নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিষ্কারের নেশায়

রাকিব হোসেন ফুহাদ

এ ধরা ক্ষনিকের জন্য যেতে হবে চলে ক্ষনিকের মাঝে অসীম রহস্য উন্মোচন করে যাব বলে, যাহা আমি শিখিয়াছি এ ধরায় এসে তার চেয়ে ভাল কিছু করে যাব সাবইকে ভালবেসে। তোমরা যেখানে দেখাবে আমায় এক মুঠো মাটি আমি সেখানে খুজে বেড়াব যা সোনার চেয়েও খাটি। তোমরা যেখানে উড়াইয়া দিবে এক মুঠো ছাই আমি তাহাতে খুজে বেড়াব অসীম রহস্যের পাই।

রাকিব হোসেন ফুহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইন্স ফকিশন, এডভঞ্চোর, লাভ স্টোররি সমন্বয়ে উপন্যাসরে শুরুটা কি এভাবে করা যায়?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

কেবলাকান্ত মেয়েদের সংজ্ঞায়িত করে আবেগ আর ছেলেদের বিবেক নামে। এবার এক্সপ্রিমেন্ট করার পালা সর্বশেষ ফলাফল উপস্থাপন, ফলাফল! আবেগ যখন বিবেকের সংস্পর্শে আসে এক নিমিষে আবেগ বিবেককে হরন করে পথভ্রষ্ট করে। মানে খুব সোজা আবেগ গন্ডিতে কিছুতেই পা দেয়া যাবেনা কিছুতেই প্রেম-টেম করা চলবেনা। তাহলে লাইফ এক নিমিষে পুরাই বরবাদ । প্রতিদিন একবার করে এক্সপ্রিমেন্ট করেও ফলাফল পজেটিভ আসেনা সবসময় নেগেটিভ। হ্যঙ্গলা পাতলা শরীর আবার চোখে বড় একটা চশমা মাথায় উশকো খুশকো চুলদেখে নির্গাত যে কারো মুখ ফসকে বোকা নয়ত গবেট বা পাগল শব্দটি বেরুবে। পুরো পাগল না বললেও যে আধাপাগল তা বলাতে কোনই সন্দেহ নেই। ক্লাসে একটি সিট উইল করে কিনে নিয়েছে স্যার যেখানে বসে লেকচার দেয় তার উল্টো দিকের প্রথম সিটটা। কেউ চেপে ধরেও কোনদিন স্যারের সামনের বেঞ্চে বসাতে পারেনি। মাঝে মাঝে ক্লাসে সটান করে দাড়িয়ে এক আজব প্রশ্ন করে বসে এরে.. এবার বুঝি স্যারের মুখে লাগাম লেগে গেল। স্যার তো এক প্রশ্ন শুনে উপকাত এদিক ওদিক তাকিয়ে না শোনার ভান করে বলে বসে তোমরা তাড়াতড়ি বইয়ের দিকে মনোযোগ দাও কলাস টাইম প্রায় শেষ হয়ে গেল। যাওয়ার আগে স্যার ওকে ডেকে বলে তুমি ক্লাসের মাঝে কি যেন বলতে চেয়েছিলে টিচারস রুমে এসো খুব ভালভাবে বুঝিয়ে উত্তর দিয়ে দিব। এই প্রশ্নের উত্তর আর কোনদিন বের হয়নি স্যারের ঘটে থেকে। এ রকম ছেলে পিছনের বেঞ্চে থাকাই এমন স্যারের জন্য উত্তম না হয় কখন জানি কি মুসিবতে ফেলে দেয়। এজন্য স্যার কখনও ওকে সামনের বেঞ্চে বসার জন্য জোর করেনা। স্যার তো ক্লাস টাইমে পিছনের বেঞ্চে ভুলেও তাকায়না আবার কোন মুসিবতে পড়ে যায়। লেখাপড়ায় গবেট বললেই চলে কিন্তু ক্লাসে কোনদিন ১০০ এর মধ্যে ৯০ এর কমে পায়নি। এই ক্যবলা চন্দ্রের রেজাল্ট দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে যায় পরীক্ষার হলে স্যারের চোখ ক্যাবলার দিক থেকে এক সেকেন্ডের জন্য অন্য দিকে যায়না। কখন কেবলার নকল ধরবে পুরো সময়টা খাতার দিকে তাকিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে তবে কি খাতা বাড়ি থেকে লিখে নিয়ে এসেছে খাতা চেক করেও কিছুই পাওয়া যায়না। স্যারের মুখ যেন মলিন হয়ে যায়। ওর আবার নিজস্ব একটা জগৎও আছে এ জগৎ সবার থেকে ভিন্ন নীরব জগৎ, ভুতুরে জগৎ, কাল্পনিক জগৎ এ জগতের সবার কথা বুঝতে পারে ক্যবলা চন্দ্র। তার জগৎটি যেন সম্পূর্ন আলাদা কারো সাথে মিল নেই। কারো সাথে তেমন কোন কথাও বলেনা দুটি একটি কথা ছাড়া মুখ থেকে কেউ বুলেট মেরেও কথার বের করতে পারবেন। ওর আছে শত রকমের নামের বাহারী উপাধি যেখানেই যায় একটা করে নামের উপাধি নিয়ে আসে কেউ আইনেষ্টাইন, কেউ নিউটন, গনেশ, ভোলা, বোবা, বোকেশ, ভ্যবলা, ক্যবলাকান্ত, বিদ্যাসাগর নামে কত নাম যে উপাধি পেয়েছে তার কোন ঠিক নেই। তবে মা বাবা ছোটবেলা থেকে রহিত নামে ডাকে যে, যে নামেই ডাকুকনা কেন রহিত কোনদিন কাউকে কোন প্রতিউত্তর করেনি। রহিতের মাঝে সবসময় কি যেন একটা একাকিত্ব কাজ করে। কোন কিছুতেই যেন কেউ ওর একাকিত্ব ঘুচাতে পারছেনা রহিতের মা বাবা। ওর মা বা কেউ কোনদিন ওকে জোর করে বিনোদনেও নিয়ে যেতে পারেনি। রহিতের বন্ধু,বিনোদন,আনন্দ,হাসি,কান্না, সবকিছুই অন্ধকার কূপের মত ছোট একটি রুমের মধ্যে আর ওর নীরব গহীন অন্ধকার জগতের মধ্যে। সারা রুমে কি সব যন্ত্রপাতি, বই, ছড়ানো ছিটানো, কাউকে ওর রুমের মধ্যে ডুকতে দেয়না। রহিতের জীবনটাকে বলতে গেলে একরকম মরা জীবন বলা চলে। সবার কাছে মরা জীবন হোক আর পেড়া জীবই হোক ওর কাছে এই জীবনটা কিন্তু বেশ লাগে রহিত বাস্তবেও এমন একটা জগৎ খুজে। রহিত যখন রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে শুনতে পায় পাখি কিচিমিচির ডেকে মনের কথা বলছে, গাছ নীরবে দাড়িয়ে বোবা কান্না কাদছে, আবার সমুদ্র বিশাল গর্জনে তাহার মনের কষ্ট দুর করছে। আজ রহিতের এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে মুখে একটা অন্যরকম হাসিমাখা মুখ নিয়ে রহিত বাড়িতে প্রবেশ করল। রহিতের মা বাবা তার হাসিমাখা চেহারাখানা দেখতে খুশিতে আত্মহারা। রহিতের মা-বাবা ভাবল ছেলে মনে হয় কারো প্রেমে টেমে পড়েছে বা কাউকে মনে ধরেছে যার জন্য আজ ওর মধ্যে পরিবর্তনের ছোয়া। খুশিতে আত্মহার হওয়ার তো কথায় ছেলের হাসিমাখা মুখখানা কবে যে দেখেছে তা বোধায় ওর মা বাবার স্মরন নাই। ..................................





