নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্তআমি সেই দিন হব শান্ত,যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না –অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না

রাজেল

প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক এবং মুক্তচিন্তার অধিকারী

রাজেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবে কি মানুষের মন থেকে আল্লাহ ভীতি দূর হয়ে যাচ্ছে?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৬

ধর্মের উদ্ভব হয়েছিল কোথায় হতে বা ধর্মের শেষ হবে কোথায় সেই প্রসংগ নিয়ে কথা বলতে গেলেই একটা বিশাল পক্ষ থেকে যে আমরা হুমকি পাই সেটা দিবালোকের মতো সত্য।আমার কাছে ধর্মের ২ টা দিক একটা হচ্ছে স্পিরিচুয়াল আর অন্যটি হচ্ছে এক্সট্রিমিস্ট। পৃথিবীতে প্রধানত ধর্মকে ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আপনি খুব সহজে সুস্হ ভাবে চিন্তা করলে দেখবেন প্রতিটি ধর্মে স্পিরিচুয়াল থেকে এক্সট্রিমিজমের ব্যাবহার টা বেশি। আমার কাছে অথবা আমরা যারা কোনকিছুকে বিশ্বাস করতে হলে এটার সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে বিশ্বাস করি তাদের কাছে বা আমার কাছে ধর্ম হচ্ছে কর্তৃত্ববাদদের সমাজকে তাদের হাতের মুঠোতে রাখার একটা হাতিয়ার মাত্র। তর্কের খাতিরে আমি ধরে নিলাম ধর্ম বিশ্বাস এবং ধর্মের রীতিনীতি বিধিনিষেধ মেনে চলা একটি ভালো কাজ এবং তার জন্য পুরস্কার রয়েছে। খুব গভীরভাবে আমি যদি বাংলাদেশের মানুষের ধর্ম চর্চা নিয়ে কথা বলি তাহলে দেখা যাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি হবার জন্য এখানে এই ধর্মের চর্চা হয় বেশি।
এখন একটা বিষয় তুলে ধরবও যেটার একটি ছবি ও আমি সংযোজিত করেছি।
ইতোমধ্যে আপনারা ছবি দেখে খুব সহজে বুঝে নিয়েছেন কী নিয়ে আমার এই লেখা। হ্যা নামায নিয়ে। তবে বল এবং জোরপূর্বক নামায পড়ানো নিয়ে । ইসলামের অনেক স্কলাররা বলে বেড়ান ইসলামের সকল সম্ভাব্য ভালো দিক। এবং সেই সাথে প্রায়শই মানুষকে যে একটা মৃত্যুর পরের জীবনের ভয় দেখান সেটা হচ্ছে আখিরাত।এবং সেই সাথে এটাও বলা হয় সেখানকার পুরস্কার নিয়ে। আচ্ছা তাহলে আমার একটা ই প্রশ্ন কী এমন আপনাদের স্প্রিরিট যে আখিরাতে পাওয়া এতও বড়ও বড়ও পুরস্কারের লোভ দেখানো বাদ দিয়ে সাইকেলের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাদের নামাযে নিতে হচ্ছে।
আমার কাছে যারা স্পিরিচুয়ালী ধর্ম মেনে চলেন, তাদের কাছে নামায/প্রার্থনার হচ্ছে উৎকৃষ্টতর মেডিটেশান ।একজন মডারেট মুসলিম হিসেবে আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন । জামাতে না হলেও নিজে নিজে অফিসে/বাসায় পড়েন এক কথায় মিস হয়না কখনো।
মসজিদে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ুক।সবাই নামাজ পড়ুক। যে যার যার ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করুক। এ ব্যাপারে আমার কোন আফসোস বা অভিযোগ নেই। তবে আপত্তিকর বিষয় হলও তখন, যখন যারা একদিকে নামাজ পড়ে আবার তারা অন্যদিকে ইসলাম বিরোধী কাজ করলে। ইসলামবিরোধী কাজ কী সুদ,ঘোষ,দূর্নিতী,অন্যের টাকা মেরে খাওয়া ইত্যাদি না?
