নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্তআমি সেই দিন হব শান্ত,যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না –অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না

রাজেল

প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক এবং মুক্তচিন্তার অধিকারী

রাজেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক চোখ এক হাতের রুশদী এবং আমি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৫২


আজকে আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ সংবাদ হচ্ছে,”যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত আগস্টে ছুরি হামলার শিকার বুকারজয়ী ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি এক চোখের দৃষ্টিশক্তি ও এক হাতের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন।তিনি (রুশদি) শুধুমাত্র এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন যে শুধু তা ই না,তাঁর বুকে আরও ১৫টির মতো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাঁর ঘাড়ে তিনটি আঘাত করা হয়; এগুলো ছিল গুরুতর। রুশদি এক হাতের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। কারণ, ছুরিকাঘাতে হাতটির নার্ভ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আপনি শুধু একটিবার চিন্তা করে দেখুন মুসলিম জংগিরা কতটুকু নিষ্টুর আর পাষন্ড হলে একজন মানুষকে মারার সর্বোচ্চ চেষ্টা এরা করতে পারে।
তবে আমার কাছে,তিনি যে বেঁচে আছেন, এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে মিডনাইট’স চিলড্রেন বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১৯৮৮ সালে রুশদির চতুর্থ বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পর একাধিকবার হত্যার হুমকি পান তিনি। এ জন্য তাঁকে ১০ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে।একজন মানুষের বাঁক স্বাধীনতা আছে।একজন লেখকের কলম স্বাধীনভাবে চলবে।বলা হয়ে থাকে লেখকরা সমাজের আয়না।অথচ সেই লেখকের একটা লেখার জন্য মুসলিম জংগিরা চায় তাকে হত্যা করতে।লেখার জবাব লেখা দিয়ে দিতে হয়।
স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেক মুসলিম। বইটি প্রকাশের এক বছর পরই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।
গত ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সালমান রুশদির ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আটক তরুণ হাদি মাতার ।
আমার শরীরের প্রতিটি কোষ ও সাক্ষী আমার উপর জংগিদের আক্রমনের। আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে গিয়ে আমি মরতে মরতে বেঁচে গেছি।দিনশেষে রুশদীর কলমের লেখা ও যেমন থামবে না আমার ও জংগিদের বিরুদ্ধে উচ্চ কন্ঠ ও থামবে না।
Writer: Md Abdul Bachith Razel
Volunteer
(Aiming to prevent the isolation and suicide of young LGBT+ people, aged 14 to 25, victims of homophobia or transphobia and in a situation of family breakdown)
La fondation Le Refuge
Paris Accueil Bénévoles
Bénévole
Délégation IDF / Paris
108 rue de la Folie Méricourt
75011 Paris

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.