কারো কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই নিচের কমেন্সে এ লিখবেন...।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪

আজবছেলে বলেছেন: অনেক কঠিন ভাবে শুরু করতে যাচ্ছেন।
হাল্কা বা (লাইট) জেনারের লিখুন।
আর লেখা এক প্যারায় শেষ করবেন না, তাহলে অনেকই বিরক্ত হবে এর সাথে সাথে বুঝতে অসুবিধা হবে।
সাইন্স ফকিশন, এডভঞ্চোর, লাভ স্টোররি সমন্বয়ে উপন্যাস এর ভালো রেফারেন্স তো বাংলা সাহিত্যে তেমন নেই।
রেফারেন্স হিসেবে দুইটা সিরিজ এর লিংক দিচ্ছি,
Date A Live

Infinite Stratos

জাপানীজ বই তবে ইংলিশ অনুবাদ করা।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

রাকিব হোসেন ফুহাদ বলেছেন: আজব ছেলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ভাল একটি পরামর্শ দিলেন প্রথমের শুরুটুকু আমার কাছেও একটু কঠিন মনে হচ্ছে। শুরু করেছিলাম “হ্যঙ্গলা পাতলা শরীর আবার চোখে বড় একটা চশমা মাথায় উশকো খুশকো চুলদেখে নির্গাত যে কারো মুখ ফসকে বোকা নয়ত গবেট বা পাগল শব্দটি বেরুবে” এই থেকে তবে শেষে আবার প্রথম কথাটুকু যোগ করেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক ভালে একটি রেফারেন্স দিয়েছেন ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.