নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিষ্কারের নেশায়

রাকিব হোসেন ফুহাদ

এ ধরা ক্ষনিকের জন্য যেতে হবে চলে ক্ষনিকের মাঝে অসীম রহস্য উন্মোচন করে যাব বলে, যাহা আমি শিখিয়াছি এ ধরায় এসে তার চেয়ে ভাল কিছু করে যাব সাবইকে ভালবেসে। তোমরা যেখানে দেখাবে আমায় এক মুঠো মাটি আমি সেখানে খুজে বেড়াব যা সোনার চেয়েও খাটি। তোমরা যেখানে উড়াইয়া দিবে এক মুঠো ছাই আমি তাহাতে খুজে বেড়াব অসীম রহস্যের পাই।

রাকিব হোসেন ফুহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্বের অজানা নতুন জগতের পরিচয়

১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

সৃষ্টির শুরু থেকে আমাদের চারপশে, মাথার উপরে, পায়ের নিচে, সবকিছুতে লুকিয়ে আছে অসীম রহস্য। আমাদের চারপাশে থাকা অজানা রহস্যময় জগৎই আমাদেরকে জানার জন্য প্রলুব্ধ করেছে। আজ মানুষ অজানাকে জানার জন্য কোমড় বেধে যুদ্ধে নেমেছে। মানুষ এই যুদ্ধে হেরে যেতে রাজি না। মানুষ তার শক্তিশালী মনোবল নিয়ে মহাবিশ্বকে জানার জন্য মহাবিশ্বের সাথে যুদ্ধ করছে। এতদিনে তারা মহাবিশ্বের অনেক কিছুকে জয় করেছে নতুন নতুন অনেক আবিষ্কার উপহার দিয়েছে আমাদেরকে এই যুদ্ধের মাধ্যমে। মহাবিশ্বের সবকিছু এখনও জয় করা সম্ভব হয়নি এখনও জানার আছে অনেক কিছু, তবে সবকিছুকে জয় করার নিরলস প্ররচষ্টা একদিন মানুষকে নিয়ে যাবে সাফল্যর দ্বারে। মহাবিশ্বকে জয় করার মূল যোদ্ধা হচ্ছি আমরা তরুন প্রজন্ম। আমরা তরুন প্রজন্ম সবাই মিলে বন্ধুর বেশে এই যুদ্বে নামলে মহাবিশ্বকে জয় করা আমাদের জন্য আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে। মহাবিশ্ব জয়ের বড় বড় যোদ্ধা যারা ছিলেন তারা তাদের ঘুম, খাওয়া সবকিছু ছেড়ে সারাদিন মগ্ন ছিলেন মহাবিশ্বকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য। নতুন নতুন আকিষ্কার মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য, যাতে মানুষের জীবন-যাপন আরও সহজ হয়ে উঠে, সবকিছু সম্পর্কে মানুষ সঠিক তথ্য জানতে পারে। আমরা সেই সকল মানুষদের কাছে চিরদিন ঋনী থাকব, তারা বেচে থাকবে মহাবিশ্বের সবকিছুর মধ্যে। আমাদের চারপাশে আছে মহাবিশ্বের নানা রহস্য আমরা এগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেলে মহাবিশ্বকে জানতে আরও সহজ হয়ে যাবে তাই আমাদের উচিত আমাদের চারপাশের সবকিছুর রহস্য উন্মোচন করা। আমরা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে চোখ খুললে অনেক কিছু দেখতে পাই। চোখ খুললে রুমের ভিতরে আসবাপত্র বাইরে গাছপালা, পশুপাখি, নদীতে পানি,আকাশে সূর্য আরও কত কিছু। কিন্তু এগুলো সামনে থাকা অবস্থায় চোখ বন্ধ করলে আর কিছুই দেখা যায়না। তাহলে এগুলো কি আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়? এই জন্য কি এগুলোকে দেখা যায় না, নাকি অন্য কিছু কখনও কি ভেবেছেন। আপনার সামনে সবকিছুই আছে কিন্তু আপনি চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে সবকিছু কালো দেখছেন কারন ঐ জিনিসগুলো যার মাধ্যমে দেখি সেটিকে ঢেকে দেয়া হয়েছে, তবে কেন কালো ছাড়া অন্য রং লাল, নীল, হলুদ দেখা যায়না ? আপনার চোখের সামনে সবকিছু আছে কিন্তু আপনি চোখ বন্ধ করে দেখছেন সবকিছু কালো, আর আপনার সামনে চোখ খোলা লোকটি দেখতে পাচ্ছে অনেক কিছু। আপনি যা কিছু দেখতে পাচ্ছেন তার জন্য অবদান কোনটির নিশ্চই চোখের। চোখ না থাকলে আপনি কিছুই দেখতেন না আপনার সামনে সবই থাকত কিন্তু আপনি দেখতে পেতেন না। আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে আপনার চোখ কি মহাবিশ্বের সবকিছু দেখতে পায়? আপনার উত্তর হবে ক্ষুদ্রতম পদার্থ ছাড়া অন্য বড় সবকিছুই দেখতে পায়। আসলেই কি তাই বড় সবকিছু আমাদের চোখ দেখতে পায়। আপনার কাছে উত্তর হ্যা হলেও আমার কাছে উত্তর না। আজ আপনাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিব নতুন এক জগতের যেই জগত সম্পর্কে মানুষ এখনও জানেনা। আমি কোন মহাকাশ জগতের সাথে পরিচয় করাবনা, আমি পরিচয় করিয়ে দিব আপনার চারপাশের নতুন এক জগতের সাথে। যে জগতের সাথে মিলে মিশে আপনি বড় হয়েছেন কিন্তু সেই জগৎ সম্পর্কে আপনি জানেন না।