একজনকে আমি চিনি যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কিন্তু তুলনামূলক তার অধীনস্থদের সাথে কুকুরের মতো ব্যবহার করে। না আমি কুকুরের মতো বিশ্বস্ত প্রাণীকে অসম্মান করছিনা। আমি নিছক উদহারনের জন্য কুকুরের প্রসঙ্গ টেনেছি। সুদ ঘুষ খায়। মিথ্যা কথা বলে। জুলুম করে। লোক ঠকায়। গালি দেয়। অনলাইনে মতের অমিল হলে নোংরা ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণ করে।একদিকে অন্তরে সম্পদের/ক্ষমতার/অধিকার প্রতিষ্ঠার তীব্র লালসা। অন্যদিকে নামাজ পড়ছে।
ইসলামের ক্রমানুসারে নামাজ পড়তে হবে আল্লাহর জন্য বা আল্লাহর ভয়ে।তাহলে বাচ্চাদের সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে নামাজ পড়ানোর অর্থ টা কী? কোরানে কি কোন দিকনির্দেশনা আছে? কতগুলো বাচ্চা ছেলে সারারাত ঘুমাচ্ছেনা কখন ফজরের আজান দিবে, মসজিদে যাবে, নামাজ পড়বে, ৪১ দিন হলেই সাইকেল পাবে। ৪১ দিন টানা ফজরের নামাজ পড়লেই একটা ছেলে নামাজের প্রতি কী এডিক্টেড হবে? আপনারা ত এই সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে ই প্রমান করে দিচ্ছেন আপনাদের ডাকে মানুষ আর মসজিদে আসতেছে না।এই বাচ্চা ছেলে গুলো আল্লাহর জন্য না সাইকেলের জন্য নামাজ পড়তে আসলও?
একটা উদাহরণ যোগ করি,আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন আমাকে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল যে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেলে আমাকে সাইকেল কিনে দিবে। তারপর বলা হলও ক্লাস এইটে বৃত্তি পেলে কম্পিউটার কিনে দিবে। এসএসসিতে এ+ পেলে আইফোন কিনে দিবে এইচ এস সি তে ভালো করে মেডিকেলে চান্স পেলে বাইক কিনে দিবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমার সেই লেবেল পর্যন্ত লেখাপড়ার আসল রহস্য ছিল এইগুলো পাওয়া ।সেই সময় আমি একটিবারের জন্য ভাবতে ও পারি নি যে আমার লেখাপড়ার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মনুষত্ব্য শেখা,পৃথিবীকে জানা,নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা। আমাকে জাস্ট ব্রেইন ওয়াশড করা হয়েছিল।
তদ্রূপ এই বাচ্চা গুলোকে ও ব্রেইন ওয়াশড করা হয়েছে।এরা কখনও আল্লাহকে ভয় করে নামায পড়েনি,এরা শুধুমাত্র সাইকেল পাবার আশায় নামায পড়েছে। এরা যখন নামাজ পড়েছে আমি হলফ করে বলতে পরে নামাযের ভেতর এরা কোন নিয়ত,সূরা,দূরদ পড়েনি এরা শুধু চিন্তা করেছে সাইকেল সাইকেল। তাহলে এই নামাযের কী কোন অর্থদৌতকতা আছে?
এই বাচ্চাদের প্রসংগ বাদ দিয়ে যদি আমি অন্য বয়সের মানুষের কথা বিবেচনা করি তাহলে সেখানেও দেখবেন আছে এক শুভংকরের ফাঁকি।
শেষকথা এত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মৌলানাদের দিয়ে বছর বছর লাখ লাখ টাকার বাজেট আর সিন্নি করে উপকার টা কী হলও যদি না সেই সকল বক্তাদের ওয়াজ নসীহতে মানুষ মসজিদ মূখী হয়না, বরং তাদের আবার সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে নামাজে আনতে হয়।
তাহলে কী একদিন মানুষ পরকাল,আখিরাত,কিয়ামত এক কথায় মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলে ফেলবে?
তবে কি মানুষের মন থেকে আল্লাহ ভীতি দূর হয়ে যাচ্ছে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.