তিনি তার নিজের এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য 'ওয়ার ক্যাবিনেট' এর দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে বিরাজমান যুদ্ধ এবং যুদ্ধ প্রস্তুতিরও বর্ণনা দেন চার্চিল। এক ফাঁকে ক্ষমা চেয়ে নেন পরিবেশনের কারণে প্রচলিত নিয়মে দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা দিতে পারবেন না বলে।



তার সেই ঐতিহাসিক ভাষনের কিছু অংশ



-'দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার, আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু আর ঘাম, আমাদের সামনে অগ্নীপরীক্ষা, আমাদের মাসের পর মাস যুদ্ধ করতে হবে আর কষ্ট সইতে হবে। তোমরা যদি জিজ্ঞেস কর আমাদের নীতিমালা বা পলিসি কি, তাহলে বলব আমাদের একটাই নীতি; জল, স্থল ও আকশপথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া, আমাদের সবটুকু সামর্থ্য আর ঈশ্বর প্রদত্ত শক্তি নিয়ে আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেত হবে এক নিষ্ঠুর দানবের বিরুদ্ধে। এটাই আমাদের নীতি, আর যদি প্রশ্ন কর আমাদের লক্ষ্য কি? আমি এক কথায় উত্তর দেব- বিজয়।



পথ যতই দীর্ঘ কিংবা দুর্গম হোক, বিজয় ছাড়া আমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই।'

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.