চোখ খোলার সাথে সাথে আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয় অনেক কিছু। প্রত্যেক প্রানীর চোখের গঠনের উপর ভিত্তি করে মহাজগতকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১। দৃশ্যমান মহাজগৎ ২। অদৃশ্যমান মহাজগৎ

আমরা খালি চোখে আমরা যা কিছু দেখতে পাই সেই সবকিছুকে নিয়ে আমরা একটি জগৎ ধরব সেটি হচ্ছে দৃশ্যমান জগৎ। এবং আমাদের চোখ যে গুলো দেখতে পায়না সে গুলোকে বলব অদৃশ্যমান জগৎ। যারা অন্ধ তাদের কাছে শুধু একটি মাত্র জগত, তাদের কাছে সবকিছুই অদৃশ্যমান। আমরা এখন পর্যন্ত জেনেছি শুধু দৃশ্যমান জগৎ সম্পর্কে অদৃশ্যমান জগৎ সম্পর্কে আমরা এখনও জানিনা। আমরা হয়ত মনে করছি যে অদৃশ্যমান জগৎ অনেক ছোট কিন্তু না আমাদের অদৃশ্যমান জগৎ দৃশ্যমান জগতের মতই অনেক বড়। আমাদের দৃশ্যমান জগতে যেমন হাজার হাজার প্রনী আছে তেমনি অদৃশ্যমান জগতেও হাজার হাজার প্রজাতির প্রনী আছে। আপনি হয়ত একা একা বসে কথা বলছেন আপনার পাশে আছে অদৃশ্যমান জগতের প্রানী কিন্তু আপনি তা দেখতে পাচ্ছেননা। আপনার চোখ বন্ধ করলে যেমন সামনের কিছু দেখতে পারেননা, ঠিক তেমনি আপনার সামনে থাকা প্রানী গুলোকেও দেখতে পাচ্ছেননা। আমাদের চোখের সামনে অদৃশ্যমান জগতের অনেক প্রানী আছে কিন্তু আমাদের চোখ তাদের দেখতে পায়না। আপনি যদি একটি সাদা কাগজের উপরে সাদা রেখা অংকন করেন তাহলে কিন্তু সাদা রেখাটিকে আপনি দেখতে পাবেননা। আমাদের কাছে যারা অদৃশ্যমান, সকল প্রানীর কাছে তারা অদৃশ্যমান না। আমরা আমাদের চোখের সামনের যে জগৎকে দেখতে পাচ্ছিনা আমাদের দৃশ্যমান জগতের অন্য কোন প্রানী সেই জগৎকে দেখতে পাচ্ছে। আমাদের কাছে অদৃশ্যমান প্রানীরা অন্য কোন কোন প্রানীর কাছে যেমন দৃশ্যমান, তেমন আমরাও আমাদের দৃশ্যমান জগতের অনেক প্রানীর কাছে অদৃশ্যমান। তারা আমাদের দেখতে পাচ্ছেনা কিস্তু আমরা তাদের দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি আরও পরিস্কার করে তুলে ধরার জন্য নি¤েœ ৪ টি প্রানীর মাধ্যমে উদাহরন দেয়া হল এটা শুধু বুঝনোর জন্য:

১। মানুষ. ২। বিড়াল. ৩। মানুষের কাছে অদৃশ্যমান প্রানী. ৪। অদৃশ্যমান পাখি।

মানুষের কাছে এই চারটি প্রানীর মধ্যে ১ এবং ২ নং প্রানী দৃশ্যমান এবং ৩ এবং ৪ নং প্রানী অদৃশ্যমান।

বিড়াল চারটি প্রানীর মধ্যে ১,২,৩ নং প্রানী দেখতে পাচ্ছে। বিড়ালের কাছে অদৃশ্যমান প্রানী হচ্ছে ৪ নং।

৩ নম্বর প্রানীটি ১,৩,৪ প্রানীগুলো দেখতে পাচ্ছে কিন্তু তার কাছে ২ নং প্রনীটি অদৃশ্যমান।

২নং প্রানীর কাছে ২,৩,৪ প্রানী দৃশ্যমান কিন্তু তার কাছে ১নং প্রানী মানুষ অদৃশ্যমান ।

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রতিটি প্রানীর কাছে কোন না কোন অদৃশ্যমান প্রানী আছে। আমাদের চোখ মহাবিশ্বের সবকিছু দেখতে পায়না। আমি উপরের লেখায় শুধু প্রানী কথাটি বলেছি বুঝানো জন্য কিন্তু অদৃশ্যমান জগতে শুধু প্রানী না অন্য অনেক জড় বস্তু আছে যা আমরা দেখিনা। আমাদের চারপাশের অদৃশ্যমান জগৎ অনেক বড় আমাদের চোখ ঐ সকল প্রানীগুলো এবং ঐ জগৎকে দেখতে পায়না। তাই বলে বলা যাবেনা যে আমাদের চারপাশে কোন অদৃশ্যমান জগৎ নেই আপনি যদি আপনার সামনে একটি বই রেখে চোখ বন্ধ করে বলেন যে কই আমার সামনে তো কোন বই নেই কারন আমি দেখতে পাচ্ছিনা। আমার সামনে সব কিছুই কালো আপনি যতই না বলুন তারপরও আপনার সামনে বই আছে। আপনি চোখ বন্ধ করার কারনে বই দেখতে পাচ্ছেন না। ঠিক তেমনি আমাদের চারপাশে আরেকটি নতুন জগৎ আছে কিন্তু আমাদের চোখ সেই জগৎ দেখতে পাচ্ছেনা। অন্ধ ব্যাক্তির সামনে যদি টাকা রেখে বলা হয় যে এখানে অনেক টাকা আছে সে বিশ্বাস করবেনা কারন সে টাকা দেখতে পাচ্ছেনা। কিন্তু যার চোখ আছে তার সামনে রেখে বললে সে দেখে বিশ্বাস করবে যে তার সামনে টাকা আছে। তাহলে ঐ অন্ধ লোকটা টাকা দেখতে না পাওয়ার কারনে কি টাকা ছিলনা। টাকা ঠিকই ছিল কিন্তু সে দেখতে পায়নি তাই বিশ্বাস করেনি। ঠিক অনেকে আমার কথা বিশ্বাস করবেনা কিন্তু আমাদের চারপাশে ঠিকই আরেকটি জগৎ আছে। আমাদের চোখ মহাবিশ্বের সবকিছু দেখতে পায়না। আপনার যদি চোখ না থাকত তাহলে আপনি মনে করতেন যে আপনার চারপাশে কিছুই নেই কারন আপনি দেখছেননা। আমরা যে জায়গাটিকে কালো দেখছি আসলে ঐ জায়গা কালো না। আমরা আমাদের মাথার উপরের সবকিছু কালো দেখি কিন্তু অন্য কোন প্রানী মাথায় উপরে দেখতে পায় আমাদের চেয়ে অনেক বেশী গ্রহ,উপগ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি। আমরা আমাদের সৌর জগতে শুধু ৮ টি মাত্র গ্রহ দেখতে পাচ্ছি কিন্তু আমাদের সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে অসংখ্য গ্রহ আমরা সেগুলোকে দেখতে পাচ্ছিনা তাই সেগুলোর চিত্র অংকন করতে পারছিনা। আমরা যাকে জ্বীন, ভূত বলি আসলে তারা অদৃশ্যমান জগতের প্রানী আর কিছুইনা। মানুষ নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের মাধ্যমে একদিন সেই জগৎকে দেখতে পাবে। সেদিন মানুষ বিশ্বাস করবে যে আমাদের চারপাশে অন্য আরেকটি জগৎ আছে। এখন কথাগুলো শুধুই রুপকথার গল্পের মত।





রাকিব হোসেন ফুহাদ

Email: [email protected]



আমার সাথে ফেসবুকে ফ্রেন্ড হতে পারেন

Click This Link





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.